শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যক্তিগত দ্বীপের যত কাহিনি

তানিয়া তুষ্টি

ব্যক্তিগত দ্বীপের যত কাহিনি

অর্ডারে মিলবে যে দ্বীপ

কথায় আছে, টাকা থাকলে বাঘের চোখ মেলে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আজকাল টাকা থাকলে অর্ডারে আস্ত একটা বিলাসবহুল দ্বীপ মেলাও সম্ভব? তাও আবার পছন্দসই যে কোনো লোকেশনে! আর এই কাজটিই করে দিচ্ছে আমিল্লারাহ প্রাইভেট আইল্যান্ড। বিশ্বের প্রথম পোর্টেবল দ্বীপ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারা। পরিকল্পনার তত্ত্বাবধানে রয়েছে ডাচ ডকল্যান্ডস নামের একটি নির্মাণ (ভাসমান স্থাপনা) কোম্পানি। যারা আপনাকে যে কোনো আকার ও আকৃতির দ্বীপ প্রস্তুত করে দেবে। ফলে বিশ্বের ধনকুবেররা চাইলেই এখন এমন একটি ব্যক্তিগত দ্বীপের মালিক হতে পারবেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বীপগুলো হবে পরিবেশবান্ধব এবং নিজে নিজেই টিকে থাকতে সক্ষম। ফলে যারা অত্যন্ত ধনী, তারা পৃথিবীর যে কোনো স্থানে তাদের অবসর যাপনের স্থান তৈরি করে নিতে পারবে। দ্বীপের প্রতিটি বাড়িতে থাকবে সুইমিং পুল, নৌকার পোতাশ্রয়, সবুজ বাগানসহ অনেক কিছুই। প্রতিটি দ্বীপের পরিবেশগত প্রভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। বিস্তৃত পরিসরের বিভিন্ন লোকেশনে ক্রেতারা তাদের বাসস্থানের আকার, আকৃতি ও ধরন পরিবর্তন করতে পারবে। শুরুতেই কোম্পানিটি মালদ্বীপে এই সুযোগ পেতে যাচ্ছে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই মালদ্বীপ সরকারের সহায়তায় ১০টি স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। দ্বীপগুলোর ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত ডাচ আর্কিটেক্ট কোয়েন অলথিয়াস। অবশ্য পৃথিবীর যে কোনো স্থানে দ্বীপ তৈরির কথা বললেও সংশ্লিষ্ট দেশের জলসীমায় এরূপ স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি বা আইনগত দিক সম্বন্ধে এখনো তেমন কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

 

আছে বিলাসবহুল দ্বীপ

নর্থ আইল্যান্ড

নর্থ আইল্যান্ড, সেচেলস

পূর্ব আফ্রিকায় ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সেচেলস দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ ‘মাহে’। এই মাহে থেকে আরও ত্রিশ কিলোমিটার সমুদ্র গভীরে সেচেলসের অভ্যন্তরীণ গ্রানাইট দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত নর্থ আইল্যান্ড দ্বীপটি। দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই মহোনীয় যে, সহজেই যে কোনো দর্শনার্থীর মন কাড়বে। এই দ্বীপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- সমুদ্রের এত গভীরে অবস্থান সত্ত্বেও সহজেই লোকালয়ে ফিরে আসার সুব্যবস্থা রয়েছে। দ্বীপটি ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সেরা দ্বীপ রিসোর্টগুলোর তালিকায় রয়েছে। এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এতটাই বৈচিত্র্যময় যে, এটি কখনো আপনাকে একঘেয়ে করে তুলবে না। এখানে ১১টি ভিলা রয়েছে। এর প্রত্যেকটি তৈরি হয়েছে সেখানকার প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- গাছ, নুড়িপাথরসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে। আপনি চাইলেই প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দ্বীপটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এর মালিকানা রয়েছে ইকোটুরিজম অপারেটর ওয়াইল্ডারনেস সাফারিসের।

 

কোকোমো দ্বীপ

কোকোমো আইল্যান্ড, ফিজি

ফিজির প্রধান আইল্যান্ড থেকে ৪৫ মিনিটের ফ্লাইটের পর কোকোমো দ্বীপে পৌঁছনো সম্ভব। এটি কাদাভু দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত একটি দ্বীপ। আগত অতিথিদের কাছে ডাইভিংয়ের জন্য দ্বীপটি সেরা হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও ডলফিনের সঙ্গে আপনি খেলায় মেতে থাকতে পারেন দীর্ঘসময়।  এই দ্বীপ ভ্রমণের অনুমতি মিলবে শুধু শরৎকালে। আর সে জন্য আগ্রহীরা গোটা বছর মুখিয়ে থাকেন কখন কর্তৃপক্ষ ভ্রমণের অনুমতি দেবেন।

অস্ট্রেলিয়ান প্রোপার্টি ডেভেলপার লাং ওয়াকারের প্যাশন প্রজেক্ট এটি। আর সে জন্য কোকোমো সবচেয়ে প্রাধান্য দেয় আগত অতিথির গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে। শুধু তাই নয়, এক্সক্লুসিভ সেবা প্রদানেও তাদের জুড়ি নেই। দ্বীপে রয়েছে অতিথির জন্য ২১টি ভবন। এই ভবনগুলো থেকে দ্বীপের স্টাফদের থাকার ভবনের দূরত্ব রাখা হয়েছে অনেক বেশি। যাতে অতিথিরা  সেবাদানকারী স্টাফদের জন্যও বিব্রত বোধ না করেন। দ্বীপের মধ্য দিয়ে হাঁটা পথ ধরে আপনি যত এগোবেন দুচোখে শুধু সমুদ্র আর দ্বীপের অবগাহনের অপরূপ সৌন্দর্যই পড়বে।

 

লাউকালা দ্বীপ

লাউকালা দ্বীপ, ফিজি

লাউকালা দ্বীপটি তাভেউনির উপকূলে অবস্থিত। তবে অতিথিরা সরাসরি ফিজির মূল ভূখ- থেকে নাদি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দ্বীপের নিজস্ব এয়ারক্রাফটযোগে যাত্রা করে। ফিজির টেকসই ও প্রকৃত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা দিতে লাইকালার জুড়ি নেই। পুরো দ্বীপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নারিকেল গাছ রয়েছে, যা দ্বীপে মানুষের বসবাসের জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে। দ্বীপটির মালিকের নাম ডিয়েটরিস ম্যাটচিটজ। তার দেওয়া তথ্যমতে, ১ হাজার ৪০০ হেক্টরের

এই দ্বীপ পুরোটাই রেইনফরেস্টে সমৃদ্ধ। এখানকার বিচ সাদা বালুময়, আরামদায়ক অনুভূতিপ্রবণ আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সি ফুডের ব্যবস্থা রয়েছে। এই দ্বীপে অতিথিদের জন্য ফিজি স্টাইলে ২৫টি ভিলা নির্মাণ করা হয়েছে, যা দ্বীপের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ছোট পাহাড়ের ওপর নির্মিত। নীল সাগরের বুকে এক টুকরো দ্বীপকে আরও সুশোভিত করেছে এখানকার গাছের সারি। এটি মূলত দ্বীপে গাঢ় সবুজের সংযোগ ঘটিয়েছে। দ্বীপের পুরো দৃশ্য যে কারও মন ভোলাবে। এখান থেকে আপনি আবিষ্কারে চলে যেতে পারেন সমুদ্র তলদেশের এক অবাক করা দুনিয়ায়। সে জন্য আপনাকে সাহায্য করবে ডিপ ফ্লাইট সুপার ফ্যালকন সাবমেরিন। এদিকে আপনার জন্য দ্বীপভূমিতে ঘন রেইনফরেস্ট, নারিকেল গাছের সারি আর ঘোড়ায় চড়ে দ্বীপ ভ্রমণের আনন্দ তো বরাদ্দ আছেই। 

 

কিনতে পারবেন এই দ্বীপগুলো

দ্বীপের এত এত বর্ণনা শুনে শখ হতে পারে একটি কেনার। কিন্তু এগুলোর দাম কেমন, অবস্থান কোথায়- এগুলো প্রথমেই আপনাকে ভাবাবে। সে জন্য দেখে নিতে পারেন কোন কোন দ্বীপ বিক্রির জন্য ক্রেতা আকর্ষণ করছে।

 

► মধ্য আমেরিকার বেস্টিমেনটোতে রয়েছে মনোরম দ্বীপ ওয়াইল্ড কেনকি আইল্যান্ড। এ দ্বীপে মোট ৩.৪ একর জমি ও একাধিক ভবন রয়েছে। হেলিকপ্টারে করে সহজেই দ্বীপটিতে যাওয়া যায়। মনোরম এই দ্বীপটির মূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

► বাহামাস-এ অবস্থিত এ সোয়েইনস কে অ্যান্ড্রোস প্রাইভেট আইল্যান্ড। প্রচুর গাছপালা সমৃদ্ধ দ্বীপটির বিস্তৃতি ২.২ একর। এছাড়া দুই বেডরুমের একটি বাড়িও রয়েছে। দ্বীপটির মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ডলার।

► দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ফিজিতে অবস্থিত নুকুদ্রাউ আইল্যান্ড। ৪৬ একর বিস্তৃতির এই দ্বীপটি বিক্রির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

► ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডের দ্বীপ লভাংগো কে। দ্বীপটিতে প্রায় পাঁচ একর ভূমি রয়েছে। নিকটবর্তী বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ মিনিটেই হেলিকপ্টারে এ দ্বীপে পৌঁছানো যায়।

► নিকারাগুয়ায় অবস্থিত প্রাইভেট আইল্যান্ড ক্যায়ো ইগুয়ানা। প্রায় পাঁচ একর ভূমির এ দ্বীপটির মূল্য ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া রয়েছে একটি ভবনও।

 

ছুটি কাটাতে ভাড়াও পাওয়া যাবে

ঘোরাঘুরিতে যারা বরাবরই রুচিশীল তারা এই উপলক্ষে পকেটের টাকা দেদার খরচ করতে কার্পণ্য করেন না। শুধু পছন্দের লোকেশন হলেই হলো। কারও কাছে দিগন্তজোড়া নীলজল সাগরের গর্জন শুনতে শুনতে হারিয়ে যাওয়াটা পরম আরাধ্যের থাকে। তাদের জন্য উপযোগী হবে দূর সমুদ্রের বুকে সুনসান একটি দ্বীপ। ভ্রমণপিয়াসীদের এমন প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বের অনেক প্রাইভেট আইল্যান্ড কোম্পানি ভাড়া দিচ্ছে গোটা দ্বীপ। বাজেট একটু বেশি থাকলে দিনকয়েকের জন্য ভাড়া নিতে পারেন এমন একটা দ্বীপ। আর এদিক থেকে মধ্য আমেরিকার গ্ল্যাডেন প্রাইভেট আইল্যান্ডের পরিচিতি সবার কাছে। সবুজের ক্যানভাস ও নীল পানির কোলাজে পর্যটকদের মন ভোলাতে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দ্বীপটিকে। যান্ত্রিক কোলাহল নয়, এখানে কান পাতলেই শোনা যায় অচেনা পাখির কূজন আর দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির আহ্বান। বেলিজ শহরের উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপটি আয়তনে দেড় বিঘারও কম। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য রয়েছে গাছগাছালি ঘেরা ছোট্ট দুই কামরার একটি লাক্সারি রিসোর্ট। একই সঙ্গে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দেওয়ার প্রায় সব উপকরণই রয়েছে এই ছোট্ট পরিসরের মধ্যে। রয়েছে মাল্টি জিম, স্পা, বিউটি পার্লার। দ্বীপের চারদিকে নীল পানির মধ্যে রং-বেরঙের প্রবাল প্রাচীর দেখে মন ভরে যেতে বাধ্য।

ভাড়ায় পাওয়া আরেকটি উপযোগী দ্বীপ হতে পারে ইস্ট সিস্টার রক আইল্যান্ড। এখানে পাবেন কোলাহলমুক্ত মনোমুগ্ধকর সাগরের পরিবেশ। দ্বীপটি পুরোটাই সবুজ গাছে ঘেরা আর থাকার জন্য অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত কামরা। ফ্লোরিডা থেকে মাত্র তিন মিনিটের নৌপথ দূরত্বে অবস্থিত দ্বীপটি। এই দ্বীপে একরাত কাটাতে খরচ পড়বে ১ হাজার ৩৩৩ ডলার। অবকাশ কাটাতে বেলিজের লিটিল হারভেস্ট কেইসও পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে সৌন্দর্যের পসরা। মাত্র দেড় একর জায়গাজুড়ে তৈরি এই দ্বীপটি। ভ্রমণকারীরা এখানে এসে প্রাইভেট ওয়াটারকারে সমুদ্র ঘোরা, প্যাডেলবোট চালানো, ডাইভিং করা- এমনকি সল্টওয়াটার ফ্লাইফিশ করতে পারেন। এই দ্বীপের কর্মীরা সম্পূর্ণ আলাদা বাড়িতে থাকেন। ফলে দ্বীপে আগত অতিথিরা নির্বিঘ্নে একান্ত সময় কাটাতে পারেন। দ্বীপটিতে একসঙ্গে ১৪ জন রাত কাটাতে পারবেন। সে জন্য খরচ পড়বে ১ হাজার ৮৫৫ ডলার। এদিকে নিকারাগুয়ার পিংক পার্ল আইল্যান্ড হবে  যে কোনো ভ্রমনপিপাসুর জন্য শুধুই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। সাদা বালির এই দ্বীপটি কচ্ছপের আবাস হিসেবে বেশি পরিচিত। এই প্রবাল দ্বীপটি ডাইভিংয়ের জন্য খুবই জনপ্রিয়। দ্বীপটির মালিকের দাবি, এখানে কোনো মশার উপদ্রবও নেই। সবুজে ঘেরা পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত এই দ্বীপে একসঙ্গে ১২ জন একরাত কাটাতে খরচ পড়বে মাত্র ৫০০ ডলার।

 

সেলিব্রেটিদের মালিকানায়

যারা টপ সেলিব্রেটির তকমা গায়ে নিয়ে ঘোরেন তাদের কতই না আজব শখ থাকে। দামি অনুষঙ্গ, গাড়ি, বাড়ি ছাপিয়ে একটি দ্বীপের মালিক হওয়া সেখানে খুব বেশি অবাক করার বিষয় থাকে না। তবুও ব্যক্তিমালিকানায় দ্বীপ থাকা কম আলোচনার খোরাক হয় না ভক্ত ও সমালোচক সমাজে। অনেক সেলিব্রেটি আবার নিজেদের আলাদা এক উচ্চতায় দাঁড় করাতে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ ব্যয় করে কিনে নেন একটি দ্বীপ। বলিউড বাদশা শাহরুখ খানও এর ব্যতিক্রম নন। তার নিজস্ব মালিকানাধীন দ্বীপ রয়েছে দুবাইয়ে। ২.৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে তিনি এই দ্বীপটি কেনেন। দ্বীপটিকে শাহরুখ খানের ১৪ হাজার বর্গফিটের একটি দোতলা ভিলা রয়েছে। তাতে ছয়টি শোবার ঘরের সঙ্গে রিমোটে নিয়ন্ত্রিত দুটি গাড়ির গ্যারেজ রয়েছে। আমেরিকান অভিনেতা ও ফিল্মমেকার

নিকোলাস কেজ-এর বাহামার লিফ প্রবাল প্রাচীরে ৩.৬ মিলিয়ন ডলারের দীপপুঞ্জ রয়েছে। ২০০৬ সালে তিনি এটি কেনেন। এর আগেও তিনি প্যারাডাইস দ্বীপে একটি বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেন। এদিকে টাইটানিকখ্যাত লিউনার্দো ডি ক্যাপ্রিও

১.৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বেলিজে একটি দীপপুঞ্জ কিনেছেন। ২০০৫ সালে কেনা এই দ্বীপপুঞ্জে সৈকতের তীরে ৮০ রুমের একটি তারকা বিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব বাগানবাড়ি নির্মাণ করেন। পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ানের আলোচিত জলদস্যুর নিজস্ব একটি দীপপুঞ্জ থাকবে না তা কি হতে পারে? পর্দার এই জলদস্যু বাস্তবের জনি ডেপও একটি দ্বীপপুঞ্জের মালিক। তিনি ৩.৬ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বাহামার লিটল হল পন্ড কে’তে দ্বীপপুঞ্জের অংশ কিনেছেন। তার দ্বীপপুঞ্জের চারদিকে খেজুর গাছ রয়েছে এবং ছয়টি সাদা বালির সৈকত রয়েছে। প্রতিটি সৈকতে তার পরিবারের একেকজনের নাম দেওয়া হয়েছে। দ্বীপে হিথ লেজার-এর নামানুসারে ‘হিথ প্লেস’ নামের একটি জলাশয় রয়েছে। হলিউডের সেরা উপার্জনকারীদের মধ্যে অ্যাডি মারফি অন্যতম। ২০০৭ সালে তিনি ১৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বাহামার রুস্টার কে’তে জমি কেনেন। তার জমিতে এখন একটি রিসোর্ট রয়েছে।  আমেরিকান অভিনেতা মেল গিবসন ২০০৫ সালে তার বিতর্কিত চলচ্চিত্র প্যাশন অব খ্রিস্টের মুক্তি পাওয়ার পরপরই ১৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৫ হাজার ৪০০ একর জায়গার একটি দীপপুঞ্জ কেনেন। এটি ফিজির মাগো দ্বীপ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অত্যন্ত বিশাল একটি দীপপুঞ্জ এটি। তিনি সেখানে বিলাসবহুল অনেক কিছুই তৈরি করেছেন। দ্বীপের মালিকানা থেকে জুলিয়া রবার্টস, বিয়ন্সে নোয়েলস, ডেভিড কপারফিল্ড, শাকিরা, রিকি মার্টিনও বাদ পড়েননি। জুলিয়া কিনেছেন বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ও বিয়ন্সে কিনেছেন ফ্লোরিডা থেকে কয়েক মাইল দূরের একটি দ্বীপ। নিজের ২৯তম জন্মদিনে ১২.৬ একরের এই দ্বীপটি বিয়ন্সে কেনেন।

 

 

 

সর্বশেষ খবর