মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

বিবি রাসেল

বিবি রাসেল

ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে বিবি রাসেল নামটি পরিচিত। ফ্যাশন দুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বিশ্বের কাছে তার তারকাখ্যাতিই প্রমাণ করে তার সৃষ্টিশীল কর্মদক্ষতা। একজন সফল নারী ডিজাইনারের মধ্যে তাই বিবি রাসেলের নামটি উঠে আসে।

২০১৩ সালের নারী দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্লগ 'ফ্যাশন কম্প্যাশন' ফ্যাশনে ব্যাপক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১০ নারী ফ্যাশন ডিজাইনারের নামের তালিকা ঘোষণা করে। এই ১০ নারীর মধ্যে এশিয়ার একমাত্র ডিজাইনার হচ্ছেন বিবি রাসেল। তার সঙ্গে যাদের নাম উঠে আসে বিশ্বসেরা সেলিব্রিটি ডিজাইনার স্টেলা ম্যাকার্থি, ভিভিয়েন ওয়েস্টউড এবং সাফিয়া মিনি্নর মতো খ্যাতিমান ফ্যাশন ডিজাইনারের নাম। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি এই ফ্যাশন মডেল এবং ডিজাইনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের শান্তি পুরস্কার, স্বাধীনতা পদকসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। দেশীয় তাঁত পণ্যকে দেশে এবং দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব ফ্যাশন দরবারে তুলে ধরে নিজেকে অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিশ্বের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারের পাশাপাশি তাই তার নাম গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়। বহির্বিশ্বে বিবি রাসেলকে উপস্থাপন করা হয় একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি ফ্যাশন মডেল এবং ডিজাইনার হিসেবে। তিনি একজন মডেল হিসেবে ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার জন্ম চট্টগ্রামে। অবশ্য তিনি বেড়ে ওঠেন ঢাকায়। তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। তার স্কুল জীবন কেটেছে কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন যুক্তরাজ্যের লন্ডন কলেজ অফ ফ্যাশন থেকে ১৯৭৫ সালে।

তার মডেলিং জীবনও বর্ণিল। মডেলিংয়ে প্রথমে যাত্রা শুরু করেন ফটো মডেল হিসেবে। এরপর বিভিন্ন প্রখ্যাত মডেলদের সঙ্গে তিনি র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। বিশ্বসেরা আটটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি ব্র্যান্ড। নাম বিবি রাসেল। আরমানি, ভেলেন্তিও, পলস্মিথ, কেলভিন ক্লেইন, হুগো বস, লা পেরলা, ম্যাঙ্ মারা এবং লরেন ব্র্যান্ডের পাশাপাশি থাকবে বাংলাদেশের বিবি রাসেলের নামের ব্র্যান্ডও।

 

 

সর্বশেষ খবর