রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

বিশ্বাস-ঘাতকদের করুণ পরিণতি

বিশ্বাস-ঘাতকদের করুণ পরিণতি

২৩ জুন পলাশী দিবস। ১৭৫৭ সালের এই দিনে বাংলার শেষ স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় তখন বর্ষাকাল। সেদিন আকাশে যেমন ছিল মেঘের ঘনঘটা ঠিক তেমনি বাংলার স্বাধীনতার ভাগ্যাকাশেও ছিল দুর্যোগের ঘনঘটা। আকাশে মেঘের আড়ালে যেমন সূর্য হারিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বাংলার স্বাধীনতার সূর্যও ডুবে গিয়েছিল প্রায় ২০০ বছরের জন্য। পশ্চিমবঙ্গে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলা যখন ইংরেজদের আক্রমণ থেকে স্বাধীনতা রক্ষার বজ্র কঠিন সংগ্রামে নিবেদিত, ঠিক তখন তারই সিপাহসালার বা প্রধান সেনাপতি মীর জাফররা গোপনে হাত মেলান ইংরেজদের সঙ্গে। মীর জাফর নবাব সিরাজউদ্দৌলার কেবল প্রধান সেনাপতিই নন, নিকটাত্দীয় ছিলেন। অথচ তিনিই আড়ালে-আবডালে নবাবের আপন খালা ঘষেটি বেগমসহ অন্যদের সংঘবদ্ধ করেন। ইতিহাসের পাতায় সর্বকালের সবচেয়ে কুখ্যাত ও জঘন্য বিশ্বাসঘাতক হিসেবে মীর জাফরের নাম লিপিবদ্ধ হয়। সেই সঙ্গে আরও লেখা হয় কুচক্রের হোতা ইংরেজ লর্ড ক্লাইভ, ঘষেটি বেগমসহ সব কুশীলবের নাম। কিন্তু ইতিহাসের অনেকটা আড়ালেই রয়ে যায় কুচক্রী এই কুশীলবদের শেষ জীবনের করুণ পরিণতির কথা। আজ জানব সেসব অজানা কথা। লিখেছেন- মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.)

 

 

সর্বশেষ খবর