বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় টি গার্ডেন

পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা ঠাকুরগাঁওয়ের পাড়িয়া সীমান্তে চা বাগান। ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় বিস্তৃত এই চা বাগানগুলো পর্যটকদের চোখ জুড়ায়। মাত্র কয়েক বছরের বব্যবধানে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পাড়িয়া সীমান্তে নতুন চা বাগান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরে হিমালয়কন্যা খ্যাত চার-তৃতীয়াংশ ভারত বেষ্টিত জেলা পঞ্চগড়। এখানে রয়েছে সমতল ভূমিতে চা-চাষের দৃশ্যমান বাস্তব উদাহরণ। অল্প সময়েই চা-চাষে দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এই জেলা। প্রায় ১২০ একর জমি চা বাগান গড়ে ওঠায় এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিস্তৃতি হয়েছে অনন্য রূপে। দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল নামে খ্যাত পঞ্চগড় জেলার পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া সীমান্তবর্তী এলাকায়। পাশাপাশি পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও লালমনিরহাট জেলায় চা চাষের জন্য উপযোগী জমি থাকায় এই চা বাগান আরও বিস্তৃত হয়েছে। এখানে রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার একর জমি। বর্তমানে সেখানে আবাদ হচ্ছে ৩ হাজার একর জমিতে। ২০০০ সালে উত্তর জনপদের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড় সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়। তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিচ্ছিন্ন গোচারণ ভূমিতে চায়ের সবুজ পাতা ভরে রয়েছে। জেগেছে সবুজের সমারোহ। পঞ্চগড় আলোকিত হয়ে উঠেছে চায়ের সবুজ আভায়। ২০০৫ সালে পঞ্চগড়ে প্রথম চা উৎপাদনের পাঁচ বছর পূর্বে ২০০০ সালে সূচনা হয় চা-চাষের। নতুন করে অনেকেই চা-চাষে আগ্রহী হওয়ায় বাড়ছে চা বাগানের পরিধি। সৃষ্টি হচ্ছে বেকারদের কর্মসংস্থান। ফলে উন্নত হচ্ছে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট। সব মিলিয়ে খুব দ্রুতই দৃশ্যপট পাল্টাচ্ছে এখানকার। ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এখানে বেড়িয়ে আসতে পারেন হাতে একটু সময় পেলেই।

 

 

 

সর্বশেষ খবর