নববর্ষ মানেই উৎসব। আতশবাজি পোড়ানো, রঙিন বাতি দিয়ে ঘর, সড়ক, দোকানপাট, বড় শপিংমল সাজানো হয়ে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোতে জানুয়ারির ১ তারিখে পালন করা হয় নববর্ষ। এ জন্য আগের দিন রাতে 'থার্টি ফার্স্ট নাইট' পার্টির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশে মানুষ জমায়েত হয় শহরের বড় ঘড়ির সামনে। এ দেশগুলোর গির্জা ও জাহাজের ঘণ্টাধ্বনির মাধ্যমে নববর্ষকে স্বাগত জানায়। গির্জায় গির্জায় ঝুলানো হয় প্রভু যিশুর জন্মবৃত্তান্ত। নববর্ষে সামাজিক হৃদ্যতা বৃদ্ধি পায়। একে অন্যের সঙ্গে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে। প্রায় সব শ্রেণীর ও বয়সী মানুষেরা নববর্ষ উদযাপনে অংশগ্রহণ করে থাকে। আতশবাজির আলোয় রাতের আকাশ ছেয়ে যায়। রাতভর চলে নাচ-গান। জার্মানির নববর্ষের প্রধান উৎসব হয় বার্লিন প্রাচীরের মূল ফটক ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের সামনে। লন্ডনে বিগ বেন এবং ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাসাদের ঘড়ি ঘরের সামনে ঘটা করে উৎসব করে জনতা। বিশ্বের প্রধান সব মিডিয়া এই নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে। প্রায় প্রতিটি দেশেই নববর্ষ বরণের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। ঘরে ঘরে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বড় বিপণিবিতানগুলোতে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে। নববর্ষে সেসব দেশে কনসার্টের আয়োজন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনা যেমন চলে তেমনি ছোট পরিসরে পারিবারিক সদস্যদের নাচ-গানে ছুটির দিন কাটায়। বেড়াতে যায় স্বজনদের বাড়িতে।