রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

টেইলর উইলসন [ পরমাণু বিজ্ঞানী ]

টেইলর উইলসন [ পরমাণু বিজ্ঞানী ]

যে বয়সে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে পড়ার মন দেওয়ার কথা সেই বয়সেই পরমাণু বিজ্ঞানীর খেতাব পেয়ে গেছে টেইলর উইলসন। আমেরিকান এই যুবকের পুরো নাম টেইলর র্যামন উইলসন। পরমাণু বিজ্ঞানীদের তালিকায় এত অল্প বয়সেই নাম লেখানোর পেছনে তার মেধা আর প্রচেষ্টার কথা না বললেই নয়। মাত্র ১৯ বছর বয়স্ক এই পরমাণু বিজ্ঞানী গবেষণা শুরু করেন খুব ছোটবেলা থেকেই। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়স্ক পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে সারা দুনিয়ায় স্বীকৃতি পায়। ফিউসর নিয়ে কাজ করায় তার নাম দ্রুত ছড়িয়ে যায় সারা বিশ্বে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরমাণু নিরাপত্তা নিয়ে তার একটি প্রজেক্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০১১ সালে একটি রেডিয়েশন ডিটেক্টর আবিষ্কার করে টেইলর প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জিতে নেয়। এরপর থেকেই লাইমলাইটে এসে পড়ে এই তরুণ বিজ্ঞানী। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহারে কী ধরনের সতর্কতা ব্যবহার করা যেতে পারে সেটা নিয়ে তার একটি গবেষণা সুনাম কুড়িয়েছে। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে তাকে ডেকে পাঠানো হয় নিরাপত্তাবিষয়ক প্রযুক্তি নিয়ে সর্বশেষ আবিষ্কার প্রদর্শনীতে। 'ডিটেক্টিং নিউক্লিয়ার থ্রেট' প্রযুক্তিতে তার অবদানের জন্য তাকে দেওয়া হয় প্রথম স্থান অধিকারের অ্যাওয়ার্ড। এসব ছাড়াও তার পরমাণুবিষয়ক রিসার্চগুলো প্রতিদিনই আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখা হচ্ছে। ফিউশন রিঅ্যাক্টরের টিইডি স্থাপনে ও ডিটেক্ট করার জন্য তাকে বিশেষভাবে সম্মান জানায় বিশ্বের পরমাণু বিজ্ঞানীরা। টেইলর উইলশন ইউনিভার্সিটি অব নাভাডা থেকে পড়াশোনা করছেন। তার বসবাসও নাভাডায়। ২০১২ সালে উইলসন 'থিল ফেলোশিপ' অর্জন করেন। তার প্রায় ২ বছর পরে এই ফেলোশিপের অধীনে তার গবেষণা পরিচালনার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এই অনুদান প্রদানে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে সরাসরি নির্দেশনা দেন। এসব কারণে থেমে নেই উইলসন। ১৯ বছর বয়সেই পরমাণু গবেষণায় তার অবদান যে কাউকে ঈর্ষান্বিত করবে।

 

 

সর্বশেষ খবর