শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিত্তশালী টিনএজ তারকারা

রণক ইকরাম

বিত্তশালী টিনএজ তারকারা

তাদের কারও বয়স তেরো তো কারও একুশ। নেহাতই অল্প। কিন্তু সম্পদের পরিমাণ লাখ লাখ ডলার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে এ সাফল্য অর্জন করেছেন তারা। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ধনী টিনএজ তারকা সম্পর্কে।

উইলো স্মিথ [১৩ বছর]

(৪ মিলিয়ন ইউএসডি)

অল্পবয়সী তারকাদের তালিকার সবচেয়ে উপরে অবস্থান করছেন ১৩ বছরের কিশোরী উইলো স্মিথ। তিনি হলিউড তারকা উইল স্মিথ এবং জাডা স্মিথের কন্যা। গান এবং অভিনয়ে সমান পারদর্শী এই কিশোরী এরই মধ্যে আয় করে ফেলেছেন প্রায় ৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার। গানে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে ছবিতেও মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে উইলোকে। 'আই অ্যাম লেজেন্ড' ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ ছাড়া অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র 'মাদাগাস্কার'-এর বেবি গ্লোরিয়া চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও একাধিক ছবিতে কাজ করার ব্যাপারে আলাপ চলছে উইলোর।

জোডেন স্মিথ [১৫ বছর]

(৮ মিলিয়ন ইউএসডি)

তালিকার পরের নামটির সঙ্গেও যুক্ত হলিউড তারকা উইল স্মিথ এবং জাডা স্মিথ। তবে এবার তালিকায় তাদের পুত্র সন্তান জোডেন স্মিথ। যুক্তরাষ্ট্রের এই নাগরিকের জন্ম ১৯৯৮ সালে। তিনি একাধারে র্যাপার, অভিনেতা ও ড্যান্সার। তবে অভিনয়ই মূলত তার পেশা। 'দ্য প্যারাস্যুট অফ হ্যাপিনেস' ও 'দ্য ক্যারাট কিডস' খ্যাত ছবির এই তারকার সম্পদের পরিমাণ ৮ মিলিয়ন ডলার। বাবা আর বোনের মতো জোডেন এগিয়ে যাচ্ছেন নিজস্ব গতিতে। ধারণা করা হচ্ছে শিগগিরই তিনি তার বাবাকেও ছাড়িয়ে যাবেন। অবশ্য এরই মধ্যে তার চাহিদা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে ফুলে-ফেঁপে উঠছে তার আয়ও।

এলে ফ্যানিং [১৬ বছর]

(৫ মিলিয়ন ইউএসডি)

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় ১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল জন্ম নেওয়া কিশোরী এলে ফ্যানিংয়ের বয়স এখন ১৬। পেশায় তিনি একজন অভিনেত্রী। ফ্যানিংয়ের অভিনয় দক্ষতা উপলব্ধি করতে পারবেন ড্যাডি ডে আর মেলফিসেন্ট ছবি দুটোতে। তার সম্পদের পরিমাণ ৫ মিলিয়ন ডলার। তার আরেকটি পরিচয় আছে তিনি এ তালিকায় থাকা আরেকজন সেলিব্রটি ডাকোটা ফ্যানিংয়ের ছোট বোন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সুপার এইট চলচ্চিত্রের জন্য ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে হৈচৈ ফেলে দেন এলে ফ্যানিং। চলচ্চিত্রে বিত্তশালী অভিনেত্রী হিসেবে তার এই অগ্রযাত্রা কিন্তু থেমে নেই। বরং দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

লর্ডি [১৭ বছর]

(৩ মিলিয়ন ইউএসডি)

তালিকার এবারের কিশোরীর বয়স আরও কম। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই কাড়ি কাড়ি অর্থের মালিক বনে গেছেন লর্ডি। সংগীতশিল্পী লর্ডি ১৭ বছর বয়সেই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তার বিখ্যাত মেলোডি অ্যালবাম 'রয়্যালস'-এর মাধ্যমে তিনি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। ফলে সংগীতশিল্পী হিসেবে বিশ্বজুড়ে কদর বাড়ছে লর্ডির। তার উত্থানে সংগীতাঙ্গনে নতুন গ্ল্যামার উঠে আসছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই তন্বী তরুণীর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ধারণা করা হচ্ছে তার পরের অ্যালবামটির ব্যবসা প্রথম অ্যালবামের ব্যবসা ছাড়িয়ে যাবে।

নিক আলোয়েসিয়ো [১৮ বছর]

(৩০ মিলিয়ন ইউএসডি)

তার জন্ম ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর। তিনি ইংল্যান্ডের একজন প্রোগ্রামার। বয়স ২০ এখনো পেরোয়নি। কিন্তু সম্পদের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন ডলার। অল্পবয়সী এই প্রোগ্রামার তৈরি করেন সামলি নামের একটি অ্যাপ। আর তা চড়া দামে কিনে নেয় ইয়াহু। তিনি ২০১৪ সালে অ্যাপল ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন।

অবশ্য এর পরপরই ইয়াহুর মোবাইল পণ্য বিভাগে তার দলের কয়েকজন কর্মীসহ চাকরিতে যোগদান করেন নিক।

'সামলি' তৈরির সময় নিকের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। 'সামলি' চালু হওয়ার পর অ্যাপল অ্যাপস্টোরের শীর্ষ ১০ অ্যাপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল।

জাস্টিন বিবার [২০ বছর]

(১৫০ মিলিয়ন ইউএসডি)

তাকে কে না চেনে। হলিউডের সবচেয়ে বিখ্যাত পপতারকা জাস্টিন বিবার। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে সারা বছরই সংগীতাঙ্গন মাতিয়ে রাখেন তিনি। বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত প্রায় সর্বত্রই তার ভক্তদের আনাগোনা। ছোটবেলা থেকেই তারকাখ্যাতি পাওয়া বিবারের এ মুহূর্তে সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১২ সালের মে মাস পর্যন্ত এক বছরে বিবারের আয় প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার বলে জানায় একটি সূত্র। তবে সত্যিকার অর্থে তার আয় সব পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো বলেই দাবি করেন বিদেশি মিডিয়ার বিজ্ঞজনরা।

হ্যারি স্টাইলিস [২০ বছর]

(২৩ মিলিয়ন ইউএসডি)

তালিকায় এবারের নামটি হ্যারি স্টাইলিসের। সম্পত্তি প্রেম আর নানা বিষয় নিয়ে যিনি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিখ্যাত ব্যান্ড দল ওয়ান ডিরেকশনের সর্বকনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিখ্যাত সদস্য হচ্ছেন হ্যারি স্টাইলিস। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সনির একজন ডিরেক্টরের ভাষ্যমতে তার ব্যান্ড ওয়ান ডিরেকশন বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করে। ব্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় সদস্য হ্যারির ভক্তের কোনো অভাব নেই। কোটি কোটি নারীভক্ত তাকে বিয়ে করার জন্য তৈরি। কিন্তু হ্যারি আছেন তার মতোই। উপভোগ করছেন জনপ্রিয়তা।

ড্যাকোটা ফ্যানিং [২০ বছর]

(১৬ মিলিয়ন ইউএসডি)

এলে ফ্যানিংয়ের বড় বোন ড্যাকোটা ফ্যানিংও আছেন বিত্তশালী টিনএজার তারকার তালিকায়। অভিনেত্রী ড্যাকোটা ফ্যানিং 'আই অ্যাম স্যাম' এর চরিত্রের জন্য পৃথিবীর মানুষের কাছে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। টুইলাইট সাগার চরিত্র করার মাধ্যমেও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন ড্যাকোটা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, টিভি সিরিয়ালের একটি পর্বের জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ আয় করেন ড্যাকোটা। সর্বশেষ হিসাব মতে, তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর যে হারে তিনি অভিনয় করে যাচ্ছেন তাতে বছর দুয়েকের মধ্যেই তার সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সবাই।

অ্যাঙ্গেস টি জোনস [২০ বছর]

(১৫ মিলিয়ন ইউএসডি)

অ্যাঙ্গে টি জোনস। মাত্র ২০ বছর বয়সী এই তরুণও বিশ্বজুড়ে দারুণ বিখ্যাত। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এই তরুণ তার প্যারোডি ক্যারেক্টার 'টু অ্যান্ড হাফ ম্যান' দিয়ে মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়- এরপর তার ভাগ্যেও দারুণ পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে হলিউডের কনিষ্ঠ তারকাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তিনি একটি পর্বের জন্য তিন লাখ মার্কিন ডলার পেয়ে থাকেন। যা যে কোনো সেলিব্রেটির জন্যই অনেক উঁচু দর। আর সর্বশেষ হিসাব মতে অ্যাঙ্গেস টি জোনসের সর্বমোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। বলা বাহুল্য, শিগগিরই সেটা অনেক বেড়ে যাবে।

সেলেনা গোমেজ [২১ বছর]

(১৬ মিলিয়ন ইউএসডি)

জাস্টিন বিবারের মতোই সংগীতশিল্পী হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় সেলেনা গোমেজ। তিনিও সমগ্র বিশ্বের আনাচে-কানাচে ভয়াবহ রকম জনপ্রিয়। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি আরেক সেলিব্রেটি জাস্টিন বিবারের সাবেক প্রেমিকা। তার বিখ্যাত গান হচ্ছে লাভ ইউ লাইক এ লাভ সং। গান ছাড়াও সেলেনা তার গ্ল্যামারের জন্য তরুণদের প্রিয় শিল্পী ও তারকা হিসেবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। সর্বশেষ তথ্য মতে, সেলেনা গোমেজের এ মুহূর্তে সম্পদের পরিমাণ ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আর যেভাবে একের পর এক গান টপ চার্টের শীর্ষে থাকছে, তাতে এই সম্পদের পরিমাণ কমার কোনো লক্ষণ নেই। কেবল বাড়তেই পারে!

 

 

সর্বশেষ খবর