বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

পৃথিবীকে চমকে দেওয়া যত আবিষ্কার

ফ্রাঙ্কলিনের কৌতূহল ছিল চারপাশের আরও নানা ঘটনা নিয়েও। আর তাই নিজে নিজেই প্রয়োজনের তাগিদে একের পর এক নানারকম জিনিসপত্র আবিষ্কার করে ফেলেন তিনি। সেগুলোর কথা নিচে দেওয়া হলো-

পৃথিবীকে চমকে দেওয়া যত আবিষ্কার

খোলা উনুন

১৭৪০ সালে প্রথম আবিষ্কারের দিকে মন দেন ফ্রাঙ্কলিন। আর সে সময়ই তিনি প্রথম উদ্ভাবন করেন খোলা উনুন। এই উনুন অল্প কিছুদিনের ভিতরেই অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পায়।

বিদ্যুৎ

বিদ্যুতের দিকে এক অন্যরকমের আকর্ষণ ছিল ফ্রাঙ্কলিনের। কিন্তু একদিন আকাশে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে আবিষ্কার করেন ফ্রাঙ্কলিন, ব্যাপারটা আর কিছুই নয়, সাধারণ বিদ্যুতের কারসাজি। এর আগে আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো দেখে ভয় পেত সাধারণ মানুষ। ধীরে ধীরে তাদের মনের এই ভয় কাটিয়ে দিতে শুরু করেন ফ্রাঙ্কলিন। লিডেন জার নামক একটি যন্ত্র তৈরি হয়েছিল তখন। সেটা দিয়েই প্রমাণ করে দেন ফ্রাঙ্কলিন যে, বিদ্যুৎ আসলে দুই প্রকার। একটি হচ্ছে ঋণাত্বক। আরেকটি ধনাত্বক।

টিউব লাইট

বর্তমানে আমরা যেটাকে টিউব লাইট বলে চিনি এবং ব্যবহার করে থাকি, সেটারও আবিষ্কারক ছিলেন ফ্রাঙ্কলিন। ফ্রাঙ্কলিনের মনে হয়েছিল এ ধরনের রডের আলো দিয়ে যে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়া যাবে। এই আবিষ্কারগুলোর জন্য রয়াল সোসাইটির কোপলেই মেডেলও অর্জন করেন তিনি ১৭৫৩ সালে। ১৭৫৬ সালে তাকে আমেরিকার সবচেয়ে সেরা কিছু আবিষ্কারকের তালিকায় তুলে ধরা হয় এখান থেকে। বৈদ্যুতিক চার্জের সিজিএসের নামও তার নামে করা হয়। বলা হয়- এক ফ্রাঙ্কলিন সমান এক স্যাটকলোম্ব।

গাল্ফ স্রোত

আগেকার দিনে যে কোনো ডাক পৌঁছনোর জাহাজকে উত্তর আটলান্টিক পার করতে হলে অপেক্ষা করতে হতো অনেক দিন। কিন্তু কেন এত বেশি সময় লাগে? জানতে গিয়ে ফ্রাঙ্কলিন বুঝলেন যে, সাগরের প্রচণ্ড রকম স্রোত মাঝে মাঝেই দেরি করিয়ে দেয় নাবিকদের। যেহেতু তারা জানেন না যে, ঠিক কখন কিরকম স্রোত আসবে। কি করে এই সমস্যা নিরসন করা যায় ভাবতে গিয়েই অনেক গবেষণার পর তিনি আবিষ্কার করেন স্রোতের একটা তালিকা। আর সেটা প্রকাশ করেন ১৭৭০ সালে।

জনসংখ্যার বিজ্ঞান

জনসংখ্যার বিজ্ঞানের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে ফ্রাঙ্কলিনের। থমাস ম্যালথাউস ফ্রাঙ্কলিনকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্যে সবসময়ই ধন্যবাদ দিয়ে এসেছেন। এক্ষেত্রের মানুষ যেমন : কামেন, ড্রেকসহ আরও অনেকে ফ্রাঙ্কলিনের এই তত্ত্বের জন্য অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। ১৭৩০ ও ১৭৪০ সালে ফ্রাঙ্কলিন প্রথম আমেরিকার জনসংখ্যার একটি অবস্থা নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও এর সঙ্গে খাবার উৎপাদন ও চাহিদার ব্যাপারেও যথেস্ট গবেষণা কুেরন ফ্রাঙ্কলিন।

ফ্রিজ

কেন ভেজা শার্ট গায়ে বাতাসে থাকলে ঠাণ্ডা আর শুকনো শার্ট গায়ে দিলে গরম অনুভূত হয়? নিজের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ১৭৫৮ সালে ফ্রাঙ্কলিন ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজে এক শুষ্ক গরম দিনে বন্ধু জন হাডলেকে নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। একটি থার্মোমিটারের পারদকে বারবার ইথার দিয়ে ভেজাচ্ছিলেন তারা দুইজন আর বারবার নানাভাবে পরীক্ষা করছিলেন পুরো ব্যাপারটা। আর সেখানেই আবিষ্কার করেন ফ্রাঙ্কলিন যে, এমন একটি পদ্ধতি রয়েছে যেটা ব্যবহার করে খুব গরমের দিনেও অতি সহজেই ঠাণ্ডায় জমিয়ে মেরে ফেলা যাবে একটি মানুষকে।

অন্যান্য

এছাড়াও ফ্রাঙ্কলিনের বিদ্যুতের ওপর তাপমাত্রার প্রভাব, ইউরিনারি ক্যাথেটার, গ্লাস আরমোনিকা, বাইফোকাল গ্লাসের মতো আরও অনেক জিনিস আবিষ্কার করেন তিনি।

 

 

সর্বশেষ খবর