বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আলোচিত যত সন্ত্রাসী হামলা

পুরো পৃথিবী যেন সন্ত্রাসী হামলায় উত্তাল। প্রতিদিন কোনো না কোনো জায়গায় সন্ত্রাসীরা আঘাত হানছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন বিপদকে তোয়াক্কা না করেই জনগণের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সীমান্ত থেকে শুরু করে দেশের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিজেদের রেখেছে সদা নিয়োজিত। দায়িত্ব পালনকালেই হতে হচ্ছে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার। নতুন বছর শুরু হতেই ভারত, ইরান ও কলম্বিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর ঘটে গেছে সন্ত্রাসী হামলা। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া এমন কিছু সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আজকের আয়োজন।

তানিয়া তুষ্টি

আলোচিত যত সন্ত্রাসী হামলা

পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমায় নিহত ৪৪

  ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের জীবন্ত উপাদান ‘পৃথিবীর স্বর্গ’ কাশ্মীর। সেখানে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় দুদেশের মধ্যে বিরোধের আগুন জ্বলছে ১৯৪৭ সালে দুই দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই এলাকা ক্ষণে ক্ষণে ধারণ করে অগ্নিমূর্তি, হামলার ঘটনায় ঝরে তাজা রক্ত। এই তো সেদিন, ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুরায় বড় হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অন্তত ৪৪ জন সদস্য। জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে স্থানটির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, সিআরপিএফের প্রায় ৭৮টি গাড়ি পুলওয়ামা জেলার মহাসড়ক হয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির বহর লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গাড়িগুলোতে সিআরপিএফের প্রায় আড়াই হাজার সদস্য ছিলেন। হামলায় নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলায় প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। হামলার রাতেই সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে নেয়। সংগঠনটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি আত্মঘাতী হামলা। আদিল আহমেদ দার নামের একটি ছেলে এ হামলা চালিয়েছে। আদিল ২০১৮ সালে সংগঠনটিতে যোগ দিয়েছিল। ঘটনার পরে আদিলের পরিচয়ও উদ্ঘাটন করেছে গোয়েন্দা বাহিনী। ২০ বছর বয়সী এই আদিল আহমেদ দার কাশ্মীরের লেথুপারা এলাকার গুললাম আহমেদ দারের ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকালে আইইডি বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে আদিল সেনা সদস্যদের বহরে ধাক্কা মারে। তারপরই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এ হামলার ঘটনা ভারতবাসীসহ গোটা বিশ্বের কাছে এখন এক দগদগে শোকবার্তা। অথচ এর মাত্র চারদিনের মাথায় একই এলাকায় আবার ভারতীয় সৈন্য নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাজ্যের পুলওয়ামা জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে এক কর্মকর্তাসহ চার সৈন্য নিহত হন, আহত হন আরও দুজন। এবারের এ হামলার আগে কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন ১৯ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে দ্য প্রিন্ট জানায়, ২০১৪ সাল থেকে গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার আগ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে ১৭০৮টি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৩৩৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। আর ২০১৮ সালের শুরু থেকে হামলার ঘটনা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৭ সালে ৩৪২টি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৮০ সদস্যের সঙ্গে বেসামরিক ৪০ জন নিহত হয়। ২০১৮ সালে হামলার সংখ্যা ছিল ৬১৪টি। ওই বছর নিরাপত্তা বাহিনীর ৯১ জন সদস্যের সঙ্গে নিহত হয় ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক।

 

আফগানে তালেবান হামলা, নিহত ১২৬

আফগানিস্তানের ওয়ার্দাক প্রদেশে ময়দান শহরের সেনাঘাঁটি ন্যাশনাল ডিরেক্টোরেট অব সিকিউরিটির (এনডিএস) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাসে ঘটে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলা। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারির এ হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর প্রায় ১২৬ সদস্য মারা যান। এটি এত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল যে পুরো ভবনটিই ধসে পড়ে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি বলেন, ঘাঁটির প্রবেশপথে গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী তালেবান জঙ্গিরা। পরে তারা ভিতরে প্রবেশ করে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেনারা পাল্টা গুলি চালিয়ে দুই বন্দুকধারীকে হত্যা করে। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। হামলায় ১৯০ জন নিহত হওয়ার দাবিও করে সে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা বাহিনী হটিয়ে তারা পুলিশের হেডকোয়ার্টার ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তালেবান জঙ্গিরা। টানা তিনদিনের যুদ্ধে ২০০ এর বেশি আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার কয়দিন আগে ফারিয়াব প্রদেশের আরেকটি সেনাঘাঁটিতে তালেবান হামলায় অবস্থানরত সেনার অর্ধেকের বেশি নিহত হয়। অথচ ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আফগানিস্তানে থাকা আমেরিকান সেনাবাহিনী তালেবান জঙ্গিদের ওপর বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

মিসরে সন্ত্রাসীর গুলি, নিহত ৩০

মিসরের পশ্চিমাঞ্চলীয় মরু এলাকা গিজায় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযানে নামে সে দেশের পুলিশ বাহিনী। কিন্তু অভিযানে নেমে বিপদে পড়তে হয় তাদেরই। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, রাজধানী কায়রোতে একাধিক হামলায় অভিযুক্ত হাসম গ্রুপের সদস্যরা আছে একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে। সেটাকে লক্ষ্য করে পুলিশ এগিয়ে গেলে ভিতর থেকে গুলি চালানো হয়। ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবরের এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন আরও  কয়েকজন। দেশটির দুটি নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, পুলিশের কাছে গোপন খবর ছিল মরু এলাকায় সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা বিস্ফোরক ও অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলিবিনিময় হয়। পুলিশের ওপর হামলার পর ক্রসফায়ারে নিহত হয় কয়েকজন সন্ত্রাসীও। একই বছর ১৭ জানুয়ারি মিসরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নিউভ্যালির একটি নিরাপত্তা চৌকিতে সন্ত্রাসীরা আরেকটি হামলা চালায়। এ হামলায় পুলিশের ৮ সদস্য নিহত হন, আহত হন তিনজন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানা যায়, হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। এতে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়।

 

কলম্বিয়ায় বোমা আঘাত, নিহত ২১

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন। আরও ৬৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারীও নিহত হয়েছে। দেশের জাতীয় পুলিশ ক্যাডেট প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলাটি চালানো হয় ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে নগরীতে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালাতে ৮০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক-ভর্তি একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের বলেছেন, একটি গাড়ি একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িটিকে থামাতে গেলে সেটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়ে দেয়ালে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরিত হয়। হামলার দিন ক্যাডেটদের পদোন্নতি অনুষ্ঠান চলছিল। হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার না করলেও সরকারি প্রসিকিউটর নেস্টর হুমবার্তো মার্টিনেজ জানান, এ জঘন্য ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজনের নাম হচ্ছে জোসে আলদেমার রোজাস রদ্রিগুয়েজ। মার্টিন আরও জানান, রোজাস রদ্রিগুয়েজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি নিশান প্যাট্রল ট্রাক নিয়ে ওই স্কুলে প্রবেশ করে। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এতে, একাডেমির আশপাশের এলাকায় কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালাও বিস্ফোরণে উড়ে যায়।

 

ইরানে আত্মঘাতী বোমা, নিহত ২৭

সম্প্রতি ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট ফোর্স রেভুলেশনারি গার্ডের সদস্যদের ওপর আঘাত হেনেছে সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী বোমা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারির এ হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৭ জন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (ইরনা) খবরটি নিশ্চিত করে। কিন্তু সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, নিহতের সংখ্যা ২৭ থেকে ৪১ জন পর্যন্ত হতে পারে। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেদিন রাতে খাশ-জাহেদান সড়কে গার্ডের সদস্যদের বহনকারী একটি বাসে তাকফিরি সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ির সাহায্যে এ হামলা চালিয়েছে। নিহত ও আহত সেনারা সীমান্তে টহল শেষে ফেরার সময় হামলার শিকার হন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জাইশ আল-আদল। গোষ্ঠীটি নিজেদের আর্মি অব জাস্টিস হিসেবেও পরিচয় দেয়। গোষ্ঠীটি সালাফি ও ওহাবি মতবাদে বিশ্বাসী এবং সিরিয়ার তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি এ গোষ্ঠীর সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে। আত্মঘাতী এ হামলা হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরান সীমান্তের কাছাকাছি সিস্তান-বেলুচিস্তানে। এ অঞ্চলটি ইরানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জাইশ আল-আদলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

 

নাইজেরিয়া হামলা, নিহত ১০০

২০১৮ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি বোকো হারামের  হামলায় কমপক্ষে ১০০ নাইজেরিয়ান সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় অসংখ্য সৈন্য এখনো নিখোঁজ, সে জন্য নিহতের সংখ্যা সঠিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বে বোর্নো রাজ্যের মিতেলে গ্রামের এক সেনাঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়। নিহত সেনা সদস্যদের লাশ আনতে গিয়ে আবারও হামলার শিকার হতে হয় তাদের। এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিচ্ছিন্ন একটি গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়। আর তাই হামলাটি আইএসের ওই অংশ বোকো হারাম করেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ক্ষমতায় আসার পর এ হামলাকেই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এক সেনা কর্মকর্তা জানান, ‘বিদ্রোহীরা আমাদের হতবিহ্বল করে দেয়। অস্ত্রসহ পুরো ঘাঁটি জ্বলে গেছে; আমরা শখানেক সৈন্য হারিয়েছি। এটা বিরাট ক্ষতি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নাইজেরিয়ার জঙ্গি হামলার খবর প্রকাশ করলেও দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী হামলার কথা স্বীকার করতে চায় না।

 

বেলুচিস্তান হামলা, নিহত ৬০

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরের একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজ হোস্টেলে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসী বাহিনী। তারপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে অন্তত ৬০ জন ক্যাডেট ও প্রহরীকে হত্যা করে। পরে কলেজটিতে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হওয়া এ হামলায় আরও আহত হন ১১৬ জন। হামলার সময় সেখানে অন্তত ৭০০ ক্যাডেট উপস্থিত ছিলেন। তিন আত্মঘাতী সন্ত্রাসী বোমাবাহী পোশাক পরে প্রশিক্ষণ কলেজের মূল গেট দিয়ে ঢোকে। এ সময় গেটে দাঁড়ানো পাহারাদারদের গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর কলেজের ভিতরে ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকা লোকজনদের জিম্মি করে। হামলার খবর জানতে পেরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সেখানকার পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও কথিত ইসলামিক স্টেট উভয় দলই অতীতেও এরকম আরও হামলা চালিয়েছে। এ দিনের হামলার দায়ও স্বীকার করে নেয় আইএস। সেই বছর আগস্ট মাসেও কোয়েটার প্রধান হাসপাতালে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ৭০ জন মানুষ মেরে ফেলে।

সর্বশেষ খবর