পারফিউম, ডিওরেন্ট কিংবা বডি স্প্রে; সবার আগে বাড়ায় আত্মবিশ্বাস, দূর করে শরীরের দুর্গন্ধ। নিয়মিত পারফিউম এবং ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে আরও অনেক উপকার রয়েছে।
সুবাস : পারফিউম ব্যবহারের প্রধান কারণ এর সুগন্ধ। এটা শরীরের অবাঞ্ছিত দুর্গন্ধ দূর করে এবং দিনভর আপনাকে রাখে ফ্রেশ।
মেজাজ ভালো রাখে : পারফিউম ব্যবহারের অন্যতম সুবিধা- এটি মেজাজ ভালো রাখে। আপনি এমন সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলে যায় এবং সবার সামনে আপনার পার্সোনালিটির প্রকাশ ঘটে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায় : পারফিউম আকর্ষণীয় পোশাকের মতো, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। আপনি নিশ্চিন্তে সারা দিন কাটাতে পারবেন। এটি আপনার শরীরে সুগন্ধ ধরে রাখবে।
আকর্ষণীয় করে তোলে : পাঁচ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয় হলো সেন্স অব স্মেল। কখনো কখনো এমনও হয় যে, কেউ আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয় শুধু আপনি কী ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করছেন তার ওপর ভিত্তি করে। পারফিউম হলো ফেরোমনস (Pheromones) সমৃদ্ধ এবং আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এর কিন্তু কোনো জুড়ি নেই।
কামোদ্দীপক : অনেক পারফিউম প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক হিসেবে কাজ করে থাকে। বিশেষ ধরনের কিছু সুগন্ধিতে কিনং ফেরোমনস বৈশিষ্ট্য থাকে যা অ্যাফ্রোডিজিয়াক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটা ব্যাখ্যা করে যে, আপনি যদি কারও প্রতি আকৃষ্ট হন তাহলে সেটা এ ফেরোমনস বৈশিষ্ট্যের জন্য।
সুস্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে : যদিও পারফিউমের কারণে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে এটি মেজাজ ভালো রাখে। স্ট্রেস এবং অন্যান্য উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
স্মৃতি ধরে রাখে : পারফিউম বা সুগন্ধি সুখের স্মৃতির গুরুত্বপূর্ণ ট্রিগার হতে পারে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাছের কেউ অনেক দিন ধরে একই পারফিউম ব্যবহার করে আসছেন। পরে একই পারফিউম কাউকে ব্যবহার করতে দেখলে সেই আপনজনের কথা মুহূর্তেই মনে পড়ে যায়। তাই পারফিউম অনেক ক্ষেত্রে স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
অনিদ্রা দূর করে : কিছু বিশেষ সুগন্ধির থেরাপিউটিক প্রভাব রাতে ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও মানসিক চাপ কমায় এবং মাথাব্যথা দূর করে। এটা আপনার মুডকে ভালো রাখতেও সাহায্য করবে এবং কাজকর্মে এক ধরনের উৎফুল্লতা এনে দেবে।
তথ্যসূত্র : স্টাইলক্রেজ