বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি

ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি

বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক মুকেশ আম্বানি শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদশালী মানুষের একজন। তার সমুদয় সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য হচ্ছে ৫১.৬ বিলিয়ন ডলার। অথচ মুকেশ এবং তার পরিবার প্রথমে মুম্বাইয়ের ভুলেশ্বর এলাকায় দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। তাদের এ বাসাকে আমেরিকানদের ভাষায় টেনাম্যান্ট বলা যায়। যখন ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে রিলায়েন্স কোম্পানি বড় হয়ে উঠতে লাগল তখন আম্বানির পরিবার মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় উঠে আসে। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে ব্যবসায়িক প্রসার। বর্তমানে মুকেশ আম্বানির তৈরি বাসভবনটি বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির একটি। লিখেছেন- সাইফ ইমন

 

এক সময় থাকতেন দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টে

গত বছর ডিসেম্বরে ভারতসহ বিশ্বের নানা গণমাধ্যম একটি বিয়ের খবরে সরব হয়। সেটি ছিল ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি মেয়ে ইশা আম্বানির বিয়ে। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ২০০টি বিমান ভাড়া করাসহ রাজস্থানের উদয়পুরে মেয়ের বিয়েতে বিমানে আগত অতিথিদের জন্য এক হাজার গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে এমন আনন্দ যজ্ঞের ইতিহাস শুধু মুকেশ আম্বানির পক্ষেই করা সম্ভব। রিলায়েন্স কোম্পানি, ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়িক অনন্য উচ্চতার মাধ্যমেই আজ ভারতের শীর্ষ ধনীদের একজন মুকেশ আম্বানি। এই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানি। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যবসা জগতের সেরাগুলোর একটি। ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তিনি রিলায়েন্স গ্রুপকে। ব্যবসায়িক উন্নতির সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থবিত্ত, সম্মান-মর্যাদা। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় নিজের জায়গাটা বেশ শক্ত করেই ধরে রেখেছেন তিনি।

এরই ধারাবাহিক সাফল্যের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনে ধনী পরিবারের তালিকায় ১৩তম শীর্ষ ধনী-অবস্থান করছেন তিনি। ২০১২ সালে ফোর্বস ক্রীড়া দলের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মালিক হিসেবে তার নাম প্রকাশ করে। এ দিকে কয়েকদিন আগে ছোটভাই অনিল আম্বানির সম্পত্তির বড় একটি অংশ কিনে নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি।

আর ভারতের হিসাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তিনিই। মুকেশ আম্বানির পরিবার ভারতীয় হলেও তার জন্ম কিন্তু ইয়েমেন দেশে। জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ধনকুবের এই ব্যক্তির বাবার নাম ধিরুভাই আম্বানি এবং মায়ের নাম কোকিলাবেন আম্বানি। তিনি তার বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। অনিল আম্বানি নামে মুকেশ আম্বানির আরও এক ভাই ও দুই বোন রয়েছে। মুকেশ ১৯৮৫ সালে নীতা আম্বানির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা। বড় পুত্র অনন্ত আম্বানি এবং ছোট পুত্র আকাশ আম্বানি রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের কৌশলগত বিভাগের প্রধান। কন্যা ইশা আম্বানি জিও ও রিলায়েন্স রিটেলের বোর্ড মেম্বার। ২০১৭ সালের মার্চে রাজদীপ সারদেশাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ জানিয়েছেন তার প্রিয় খাদ্য ইদলি সামবার এবং তার প্রিয় রেস্তোরাঁ হলো মুম্বাইয়ের কিং সার্কেলের মহিসূর ক্যাফে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সালে ইউডিসিটির ছাত্র থাকাকালীন মুকেশ মহিসূর ক্যাফেতে নিয়মিত খেতে যেতেন।

ভারতের সেরা এই ধনীর বিত্তের কোনো শেষ নেই। তার বাড়িতে রয়েছে বহুতল গ্যারেজ। সেখানে ১৬৮টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ভবনে তিনটি হেলিপ্যাডও রয়েছে। মুকেশ আম্বানির বাড়ির অষ্টমতলায় আছে একটি ব্যক্তিগত মুভি থিয়েটার। এখানে ৫০ জন মানুষ একযোগে বসে সিনেমা দেখতে পারে। আরও রয়েছে তুষারপাতের কক্ষ যেখানে চাইলেই বসে তুষারপাত উপভোগ করা যায়। কৃত্রিমভাবে সেখানে তুষারপাতের ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়া এ প্রতিষ্ঠান এখন ভারতের সবচেয়ে বড় টেলিকম অপারেটর কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মাত্র ১৭০ দিনে সাবস্ক্রাইবারের ভিত্তিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায় এর আয়। আরও রয়েছে সাড়ে আট কোটি রুপির বিএমডব্লিউসহ গাড়ির বহর।

 

বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক

প্রথম বেতন ৩০০ রুপি

এশিয়া মহাদেশের শীর্ষ ধনী পরিবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ভারতের মুকেশ আম্বানি পরিবারকে। কিন্তু শূন্য থেকে কীভাবে এই পরিবার এশিয়ার শীর্ষ ধনী পরিবারে পরিণত হলো তার কারিগর মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরাজলাল হীরাচাঁদ আম্বানি, যিনি সবার কাছে ধিরুভাই আম্বানি নামে পরিচিত। তিনি ১৯৩২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভারতের গুজরাটের জুনাগড় জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হীরাচাঁদ ছিলেন সামান্য স্কুলশিক্ষক। ধিরুভাই ছোট বেলাতেই বুঝতেন বাবার সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। ধিরুভাই আম্বানিকেও ভারতীয় শিল্প ইতিহাসের নায়ক বলেই মানা হয়। ধিরুভাইয়ের বড় ভাই রামনিক লাল আম্বানি কাজ করতেন ইয়েমেনের বন্দরনগরী এডেনে। আম্বানি চলে গেলেন এডেনে। সেখানে বড় ভাইয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ধিরুভাই আম্বানি যখন ইয়েমেনে পাড়ি জমান তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। তার প্রথম মাসের বেতন ছিল ৩০০ রুপি। ধীরে ধীরে তেলের ব্যবসা সম্পর্কে বেশ ভালো জ্ঞান লাভ করেন। ধীরুভাই আম্বানির কাজের দক্ষতা দেখে তাকে বিক্রয় ব্যবস্থাপক করে দেন পেট্রলপাম্পের মালিক। কিন্তু এ কাজ বেশি দিন করেননি আর। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় মার্চেন্ডাইজিং ফার্ম বিজ অ্যান্ড কোম্পানিতে। সেখানে কাজ করেন প্রায় পাঁচ বছর। কিছু পুঁজি হাতে নিয়ে আট বছর পর এডেন ছেড়ে ফিরে আসেন ভারতে। নিজে একটি কারখানা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ব্যাংকগুলোর পেছনে পেছনে ঘুরে বেড়ান। সবাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে তিনি বিনিয়োগকারীর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এতেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চোখে পড়েন তিনি। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রিলায়েন্স গ্রুপ। মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানির হাতে গড়ে ওঠে রিলায়েন্স যা আজ বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে।

 

কত টাকা বেতন পান তিনি?

মুকেশ আম্বানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্ণধার হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ ৫১.৬ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া তার এই ব্যবসার আরও অংশীদার রয়েছে। টেক্সটাইল, তেল এবং সব শোধনাগারের ব্যবসা তার হাতে। ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির দৈনিক আয় ১১ কোটি রুপি। গত ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের হিসাবে তার কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (আরআইএল) সম্পদের পরিমাণ ৪,০১,৩০২ কোটি রুপি। এর আগের অর্থবছরে ছিল ৩,৭১,১১৯ কোটি রুপি। রিলায়েন্সের এসব ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি যে বার্ষিক বেতন পান তার পরিমাণ ২৪ কোটি টাকা। মাসের হিসেবে দাঁড়ায় দুই কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের যে ভাতা পান তার পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা। দিনে দিনে এই আয়ের পরিমাণ শুধু বাড়ছেই।

 

১ বিলিয়ন ডলারের বাড়ি

মুকেশ আম্বানির তৈরি বাসভবনটি বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির একটি। এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অতিকায় এ বাসভবনটির নাম মুকেশ প্রাসাদ ‘আন্তিলা’। আন্তিলা ভবনটি মোট চার লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায়। যদিও একসময় দুই রুমের ফ্ল্যাটে সংসার পেতেছিলেন তিনি। আর এখন আন্তিলায় ফ্লোর সংখ্যা ২৭। ২০০২ সালে মুকেশ আম্বানি মুম্বাই নগরীতে ৪৯ হাজার বর্গফুট জায়গা কিনে নেন। সাত বছরের নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে একশত কোটি ডলার। বাড়িটির উচ্চতা ১৭৩.১২ মিটার, যা ৬০তলা দালানের উচ্চতার সমান। যার প্রথম ৬তলা নির্ধারণ করা হয়েছে কার পার্কিং স্পেস হিসেবে।

 

 

 

তেল-গ্যাস-টেক্সটাইল আর টেলি-যোগাযোগ ব্যবসায় আধিপত্য

 


 

সাময়িক ভাটা

রিলায়েন্সের গতি সাময়িকভাবে রুদ্ধ হয় আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানির মৃত্যুবরণ করার পর। ২০০২ সালে তিনি মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাই মুকেশ ও অনিলের মধ্যে ব্যবসা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। কোম্পানির মালিকানাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এই দূরত্ব হয়। তবে এই বিরূপ পরিস্থিতি সাময়িক ভাটা নেমে আসে তাদের ব্যবসায়। তবে এই দ্বন্দ্ব বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন তাদের মা। মা কোকিলাবেন আম্বানির সরাসরি হস্তক্ষেপে একটি মধ্যস্ততা হয়। মধ্যস্ততার মাধ্যমে অনিল রিলায়েন্সের টেলি-কমিউনিকেশন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং বিনোদনের মালিকানা পান। মুকেশ পান কোম্পানির তেল, টেক্সটাইল এবং সব শোধনাগারের ব্যবসা। এখন রিলায়েন্স পৃথিবীর বৃহত্তম তেল শোধনাগার নির্মাণ করেছে। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বেই তেল এবং জ্বালানি সমৃদ্ধ হয়েছে ভারত। মুকেশ আম্বানি তার স্বপ্নকে ছড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফোর্বস সাময়িকী প্রতি বছর ভারতের শীর্ষ ১০০ ধনীর এই তালিকা প্রকাশ করে। বিগত ১০ বছর ধরেই শীর্ষস্থান দখল করে আছেন মুকেশ আম্বানি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভারতে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে বছরের পর বছর তালিকার শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার।

 

অনন্য রিলায়েন্স

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরআইএল) একটি ভারতীয় বহু সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানি যার সদর দফতর মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত। রিলায়েন্স জ্বালানি, পেট্রো-কেমিক্যালস, টেক্সটাইল, প্রাকৃতিক সম্পদ, খুচরা এবং টেলি-যোগাযোগ জড়িত ভারতীয় মালিকানাধীন ব্যবসা। রিলায়েন্স ভারতের অন্যতম লাভজনক কোম্পানি। বর্তমানে মুকেশের দেশ ভারত গোবর পুড়িয়ে যে জ্বালানি উৎপাদন করে তাতেও তার অবদান রয়েছে। রিলায়েন্স এখন পৃথিবীর বৃহত্তম তেল শোধনাগার নির্মাণ করেছে। ২০১৩ সালে ভারত পৃথিবীর তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে ২৩তম অবস্থান অর্জন করেছে। আম্বানির নেতৃত্বে তেল এবং জ্বালানি বিশ্বে রিলায়েন্স একটি সমৃদ্ধশালী নামে পরিণত হয়েছে। কোম্পানি ভারতবাসীর খাবারের জন্য ৭০০টি দোকান খুলেছে। আম্বানির প্রতিশ্রুতি যে, এসব দোকানের মাধ্যমে ভারতের জমকালো নগরী থেকে প্রান্তিক এলাকায় অর্থ পৌঁছে যাবে। আগামী পাঁচ বছরে আম্বানির লক্ষ্য, রিলায়েন্স প্রতি বছর ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করবে এবং ১৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ভারতীয়র চাকরির ব্যবস্থা করবে। এমনকি নতুন আঙ্গিকে রিলায়েন্সের ক্ষমতা গ্রহণের পর আম্বানি পেট্রো-কেমিক্যাল, তেল, গ্যাস এবং টেক্সটাইলের ব্যবসায় আধিপত্য ধরে রাখতে চান। ভারতের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় রিলায়েন্সের মুদির দোকানগুলো কৃষককে আরও উৎপাদনশীল করে তুলছে।

 

ভারত চলবে ২০ দিন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ধনীরা তাদের সম্পদ দিয়ে কত দিন দেশ চালাতে পারবেন? এমন কৌতূহল এসেই যায়। আর এ বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স এবং আন্তর্জাতিক তথ্য ভান্ডার। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের শীর্ষ ধনী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি তার সম্পদ দিয়ে ২০ দিনের মতো দেশ চালাতে সক্ষম। তার সম্পদের পরিমাণ ৫১.৬। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে আজ বুধবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে কেবল মুকেশ আম্বানিকে নিয়েই পর্যালোচনা করা হয়নি। বিশ্বের তাবৎ শতকোটি-পতিদের নাম এসেছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, নিজের সম্পদ দিয়ে সবচেয়ে বেশি দিন দেশ চালাতে পারবেন জন ফ্রেডরিকসন। সাইপ্রাসের এই শীর্ষ ধনকুবের ১০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক। যা দিয়ে তিনি ৪৪১ দিন দেশ চালাতে সক্ষম। এরপর রয়েছে হংকংয়ের ধনকুবের লি কা শিং। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি এই সম্পদ দিয়ে ১৯১ দিন দেশ চালাতে পারবেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর বিলিয়নিয়র কার্লোস স্লিম। তার সম্পদের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তার এই সম্পদ দিয়ে ৮২ দিন মেক্সিকোকে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন তিনি। স্পেনের শীর্ষ ধনী অ্যামনেসিও ওর্তেগা ৪৮ দিন দেশ চালাতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর