শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্বসেরা নাটক

আবদুল কাদের

বিশ্বসেরা নাটক

দ্য বাচ্চা

লেখক— ইউরিপেডাস        

গ্রিকের হৃদয়বিদারক ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত নাটক দ্য বাচ্চা। এটি বিশ্বের সব সময়ের সেরা নাটকগুলোর একটি। বিখ্যাত ইথিয়ানিয়ান নাট্যকার ইউরিপেডাসের লেখা শেষ নাটক দ্য বাচ্চা। ইউরিপেডাস ম্যাকডোনিয়ায় নির্বাসিত জীবন কাটানোর সময় নাটকটি লিখেছেন। শুধু তাই নয়, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইউরিপেডাস এই নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। তার মৃত্যুর পর নাটকটি পরিচালনা করেন তার ছেলে। এটি খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৪০৫ সালে ডায়নিয়াসাসের একটি প্রিমিয়ার থিয়েটারে প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। দ্য বাচ্চা নাকটটি সিটি ডায়নিয়াসাস উৎসবের প্রথম পুরস্কার জিতেছিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডক্টর ফসটাস

লেখক— ক্রিস্টোফার মার্লো        

ডক্টর ফসটাস বিখ্যাত নাট্যকার ক্রিস্টোফার মার্লো এলিজাবেথের হৃদয়বিদারক ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করেছিলেন। একজন জার্মান ডক্টর ফসটাসের কাহিনী নিয়ে কাজ করেছিলেন লেখক ক্রিস্টোফার মার্লো। ১৫৮৮ সালে নাটকটি নির্মাণ করা হলেও ১৫৯৩ সালে মার্লোর মৃত্যুর পর নাটকটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। এর কয়েক বছর পর জ্যাকবিয়ন যুগে নাটকটির আরও দুটি সংস্করণ প্রদর্শিত হয়েছিল। এই নাটক থেকেই অভিনয়ের ধারার পরিবর্তন আসে। নাটকটি ‘অভিনেতা’ ও ‘দর্শক’ উভয়কেই বিস্মিত করেছিল।

 

আঙ্কেল ভ্যানিয়া

লেখক— অ্যান্টন চেখভ         

রাশিয়ান নাট্যকার অ্যান্টন চেখভের তৈরি নাটকটি খোদ রাশিয়াতেই ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। নাটকটি কনসার্টিন স্ট্যানিস্লাভস্কির দিক নির্দেশনায় প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৮৯৯ সালে মস্কো আর্ট থিয়েটারে। নাটকে ভিনস এবং অডিয়ংয়ের প্রেমের কাহিনী দেখানো হয়েছিল। যেখানে এক বয়স্ক অধ্যাপকের দ্বিতীয় স্ত্রী ইয়েলেনাল ছিলেন অত্যন্ত সৌন্দর্যের অধিকারী ও শহুরে জীবন ব্যবস্থায় দারুণ কৌতূহলী জীবন কাটাতেন। নাটকের ত্রিমাত্রিক প্রেমের কাহিনী ছিল চেখভের প্রধান হাতিয়ার যা আজও নাটকটিকে রেখেছে সেরার তালিকায়।

 

 

 

হ্যামলেট

লেখক— উইলিয়াম শেকসপিয়র

ট্র্যাজেডি কিং হ্যামলেটের করুণ পরিণতি নিয়ে তৈরি শেকসপিয়রের আরেকটি জনপ্রিয় নাটক হ্যামলেট। নাটকটি ডেনমার্কের সাম্রাজ্যের পটভূমিতে রচিত সর্ববৃহৎ ট্র্যাজেডি নাটক। সম্ভবত ১৫৯৯ থেকে ১৬০২ সালের কোনো এক সময় নাটকটি লিখেছিলেন তিনি। এই নাটকের মাধ্যমে এক নতুন ঘরানার নাটকের সূচনা করেছিলেন যাকে বলা হয়ে থাকে রিভেঞ্জ ট্র্যাজেডি। উইলিয়াম শেকসপিয়রের সেরা কাজ কোনটি সেটা নিয়ে বিভিন্ন সাহিত্য সমালোচক হ্যামলেটকেই এগিয়ে রাখেন। নাটকটিতে অসম্ভব ক্ষমতাবান সম্রাটের প্রতিশোধ নেওয়া এবং করুণ মৃত্যুর কাহিনী প্রদর্শিত হয়েছিল।

 

ওডিপাস দ্য কিং

লেখক— সোফোক্লেস  

থিয়েটারের দর্শকরা জানতেন কী ঘটতে যাচ্ছে! কিন্তু ওডিপাসের ভয়ঙ্কর সত্যের সংগ্রামে নির্মিত নাটকটি দর্শকদের জন্য ছিল কঠিন সতর্কবার্তা। অদ্ভুতভাবে পরিবেশিত হয়েছিল নাটকটি। হত্যা রহস্য, রাজনীতির মারপ্যাঁচ ও মানসিক ভ্রুকুটি ফুটে উঠেছিল বিশ্বসেরা এই নাটিকাটিতে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০ সালে নির্মিত ওডিপাস দ্য কিং নাটকটি লিখেছিলেন ইথিনিয়ান বিখ্যাত নাট্যকার সোফোক্লেস। ইথিনিয়ান যুগের শাসন নিয়ে নির্মিত হয়েছিল নাটকটি। নাটকটিকে ওডিপাস রেক্স নামেও চেনেন অনেকেই। বিখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্টটলও তার কবিতায় বিশ্বসেরা এই নাটকটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

 

ঘোস্টস

লেখক— হেনরিক ইসবেন

এক রাতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে! অন্ধকার রাতের ভয়াবহতা নিয়ে ১৮৮১ সালে নাটকটি লিখেছিলেন খ্যাতিমান নাট্যকার হেনরিক ইসবেন। ১৮৮২ সালে শিকাগোর ইলিয়নে প্রথম নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছিল। নাটকের ভূতগুলোর ভাষ্য ছিল অনেক হিংস্র। নাটকটির ধর্মই ছিল ব্যভিচারী রোগ, নিষ্ঠুরতা। নাটকে সিফিলিসের ভয়ানক থাবা আর উদঘাটন দেখানো হয়েছিল। ঘোস্টস নাটকটি ব্যাপকভাবে বিতর্ক আর সমালোচিত হয়েছিল সে সময়। এ কারণেই হেনরিক ইসবেন ঘোস্টস নাটকটিকে সর্বকালের ‘দুর্দান্ত নাটক’ বা ঐতিহাসিক নাটক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

 

মিডসামার নাইটস ড্রিম

লেখক— উইলিয়াম শেকসপিয়র

এথেন্স শহরে অদ্ভুত এক আইন ছিল। এই আইন বলে নাগরিকরা নিজেদের পছন্দসই পাত্রের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে করতে বাধ্য করতে পারত। মেয়েরা অবাধ্য হলেও বাপেরা মেয়ের মৃত্যুকামনা করত না বলে এই আইনের প্রয়োগ করা হতো। অদ্ভুত এই আইন আর ডিউক থিসিয়াস ও আমাজনদের রানী হিপ্পোলিটার বিবাহের পারিপার্শ্বিক ঘটনা অবলম্বনে নাটকটি রচিত। বহুরূপী, নন্দিকার এবং স্বপ্নসন্ধানী শেকসপিয়রের নাটক আ মিডসামার নাইটস ড্রিম। সম্ভবত ১৫৯০ থেকে ১৫৯৬ সালের মধ্যবর্তী কোনো এক সময় তিনি নাটকটি লিখেছিলেন। এটি শেকসপিয়রের জনপ্রিয় কমেডি নাটক।

 

লাইফ ইজ আ ড্রিম

লেখকয় পেদ্রো ক্যালভ্রন দে লা ভার্সা

  থিয়েটার এক বিভ্রম! নাকি থিয়েটারে আসলেই কোনো জাদু রয়েছে?  লাইফ ইজ আ ড্রিম নাটকটিতে দেখলে এমনটাই মনে হতে পারে। স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত সর্বকালের সেরা নাটকটি বিখ্যাত নাট্যকার পেদ্রো রচনা করেন। আর নাটকটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল ১৬৩৫ সালে। নাটকের কাল্পনিক কাহিনীতে পোল্যান্ডের রাজা বেসিলিও নিজ ছেলে প্রিন্সকে টাওয়ারে বন্দী করে রাখার ঘটনাটি প্রদর্শিত হয়েছিল। পুরো নাটকটিতেই ছিল মানবীয় পরিস্থিতি এবং জীবনের রহস্যের দার্শনিক রূপক। পুরো নাটকের ঘটনাগুলো সত্যি ছিল নাকি কোনো স্বপ্ন তা দর্শকের মাঝে কৌতূহলের কমতি ছিল না।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর