শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ

তানভীর আহমেদ

ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ

একসঙ্গে জীবন কাটাতে জীবনসঙ্গীর খোঁজ করেন সবাই। এক ছাদের নিচে ভালো-মন্দ মিলিয়ে জীবন পার করতে গিয়ে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। বনিবনা না হওয়া, প্রতারণার অভিযোগে সংসার ভেঙে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান অনেকে। তখনই আসে সমাধান, ডিভোর্স। মিডিয়া তারকা,  ধনকুবের বিয়েতে খরচ করেন হাজার হাজার কোটি টাকা। তাদের বিচ্ছেদেও দিতে হয় দ্বিগুণ। ধনকুবেরদের বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে তাই তোলপাড় হয় সবখানে। ডিভোর্সে স্ত্রীর সঙ্গে কেউ আইনি লড়াইয়ে হেরে, কেউ মীমাংসা করেন হাজার হাজার কোটি টাকায়।  আলোড়ন তোলা তেমনই কয়েকটি ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে এ আয়োজন-

 

বিচ্ছেদ বিস্ময়

তিন মিনিটেই ডিভোর্স

তারকাদের ঘর ভাঙার খবর পাওয়া যায় হুটহাট। কারও এক বছর, কারও এক মাসেও ঘর ভেঙেছে। ঘড়িতে ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেও ডিভোর্সের খবর জানা যায়। তাই বলে তিন মিনিটে বিবাহ বিচ্ছেদ! চোখ কপালে উঠলেও, ঘটনা পুরোপুরি সত্যি। কথা কাটাকাটি কিংবা বড় অঘটন নয়, স্রেফ বরের একটা শব্দ শুনে স্ত্রী ঠিক করে ফেলেন- এ সংসার আর নয়।

ঘটনাটি ঘটেছিল কুয়েতে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিরর অনলাইন এ বিস্ময়কর খবরটি প্রকাশ করে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালত থেকে বের হওয়ার সময় হাঁটতে হাঁটতে পড়ে যাওয়ায় কনেকে ‘স্টুপিড’ বলেন বর। সামান্য হাঁটতে হোচট খাওয়ায় বরের এমন কথায় ভয়ানক রেগে যান কনে। কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ ছাড়া আর কেউ নতুন বউকে সবার সামনে এভাবে অপমান করে? বিয়ের দুই মিনিটের মাথায় কনে ফিরে যান বিচারকের কাছে, আবেদন করেন তালাকের জন্য। কনের দাবি মেনে বিচারক তিন মিনিট আগে যাদের বিয়ে সম্পন্ন করেন, তাদের তালাকে সম্মতি দেন। কুয়েতের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বিয়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

উপস্থাপিকার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলারের বিবাহ বিচ্ছেদের পথে বিশ্বের শীর্ষ ধনী
অনলাইনে বেচাকেনার সবচেয়ে বড় বাজারের মালিক জেফ বেজোস। অ্যামাজনের হৃদপিণ্ড জেফ বেজোস বিশ্বের শীর্ষ ধনী। গত বছর এ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করেছে ২৩ হাজার ২৮০ কোটি ডলারের পণ্য। সব মিলিয়ে ১৩১ বিলিয়ন ডলারের মালিক জেফ। তিনি অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৯৪ সালে। সেই প্রতিষ্ঠানের প্রথম কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ম্যাকেনজি। ম্যাকেনজির সঙ্গেই পরিচয় ছিল আরও বছর চারেক আগে। অ্যামাজনের সঙ্গেই বেড়ে ওঠে জেফ বেজোস আর ম্যাকেনজির প্রেম। শূন্য থেকে শুরু করা জেফ বেজোস এক দশকের ব্যবধানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কাতারে নাম লেখান। এরই মাঝে ম্যাকেনজিকে বিয়ে করেন জেফ। তাদের সংসারে এখন চার সন্তান। তিলে তিলে সাজানো সংসারে ফাটল ধরে বছরখানেক হতে চলল। নেপথ্যে জেফ বেজোসের পরকীয়া প্রেম। ইংলিশ মিডিয়ায় বোমা ফাটল, লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমে মজেছেন টাকার সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া মানুষটি। সন্তান, সংসার রেখে ফক্স টিভির এক উপস্থাপিকার কাছে ছুটে যাচ্ছেন প্রায়ই। এখন উপস্থাপনা না করলেও বেশ জনপ্রিয় সেই সুন্দরীর নাম লরা সানচেজ। শুরুর দিকে প্রেমের বিষয়টি লুকিয়ে রেখে মুখ বুজে ছিলেন জেফ। কিন্তু সত্য আর কতদিন চাপা থাকে। মিডিয়ায় জেফ আর লরা সানচেজের গোপন পরকীয়ার সব খবর ফাঁস হয়ে গেল। তখন থেকেই স্ত্রী ম্যাকেনজি ডিভোর্সের পথ খুঁজছিলেন। সে পথে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটাই এগিয়ে এসেছেন তারা। পরকীয়া প্রেমের টানাপড়েন বইতে চান না জেফ বেজোস। মান-সম্মান যা যাওয়ার তা গেছে। স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে এবার আইনিভাবে যাবে টাকার পাহাড়ও। গতকালই জানা গেল, স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে জেফকে। অ্যামাজনের শতকরা ৪ ভাগ শেয়ার পাবেন স্ত্রী ম্যাকেনজি। দুই পক্ষের সম্মতিও রয়েছে এতে। যদি এই বিয়ে বিচ্ছেদ কার্যকর হয়, তবে এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ। এবং ডিভোর্সের পরই স্ত্রী ম্যাকেনজি হবেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারী। উল্টো দিকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমাটা হারাবেন জেফ বেজোস।

 

অ্যালেক ও জোসেলিন ওয়াইল্ডেনস্টেইন

৩.৮ বিলিয়ন ডলার

ধনকুবের ব্যবসায়ী অ্যালেক ওয়াইল্ডেনস্টেইন এবং জোসেলিন ওয়াইল্ডেনস্টেইনের সংসার নিয়ে অ™ভুতসব ঘটনা জানা যায়। আকাশছোঁয়া টাকার পাহাড় ছিল অ্যালেকের। বিয়ে করেন জোসেলিনকে। সিনেমাপাড়ায় তারকাখ্যাতি ছিল তার। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী জোসেলিনের টাকা ওড়ানো দেখে এক কথায় হতভম্ব হয়ে যান অ্যালেক। তার পাগলামির চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ পায় দুই মিলিয়ন ডলার খরচ করে প্লাস্টিক সার্জারির পর। বিড়ালের মতো মুখায়ব তৈরি করেন। জোসেলিনের দাবি, তার স্বামী বিড়াল পছন্দ করে তাই তার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে থাকতেই এ কাণ্ডটা করেছেন। ১৯৯৭ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেম, অবাধ যৌনতার অভিযোগ এনে ডিভোর্স চান জোসেলিন। দুই বছর আইনি লড়াইয়ের পর তাদের ডিভোর্স হয়। তবে এজন্য স্বামী অ্যালেকের পরিশোধ করতে হয় ২.৫ বিলিয়ন ডলার। এখানেই শেষ নয়। শোনা যায়, ডিভোর্সের ১৩ বছর পর আরও ১০০ মিলিয়ন ডলারের চেক পাঠিয়ে তবেই মীমাংসা হয় দুজনের।

 

মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডক ও আনা টোর্ব

১.২ বিলিয়ন ডলার

মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকের বয়স এখন ৮৮। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা এশিয়া- সব মহাদেশেই বড় বড় টিভি, পত্রিকার মিডিয়া হাউসগুলোর শাহেনশাহ তিনি। আলোচনা-সমালোচনায় এসেছেন একের পর এক বিয়ে, প্রেম আর ডিভোর্সে জড়িয়ে। চার বিয়ে কাণ্ড নিয়ে তাকে নিয়ে হইচই কম হয়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সংসার শুরু করেন, তারপর দ্বিগুণ টাকা ঢেলে ডিভোর্স দেন। তবে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে দ্বিতীয় বিয়ে বিচ্ছেদের সময়। বিয়ে করেছিলেন আনা টোর্বকে। আনা টোর্ব সাংবাদিকতা করতেন। ১৯৬৭ সালে টোর্বকে বিয়ের পরই মূলত মারডকের নাম-খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দ্য টেলিগ্রাফের সেই সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেমের বিয়ে টিকেছিল ৩০ বছর। কিন্তু মানসিক দূরত্বের কারণে আর সংসার করা হয়নি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে মারডক খরচ করেন ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদের একটি।

