বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

পরিপাটি রাঁধুনি...

পরিপাটি রাঁধুনি...

ছবি : ইন্টারনেট

আগেকার দিনের মা-দাদিদের কাছে নানা গল্প শোনা যেত। তারা সব সময়ই বলত রান্নাঘর খুব পবিত্র জায়গা। কথাটা একেবারেই মিথ্যে নয়। যে ঘরটিতে গোটা পরিবারের খাবার তৈরি হয়, সেটি তো পরিচ্ছন্ন থাকতেই হয়। সঙ্গে যিনি রাঁধবেন, তার দায়িত্বও অনেক। এ জন্য তাকেও সতর্ক থাকতে হয়।

 

একজন রাঁধুনির মেকওভার! হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন রান্নাঘরে আবার কিসের মেকআপ! আসলে রান্নাঘরে রাঁধুনিদের জন্য চাই মানসম্মত সাজগোজ। আজকাল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন- ফেসবুক, ইউটিউবেও দেখা যায় রাঁধুনিদের মেকওভার। শুটিং চলে বলে দৃষ্টিকটু মেকআপে সেজে ওঠেন অনেক রাঁধুনি। তবে, বাস্তবতা কিন্তু একেবারেই ভিন্নরকম।

 

বাসায় আপনি নিজেই রাঁধুনি, তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে দেখবেন খাবার থেকে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যা"েছ। মা-দাদিদের কাছে শোনা যেত, বাসি মুখে এবং বাসি কাপড়ে রান্নাঘরে ঢোকা ঠিক নয়। এতে শরীর থেকে নানা রকম জীবাণু খাবারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই রান্নার সময় পোশাকটি যেন অবশ্যই পরিষ্কার থাকে। বাসার কিচেনে সব সময় অ্যাপ্রন পরতে পারেন। যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়, তবে পরতে পারলে খুব ভালো। অনেকে ধর্মীয় কারণেই হোক বা সংস্কারের সূত্রে, রান্নাঘরে প্রবেশের আগে গোসল সেরে নেন। ব্যাপারটি চমৎকার। অনেকেই তা পুরোদমে না করলে রান্নার আগে অš-ত যেন হাত-পা-মুখ ধুয়ে নেন। হাতের নখ যেন সব সময় কাটা থাকে সেদিকটায়ও খেয়াল রাখুন। আর যারা নখ বড় রাখতে পছন্দ করেন, তারা গ্লাভস পরতে পারেন। নইলে নখের ময়লা খাবারে মিশে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।

 

আবার রান্নার সময় চুল যেন ভালোভাবে আঁচড়ে টাইট করে বাঁধা থাকে। কেননা, ভুলক্রমে যদি কারও খাওয়ার সময় মুখগহ্বরে চুল ঢুকে যায়, অস্ব¯ি-র কমতি তো থাকেই না, বাড়তি বিপত্তি ঘটে বমি দিয়ে। আর জীবাণুঘটিত রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা তো আছেই। রান্নার সময় আমরা সবাই সাধারণত আরেকটি বিষয় এড়িয়ে চলি। তা হলো রান্নাঘরের গরম এবং আগুনের তাপে নিঃসৃত ঘাম। অনেকেই ঘাম মোছেন হাত দিয়ে, তারপর সেই হাত মুছে নেন পোশাকে। এমন প্রবণতা অস্বাস্থ্যকর। এই ঘাম অস্বস্তির কারণ তো বটেই জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে। তাই রাঁধুনির হাতে একটি পরিষ্কার রুমাল বা তোয়ালে থাকা জরুরি। যেন কিছুক্ষণ পরপর তিনি ঘাম মুছে নিতে পারেন।

 

লেখা : উম্মে হানি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর