বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিশ্বের যত দুর্ধর্ষ পুলিশ

দুর্নীতি ও অন্যায় বেড়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন পড়ে। ভরসা করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। বিশ্বের অনেক দেশে এমন প্রয়োজনের মুখে গড়ে উঠেছে বহু পুলিশ বাহিনী। তারা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে সব অনিয়ম। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ অবস্থান নিয়ে বিশ্বের বুকে নাম কুড়িয়েছে। এমন সব পুলিশ বাহিনী নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।

তানিয়া তুষ্টি

বিশ্বের যত দুর্ধর্ষ পুলিশ

রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড

বিশ্বের সেরা পুলিশ বাহিনী হিসেবে তালিকার প্রথম স্থানটি আরসিএমপি বা রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের দখলে। সাধারণ জনগণ আর কানাডার সাধারণ পুলিশ বাহিনীর চোখে তারা মাউন্টিস বলে পরিচিত। ১৯২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এই বাহিনী পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ আর বিখ্যাত পুলিশ বাহিনী হিসেবে এক নামে পরিচিত। আর এদের নিজেদের এমন বিখ্যাত হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ এরা কেবল দেশের ভিতরের বিভিন্ন ঝামেলাই নয়, মীমাংসা করে দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক সব ধরনের ঝুট-ঝামেলাগুলোও। ফেডারেল এবং জাতীয় পুলিশ বাহিনী কানাডার আরসিএমপি ফেডারেল স্তরে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করে। এটি কানাডার আটটি প্রদেশে (আলবার্টা, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ম্যানিটোবা, নিউ ব্রান্সউইক, নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডর, নোভা স্কটিয়া, প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপ, এবং সাসকাচোয়ান) পুলিশিং সরবরাহ করে। তারা চুক্তি ভিত্তিতে স্থানীয় পুলিশিং সরবরাহ করে তিনটি অঞ্চল উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল, নুনাভাট এবং ইউকন এ। দেড় শতাধিক পৌরসভা, ৬০ হাজার আদিবাসী সম্প্রদায় এবং তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে তাদের রক্ষণাবেক্ষণের আওতায়। আরসিএমপি অন্টারিও বা কিউবেকে সক্রিয় প্রাদেশিক বা পৌরসভা পুলিশিং সরবরাহ করে না তবে, অন্টারিও এবং কুইবেকসহ কানাডার সমস্ত অঞ্চলে আরসিএমপির সমস্ত সদস্যের এখতিয়ার রয়েছে। আন্তর্জাতিক পুলিশের অন্যতম একটি অংশ আইওবি হচ্ছে আরসিএমপি প্রধান কার্যালয়ের একটি অংশ। আরসিএমপির অপারেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক অপরাধ, জালিয়াতি, মাদক পাচার, সীমান্ত অখ-তা, সংঘটিত অপরাধ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়গুলোসহ ফেডারেল আইন প্রয়োগ। তারা সন্ত্রাসবাদ ও দেশীয় সুরক্ষা প্রদান, কানাডিয়ান রাজতন্ত্র, গভর্নর জেনারেল, প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবার, বাসস্থান এবং মুকুট অন্যান্য মন্ত্রীদের, পরিদর্শন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং কূটনৈতিক মিশনের সুরক্ষা সেবা সরবরাহ করে থাকে।

 

জিইও

স্পেনের সামরিক আর পুলিশ বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠে সন্ত্রাস দমনকারী বাহিনী জিইও বা ‘গ্রুপ স্পেশাল ডি অপারেশিনো’। ১৯৭৮ সালের ৫ এপ্রিলে যাত্রা শুরু করা জিইওর সফলতার গল্প অনেক। প্রথম দিকেই বেশ কয়েকটি সফল অভিযান চালায় তারা। কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই তারা একের পর এক সন্ত্রাসী ও তাদের জিম্মিকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। ৪২৪ জন জিম্মিকে উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে এরা ৪১ জন অস্ত্রসজ্জিত সন্ত্রাসীকে আটক করে। এদের গ্রহণযোগ্যতা আর দক্ষতা অনেক দেশের বাহিনীর কাছেই ঈর্ষণীয়। এদের প্রশিক্ষণের পুরোটাই থাকে শারীরিক ও মানসিক দক্ষতা বাড়ানো। জিইওতে যোগদানের জন্য দুই বছরের কুয়েরপো ন্যাসিয়োনাল দে পলিসিয়াতে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। সেখানে তাদেরকে মার্শাল আর্ট, স্কুবা ডাইভিং, বিস্ফোরণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনসহ নানা বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণার্থীরা প্রথম দিকে খুব সহজে উতরে গেলেও পরে অনেক আবেদনকারীই চলে যেতে বাধ্য হয় দল ছেড়ে। ভর্তি হওয়ার পর প্রতিবছর নিয়োগ বোর্ড উতরাতে পারে আগ্রহীদের মাত্র ৩ শতাংশ।

 

ইন্টারপোল

ইন্টারপোল বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যার প্রধান কাজ আন্তর্জাতিক পুলিশকে সহায়তা করা। এটি ১৯২৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ কমিশন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে বর্তমানের নামে পরিবর্তিত হয়। ইন্টারপোলের বর্তমান সদস্য ১৯৪টি দেশ এবং এই সদস্যরাই বাৎসরিক চাঁদার মাধ্যমে ৫৯ মিলিয়ন ডলারের বাৎসরিক খরচ নির্বাহ করে। এর প্রধান সদর দফতর লিয়োঁ, ফ্রান্স-এ। এটি জাতিসংঘের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা। সবার কাছে এটি এখন অনেক বেশি পরিচিত নাম। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়ে এসেছে পুলিশ বাহিনীটি আর এখন পর্যন্ত সেটা বজায় রেখেছে। আর শুধু তাই নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্যে নিজেদের প্রভাব ছড়িয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বের প্রতিটা কোনায়। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সময়ে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রচেষ্টার বিষয়ে ইন্টারপোলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

 

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড

উনিশ শতকের শুরুর দিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যগণ দেশের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন দক্ষ ও সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। ১৮২৯ সালের ১৯ জুন পার্লামেন্টে কার্যকর হয় ‘মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যাক্ট’। শুরু হয় নতুন এক পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার কার্যক্রম। ১৮৩৯ সালে পুরোপুরিভাবে বো স্ট্রিট রানার্স বাহিনীর বিলুপ্তি ঘটবার পর নতুন পুলিশ বাহিনী লন্ডনের নিয়ন্ত্রণ বুঝে পায়। এই বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ের নামই হলো স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। এ নামটিই ব্রিটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যবস্থার এক রকম সমার্থক হয়ে গেছে। আর্থার কোনান ডয়েলের কল্পনার শার্লক হোমস যেন কাজ করতেন বাস্তবের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে। ফলে একটা শহরভিত্তিক বাহিনী হওয়া সত্ত্বেও পরিচিতি রয়েছে বিশ্বজোড়া। অনেকের কাছে এটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাহিনী। ইতিহাসের অনেকটা পথ পেরিয়ে, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পরিণত হয়েছে আজকের এই মহীরুহে।

 

এলএপিডি

এলএপিডি-এর আসল নাম হলো এলএপিডিএ। যার পুরো অর্থ হচ্ছে-  লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। সেরা পুলিশ বাহিনীর তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে এটি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ বাহিনীতে মোট কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৫৭ জন। শিকাগো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ও নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পরেই এলএপিডি এর অবস্থান। ‘টু প্রটেক্ট অ্যান্ড টু সার্ভ’ মটো নিয়ে ১৮৬৯ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল এলএপিডি বাহিনীর। বোর্ড অব পুলিশ কমিশনাররা পুলিশ কমিশন নামেও পরিচিত। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি বোর্ড নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদারকি করে। এলএপিডির পুলিশ এক্সপ্লে­ারার প্রোগ্রামগুলোর নিজস্ব সংস্করণ রয়েছে যা ক্যাডেট প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। পুলিশের অন্যান্য বিভাগেও এলএপিডির ক্যাডেট প্রোগ্রাম অনুসরণ করা হয়। ক্যাডেট প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ১৩ থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে। নির্দিষ্ট একাডেমিক যোগ্যতা থাকতে হবে, কোনো গুরুতর অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে। তারপর তাদের নির্ধারিত ক্যাডেট প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ করে এলএপিডিতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়।

 

জিএসজি৯

সন্ত্রাস দমনকারী আর বিশেষ ধরনের অপারেশন পরিচালনাকারী বাহিনী জিএসজি৯ এর জন্ম নেয় ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। মিউনিখে সেবার অলিম্পিক গেমসের আসরে ১১ জন ইসরায়েলিকে অপহরণ করা হয়। আর সে সময় এই অপহৃতদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হলে জার্মান সরকার নিজেদের পুলিশ বাহিনীর এই বাড়তি অংশটিকে তৈরি করেন। গুম, অপহরণ, সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই বাহিনী কাজ করে থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার নিরাপত্তা, শত্রুপক্ষকে ঠিকঠাক নিশানা করার জন্য এবং পলায়নরতদের অনুসরণ করার জন্যও এই বাহিনী কাজ করে থাকে। ১৯৭২ থেকে ২০০৩ সালের ভিতরে এই করিৎকর্মা পুলিশ বাহিনী মোট ১ হাজার ৫০০টি মিশন সফলভাবে শেষ করেছে। এ বাহিনীতে যোগদান করার জন্য প্রতিটি কর্মকর্তাকে পেরিয়ে আসতে হয় প্রচ- কড়া একটি সময়। দুই বছরের অভিজ্ঞতা, মেডিকেল ও শারীরিক নানা রকম পরীক্ষা ও অনুশীলনের পরও আরও ১৬ মাস অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ নিতে হয় তাদের। এরপর সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া আর দক্ষ মানুষকেই বেছে নেওয়া হয় বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে।

 

রেইড

ন্যাশনাল ব্ল­্যাক প্যান্থার নামে পরিচিত আরএআইডি বা রেইডের জন্ম হয় ১৯৮৫ সালে। প্রথমদিকে কেবল সন্ত্রাস দমন আর অপরাধীদের ধরাই এদের প্রধান কাজ ছিল। প্যারিসে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বা উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তার আগমনের সময় তাদের নিরাপত্তার সব ধরনের দায়িত্ব থাকে এ বাহিনীর ওপর। শারীরিকভাবে ঠিক থাকলে এবং অন্তত ৫ বছর জাতীয় পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেই এ বাহিনীতে অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর ঢোকা যায়। রেইডের প্রশিক্ষণের সময়কাল মোট ৯ মাস এবং প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তাদের। মার্শাল আর্টস, কৌশল, বন্দুক চালানো শেখা, বাস, ট্রেন বা প্লে­নে চড়া এবং অপহরণকারীকে আটক করা, হেলিকপ্টার থেকে আক্রমণ করা, প্যারাস্যুটে চড়াসহ আরও অনেক কিছু শেখানো হয় সদস্যদের। যুদ্ধের সময় যে কোনো ধরনের যানবাহন বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে রেইডসের। রেইডসের প্রতিটা সদস্যের দক্ষতা আর বিচক্ষণতা এতটাই বেশি যে, খুব সহজেই এদের ধরে নেওয়া যায় সেরা পুলিশ বাহিনীর একজন হিসেবে।

 

জাঙ্গলাস অব কলম্বিয়া

জাঙ্গলাস অব কলম্বিয়া পুলিশ বাহিনীর কাজের প্রধান জায়গা হলো কলম্বিয়ার জঙ্গল। কোক ব্যারনের আওতায় থাকা এ অঞ্চলটি এফআরসি গেরিলাদের যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। যাদের যুদ্ধের প্রধান প্রতিপক্ষ হলো সরকার। এ বাহিনীর জন্ম ১৯৮৯ সালে। এদেরকে তখন তৈরি করে তোলার কাজ নিয়েছিল ইউএস স্পেশাল ফোর্স আর এসএএস। কিন্তু বর্তমানে আর তাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এই বাহিনী নিজেদের প্রশিক্ষণ এখন নিজেরাই দিয়ে থাকে। বর্তমানে মোট ৬০০টি জঙ্গলের ভিতরে চলতে থাকা মাদক ব্যবসাকে রুখে দেওয়াই হচ্ছে এ বাহিনীর প্রধান কাজ। বিশেষ বাহিনীর মতো সজ্জিত আর বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুদ নিয়ে চলতে থাকা এ বাহিনীর প্রতিটা সদস্যকে যেতে হয় ৪ মাসের একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিতর দিয়ে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি যে কোনো দিক থেকে সমৃদ্ধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই পুলিশ কর্মকর্তারা এখানে আসে এ প্রশিক্ষণটি নেওয়ার জন্য। যার প্রধান বিষয় হচ্ছে মাদকযুদ্ধের কৌশল।

 

বিওপিই

রিও ডি জেনেরোর দেশ ব্রাজিল প্রচ- রকমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী। এর পরেও এই সৌন্দর্যের ভিতরে অবস্থান করছে অন্য রূপ। সেখানে অপরাধী আর অপরাধের পরিমাণ এতই বেশি যে, তাকে অপরাধের স্বর্গ বলে মনে করা হয়। এ অপরাধমূলক কার্যক্রমকে দমন করতেই ১৯৭৮ সালে উৎপত্তি হয়েছে বিওপিই বা বাটালহো ওপিরাইওস পোলিসিআইস এসপেসিয়াসের। রিওর এই অসম্ভব করিৎকর্মা পুলিশ বাহিনীটির প্রধান কার্যক্ষেত্র শহর ও এর নিকটবর্তী স্থানগুলো। যেখানে সন্ত্রাস, সন্ত্রাসী আর মাদকের নানা রকম খেলা হরদমই চলতে থাকে। এ বাহিনীটির ওপর অনেক ধরনের অভিযোগ থাকলেও এরা আদতে নিজেদের দেশকে শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য নজির স্থাপন করে চলেছে বিশ্বের আর সব দেশের পুলিশ বাহিনীর জন্য। তবে এদের প্রধান সংগীত আর অনেক কার্যক্রম দেখে অনেকেই মনে করেন বিওপিই মানে ব্যবসা। তবে তা সত্ত্বেও প্রতিটা যুদ্ধে দেশকে বাঁচানোর জন্য এ বাহিনীই প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিলিয়ে দেয় আর রক্ষা করে দেশকে। নানা রকম ঝামেলার হাত থেকে বাঁচাতে এরাই ভরসা। প্রচন্ড রকম কড়া অনুশীলনের ভিতর দিয়ে বাহিনীতে যোগদান করেন বিওপিই এর অফিসাররা। প্রশিক্ষণের শেষের দিকে তাদের টানা তিন দিন না ঘুমিয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়াও এ বাহিনীতে যোগ দেওয়া মানুষগুলোর দক্ষতার বিচার করলে বিশ্বের সেরা পুলিশ বাহিনীর তালিকায় বিওপিইকে রেখে দেওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর