বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

শাড়িতেই অপরূপ

শাড়িতেই অপরূপ

পোশাক ও ছবি : সাতকাহন

বাঙালি নারী মানেই শাড়ি। যার আবেদন কখনই কমে না। বরং ললনারা নিজেকে একটু আকর্ষণীয় এবং জমকালো আর অভিজাত করে ফুটিয়ে তুলতে বেছে নেন অনুষঙ্গটি। আর রমণীদের পরিধেয় অনুষঙ্গটি গোটা বিশ্বে সমাদৃত। রইল তার বিস্তারিত...

পশ্চিমা পোশাকের প্রতি তরুণীরা যতই আকর্ষিত হোক, শাড়ির প্রতি নারীর রয়েছে আলাদা কদর। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত- সব শ্রেণির নারীই শাড়িতে খুঁজে পান নিজস্বতার সুখ। নিজেকে আকর্ষণীয়, জমকালো আর অভিজাত করে ফুটিয়ে তুলতে শাড়িই যেন নির্ভরযোগ্য পোশাক। সে  নির্ভরযোগ্যতায় ঐতিহ্যবাহী কাতান, বেনারসি, জামদানির যেমন কদর রয়েছে তেমনি রয়েছে জর্জেট, শিফন সুতি ও হাফসিল্কের আকর্ষণ।

সময় এখন বোশেখের দখলে। তাই আবহাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তার অবকাশ নেই। এই তীব্র গরম আবার ঝুম বৃষ্টি। এ জন্যই বেশি নিরীক্ষায় না গিয়ে সুতি, এন্ডি আর মসলিনে নিজের পছন্দ বজায় রাখার পক্ষপাতী অনেকেই। তবে আসছে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উৎসবে একটু নান্দনিকতা তো থাকা চাই-ই চাই। যেহেতু উৎসব হাজির, তাই রমণীরা শাড়ির রং হিসেবে বেছে নিতে পারেন নীল, সবুজ, ম্যাজেন্টা, লাল, হলুদ, কমলা,  মেরুন, গেরুয়া, বাদামি আর সাদার বিভিন্ন শেড। যেহেতু উৎসব কড়া নাড়ছে দরজায় তাই ফ্যাশন হাউসগুলোও মজেছে থিমনির্ভর শাড়ি প্রস্তুতে। শাড়ির প্যাটার্ন আর কালার কম্বিনেশনে থাকছে সৃজনশীলতা।

জর্জেট, শিফন জর্জেটের শাড়িগুলোতে রয়েছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। ফুলেল নকশা, কলকা, লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশা, একরঙার সঙ্গে চিকন লেস এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। হ্যান্ডপেইন্ট, কাটওয়ার্ক, কাঁথাস্টিক, ব্লক, মিরর, কারচুপি, বাটিক, ভেজিটেবল ডাই সবই খুঁজে পাওয়া যায় সিল্ক শাড়িতে। আর তাই নানা ধরনের সিল্ক শাড়ি বেছে নেওয়া যায় অফিসে কিংবা পার্টিতে পরার জন্য। তাঁত, টাঙ্গাইল, কোটাসহ নানা রকম সুতি শাড়ি সব বয়সীর কাছে সমান জনপ্রিয়। মণিপুরী তাঁত, সিল্ক তাঁত, কোটা শাড়িতে এখন কারচুপি, চুমকি, অ্যাব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক ব্যবহার করায় এগুলো এখন বেশ আকর্ষণীয় ও জমকালো হয়ে উঠেছে। কিছু কিছু শাড়িতে করা হয়েছে ঝকমকে পাথরের রং, শাড়ির পাড়ে, আঁচলে শোভা পাচ্ছে হীরা, মুক্তা, চুনির রঙের ইফেক্ট। আর নানা রঙের শেড থাকছে আকর্ষণীয় এসব শাড়ি ও আঁচলে।

সুতি শাড়ির পুরোটাজুড়ে কারুকাজ করা থাকলে ব্লাউজটা সাদামাটা হলেই ভালো লাগবে। তবে শাড়ির কেবল আঁচল ও পাড় যদি জমকালো হয় তাহলে ব্লাউজের কারুকাজেও জমকালো ভাব ফুটিয়ে তুলতে পারেন। এ ছাড়া কন্ট্রাস্ট রং এবং থ্রি-কোয়ার্টার হাতের ব্লাউজও মানিয়ে যাবে। নানা রকম জর্জেট শাড়ির সঙ্গে ছোট হাতা কিংবা হাতাকাটা ব্লাউজই বেশি মানানসই। রুবিয়া ভয়েল, ক্রেপের কাপড় দিয়ে ব্লাউজ বানাতে পারেন। একরঙা শাড়ি হলে পরতে পারেন কাতান, সিল্ক, চেক প্রিন্ট, ব্রোকেডের ব্লাউজ। সিল্ক শাড়ির সঙ্গে উঁচু গলার নকশী ব্লাউজই ভালো।

শাড়ির জমিনে গাঢ় নীল, সরসে, সবুজ, মেরুন, লাল, ছাই- এ রংগুলোর জনপ্রিয়তা এখন বেশি। এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে হালকা সাজই ভালো লাগবে। সঙ্গে অ্যান্টিক ধাঁচের বা রুপার গয়না বেশ নজর কাড়বে। রঙের ক্ষেত্রে সুতি শাড়িতে হালকা শেডগুলোই বেশি আকর্ষণীয়। সবুজ, হালকা সবুজ, লেমন, অফ হোয়াইট ইত্যাদি সুতি শাড়িতে বেশ ভালো লাগে। সুতি শাড়ির সঙ্গে কানে পরতে পারেন মানানসই কাঠ, মাটি বা পুঁতির দুল। অ্যান্টিক রুপা, তামা ও কাঁসার গয়নাও চমৎকার লাগবে।

লেখা : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর