বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

দামি যত রেস্টুরেন্ট

রেস্টুরেন্ট শব্দটি ফরাসি ভাষার। যার উৎপত্তি ‘রেস্ত্রোরঁ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ দাঁড়ায় গুদামজাত করা। বর্তমানে সুস্বাদু নানা খাবার পাওয়ার স্থান হিসেবে রেস্টুরেন্ট শব্দটি আমাদের কাছে অতি পরিচিত। বিশ্বের দামি যত রেস্টুরেন্ট নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।

তানিয়া তুষ্টি

দামি যত রেস্টুরেন্ট

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি স্পেনের সাবলিমোশন

মাঝে মাঝেই আমরা শখের বশে কিংবা সামাজিকতা রক্ষার্থে বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্টে খেতে বসি। কখনো কি মনে হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্ট কোনটি? প্রশ্নটি যদি মাথায় এসেই থাকে তবে তার উত্তর জেনে নিন। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্ট হিসেবে স্বীকৃত সাবলিমোশন। এটি স্পেনের ইবিজা দ্বীপের হার্ডরক হোটেলের ভিতরে অবস্থিত। মাত্র ১২ সিটের এ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১২ জন খেতে বসতে পারেন। মেশিলিন স্টারপ্রাপ্ত শেফদের তৈরি করা খাবার নিয়ে ২০১৪ সালে রেস্টুরেন্টটি কার্যক্রম শুরু করে। মেশিলিন স্টার মূলত ফ্রান্সের একটি শতবর্ষী পুরনো প্রতিষ্ঠান; যা প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট যাচাই করে তাদের নতুন স্টার দেয় অথবা আগের স্টার ছিনিয়ে নেয়। ৩টি স্টার পাওয়া রেস্টুরেন্ট এবং এর শেফরা সবচেয়ে সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার ভাবতে পারেন এত ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খরচ কেমন হতে পারে? তাহলে চোখ ছানাবড়া করা আরেকটি তথ্য দেওয়া যাক, এখানে একবেলা খেতে হলে পকেট থেকে খসে যাবে জনপ্রতি অন্তত ২ হাজার ডলার। যা প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকারও বেশি। ভাবছেন রেস্টুরেন্ট ছোট হলেও নিশ্চয় খাবার পরিবেশন হয় হাজার পদের। না, মাত্র ১৫ থেকে ২০ ধরনের খাবার পরিবেশন হয় এখানে। রেস্টুরেন্টের প্রধান শেফ প্যাকো রেনচেরো তিন তারকা প্রাপ্ত একজন বিখ্যাত শেফ। ব্যয়বহুল এ রেস্টুরেন্টে খাবারের সঙ্গে থাকে অত্যাধুনিক সব গ্যাজেট, সুন্দর শিল্পকলা এবং মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। প্রতিটি খাবার পরিবেশনের সঙ্গে তার ধরনের ওপর নির্ভর করে ঘরের পরিবেশও পরিবর্তন হয়ে যায়। খাবার গ্রহণের সময় অতিথিদের দেওয়া হয় একটি স্যামসাং ভিআর। এর মাধ্যমে তারা মনোমুগ্ধকর এক দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে পারে। ফলে মুখরোচক খাবারের সঙ্গে রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা অর্জন হয় তাদের। আর সে জন্য অতিথিদের কেউ কেউ বলেন, যে অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে এখানে তার কাছে খাবারের জন্য পরিশোধকৃত অর্থের পরিমাণ কিছুই নয়।

 

ইথা আন্ডার সি, মালদ্বীপ

বিশ্বের দামি রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে সমুদ্রের নিচের ইথা রেস্টুরেন্ট অন্যতম। এটি বিশ্বের প্রথম সমুদ্রতলদেশীয় রেস্তোরাঁ, যা মালদ্বীপের রাঙ্গালি দ্বীপে অবস্থিত। সমুদ্রের ১৬ ফুট নিচে কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি আইল্যান্ড হোটেলে তৈরি করা হয় সম্পূর্ণ কাচে ঘেরা এ রেস্তোরাঁ। সমুদ্রের নোনা পানির কারণে যাতে এ রেস্তোরাঁ ক্ষয় হয়ে না যায়, সে জন্য স্টিলের কাঠামোর ওপর জিংক বা দস্তার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে নকশা এবং তৈরি করা টানেলের মতো এ রেস্টুরেন্টটিকে মালদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০০৫ সালে চালু করা রেস্টুরেন্টটি একসঙ্গে মাত্র ১৪ জন অতিথিকে খাবার পরিবেশন করতে পারে। প্রতিদিন দুপুরে এবং রাতে যথাক্রমে চার এবং ছয় ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে। ক্যাভিয়ার ও মালদ্বীপের গলদা চিংড়ি থাকে তাতে। মেন্যুতে থাকা অন্যান্য খাবার এশিয়ান এবং ইউরোপিয়ান রীতির মিশ্রণে তৈরি করা হয়। সমুদ্রের নিচে ১৮০ ডিগ্রি প্যানরোমিক ভিউতে বসে পানির নিচের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখা আর খাবার খাওয়ার স্বাদ নিতে পারেন আগত অতিথিরা। এখানে একবেলা খেতে আপনাকে খরচ করতে হবে অন্তত ৩২০ ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৭ হাজার টাকা।

 

মাসা, যুক্তরাষ্ট্র

একটি পরিমার্জিত, আধুনিক ও সুসজ্জিত জাপানি বার এবং রেস্তোরাঁর সব বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ রেস্টুরেন্ট মাসা। নিউইয়র্কের টাইম ওয়ার্নার সেন্টারে অবস্থিত এ রেস্টুরেন্টটি। তিন তারকা পাওয়া জাপানি শেফ মাসা তাকাইয়ামার হাত ধরে ২০০৪ সাল থেকে চলছে রেস্টুরেন্টটি। এখানে জাপানি খাবারের অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। তবে খেতে চাইলে অন্তত তিন ঘণ্টা আগে অর্ডার করতে হয় যাতে খাবার সুন্দরভাবে পরিবেশন করা যায়। এ রেস্টুরেন্টে কোনো নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা নেই। অতিথিরা বসার পর শেফ একের পর এক তরতাজা ও সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করতে থাকে। কোনো প্রকার পানীয় কিংবা খাবার শেষে টিপস বাদেই জনপ্রতি খরচ হবে ৫৯৫ মার্কিন ডলার বা ৫০ হাজার ২৬৮ টাকা। আপনি যদি খাবার অর্ডার বাতিল করতে চান তবু দিতে হবে ২০০ ডলার। খরচের জন্য রেস্টুরেন্টটিকে বিশ্বের অন্যতম দামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রিজার্ভের জন্য রাখা ২৬টি আসন কমপক্ষে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই বুকিং চলে। শেফ মাশা তাকায়ামা নিজের মতো করেই সব খাবারের মেন্যু প্রস্তুত করেন। ট্রাফলস এবং কোবে গুরুর মাংসের মতো আমদানিকৃত অনেক উপাদান ব্যবহার করেন তিনি। বেশিরভাগ মাছ জাপান থেকে নিয়ে যান। ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে রেস্টুরেন্টটির দ্বিতীয় শাখা ‘বার মাসা’ খোলা হয়। খাবারের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টটির নান্দনিক পরিবেশও আপনার মন ভুলিয়ে দেবে। এর দেয়াল তৈরি করা হয়েছে জাপানের ওয়া চুনাপাথর দিয়ে। এখানকার তাকগুলো তৈরি করা হয়েছে আফ্রিকার বুবিংগা কাঠের শক্ত তক্তা দিয়ে। আড়ম্বরপূর্ণ এমন রেস্টুরেন্ট যে কারও মন ভুলিয়ে দেবে।

 

মাসোঁ পিক, ফ্রান্স

১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট মেশন পিক। ফ্রান্সের ভ্যালেন্সে অবস্থিত মেশন পিক রেস্টুরেন্টটি শীর্ষ পাঁচ তারকা হোটেল ও রেস্তোরাঁ। শুরু থেকেই পিক পরিবারের হাত ধরে চলে আসছে রেস্টুরেন্টটি। চার প্রজন্ম ধরে চলে আসা রেস্টুরেন্টটির বর্তমান প্রধান শেফ অ্যানে সোফি পিক। ২০০৭ সালে তিনি ফ্রান্সের প্রথম এবং ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ নারী হিসেবে মেশিলিন তিন তারকা পান সোফি। এর আগে তার বাবা এবং দাদাও তিন তারকা পেয়েছিলেন। আধুনিক এবং ক্ল্যাসিকাল খাবারের মিশ্রণে খাবার পরিবেশন করেন সোফি পিক। একবিংশ শতাব্দীতে বসে বিংশ শতাব্দীর রন্ধনশৈলীর খোঁজ মেলে এ রেস্টুরেন্টে। তবে অন্তত ৪৪৫ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা খরচ করতে হবে সেই খাবারের স্বাদ পেতে হলে।

১৮৮৯ সালে ইউজিন ও সোফি পিক রেস্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করে। রেস্তোরাঁটি প্রথমে তাদের ছেলে আন্দ্রে পিকের অধীনে ১৯৩৯ সালে মর্যাদাপূর্ণ ৩ মাইকেলিন তারকা অর্জন করেছিলেন। এটি ১৯৪৬ সালে তার তৃতীয় তারকা এবং ১৯৫০ সালে এটির দ্বিতীয় তারকাটি হারাতে শুরু করে। আন্দ্রের ছেলে জ্যাক পিক প্রথমদিকে শেফ হতে চাননি। অবশেষে রেস্টুরেন্টটির মর্যাদা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শেফ হিসেবে প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জ্যাকের অধীনে রেস্তোরাঁটি ১৯৫৯ সালে এবং তার তৃতীয় তারকা ১৯ ১৯৭৩ সালে ফিরে পেয়েছিল। জ্যাকের মৃত্যুর তিন বছর পরে ১৯৯৫ অবধি এটি রেটিংটি রেখেছিল, তার পরে এটি তৃতীয় তারকা হারাতে থাকে। ১৯৯৭ সালে, জ্যাকের মেয়ে অ্যানে সোফি পিক তার ভাই আলাইন পিকের কাছ থেকে রেস্তোঁরাটি গ্রহণ করেছিলেন এবং ২০০৭ সালে এটি তৃতীয় তারকা ফিরে পেয়েছিল।

 

গর্ডন রামসে, যুক্তরাজ্য

গর্ডন রামসে একজন ব্রিটিশ সেলিব্রেটি শেফ, রেস্তোরাঁ পরিচালক এবং টিভি ব্যক্তিত্ব। যারা মাস্টারশেফ দেখেন তাদের কাছে গর্ডন রামসে বেশ পরিচিত একটি নাম। তিনি বহুসংখ্যক রেস্তোরাঁর অগ্রণী এবং রান্নার জন্য পেয়েছেন মোট ১৫টি ‘মিশেলিন স্টার’। তবে এ বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের খ্যাতি মূলত ‘হেলস কিচেন’, ‘মাস্টারশেফ’, ‘মাস্টারশেফ জুনিয়রস’ কিংবা ‘হোটেল হেল’-এর মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক রান্নার অনুষ্ঠানে দ্বিধাহীন বাচনভঙ্গির জন্য। হলিউড তারকাদের মতোই বিখ্যাত এ শেফ। তিনি ১৯৯৮ সালে নিজের নামানুসারে ‘গর্ডন রামসে’ নামের রেস্টুরেন্ট চালু করেন লন্ডনের চেলসিতে। এখানে একবেলা খেতে চাইলে আপনাকে খসাতে হবে প্রায় ৩৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৯ হাজার টাকা। তবে এখানকার সবচেয়ে দামি খাবার হচ্ছে একটি রেড ওয়াইন, যার এক বোতলের মূল্য সাড়ে আঠারো হাজার ডলার! এ রেস্টুরেন্টে আপনি খেতে পাবেন বিভিন্ন স্বাদের ফ্রেঞ্চ খাবার। এ ছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এবং ভেড়ার মাংসের খাবারও পাওয়া যায় এখানে। বলা বাহুল্য, প্রতিটি খাবারই অত্যন্ত চড়া দামে কিনতে হবে আপনাকে। আর হবেই বা না কেন, রেস্টুরেন্টের প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং রামসে ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে ১৯৯৫ সালে পেয়েছেন হোটেল ও হোটেলের ব্যবসার অস্কারস্বরূপ ‘কেটি অ্যাওয়ার্ডস’-এ বছরের শ্রেষ্ঠতম নবাগত শেফের মর্যাদা। ২০০০ সালে ‘কেটি অ্যাওয়ার্ডস’ ‘শেফ অব দ্য ইয়ার’ এবং ২০০৪ সালে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট রেস্টোরাটার অব দ্য ইয়ার’। এ সেলিব্রেটি শেফ এখন সারা বিশ্বে তার ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এমন একজন নামিদামি শেফের হাতের রান্না খেতে পকেটের টাকা খসাতে আপনারও নিশ্চয় দ্বিধা কাজ করার কথা নয়।

 

লা ম্যুরাইস, ফ্রান্স

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত এ রেস্টুরেন্টটি একটি বেশ পুরনো পাঁচ তারকা হোটেলের অংশবিশেষ। ব্রোঞ্জ ও মার্বেল পাথরের মেঝে আর দেয়ালে তৈরি এ রেস্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে। কোনো প্রকার পানীয় ছাড়াই একবেলার খাবার খেতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে অন্তত ৫২৪ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪৩ হাজার টাকা। তিন তারকা পাওয়া শেফদের দিয়ে পরিচালিত এ রেস্টুরেন্টটি সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয় বিভিন্ন বিখ্যাত খাবার পরিবেশনা করে রেস্টুরেন্টটি। নানা ধরনের রন্ধনশৈলীর খোঁজ মেলে এ রেস্টুরেন্টে। বিশ্বের বহু দেশ থেকে এখানে অতিথি আসেন খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে। তেঁতুল টকের সঙ্গে একটি সুস্বাদু মাংসযুক্ত মেনুও সরবরাহ করা হয় এখানে। এখানকার শেফ আপনাকে বিশেষ ধরনের কিছু খাবার পরিবেশন করবেন যা সচারচার অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

আপনি যদি অলস বোধ করেন, আপনার জন্য বিশেষ ধরনের পানীয় পরিবেশন করবে যা আপনার সব অলসতা কাটিয়ে দেবে নিমিষে। এখানে আপনি আপনার বাড়ির মতো স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের খাবার উপভোগ করতে পারবেন। খাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে তারা একটি অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে। আর তা হল রেস্টুরেন্টের এক পাশে তাক ভর্তি বই। আপনি নিজের পছন্দমতো বই টেনে পড়তে পারেন এখান থেকে। বিশেষ করে যখন আপনি সকালের নাস্তা অথবা বিকালের খাবার গ্রহণের পর কিছুটা সময় অলস কাটাতে চান ঠিক তখন বইগুলো আপনার সময়কে অনেক উপভোগ্য করে তুলবে।

 

আরাগাওয়া, জাপান

২০০৬ সালে ফোর্বসের তৈরি করা সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্টের তালিকায় শীর্ষে ছিল জাপানের টোকিওতে অবস্থিত আরাগাওয়া রেস্টুরেন্টটি। সময়ের সঙ্গে জৌলুশ কিছুটা হারালেও এখনো সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্টগুলোর কথা বলতে গেলে আরাগাওয়াকে বাদ দেওয়া যায় না। এশিয়ার ব্যয়বহুল রেস্টুরেন্টের মধ্যে আরাগাওয়া অন্যতম। টোকিওতে অবস্থিত এ রেস্টুরেন্টটি জাপানের সেরা রেস্টুরেন্ট বললেও ভুল হবে না। একটি অফিস বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টের হলওয়ের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ছোট্ট এ রেস্টুরেন্টটি। একসঙ্গে মাত্র ২২ জন অতিথি খেতে পারেন এ রেস্টুরেন্টে। কোবে বিফের (জাপানের বিশেষ ধরনের রান্না করা গরুর মাংস) জন্য এ রেস্টুরেন্ট সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। শুধু কোবে বিফ খেতেই ৫৫০ থেকে ৬৫০ ডলার খরচ করেন একেকজন। এ রেস্টুরেন্টের সুনাম এতটাই যে প্রচলিত আছে আরাগাওয়ার মতো সুস্বাদু মাংস নাকি অন্য কোথাও রান্না হয় না। দাম বেশি হলেও এর চাহিদা ব্যাপক। এর বাইরেও চারকোলে ভাজা স্যান্ডা বিফ স্টেক (স্যান্ডা হচ্ছে জাপানের গরুর একটি প্রজাতি), স্টিম করা পুরো একটি স্যালমনের জন্যও প্রসিদ্ধ এ রেস্টুরেন্ট। তবে স্বাদ যত ভালোই হোক না কেন, পকেট থেকে বেরিয়ে যাবে বড় অঙ্কের অর্থ। একবেলা খেতে গেলে আপনাকে অন্তত ৩৪১ ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৮ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। রেস্টুরেন্টটির আলো আধারি পরিবেশের জন্যও আগত অতিথিদের কাছে রেস্টুরেন্টটি বিখ্যাত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর