শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

টিকিট চেকার থেকে অধিনায়ক ধোনি

তানিয়া তুষ্টি

টিকিট চেকার থেকে অধিনায়ক ধোনি
আজকের মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশাল বাজেটের সিনেমা। তাতে দেখানো হয়েছে একজন নিম্নবিত্ত টিকিট চেকারের আজকের মহেন্দ্র সিং ধোনি হয়ে ওঠার গল্প চিত্র। জন্মেছিলেন ভারতের উত্তরাঞ্চলের আলমোড়া জেলার তলসালম একটি অচেনা অখ্যাত গ্রামে। টাইম ম্যাগাজিনের লেখক চেতন বাগত ধোনি সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘তিনি শুধু ভারতকে বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেননি, ১২০ কোটি ভারতীয়কে শিখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে বিশ্বকে জয় করা যায়।’
আজকের রকমারি আয়োজনে থাকছে টিকিট চেকার থেকে এম এস ধোনি হয়ে ওঠার গল্প।

 

ক্রিকেটে হাতেখড়ি

ক্রিকেটে ধোনির হাতেখড়িটা হয় স্কুলে পড়ার সময়ে। বাবা পন সিংয়ের রাঁচির একটি স্টিল কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে সেখানকার স্কুলে পড়াশোনা করতেন ধোনি। প্রথমদিকে ফুটবলের প্রতি টান ছিল তার। ইচ্ছা ছিল ভালো গোলকিপার হওয়ার। এক সময় ব্যাডমিন্টন, হকি ও টেবিল টেনিসের প্রতি নেশা চেপে বসে। ধোনি যে স্কুলে পড়াশোনা করতেন সেই স্কুলে একজন বাঙালি শিক্ষক ছিলেন। তিনি স্কুলের একটি ক্রিকেট টিম তৈরি করেন।

কিন্তু তার দলের কোনো উইকেটকিপার ছিল না। তাই তিনি ধোনিকে উইকেটকিপার হিসেবে খেলার কথা বলেন। ধোনি তার কথায় রাজি হয়ে উইকেটকিপার হিসেবে যোগ দেন সেই ক্রিকেট টিমে। উইকেটকিপার হিসেবে যোগ দিলেও অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন ধোনি। এভাবেই স্কুল জীবনে ক্রিকেট খেলায় হাতেখড়ি হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। ১৫ বছর বয়সে সুযোগ পান বিহার দলে। বয়সের কোঠা ১৯ এর ঘরে পৌঁছলে অভিষেক ঘটে ‘রনজি ট্রফিতে’। এরপর সুযোগ হয় ‘পূর্বাঞ্চল’ টিমে।

 

ছিলেন টিকিট চেকার

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়কের খ্যাতি রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। কিন্তু জাতীয় দলে ঢোকার আগে তিনি ২০০১-২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ট্রেনের টিকিট চেকার ছিলেন। রেল বিভাগের হয়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়েই লম্বা চুলের এই তরুণ নজরে পড়ে যান সবার। অবশ্য ম্যাচ খেলতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছিলেন তিনি। সেটাই যেন জীবন বদলে দিল ধোনির। ২০০৪ সালে নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দুটি সেঞ্চুরি করে নিজের ভাগ্য বদলে নেন মি. কুল। একই বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক।

 

শুরুটা ছিল খুবই বাজে

২০০৭ সালে ভারতেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৭-০৮ সালে সিবি সিরিজ, ২০০৮ সালে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় হয়েছে তার অধিনায়কত্বে। ২০১০-এ এশিয়া কাপ, ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় দিয়ে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি ট্রফিই জিতেছেন ধোনি তার অধিনায়কত্বে।

২০০৯ থেকে ২০১১ আগস্ট পর্যন্ত টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের প্রথমবারের মতো ১ নম্বরে ওঠা তার অধীনেই। এখন পর্যন্ত টেস্ট এবং ওয়ান-ডে ইন্টারন্যাশনালে তার রেকর্ড ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সেরা। কিন্তু শুরুটা ছিল একেবারে বাজেভাবে। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন বিনা রানেই। তবে লড়াকু এই ক্রিকেটার জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েননি। বিহার ও ভারতীয় ‘এ’ দলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৩ বলে ১৪৮ রানের অসাধারণ ইনিংসটির পরই সবার নজরে পড়েন ধোনি। এরপর শুধুই এগিয়ে চলা।

 

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার

বিশ্বের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্বের সেরা ধনী ক্রিকেটার। দুই কোটি ৬৫ লাখ ডলার উপার্জন করে তালিকায় প্রথম স্থানটা দখল করে নিয়েছেন ধোনি। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে আয় করেছেন দুই কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ক্রিকেট খেলে আয় করেছেন ৩৫ লাখ ডলার। তালিকায় বলা হয়েছে ধোনি বাণিজ্যিকভাবে যে দুই কোটি ৩০ লাখ ডলার আয় করেছেন সেটাই ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এই তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অ্যাথলেটদের তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তালিকায় ধোনির এই অবস্থান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও অন্যতম সফল দৌড়বিদ উসাইন বোল্টকেও পেছনে ফেলে দেয়। এমনকী টেনিসের রাজপুত্র রাফায়েল নাদালও ধোনির কাছে ম্লান হয়ে যায়।

 

ধোনির জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র

মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করছেন পরিচালক নীরাজ পান্ডে। ‘এম এস ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে ধোনির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে একটি ছোট শহর থেকে ধোনির আন্তর্জাতিক তারকায় পরিণত হওয়ার সব কিছুই তুলে ধরা হয়েছে। তার সাফল্যের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে রাখা হয়ে বিভিন্ন চরিত্রে।

 

বিজ্ঞাপন চিত্রে ধোনি

ক্রিকেটের সফলতাকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপনের বাজারে একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে ধোনির। বিজ্ঞাপন বাণিজ্যে বলিউড কিং শাহরুখ খানের পরই রয়েছেন তিনি। টেক্কা মেরেছেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চনকেও। এ মুহূর্তে তিনি চুক্তিবদ্ধ পেপসি, রিবক, এক্সাইড, টিভিএস মোটরস, মাইসুর সোপ, ভিডিওকন, রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, রিলায়েন্স এনার্জি, ওরিয়েন্ট পিএসপিও, ভারত পেট্রোলিয়াম, টাইটান সোনাটা, ব্রিলক্রিম, এনডিটিভি, জিই মানি, সিয়ারাম, বিগ বাজার, মাহা চোকো, বুস্ট, দৈনিক ভাস্কর, ডাবর হানি, কলকাতা ফ্যাশন উইক, এয়ারসেল, নোভা স্টটিয়া আর অমরাপল্লী কোম্পানির সঙ্গে। এখন ভারতের সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় তিনিও একজন।

 

সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় অধিনায়ক যিনি ২০০৭ সালে ভারতকে টি-২০ চ্যাম্পিয়ন, ২০১১ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছেন। এসব ট্রফির রাজসাক্ষী ধোনি আর তার হাত ধরেই আসে এসব ট্রফি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক ধোনি টি-২০ চ্যাম্পিয়ন করানোর পর থেকে এ না পাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের আশা ব্যক্ত করেন। অবশেষে তাও পূরণ করে একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে তিনটি ট্রফি ঘরে তোলার গৌরব অর্জন করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ৫০ ওভারের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ, আইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি, টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে সেরা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হাতে তুললে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেনের জায়গায় বসে পড়বেন অনায়াসে। একমাত্র রিকি পন্টিং তার সঙ্গে তুলনীয়। পন্টিংয়ের সময়ে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ধরনের ক্রিকেটেই এক নম্বরে থেকেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভাগ্য হয়নি পন্টিংয়ের। তাইতো ধোনি সর্বকালের সেরা একজন অধিনায়ক।

 

জন্ম ও পরিবার

১৯৮১ সালের ৭ জুলাই ঝাড়খন্ডের রাঁচি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার ডাকনাম মাহি। ধোনির বাবা পন সিংয়ের জন্মস্থান ভারতের উত্তরাঞ্চলের আলমোড়া জেলার তলসালম গ্রামে। ভালো চাষাবাদ না হওয়ায় অল্প লেখাপড়া জানা ধোনির বাবা একটি চাকরির আশায় চলে যান উত্তরপ্রদেশের লখনৌয়ে। সেখানে কাজ না জোটায় তিনি চলে যান ঝাড়খন্ডের বোকারো। কিন্তু এখানেও কোনো কাজ জুটল না। তাই আবার একটা কাজের আশায় পাড়ি জমালেন ঝাড়খন্ডেরই রাঁচিতে। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন স্টিল কোম্পানিতে। তার মায়ের নাম দেবকী। ধোনিরা তিন ভাইবোন। ধোনির বড় এক ভাই ও বোন রয়েছে।

 

প্রেম

এম এস ধোনির জীবনেও আছে এক বিয়োগান্তক প্রেমের গল্প। একে অপরকে ভালোবেসেছিলেন গভীরভাবে। একে অপরের সঙ্গী হবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল দুজনের। তখনো ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেননি তিনি। ২২-২৩ বছর বয়সী ঝাড়খন্ডের তরুণ খেলোয়াড়টি লড়ছেন জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে। ধোনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার বার্তা দিচ্ছেন, তখনই ঘটে দুর্ঘটনাটি। এক সড়ক দুর্ঘটনায় পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তার প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা ঝা। দেশে ফিরে তিনি জানতে পেরে মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন, প্রায় এক বছর স্বাভাবিকই হতে পারেননি ভারতীয় এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। কাছের সব মানুষ তো ভেবেই নিয়েছিল ক্রিকেটই বোধ হয় ছেড়ে দেবেন মাহি। কিন্তু মানসিক বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। আবারও ফিরে এসেছেন ক্রিকেটে। তারপর সময় যত গড়িয়েছে, ততই মেখেছেন সাফল্যের গৌরব। ব্যক্তি জীবনেও সঙ্গী হয়ে আসেন সাক্ষী সিং রাওয়াত।

 

ক্যারিয়ার

পরিসংখ্যান

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ধোনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি তার শেষ টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। ক্রীড়া-ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের জন্য এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড ২০১৪ পেয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক ধোনি। এছাড়া মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করে ভারত সরকার। ছোটবেলায় সেনা বাহিনীতে যোগদানের স্বপ্ন ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির। ক্রিকেটের ব্যস্ততা না থাকলে মহেন্দ্র সিং ধোনি প্রায় বনে যান ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য। এর মধ্যেই লেফটেন্যান্ট কর্নেল খেতাবও পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ফিল্ডিং পজিশন ছিল উইকেটকিপার। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটান ২৩ ডিসেম্বর ২০০৪। তার টেস্টে অভিষেক হয় ২ ডিসেম্বর ২০০৫, প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। ৭৭টি টেস্টে রান গড়েন ৪২০৯। গড় রান রেট ছিল ৩৯.৭০ ও ক্যাচ ২১২টি। ২২৪টি ওয়ানডেতে রান তোলেন ৭২৮৬। গড় রেট ছিল ৫১.৩০ ও ক্যাচ ২১১টি। তিনি টি-টোয়েন্টি খেলেন ৪২টি। রান আসে ৭৪৮, গড় রেট দাঁড়াং ৩১.১৬ এবং ক্যাচ ২১টি। ওয়ানডেতে তার রেকর্ডের পরিমাণ অনেক। ৩১ অক্টোবর, ২০০৫ তারিখে ধোনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়পুরে সয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে ১৪৫ বলে অপরাজিত ১৮৩ রান করেন যা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা দলের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।

ওই ইনিংসে তিনি ১০টি ছক্কা মারেন যা ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয়। রোহিত গুরুনাথ শর্মা মেরেছিলেন ১২টি ছক্কা। এ ছাড়াও ধোনির ব্যাটিং গড় একদিনের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালের জুনে আফ্রো-এশিয়া কাপে এশিয়া একাদশের পক্ষে এম এস ধোনি-মাহেলা জয়াবর্ধনে জুটি ষষ্ঠ উইকেটে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে ২১৮ রান করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন। সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে শন পোলকের গড়া রেকর্ড ভেঙে ধোনি ১৩৯ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস করেন। এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত খেলায় ছয়টি আউটে (পাঁচটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং) অবদান রেখে ধোনি ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে প্রথম এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বরেকর্ডধারী খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। তিনি ২৪ আগস্ট ২০০৮ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাবেক উইকেটরক্ষক নয়ন মোঙ্গিয়ার ১৫৪টি আউটকে অতিক্রম করে ভারতীয় রেকর্ড গড়েন। এডাম গিলক্রিস্ট, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, অ্যালেক স্টুয়ার্ট, মার্ক বাউচার এবং কুমার সাঙ্গাকারার পর বিশ্বের ষষ্ঠ উইকেটরক্ষক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪ হাজার রান ও ১০০ আউট করে একদিনের ক্রিকেটে ডাবল অর্জনকারী খেলোয়াড়। এ ছাড়াও, মাত্র ১১৪ ম্যাচ খেলে তিনি ডাবল অর্জন করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

সর্বশেষ খবর