রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
তারুণ্যের তারকা

মার্ক জুকারবার্গ [ ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা ]

মার্ক জুকারবার্গ [ ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা ]

সব জায়গায় এখন তরুণদের জয়জয়কার। শিক্ষা, শান্তি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি সবক্ষেত্রেই মেধা আর পরিশ্রমের ছাপ তাদের এনে দিয়েছে তারকাখ্যাতি। নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের

উত্থান কাহিনী। প্রত্যেকেই পরিণত হয়েছেন আইকন হিসেবে। কেউ রাজত্ব করছেন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়

কেউবা আবার সামাজিক কর্মকাণ্ডে। অল্প বয়সেই তারকাখ্যাতি পাওয়া সেইসব তরুণ-তরুণীদের

এগিয়ে যাওয়ার গল্প জানাচ্ছেন- তানভীর আহমেদ

 

সারা দুনিয়াকে একসুতোয় বেঁধেছে ফেসবুক। আজকাল ফেসবুকে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। ভার্চুয়াল জগতে ফেসবুক এখন একক রাজত্ব। এই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠা মার্ক জুকারবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণ সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গের মোট সম্পদের দাম ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। অল্প বয়সী বিলিওনিয়ারের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। স্কুলে বন্ধুদের মুখের ছবি এঁকে অ্যালবাম তৈরির পর মার্কের মাথায় এসেছিল একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট তৈরির। আর সেই স্বপ্নের জগতটাই ফেসবুক। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ। ২৯ বছর বয়স্ক এই তরুণের পথচলা কিন্তু অন্য আর দশজনের মতোই ছিল। এখন তিনি একই সঙ্গে কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের প্রধান চারজন প্রতিষ্ঠাতার একজন। মার্ক জুকারবার্গ বর্তমানে ফেসবুকের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তার শৈশব কেটেছে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে। চার ভাই-বোনের মাঝে তিনি সবার বড়। তার বাবা এডওয়ার্ড জুকারবার্গ একজন ডেন্টিস্ট এবং মা কারেন একজন সাইকোলজিস্ট। তিনি মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়নের সময় থেকে শখে সফটওয়্যার লেখা শুরু করেন। ২০০২ সালে পিলি্লপ্স এঙ্টোর একাডেমী থেকে পাস করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০০৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হল থেকে ফেসবুকের সূচনা করেন জুকারবার্গ।

৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সাল থেকে মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক নিয়ে কাজ শুরু করেন । শুরুতে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম। অবশ্য পরবর্তীতে সারা দুনিয়াতেই তার আলোচিত ফেসবুক সাড়া ফেলে। যদিও ২০০৪- ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফেসবুক শুধু আমেরিকায় বসবাসরতরা ব্যবহার করতে পারতেন। ২০০৫ সালের পর থেকে ফেসবুক সারা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ৯ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকের। ফেসবুকের সম্প্রসারণের পেছনের কারণ হিসেবে মার্ক জুকারবার্গ মনে করেন সারা বিশ্ব আরও উন্মুক্ত হোক। আলবার্ট আইনস্টাইনের দারুণ ভক্ত জুকারবার্গ। ২০১০ সালে মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত সাপ্তাহিক টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আসার পর নতুন করে বিশ্ববাসী তাকে চিনতে পারে। সে বছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম ম্যাগাজিন তাকে পারসন অব দ্য ইয়ার হিসেবে মনোনীত করেছিল। এভাবেই জুকারবার্গ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন।

 

 

সর্বশেষ খবর