শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

রুটি আন্দোলনে শাসকের পতন

তানিয়া তুষ্টি

রুটি আন্দোলনে শাসকের পতন

৩০ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। অবশেষে ক্ষমতা ছাড়তে হলো রুটির দাম বাড়িয়ে। জনগণের আন্দোলনের মুখে তাকে হটিয়ে দেশ পরিচালনায় এসেছে সেনাবাহিনী। এ সময় স্বৈরশাসককে হটানোর ঘটনায় দেশবাসী উল্লাস করার কথা, অথচ অব্যাহত রয়েছে গণবিক্ষোভ। বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনীও বশিরের সমর্থক। দেশটির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।

 

উত্থান কাহিনি

উত্তর সুদানের একটি খামারি পরিবারে ১৯৪৪ সালে জন্ম নেন ওমর আল বশির। মিসরীয় রাজত্বের সে আমলে একটি বেদুইন গোত্রের সদস্য হিসেবে বেড়ে ওঠেন তিনি। তরুণ বয়সে মিসরীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর কর্মকর্তা পদে উন্নীত হন। নিঃসন্তান বশির ৫০ বছর বয়সে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সুদান উত্তর আর দক্ষিণের মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধের ২১ বছর পার করার পর ১৯৮৯ সালে বশির ক্ষমতা দখল করেন। তারপর সবকিছুর জবাব শক্ত হাতে দিতে থাকেন। এজন্য অবশ্য বশিরের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ২০০৯ ও ২০১০ সালে দুটি আন্তর্জাতিক গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করা হয়। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে আইসিসির অভিযোগ রয়েছে গণহত্যা, হত্যা, জোর করে বাস্তুচ্যুত করা, ধর্ষণ, নির্যাতন, দারফুরে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা, গ্রাম ও শহরে লুটতরাজ করার মতো অপরাধের। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও তিনি ২০১০ ও ২০১৫ সালের দুটি নির্বাচনে বিজয়ী হন। তার আমলে সর্বশেষ নির্বাচনটি বিরোধী দল বর্জন করে। ২০১১ সালের জানুয়ারির গণভোটের রায়ে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হলেও তখনো দারফুরের প্রতি বশিরের মনোভাব ছিল আগ্রাসী। এখানে চলতে থাকে চরম মানবিক বিপর্যয়। এর জন্য বশিরকে দায়ী করা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

 

যেভাবে বাজল পতনের ডঙ্কা

জনগণ জোট বাঁধলে কঠিন ক্ষমতাবানকেও লুটিয়ে পড়তে হয়। কঠিন এই বাস্তবতার প্রমাণ মিলল সুদানের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্টের বেলায়। ১৯৮৯ সালে কিছু ইসলামপন্থি সেনা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ব্রিগেডিয়ার ওমর আল বশির। তারপর থেকে প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আর এতে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইতিহাসও গড়ে নিয়েছেন। হয়তো ভেবেছিলেন, তার এই একচ্ছত্র আধিপত্যে বাদ সাধার কেউ নেই। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বহু উৎখাতের প্রচেষ্টাকে বানচাল করে দিয়েছেন। তবে এবারের বিক্ষোভ বাজিয়েছে ভিন্ন সুর, বলা যায় ‘পতনের ডঙ্কা’। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশটির বাজারে রুটি আর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। এ নিয়েই জনমনে বিক্ষোভের শুরু। তাদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে  বল প্রয়োগ করেন প্রেসিডেন্ট বশির। সহিংসতায় প্রাণ যায় বেশকিছু লোকের। তাতে আরও ফুঁসে উঠতে থাকে সাধারণ মানুষ। চলতি সপ্তাহে রাজধানী খার্তুমের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মিলিটারি কমপ্লেক্সের সামনে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ধারণ করে চরম আকার। আর এতেই বশিরের ৩০ বছরের শাসনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়। শেষমেশ বিক্ষোভ গড়ায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ পর্যন্ত। ১১ এপ্রিল দুপুরে বশিরের পদত্যাগের খবর আসে। এই খবরের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী খার্তুমসহ প্রধান প্রধান সড়কে সামরিক বাহিনী অবস্থান নেয়। সড়কে নেমে আসে সরকারবিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনের এলাকা এবং সেনা সদর দফতরের সামনেও অবস্থান নেয় তারা। গৃহবন্দী হন দীর্ঘদিনের দাপট খাটানো প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। দ্রুতই বশিরের নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে নতুন নিরাপত্তারক্ষীর কড়া নজরদারি শুরু হয়। টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ ইবনে আউফ প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করেন। আউফ বলেন, তাকে ‘নিরাপদ স্থানে’ রাখা হয়েছে এবং ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে আগামী তিন মাসের জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী দুই বছর দেশটির ক্ষমতা থাকবে সেনাবাহিনীর হাতেই। নতুন এই অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন আওয়াদ ইবনে আউফ। দুই বছরের মধ্যে দেশটির সংবিধানে পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে আওয়াদ ইবনে আউফ বলেন, সুদানের জনগণ যেন সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে সে জন্য জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সুদানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

 

পতন আরও ডজনখানেক নেতার

সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে পদত্যাগে বাধ্য করে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি বড় ধরনের বিপর্যয়। কিন্তু এই খড়গ শুধু প্রেসিডেন্টের ওপর দিয়ে নয়, বয়ে গেছে আরও ডজনখানেক নেতার ওপর দিয়ে। প্রেসিডেন্ট গ্রেফতারের সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ তাহের আয়ালাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান আল গাজিরা প্রদেশের সাবেক এ গভর্নর। গ্রেফতারের তালিকায় আছেন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির প্রধান আহমেদ হারুন। এ ছাড়াও রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদেল রেহিম মোহাম্মদ হুসেইন, সাবেক সরকার মন্ত্রী ও জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় সদস্য আওয়াদ আল জাজ এবং সাবেক উপরাষ্ট্রপতি বেরি হাসান সালেহ ও আলী ওথমান তাহা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পরিবর্তনের এই ধকল তৃণমূল পর্যায়ে আসবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

 

বশির পতনের নেপথ্যকন্যা

প্রায় ৩০ বছর সুদানের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে বিক্ষোভের নেপথ্যে থেকে জনগণকে জোর আন্দোলিত করেছেন ২২ বছর বয়সী এক বিপ্লবী কন্যা। স্বৈরশাসক বশিরের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন তিনি। বিশ্ব মিডিয়াতেও ফলাও করে তুলে ধরা হচ্ছে তার সাহসিকতার গল্প। বিপ্লবী এই সুদান নাগরিক ‘বিউটি কন্যা’খ্যাত আল সালাহ সুদান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে স্থাপত্য বিষয়ে পড়ালেখা করছেন। এ আন্দোলনে তিনি সুদানের গণজাগরণের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। তার বক্তৃতায় জনগণ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে হয়েছেন একজোট। এ সুযোগে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে আলা সালাহ বলেন, ‘আমি প্রত্যেক সুদানিকে আশা জাগানোর চেষ্টা করেছি। ইতিবাচকভাবে তাদের আন্দোলিত করেছি এবং আমি অবশেষে তাদের দিয়ে উপযুক্ত কাজটি (আল বশিরের পতন) করতে সক্ষম হয়েছি।’ সালাহকে বিশ্ব মিডিয়ায় জায়গা করিয়ে দিয়েছে গাড়ির ওপর সাহসীভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময়কার একটি ছবি। সাহসিক এই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আপাদমস্তক সাদা কাপড়বেষ্টিত এক নারী গাড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখছেন। তার চারপাশে হাজার হাজার জনতা। সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভ চলাকালে ৮ এপ্রিল ছবিটি তোলা হয়। অথচ এই সালাহ কোনো রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেননি। তবে তিনি কবিতা আবৃত্তি ও গান গেয়ে সুদানিদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে উৎসাহ জুগিয়েছেন। আর এসব কবিতা ও গান-সবই তার স্কুলজীবনে শেখা।

 

কারফিউ ভেঙে এখনো বিক্ষোভ!

ক্ষমতা দখল করে সুদানের নতুন সামরিক পরিষদ জারি করেছে সান্ধ্য আইন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের এ আদেশ মানতে রাজি নয়। বর্তমানে তারা খার্তুমের সড়কগুলোতে অবস্থান করছেন। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতা দখলকারী সেনা পরিষদ বশির শাসনেরই অংশ। দুই পক্ষের এ মুখোমুখি অবস্থান দেশটিতে আরও সংঘাত উসকে দিতে পারে, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন অংশ এবং আধাসামরিক বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের। জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সুদানের সব পক্ষকেই শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৭৫ বছর বয়সী বশিরকে গ্রেফতারের খবরে সড়কজুড়ে উল্লাস শুরু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বরং সামরিক পরিষদের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণায় আবার আন্দোলন দানা বাঁধে। তারা সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের বাইরে অবস্থানের কর্মসূচি দেয়।

 

বিদেশিদের প্রতিক্রিয়া

সুদানে চলমান জরুরি অবস্থা ও দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে আটকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বলছে, তারা সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশটির সামরিক কার্যক্রমের ওপর নজদারি রাখছে রাশিয়া। তিনি বলেন, মস্কো আশা করছে বর্তমান অবস্থা শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আরও আশা করছি অতি দ্রুত এ পরিস্থিতি কাটিয়ে সাংবিধানিক অবস্থায় ফিরে যাবে। অপরদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানও বলেছেন, তুরস্ক আশা করে সুদান বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি কার্যকর করবে। তার বিশ্বাস, সুদানে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক ধারা পুনরায় প্রতিস্থাপন হবে। এরদোগান আরও বলেন, তুরস্ক খার্তুমের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। এর ধারাবাহিকতা সমর্থন করে।

 

বিশ্বপরিচয়ে সুদান

আফ্রিকা মহাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাষ্ট্র সুদান। আয়তনের দিক দিয়ে আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ এটি। দেশটির উত্তরাঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর এলাকা। এখানকার অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলের অনগ্রসর এলাকার অধিবাসীদের অধিকাংশই অমুসলিম। আর তাই দুই অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাজন এবং মতবিরোধের ফলে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে! প্রত্নতত্ত্ববিদদের দেওয়া তথ্যমতে সুদান অঞ্চলে স্থায়ীভাবে মানববসতি শুরু হয় প্রায় ৮ হাজার বছর আগে। ১৮২০ সালে মিসরের ওসমানীয় শাসক মুহাম্মদ আলী পাশা সুদান দখল করেন। ১৮৯০ সালে এসে ব্রিটিশটরা সুদানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে কিন্তু সমর্থ হয় ১৮৯৯ সালে। ফলে সুদান পরিচালনার ভার ন্যস্ত হয় এক মিসরীয় গভর্নরের ওপর। এরপর ১৯৫৬ সালে সুদান ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।  স্বাধীনতার এক বছর আগে ১৯৫৫ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। খ্রিস্টান অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলের আশঙ্কা, স্বাধীন সুদানে নেতৃত্ব দেবে উত্তরের মুসলমান জনগোষ্ঠী। কারণ উত্তরাঞ্চলের মুসলমানদের সঙ্গে মিসরসহ আরব বিশ্বের সুসম্পর্ক ছিল। এ প্রেক্ষাপটে দুই অঞ্চলে দুই ধরনের প্রশাসন চালুর দাবি জানায় ব্রিটিশরা। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে। স্বাধীনতার পরপরই একজন সামরিক কর্মকর্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করেন। তিনি ১৯৭২ সালে এক চুক্তিতে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে সক্ষম হলেও ১৯৮৩ সালে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ১৯৮৯ সালের ৩০ জুন কর্নেল ওমর আল বশির একদল সামরিক কর্মকর্তার সমর্থন নিয়ে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন। দেশে চালু করেন ইসলামি আইন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর