বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঈদের সাজপোশাক

ঈদের সাজপোশাক

♦ মডেল : করবি জাহান নিতু ♦ ছবি : নেওয়াজ রাহুল

অদৃশ্য সাজের সৌন্দর্যই আলাদা। তবে সেক্ষেত্রে দৃশ্যমান পোশাকটি হওয়া চাই মানানসই। কেননা, ঈদের দিনক্ষণ বলে কথা, সাজপোশাকে উৎসবের ছোঁয়া না থাকলে চলে না।  তাই ঈদের দিনের সাজকে তিন বেলায় ভাগ করে নিন এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন পোশাক কী হবে।

 

তালিকার শুরু আছে, শেষ নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বাইরে ঘুরতে যাওয়া, রান্নাঘরের কাজ গোছানো, মেহমান সামলানো প্রভৃতি। ঈদের দিন বলে যে আরাম করে ছুটির দিন হিসেবে পার করে দেব, সেই সুযোগ নেই। এসবের মাঝে আবার সাজ পোশাক থাকা চাই ফিটফাট।

 

ঈদের সাজ বা ব্যতিক্রমী পোশাকটাই কিন্তু উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। যাঁরা সাজতে ভালোবাসেন, বিশেষ দিনটি তাঁদের জন্য আরও বিশেষ। কিন্তু গরম! ঈদের দিনেও এই কথাই শুনবেন। সাজপোশাকটা সে কারণেই হতে হবে আরামদায়ক। নিজের স্বস্তি তো আছে, আপনাকে যিনি দেখছেন, তিনিও দেখে প্রশংসা করবেন। এই দিনের সাজটাকে তিন বেলায় ভাগ করে নিন এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন পোশাক কী হবে। এক্ষেত্রে হালকা সুতির পোশাক হলে বেশি ভালো হয়। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, টপস, গাইন, লেহেঙ্গা, ফতুয়া, জিন্স যেই পোশাকই পরবেন খেয়াল রাখবেন সেটা আপনার জন্য আরামদায়ক হচ্ছে কিনা। পছন্দের সঙ্গে মিল রেখে শিফন বা জর্জেটের পোশাক, জামদানি বা টাঙ্গাইলের শাড়িও পরতে পারেন।

আর হ্যাঁ, ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমেই গোসলটা সেরে নিলে সারা দিনের জন্য টেনশনমুক্ত থাকা যায়। তবে যেসব নারীর রান্নাবান্না আর ঘরে কাজের ঝামেলা থাকে তারা চাঁদরাতের দিন রান্নার কিছু কাজ গুছিয়ে রাখুন। সকালে উঠে চটজলদি কাজগুলো করে গোসলটা সেরে হালকা সাজগোজ করে নিতে পারেন।

 

স্নিগ্ধ সকাল : ঈদের সকালেই মূলত কাজের চাপটা একটু বেশি থাকে। তাই চলাফেরা করতে সুবিধা হয় এমন কোনো পোশাকই সকালের জন্য বেছে নিন। সকালে যারা রান্নাবান্নায় ব্যস্ত থাকবেন তারা মেকআপ এড়িয়ে চলুন। বরং ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে হালকা করে সেজে নিতে পারেন। সকাল বেলায় ভারী মেকআপ না নেওয়াই ভালো। মেকআপে ফাউন্ডেশন না দিয়ে বিবি ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। তারপর একটি প্রেস পাউডার দিয়ে চেপে চেপে ফাউন্ডেশন বা বিবি ক্রিমটি সেট করে নিতে হবে। তারপর একটি সেটিং স্প্র্রে দিয়ে মেকআপটাকে সেট করার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।  তাছাড়া সকালের সাজটা একেবারেই ন্যাচারাল হলে ভালো। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে চোখে একটি হালকা কালার শেড দিয়ে নিতে পারেন, আইলাইনার ও কাজল দিয়ে চোখের সাজটা কমপ্লিট করতে পারেন। ঠোঁটে নুড লিপস্টিক দিয়ে নিতে পারেন।

 

বিকালের সাজ : যেহেতু এবারের ঈদটা গরমের মধ্যেই কাটাতে হবে তাই দুপুরের সময়টাতে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। দুপুরে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের পর পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের সাজটা একটু গাঢ় করতে পারেন। সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। একটু ভিন্নতা আনতে শ্যাডো আর আইলাইনার দিতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কানে আর গলায় ছোট গয়না আর হাতে আংটি পড়তে পারেন।

 

রাতের মেকআপ : ঈদের রাতে দাওয়াত থাকে। তাই রাতের মেকআপে বেজটা একটু ভারী করে নিতে হবে। প্রাইমার ও ফাউন্ডেশনের পর ভালো ম্যাট সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। তারপর লুজ পাউডার বা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চোখটা একটু ডার্ক করে সাজানো যায়। যেহেতু রাতের মেকআপ তাই একটি গাঢ় রঙের লিপস্টিক বাছাই করতে হবে, যেটা পোশাকের সঙ্গেও মানানসই হতে হবে। তারপর একটু ভালো মানের ব্লাশ ও হাইলাইটার দিয়ে চিক বোন, চিন এবং আই ব্রো বোনে হাইলাইট করতে হবে। চুলগুলো স্ট্রক্রাইরাল বা ফ্রন্ট সেট করে ছেড়ে রাখতে পারেন।

 লেখা : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর