শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

জীবনের সাতরং

চিত্রশিল্পে স্বতঃস্ফূর্ত পদচারণা, বাংলাদেশে নতুন শিল্প আঙ্গিক পাপেটের বিকাশ, টেলিভিশন নাটকে মুস্তাফা মনোয়ার-এর অতুলনীয় কৃতিত্ব। তিনি শিল্পকলার উদার ও মহৎ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন। দ্বিতীয় সাফ গেমসের মিশুক নির্মাণ এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনের লালরঙের সূর্যের প্রতিরূপ স্থাপনাসহ শিল্পের নানা পরিকল্পনায় নিজের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- শেখ মেহেদী হাসান

জীবনের সাতরং

আপনার জন্ম একটি শিল্পী পরিবারে। আপনার আব্বা কবি গোলাম মোস্তফা। অনেক বিখ্যাত মানুষের যাওয়া-আসা ছিল আপনাদের বাড়িতে; সে সময়ের গল্প শুনতে চাই।

আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার মনোহরপুর গ্রামে। আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালী নদী। নদীর পাশে বড় একটা বটগাছ ছিল। ছেলেবেলায় আমার প্রিয় ছিল গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ, মুক্ত ফসলের মাঠ, সবুজ শস্যক্ষেত। আমার আব্বা ছিলেন ভীষণ শিল্পরসিক মানুষ। তিনি শুধু কবিতাই লিখতেন না, ভালো গানও গাইতেন। আব্বা কর্মসূত্রে থাকতেন কলকাতায়। তিনি কলকাতার বালিগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আব্বার চাকরির সুবাদে কলকাতায় থাকতে হয়। কলকাতায় আমাদের বাড়িতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদসহ অনেকেই আসতেন। মাঝেমধ্যে আমরা মনোহরপুর গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসতাম। তখন আব্বার আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে অনেক গুণীজন আমাদের গ্রামে আসতেন। গ্রামময় গানবাজনা আর লাঠিখেলায় উৎসবমুখর হয়ে উঠত। এসব আয়োজন হতো আমাদের বাড়ির কাচারি ঘরকে ঘিরে। এখানে নিয়মিত অতিথি হতেন অমর কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ। আর তিনি এলে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দরাজ গলায় গান গাইতেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে আমার মা মারা যায়। মা না থাকায় সবাই আমাকে স্নেহ করত। ছোটবেলায় একবার আমি পানিতে ডুবে যাচ্ছিলাম, তখন পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আমার মেজো বোন আমাকে দ্রুত উদ্ধার করেছিলেন। শৈশবে আমার প্রিয় খাবার ছিল আইসক্রিম আর চকোলেট। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে চকোলেট কিনে একটি বাড়ির সামনে দিয়ে দৌড় দেওয়ার সময় এক কুকুর এসে পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমাকে ১৪টি ইনজেকশন নিতে হয়েছিল। এসব আজও স্মৃতি হয়ে আছে।

শৈশবে তো আপনি গান শিখতেন।

আমি প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলাম কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে। এই স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি গান হতো, ব্রতচারী হতো। স্কুলে পড়ার সময় আব্বা ও বড়ভাইয়ের কাছ থেকে সংগীতের তালিম নিয়েছিলাম। প্রথমে শিখেছিলাম রাগ জৈনপুরী। আমাদের বাড়িতে গ্রামোফোন রেকর্ড বাজালেই তার সামনে গিয়ে বসতাম; এমনকি পছন্দের গানগুলো যেকোনো রেকর্ড থেকে বের করে দিতে পারতাম। তখনো আমার অক্ষর-পরিচয় হয়নি। এই কাণ্ড দেখে আব্বা বেশ অবাক হতেন এবং বন্ধুবান্ধবদের ডেকে দেখাতেন। কবি নজরুল ইসলামও এই ঘটনাটি দেখেছিলেন। আবার আমি যখন কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি হই তখন নতুন করে গান শিখতে শুরু করি ওস্তাদ ফাইয়াজ খানের শিষ্য ওস্তাদ সন্তোষ রায়ের কাছে। আর্ট কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় 'হিজমাস্টার ভয়েস কম্পিটিশনে' অংশ নিয়ে একক সংগীত পরিবেশনা করে বশীর আহমেদ এবং সুবীর সেনের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা গায়ক নির্বাচিত হয়েছিলাম। দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত ছিলাম প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর গানের দলে। তারপর তো ছবি অাঁকায় ব্যস্ত হয়ে গেলাম আর গান শেখা হলো না। কিন্তু সুর থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি আজও।

ভাষা আন্দোলনের সময় আপনি একটি প্রদর্শনী করে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় আমি নারায়ণগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনে পড়ি। ভাষা আন্দোলনের ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু কার্টুন ধরনের ছবি এঁকে শহরেই এক প্রদর্শনী করি। ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো। জেলে থাকতে হলো বেশ কিছুদিন। নারায়ণগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতায় চলে যাই।

কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি হলেন কখন?

কলকাতায় গিয়ে আমি স্কটিশ চার্চ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। তখনো আমার অাঁকাঅাঁকি থামেনি। অঙ্কে ছিলাম ভীষণ কাঁচা। আমাদের কলেজে দু'মাস পরপর ক্লাস-পরীক্ষা হতো। ভালো নম্বর যারা পেতেন ক্লাসে সবার সামনে তাদের ডেকে অন্যদের দেখানো হতো। একদিন স্যার অঙ্কের খাতা দিতে এসে কয়েকজন ভালো নম্বরধারী ছাত্রের নাম ধরে ডাকলেন এবং একপর্যায়ে ক্লাস টিচার বেশ নাটকীয় ভঙ্গিতে বলে উঠলেন 'মুস্তাফা মনোয়ার।' বেশ হাসিমুখে উঠে দাঁড়ালাম। স্যার আমাকে বললেন- 'এই ছেলে, তুমি কত পেয়েছ জানো? হাসছো! তুমি চার পেয়েছ।' অঙ্কে এত খারাপ করে বিজ্ঞান পড়া মুশকিল। তখন এগিয়ে এলেন লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী। আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকতেন।

তিনি মাঝে মাঝে আমার অাঁকা ছবি দেখে প্রশংসা করতেন। তিনিই পরামর্শ দিলেন বিজ্ঞান বাদ দিয়ে আর্ট কলেজে ভর্তি হতে। বড় ভাবী ছিলেন আমার অভিভাবক। সৈয়দ মুজতবা আলী ও ভাবী- দুজন মিলেই আমাকে কলকাতা আর্ট কলেজে নিয়ে গেলেন। শিল্পী রমেণ চক্রবর্তী আমাকে ভর্তি করে নিলেন। ছাত্রাবস্থায় আমি কলকাতা আকাদেমি অব ফাইন আর্টস আয়োজিত নিখিল ভারত চারু ও কারুকলা প্রদর্শনীতে গ্রাফিঙ্ শাখায় শ্রেষ্ঠ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে স্বর্ণপদক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ছাত্র চারুকলা প্রতিযোগিতায় তেল ও জলরং- দুই শাখাতেই শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য দুটো স্বর্ণপদক লাভ করি। আর্ট কলেজে পড়াকালীন শিল্পের নানা পথে হাঁটতে শুরু করি। পরে তো ১৯৫৯-এ কলকাতা আর্ট কলেজে ভালো রেজাল্ট (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম) করলাম।

এর পরই কি ঢাকায় এসে ঢাকা আর্ট কলেজে যোগ দিলেন?

আমি যখন পঞ্চম বর্ষের ছাত্র তখন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে কলকাতায় দেখা হয়েছিল। তিনি আমাকে পড়া শেষ হলে ঢাকায় আর্ট কলেজে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন। আমি তখন সম্মতি জানিয়েছিলাম। আর এ জন্য কলকাতা আর্ট কলেজে পড়া শেষ করার পরের বছরই (১৯৬০) ঢাকা আর্ট কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেই। আর্ট কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি নাটক নিয়ে কাজ করি। ঢাকা আর্ট কলেজে প্রথম নাটকের প্রদর্শনী হয়েছিল আমার পরিচালনায়। ওই সময় আমি রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর' নাটকের নির্দেশনা দিয়েছিলাম।

তারপর তো টেলিভিশনে চলে গেলেন।

১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাসে টেলিভিশন চালু হয়। কলিম শরাফী ও জামিল চৌধুরী টেলিভিশনের জন্য নতুন লোক খুঁজছিলেন। তাদের ডাকে আর্ট কলেজের চাকরি ছেড়ে ১৯৯৫-তে টেলিভিশনে যোগ দিলাম। সেখানে যোগ দেওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালির সংস্কৃতিকে নানাভাবে তুলে ধরা। তখন পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে আমাদের এক ধরনের রেষারেষি ছিল। যতটা পারা যায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি প্রচারের চেষ্টা করেছি। শিল্পীর যেহেতু অভাব ছিল, তাই শিল্পী তৈরি ও খুঁজে বের করার জন্য নানা অনুষ্ঠান করেছিলাম।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আপনার বিশেষ ভূমিকা ছিল।

পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে যে 'রেষারেষি' বহু আগেই শুরু হয়েছিল, একাত্তরের মার্চ মাস নাগাদ তা চরমে ওঠে। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। সেদিন কিছু সরকারি ভবন ছাড়া আর কোথাও পাকিস্তানের পতাকা তেমন ওড়েনি। টিভিতে তখন অনুষ্ঠানের শেষে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো দেখানো হতো। অনুষ্ঠান শেষ হতো রাত ১০টায়। এরপর জাতীয় পতাকা দেখিয়ে সম্প্রচারের সমাপ্তি। এটাই ছিল নিয়ম। আমরা ঠিক করলাম আর যা-ই হোক ২৩ মার্চ ঢাকা টিভিতে পাকিস্তানের পতাকা দেখাবো না। সেদিন আমি রাত ১০টার আগে সম্প্রচার ও জরুরি লোকজন ছাড়া বাড়তি লোকজনকে ছুটি দিয়ে দিলাম। তখন ডিআইটির টিভিকেন্দ্রটির নিরাপত্তার দায়িত্বে পাকিস্তানের এক মেজর। তার অধীনে প্রায় ৫০ জন সৈন্য। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, অনুষ্ঠান ১০টার পরিবর্তে ১২টা পর্যন্ত চলবে। মেজর এসে আমাদের কাছে জানতে চাইলেন, আমরা অনুষ্ঠান শেষ করছি না কেন? বললাম, পাকিস্তান দিবস তো, তাই বাড়তি অনুষ্ঠান চালাচ্ছি। এ সময় আমরা বিভিন্ন দেশাত্দবোধক গান প্রচার করলাম। রাত ১২টার পর যখন ২৩ তারিখ পার হয়ে গেছে, তখন আমরা পাকিস্তানের পতাকা দেখিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করি। এর পরদিন থেকে আর টেলিভিশনে যাওয়া হয়নি। ২৫ মার্চের পর আগরতলা হয়ে কলকাতা চলে যাই। সেখানে আমরা একটি সংগঠন গড়ে তুলি। কলকাতা, দিলি্লর বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক দল নিয়ে দেশাত্দবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমে নানাভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের জন্য কাজ করি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর বিমানে দেশে ফিরে টিভিতে কাজ শুরু করি।

আপনি পাপেট নিয়ে কাজ শুরু করেন কবে?

গ্রামবাংলার পুতুলনাচ আমাকে শৈশবেই আকৃষ্ট করেছিল। কলকাতা আর্ট কলেজে পড়তে গিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের পাপেট দেখেছিলাম। ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েই পাপেট নিয়ে কাজ শুরু করি।

আপনার পাপেটের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো গ্রাম বাংলার লোকসংস্কৃতি থেকে নেওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেখা যায়।

১৯৬৬ সালে টিভিতে 'আজব দেশে' নামে একটি অনুষ্ঠানে 'বাঘা' ও 'মেনি' নামে দুটি পাপেট চরিত্র সৃষ্টি করি। অনুষ্ঠানটি তিন বছর প্রচার হয়। দেশ স্বাধীনের পর পাপেটের কেন্দ্রীয় চরিত্র তৈরি করলাম 'পারুল' নামে। পারুল বুদ্ধিমতী মেয়ে। আমাদের রূপকথার একটি গল্প আছে, বোন পারুল তার ঘুমন্ত সাত ভাইকে জাগিয়ে তুলেছিল। সেখান থেকেই এই চরিত্রটির নাম নিয়েছি। আমার এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল দেশাত্দবোধ, শিল্পকলা ও নান্দনিকতার বোধ জাগানো।

টেলিভিশনের জন্য আপনি তো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নাটক ও শিশুদের জন্য অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছিলেন।

তখন একটিমাত্র টেলিভিশন ছিল। একদল মেধাবী কলাকুশলী টেলিভিশনে কাজ করত। ওই সময় আমার প্রযোজনায় শেকসপিয়রের 'ট্রেমিং অব দি শ্রু'র, মুনীর চৌধুরী অনূদিত নাটক 'মুখরা রমণী বশীকরণ' এবং রবীন্দ্রনাথের 'রক্তকরবী' বেশ আলোচিত হয়েছিল। নাটক দুটি যুক্তরাজ্যের গ্রানাডা টিভির ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি অব টিভি ড্রামা'র জন্য মনোনীত হয়। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে 'নতুনকুঁড়ি' নির্মাণ করেছিলাম ১৯৭২ সালে। আর ১৯৭৩-এ নির্মাণ করি রবীন্দ্রনাথের নাটক 'রক্তকরবী'।

আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।

শিক্ষকতা ব্যতীত টিভিতে কাজ করেছি বহু বছর। এরপর সরকার আমাকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নিযুক্ত করেন। তারপর আবার মহাপরিচালক হিসেবে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব দেয়। বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করি। কর্মজীবনে যেখানে যে দায়িত্বে ছিলাম তা আন্তরিকভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছি।

নতুন প্রজন্ম নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

নতুনরা আগামী দিনের পথ প্রদর্শক। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নতুনরা সুশিক্ষিত হয়ে দেশের প্রতিটি শাখায় দৌড়াবে। সুন্দর নির্মাণশৈলীর মধ্য দিয়ে তাদের চোখে-মুখে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আত্মপ্রত্যয়ের স্বপ্ন দেখছি।

 

সর্বশেষ খবর