শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিশ্বের দাপুটে যত সাংবাদিক

তানিয়া তুষ্টি

বিশ্বের দাপুটে যত সাংবাদিক

নিখুঁত সংবাদ সংগ্রহের কাজটি সহজ কোনো বিষয় নয়। ঘটনার আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল সত্যকে বের করে আনতে হয় নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশল দিয়ে। এ ধরনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব চলে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখিয়ে এ ধরনের কাজ করতে হয়। যারা এই কাজগুলো করেন, সংবাদ মাধ্যমে তারা পরিগণিত হন দাপুটে সাংবাদিক হিসেবে। বিশ্বের এমন কিছু দাপুটে সাংবাদিক নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন

 

বার্নস্টেইনের অনুসন্ধানী তথ্যে ভূপাতিত নিক্সন প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অনন্য এক স্থান দখলকারী অনুসন্ধানী সাংবাদিক কার্ল বার্নস্টেইন। বহুল আলোচিত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির রহস্য উন্মোচন করেছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকে বব উডওয়ার্ড ও বেন ব্রাডলিকে সঙ্গে নিয়ে কার্ল বার্নস্টেইন এই কেলেঙ্কারি তথ্য উদঘাটন করেন। ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন রিচার্ড নিক্সন। আমেরিকার ইতিহাসে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ করার মতো ঘটনা ঘটেছে এখন পর্যন্ত এটিই। কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হওয়ার বছর দুই পরে ১৯৭৪ সালে কার্ল বার্নস্টেইন এবং বব উডওয়ার্ড লেখেন নন-ফিকশন বই ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান’। ঘটনাটি জন্ম দিয়েছিল অস্কারজয়ী এক চলচ্চিত্রের। কার্ল বার্নস্টেইন আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭৭ সালের পরে ‘সিআইএ’-এর সঙ্গে গোপন অনুসন্ধানী মূলক কাজ করেছেন। তার কড়া সমালোচনা থেকে রেহাই পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বর্তমানে তিনি সিএনএন চ্যানেলে নিয়মিত রাজনৈতিক ভাষ্যকর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

দুঃসাহসী গ্লেন গ্রিনওয়ার্ল্ড

‘এডওয়ার্ড স্নোডেন’স ক্লাসিফায়েড ডকুমেন্টস ইন ২০১৩’-এর মতো বড় মাপের একটি ডকুমেন্টের প্রধান প্রকাশক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত গ্লেন গ্রিনওয়ার্ল্ড। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এই ডকুমেন্ট সিরিজে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশ্বব্যাপী নজরদারি প্রোগ্রামের পুঙ্খানুপুঙ্খ সমালোচনা। গ্লেনের এই দুঃসাহসী ভূমিকা ২০০৪ সালে পুলিৎজার পুরস্কার এনে দেয়। সাংবাদিক, আইনজীবী, লেখক ও একই সঙ্গে কলামিস্ট হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আমেরিকান এই সাংবাদিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘স্যালন ডটকম’ এ একযোগে কাজ করেছেন ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়াও তিনি দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, দ্য আমেরিকান কনজারভেটিভ, দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট এবং ইন দিস টাইমসে মাঝে মাঝে কন্ট্রিবিউটিং করে থাকেন। ২০১৩ সালে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে তিনি বিশ্বের ১০০ গ্লোবাল থিংকার-এর তালিকায় নাম লেখান। তার পরিকল্পনায় একটি প্রাইভেট ফাইন্যান্সড ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ভেঞ্চার ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’ গড়ে তোলা ও পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ডিয়ান সোয়ার

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে একটি লোকাল পত্রিকায় কাজ করলেও ১৯৭০ সালে হোয়াইট হাউসের প্রেস অফিসে কাজ করার সুযোগ নেন। তখন সেখানে নারী সাংবাদিকের সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল। পরবর্তীতে অগ্রগামী নারী সাংবাদিকের জন্য তিনি পরিণত হন পথিকৃৎ হিসেবে। দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে ডিয়ান সোয়ার প্রাইমটাইম লাইভের কো-অ্যাঙ্কর হিসেবেও কাজ করেছেন। এবিসি চ্যানেলে গুডমর্নিং আমেরিকা প্রোগ্রাম করার মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের উপস্থাপনা করেছেন ডিয়ান সোয়ার। আমেরিকান এই সাংবাদিক প্রথম নারী যিনি ‘সিক্সটি মিনিটস’ এর করেসপন্ডেন্ট-এর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি হাই-প্রোফাইল ইন্টারভিউ নেন এবিসি নিউজের জন্য। ২০০০ ও ২০০৭ সালে দক্ষ সাংবাদিকতার গুণে তিনি এমি অ্যাওয়ার্ড পান। ডিয়ান সোয়ারের অর্জনে আছে আরও অনেক পুরস্কার। ২০০৪ সাল পর্যন্ত কয়েকবার ফোর্বস ম্যাগাজিনের ১০০ ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন।

 

মিলিয়ন ডলার নিউজওম্যান বারবারা ওয়াল্টার্স

টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব বারবারা ওয়াল্টার্স লেখক হিসেবেও সবার কাছে দারুণ সমাদৃত। টেলিভিশন সম্প্রচারের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র নারী সাংবাদিক যিনি সবচেয়ে বেশি বেতন উত্তোলন করে থাকেন। এ কারণে তিনি মিলিয়ন ডলার নিউজওম্যান হিসেবে পরিচিত। সমাজে যারা খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব আছেন তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণে বারবারা ওয়াল্টার্সের আলাদা একটি শৈল্পিক গুণ আছে। আর এই গুণের বলেই তিনি বিশ্বনেতাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে সুনাম কুড়ান। ‘ওমেন্স ইন্টারেস্ট স্টোরিজ’ নামের একটি প্রোগ্রামের লেখক ও সেগমেন্ট প্রোডিউসারের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি অনেক বেশি পরিচিতি পান। বর্তমানে তিনি এবিসি এর সন্ধ্যাকালীন নিউজের কো-অ্যাঙ্কর ও কন্ট্রিবিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া টেলিভিশন শো ‘টুডে’ হোস্টিংয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি। ১৯৩১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন দাপুটে এই সাংবাদিক। ১৯৬১ সালে ওয়াল্টার্স প্রথম এনবিসির জন্য অকেশনাল প্রোগ্রাম ‘টুডে’-এর জন্য হায়ার হন। তিন বছরের মধ্যে কর্মদক্ষতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় তাতে তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের নামকরা উপস্থাপক।

 

সবচেয়ে অনুস্মরণীয় ক্রিশ্চিয়ান আমানপুর

এবিসি নিউজের যুক্তরাষ্ট্র শাখার বৈশ্বিক বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ক্রিশ্চিয়ানো আমানপুর। একই সঙ্গে তিনি সিএনএন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাতের একটি সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘আমানপুর’-এর হোস্টিংয়ের দায়িত্বও তিনি পালন করে থাকেন। পিআর ফার্ম বার্সন মার্সেলার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ানো আমানপুর এমন একজন সাংবাদিক যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক নেতা টুইটারে অনুসরণ করে। তার সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার তিন দশকের বেশি সময়। আরব বসন্তের সময় আমানপুরই একমাত্র সাংবাদিক যিনি হোসনি মোবারক ও মোয়াম্মার গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিতে সক্ষম হন। এই ধরনের আরও অনেক অসাধারণ কাজের জন্য তিনি বেশ কিছু বড় মাপের ব্রডকাস্ট অ্যাওয়ার্ড নিজের ঝুলিতে তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে নয়টি নিউজ ও ডকুমেন্টারি এমি অ্যাওয়ার্ড, টেলিভিশন একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, তিনটি ডুপন্ট কলাম্বিয়া অ্যাওয়ার্ড ও দুটি জর্জ পলক অ্যাওয়ার্ড।

 

তথ্য উদঘাটনে সেরা বব উডওয়ার্ড

গোপন সংবাদ বের করে আনার দক্ষতা দিয়েই একজন সাংবাদিকদের দক্ষতা বিচার হয়। এই দিক থেকে বব উডওয়ার্ড গোপন তথ্য উদঘাটনে অসীম দক্ষ এবং অনন্য। বব উডওয়ার্ড এমন একজন সাংবাদিক, যিনি অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতাকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন এক স্তরে। আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম রাজনৈতিক দুর্ঘটনা ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উদঘাটন করেছেন সহযোগী কার্ল বার্নস্টাইনকে সঙ্গে নিয়ে। তাছাড়া সাহসী সাংবাদিকতার জন্য দুবার পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন এ সাংবাদিক। তার লেখা ১৮টি বইয়ের মধ্যে ১২টিই বেস্টসেলার। ১৯৪৩ সালের ২৬ মার্চ আমেরিকার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন বব উডওয়ার্ড। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করার পর বাবার ইচ্ছাতে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। কিন্তু পাঁচ বছর পর নৌবাহিনীর চাকরি বাদ দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে চাকরি নেন তিনি। বব উডওয়ার্ডের সবচেয়ে প্রশংসিত কাজগুলোর একটি ‘দ্য কমান্ডারস’। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের খুঁটিনাটি তুলে ধরেন তিনি এই বইয়ে। তবে তার বিতর্কিত বই শ্যাডোতে উঠে এসেছে পাঁচ মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্পর্শকাতর রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির প্রভাব।

 

একাধিক পুরস্কার জয়ী এন্ডারসন কুপার

বিশ্বের দাপুটে সাংবাদিকের মধ্যে এন্ডারসন কুপার একজন। তিনি আমেরিকান সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও একজন নামকরা লেখক হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে ‘এন্ডারসন কুপার ৩৬০’ নামের একটি সংবাদভিত্তিক টিভি শো হোস্টিং করেন। এই প্রোগ্রামটি ২০০৩ সাল থেকে পরিচালনা করে আসছেন তিনি। এটি সিএনএন-এর নিউইয়র্ক সিটি স্টুডিও থেকে সম্প্রচার করা হয়। এর আগে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি এবিসি নিউজ-এর করেসপন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইরাকের যুদ্ধ এবং হারিকেন ক্যাটরিনা কভার করার পর থেকে ‘এন্ডারসন কুপার ৩৬০’ প্রোগ্রামটি মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। ১৯৯৩ সালে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের খবর প্রকাশের পর তিনি ব্রোঞ্জ টেলি পুরস্কারে ভূষিত হন। তার কর্মজীবনে নানা ধরনের কাজে অনেক সাফল্য পেয়েছেন। আর এই কাজের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। তার পুরস্কারের ঝুলি ভারী করতে যোগ হয়েছে চারটি এমি অ্যাওয়ার্ড, একটি পিবডি অ্যাওয়ার্ড, একটি জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার ও দুটি গ্লাড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। এন্ডারসন কুপার নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে জন্মগ্রহণ করেন।

 

তথ্য অনুসন্ধানে নিপুণ জ্যাক ট্যাপার

সাংবাদিক, লেখক ও কার্টুনিস্ট জ্যাকব পল ট্যাপার। তিনি জ্যাক ট্যাপার নামেই বেশি পরিচিত। বর্তমানে জ্যাক সিএনএন-এর চিফ ওয়াশিংটন করেসপন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বহুল পরিচিত সাপ্তাহিক নিউজ শো ‘দ্য লিড ইউথ জ্যাক ট্যাপার’ এবং প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ তার হোস্টিং এ প্রচারিত হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের অসাধারণ কাভারেজ তাকে এমি অ্যাওয়ার্ড এনে দিতে সহায়তা করে। ১৯৬৯ সালে ফিলাডেলফিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন এই সাংবাদিক। ২০০৩ সালে এবিসি নিউজে কাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি বাগদাদ ব্যুরোর দায়িত্ব পালন করে তথ্য অনুসন্ধানে নৈপুণ্য দেখান। এ ছাড়াও হারিকেন ক্যাটরিনা ও আফগান ইস্যুতে তিনি অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। ২০১২ সালের শেষ দিকে তিনি সিএনএন-এ যোগদান করেন। রিপোর্টিংয়ের জন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ের তিনটি পুরস্কার লাভ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে বোস্টন ম্যারাথন, ওকলাহোমা টর্নেডোর দীর্ঘ নিউজ কাভারেজ।

 

এজেন্ডা দিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন র‌্যাচেল

আমেরিকান টেলিভিশন প্রোগ্রামের হোস্ট এবং পলিটিক্যাল কমেন্টেটর র‌্যাচেল ম্যাডো। এমএসএসবিসিতে তিনি রাতের একটি প্রোগ্রাম ‘দ্য র‌্যাচেল ম্যাডো শো’-এর হোস্টিং করে থাকেন। ব্রায়ান উইলিয়ামসের পাশাপাশি ক্যাবল নেটওয়ার্কের বিশেষ ইভেন্টে তিনি সহ-অ্যাঙ্কর হিসেবে কাজ করেন। আলোচনায় তিনি নাম্বার ওয়ান হোস্ট হিসেবে বিবেচিত হন। এই প্রোগ্রামটি ক্যাবল নিউজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল জুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার সমালোচনা ১৭ শতাংশ সংবাদের প্রধান অংশে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন এই সাংবাদিক। অক্সফোর্ড থেকে তিনি ডক্টর অব ফিলোসফি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে ম্যাডো রেডিওতে কাজ শুরু করেন। টেলিভিশন শো করেন ২০০৫ সালে। তার সবচেয়ে বড় গুণ হলো তিনি এজেন্ডা দিয়ে সংবাদ সরবরাহ করতে সক্ষম কিন্তু তাতে কোনো ধরনের হিংস্রতা থাকে না।

 

নির্ভীক সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টা

সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাদানুবাদে বিশ্বমিডিয়ায় আলোচিত হন নির্ভীক সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে ৭ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সিএনএনের হোয়াইট হাউস বিষয়ক প্রতিবেদক জিম অ্যাকোস্টা অভিবাসী ইস্যুতে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করতেই বেঁধে যায় গোল। শেষমেশ ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে এই দফায় অ্যাকোস্টার অবস্থান সুরক্ষা পায়। অ্যকোস্টা মূলত সিএনএনের পক্ষে পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আজকের এই নির্ভীক সাংবাদিকও মাত্র ১১ বছর বয়সে কিউবা থেকে বাবার হাত ধরে অভিবাসন প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। ভার্জিনিয়া থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৯৪ সালে পড়াশোনা চলা অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন রেডিও সাংবাদিকতা দিয়ে। এক বছরের মাথায় তিনি ডব্লিউটিটিজি টিভিতে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে সিএনএনে যোগ দেন।

সর্বশেষ খবর