 

ফর্মুলা ওয়ানের বাদশাহ ও মডেলের বিচ্ছেদ

১.২ বিলিয়ন ডলার

দুই জগতে দুজনই তারকা। একজন ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ে তিনশ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গাড়ি ছোটান। আরেকজন টিভি পর্দায়, র‌্যাম্পে হেঁটে মডেলিং করেন। বলা হচ্ছে ফর্মুলা ওয়ান বা দ্রুতগতির গাড়ির রেসিং ব্যবসার বাদশাহ বার্নি একলেসটন আর সার্বিয়ান মডেল স্লেভিকার কথা। ফর্মুলা ওয়ান আবিষ্কার করে রেসিং ব্যবসায় একচ্ছত্র বাদশাহী রেখেছেন বার্নি। সংসারও সামলে নিয়েছিলেন ভালোমতো। অন্যদিকে মডেলিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্লেভিকা। আমেরিকার ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে তার দাপটও ছিল। তাদের সংসারে আসে দুই সন্তান। কিন্তু সাংসারিক বোঝাপোড়া না থাকায় দূরত্ব বাড়ে স্বামী-স্ত্রীর। দুজনকে ঘিরেই পরকীয়া প্রেমের কানাঘুষা চলে। একপর্যায়ে স্লেভিকাই ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেন। ২০০৮ সালে তিনি ডিভোর্স চাইলে ধনকুবের খুব একটা ঝামেলা করেননি। বিয়ে বিচ্ছেদে সম্মত হন দুজন। এজন্য ১.২ বিলিয়ন ডলার স্ত্রীকে দিতে হয় বার্নিকে।

 

হলিউড তারকা মেল ও রবিন গিবসন

৪২৫ মিলিয়ন ডলার

হলিউড তারকা জুটির বিয়ে বিচ্ছেদের কথা উঠলে প্রথমেই আসবে মেল গিবসন ও রবিন গিবসনের কথা। এই তারকা যুগলের বিয়ে নিয়ে যেমন তোলপাড় হয়েছিল তেমনি ডিভোর্স নিয়েই মিডিয়াপাড়া থাকত সরগরম। বিয়ে বিচ্ছেদের আগে বেশ নাটকীয় কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি ছিল স্ত্রীকে ছেড়ে আলাদা থাকার সময় এক ডেন্টিস্টের সঙ্গে গোপনে দেখা করতে ছুটে গিয়েছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় ২৬ বছরের সংসারের ইতি টানতে আইনজীবী নিয়োগ করেন রবিন গিবসন। মেল গিবসনের দুর্দান্ত ক্যারিয়ারে সিনেমা থেকে সাড়ে তিনশ মিলিয়নের বেশি আয় ছিল। ডিভোর্স কার্যকর করতে গিয়ে দেখা গেল তাদের মধ্যে এমন কোনো চুক্তিই ছিল না। ফলে মেলের সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা এবং তার মুভিগুলোরও কিছু অংশ রবিনের ভাগে চলে যায়। স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার চাইলেও বিচারক ৪২৫ মিলিয়ন ডলারে তাদের ডিভোর্স কার্যকর করেন।

 

ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর দুই ডিভোর্স

১ বিলিয়ন ডলার

লাস ভেগাসের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী স্টিভ ওয়েন। হোটেল, রিসোর্ট ব্যবসাতেও তার হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে। ২০১৫ সালে ফোর্বসের হিসেবে তার কাছে ছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার। অঢেল টাকার মালিক স্টিভ কখনো থেমে থাকেননি। নতুন নতুন ব্যবসায় দেদার টাকা ঢালেন তিনি। ক্যাসিনো ব্যবসায়ীরা তাকে গুরু মানেন। ক্ষমতাধর ও ধনী এই ব্যবসায়ীর সাংসারিক জীবন বেশ গোলমেলে কেটেছে। এলিনা প্যাসকেলকে তিনি বিয়ে করেন ১৯৬৩ সালে। ১৯৮৬ সালে তাকে ডিভোর্স দিয়ে একা একা জীবন কাটান। কিন্তু আবারও দুজনের মধ্যে বোঝাপোড়া জমে যায়। সেই এলিনা প্যাসকেলকেই দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেন ১৯৯১ সালে। অবশ্য দ্বিতীয়বারের শুরুটাও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি। ২০১০ সালে আবারও দুজনের ডিভোর্স হয়। এবার বেশ বড় অঙ্কের ভরণ-পোষণ দিতে হয় স্টিভকে। যদিও বলা হয় ১ বিলিয়ন ডলারে তাদের মীমাংসা হয়েছে, বাস্তবে এর চেয়েও বেশি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

বলিউডে ব্যয়বহুল ডিভোর্স

 

হৃত্বিক রোশন ও সুজান খান

‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে সাড়া জাগিয়েছিলেন নায়ক হৃত্বিক রোশন। সিনেমায় আসার আগেই বৈবাহিক জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ১৪ বছরের সেই সংসারে জীবন ভাগাভাগি করেছিলেন হৃত্বিক ও সুজান খান। কিন্তু ২০১৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। বলা হয়, ডিভোর্সের পর সুজানের ভরণ পোষণের জন্য হৃত্বিককে ৪০০ কোটি রুপি দিতে হয়েছিল।

 

আমির খান ও রীনা দত্ত

মিস্টার পারফেকশনিস্ট তকমা গায়ে জড়িয়ে হাঁটেন আমির খান। খান সাম্রাজ্যে দারুণ সফল এ অভিনেতা মাত্র ২১ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল রীনা। তাদের ১৬ বছরের সংসার ভেঙে যায় ২০০২ সালে। ডিভোর্সের জন্য রীনা ৫০ কোটি রুপি ভরণ-পোষণ চেয়েছিলেন। তবে কত রুপিতে সেটা দফারফা হয়, সেটি গোপন থাকে।

 

সঞ্জয় দত্ত ও রিয়া পিল্লাই

ঘটনাবহুল জীবন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। বেশ কয়েকবার প্রেমের তরীতে নৌকা ভাসিয়েছেন। এজন্য কেলেঙ্কারির খবর চাউর হতো প্রায়ই। তবে যে স্ক্যান্ডাল নিয়ে তোলপাড় ছিল মিডিয়াপাড়া তার একটি ছিল রিয়ার সঙ্গে প্রেম। ১৯৯৮ সালে বিয়ের পর থেকেই তাদের নিয়ে আজেবাজে খবর ছাপত ট্যাবলয়েডগুলো। ২০০২ সালে ডিভোর্সের সময় ৮ কোটি রুপি ভরণ-পোষণ পান রিয়া।

 

কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুর

কারিশমা কাপুরের সংসার জীবনের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত।  শিল্পপতি সঞ্জয়ের সঙ্গে ২০০৩ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী কারিশমা। সব ঠিকঠাক চলছিল। এক যুগের সময়টা পেরোনোর পরই শুরু হয় নানা টানাপড়েন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ঝামেলা গড়ায় আদালতে। শেষে সঞ্জয়ের একটি বাড়ি, ১৪ কোটি রুপির বন্ড পেয়ে বিচ্ছেদের পথ ধরেন কারিশমা।

 

সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিংহ

সিনেমার পর্দার মতোই রুপালি জীবন শুরু করেছিলেন নায়ক সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিংহ। শুরুতে নায়কের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও সাইফ কিন্তু মন জিতে নিয়েছিলেন অমৃতার। প্রথমে এক ছাদে বসবাস, তারপর বিয়ে। ১২ বছরের সেই সম্পর্ক শেষ হয় ২০০৪ সালে। ডিভোর্সের সময় ৭ কোটি রুপি ভরণ-পোষণ নিয়েছিলেন অমৃতা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর