করোনাকালে হাজির ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ, রোজার ঈদের চেয়ে এই ঈদের প্রস্তুতিও অনেকটা অন্যরকম। করোনায় বিশ্ব আক্রান্ত হলেও মুসলমানদের উৎসবের সাজে কোনো প্রকার কমতি থাকা চলবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হবে পবিত্র ঈদ। তন্মধ্যে কোরবানির কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় বলে ঈদের সাজটাও হয় সাদামাটা। আর যেহেতু বর্ষা চলছে, হালকা সাজেই অনন্য হয়ে উঠা যায় খুব সহজেই। তবে প্রকৃতির ধরন আর বেলা বুঝে সাজের বিষয়টি খেয়াল রাখার ওপর জোর দিন।
ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহার পরিকল্পনায় থাকে বিস্তর ফারাক। অনেকেই ঈদুল আজহার দিনটি পশু কোরবানি নিয়ে কমবেশি ব্যস্ত সময় পার করেন। তাই এই দিনে হালকা সাজই আদর্শ। কেননা, বর্ষার মৌসুম আর কোরবানি; দুয়ে মিলে খানিকটা ব্যস্ততা তো থাকেই। তারমধ্যে করোনাকালের জন্য বাইরে ঘুরে বেড়ানোর কোনো তাড়াও নেই। তাই ঘরে ভারি সাজ একেবারেই বেমানান।
উৎসবের সাজের ক্ষেত্রে পোশাকের ধরন বুঝে সাজ নির্বাচন করা শ্রেয়। দিনের সাজে খুব বেশি এক্সপেরিমেন্টের প্রয়োজন নেই। শুধু বিবি ক্রিম দিয়েও সাজটা পরিপূর্ণ করতে পারেন। চাইলে কম্প্যাক্ট পাউডার, কাজল, কালার আইলাইনার এবং নিউট্রাল শ্যাডের লাইনার পাওয়া যায়, সেসব প্রোডাক্ট দিয়েই দিনের বেলার সাজে পূর্ণতা দিতে পারেন। চুলের স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি কারসাজি না করাই ভালো। সিম্পল স্ট্রেইট ব্রাশ বা হালকা ব্লো ড্রাই করে বের হতে পারেন।
রাতের সাজে গরমের প্রভাব কম থাকে। একটু গ্ল্যামারাস লুক এমন সময় নেওয়ায়ই যায়। সেক্ষেত্রে চুলের সাজে একটু স্টাইল করা যেতেই পারে। পিঠময় চুল কোঁকড়া করে ছড়িয়ে রাখা যেতে পারে। একপাশে সিঁথি করে সামনের চুলগুলো হালকা টুইস্ট করে নিয়ে একপাশে খোঁপা করে নিতে পারেন। শাড়ি বা ফিউশনধর্মী যে কোনো পোশাকেই দারুণ মানিয়ে যাবে। আর পোশাক হিসেবে গর্জিয়াস শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরতে পারেন। সাজে আনতে পারেন পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন, কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়ে একটু ভারি সাজ দেওয়া যেতে পারে। হাইলাইটার, ডার্কার আইশ্যাডো, আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন লিপগ্লস, ম্যাট ফিনিশার লিপ কালার। আর হ্যাঁ, হাতের নেইলগুলোয় দিতে পারেন নতুন নকশা। আর দেশীয় বা ট্রেডিশনাল সাজে চুলের সাজে জুড়ে নিতে পারেন ফুল। আর সম্পূর্ণ সাজটাই নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের সাজ সাজবেন ঠিক তার ওপর। তবে সাজটা যেন সবকিছুর সঙ্গে ঠিকঠাক মানিয়ে যায় সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
লিখেছেন- শোভন সাহা (কসমোলজিস্ট)