মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আবদুল্লাহপুরে মহাসড়কে বাজার

শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্

আবদুল্লাহপুরে মহাসড়কে বাজার

রাজধানীর উত্তরায় ঢাকার প্রবেশমুখ আবদুল্লাহপুরে মহাসড়ক দখলে নিয়ে একশ্রেণির ব্যবসায়ী দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। প্রতিদিন সকাল-বিকাল এমনকি রাতেও ব্যস্ততম এই মহাসড়কের ওপর বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন সাধারণ মানুষ। আর এতে ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। মাঝেমধ্যে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ব্যস্ততম এই মহাসড়কের ওপর অবৈধ বাজারের কারণে রাজধানীতে ঢুকতেই ভয়াবহ যানজটের শিকার হতে হয় অসংখ্য মানুষের। প্রবেশমুখের যানজটের রেশ থাকে উত্তরার হাউসবিল্ডিং, আজিমপুর, রাজলক্ষী, জসীমউদ্দীন মোড়, বিমানবন্দর পর্যন্ত। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে।

আবদুল্লাহপুর ট্রাফিক সিগন্যাল হয়ে খন্দকার সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে সেতু পর্যন্ত মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসেছে এই বাজার। ফলে মহাসড়কের এ অংশে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী। আর এই মহাসড়ক দখল আবদুল্লাহপুর থেকে তুরাগ সেতু হয়ে টঙ্গী বাজারে পৌঁছেছে। দিন দিন এই দখল বেড়েই চলছে। রাস্তার কিছু অংশ ও ফুটপাথ মিলে গড়ে উঠেছে শতাধিক ছোট-বড় দোকান। আর এসব দোকানে রয়েছে মাছ, সবজি, শুঁটকি, ফল, মাংস, ছিট কাপড় থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য। এমনকি স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে চায়ের দোকান। সেতুর পাশের পায়ে চলা পথেও রকমারি পণ্য নিয়ে বসেছেন ফেরিওয়ালারা।

 

 

দোকানিরা জানান, এখানে দোকানের বরাদ্দ হয় দুইভাবে।

ব্যবসার ধরন ও আকার অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্কের আগাম টাকা দিয়ে স্থায়ী দোকান বসানোর অনুমতি পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমাণ ও ফেরিওয়ালাদের জন্য রয়েছে দোকানপ্রতি দৈনিক ৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার ব্যবস্থা।

আমান নামে এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, আগাম ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে তিন মাসের জন্য বসেছি। একবারে টাকা দিলে আর দৈনিক দিতে হয় না। দোকান রাখতে হলে তিন মাস পর আবার টাকা দিতে হবে। দোকানি মানিক বললেন, ৪০ হাজার টাকা দিয়ে দোকান বসিয়েছি। লাইনম্যান আছে, তার কাছে টাকা দেওয়া লাগে। তিনিই সব দেখাশোনা করেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, জায়গাটা আসলে বর্ডারে পড়েছে। টঙ্গী সেতু গাজীপুর ডিভিশনের আওতায়। সেতুর আগ থেকে আমরা দেখি। সেতুসহ আশপাশের এলাকায় মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ বাজার বসে।  স্থায়ীভাবে বাজার বসার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।

ঢাকা মহানগর উত্তরের ট্রাফিক এডিসি হুমায়রা পারভীন বলেন, রাস্তার ওপর থেকে বাজার উচ্ছেদ করতে আমরা বারবার অভিযান চালিয়েছি।  তারপরও আমাদের অজান্তে মাঝেমধ্যে বাজার বসে।

 

সর্বশেষ খবর