শিরোনাম
বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মানুষের পা পড়েনি যেখানে

তানভীর আহমেদ

মানুষের পা পড়েনি যেখানে

বিস্ময়কর বিস্ফোরণ

পৃথিবীতে যত বিস্ময় রয়েছে তার মধ্যে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি যেমন ভয়ঙ্কয় একই সঙ্গে তা অপূর্ব। আগ্নেয়গিরির লাভার বিস্ফোরণ চিত্রকরদের কাছে জীবনের সেরা ছবি হিসেবেও জমা হয়। ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরি আসলে এক ধরনের বিশেষ পাহাড়। জীবন্ত একটি আগ্নেয়গিরি নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে একটি কোলাহলময় শহর। চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে একটি সভ্যতা। ইতিহাস তাই বলে। এসব আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে আধুনিক ভূতত্ত্ববিদরা যা জেনেছেন তা কেবলই বৈজ্ঞানিক যুক্তির একগাদা তত্ত্বকথা। এখনো তাই প্রকৃত অর্থে কোনো আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে শতভাগ জানা যায়নি। যদিও চেষ্টা চলছে অজানাগুলোর তথ্য একত্রিত করে একটি সম্ভাব্য পথ বের করার কিন্তু আদতে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির ভিতরে না পৌঁছানো সম্ভব, না জানা সম্ভব। এই রহস্যগুলো আগ্নেয়গিরি যেন নিজের করে রেখেছে। আগ্নেয়গিরির এই ভয়াবহ রূপের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য। এই বিশেষ ধরনের পাহাড়ের কোনো কোনো ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে ভূগর্ভস্থ গরম বাতাস, জলীয়বাষ্প, গলিত শিলা, কাদা, ছাই, গ্যাস প্রবল বেগে বেরিয়ে আসে। নির্গত এসব পদার্থ ভূপৃষ্ঠের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে যার কিছুটা ফাটলের চারপাশে এসে ধীরে ধীরে জমা হয়ে মোচাকৃতি লাভ করে। এ কারণেই আগ্নেয়গিরি একটি বিশেষ আকৃতি ধারণ করতে পারে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পেছনে রয়েছে পৃথিবীর ভিতরের দিকে যে গ্যাস জমা হয়, সেগুলোর অতিরিক্ত তাপ। আগ্নেয়গিরির গলিত লাভার তাপমাত্রা থাকে ৭০০-১২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ পর্যন্ত দুনিয়াজুড়ে প্রায় ১৫১০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮০টি বা তার চেয়ে বেশি আবার সমুদ্রের নিচে। এসব নিয়েও তাই জানার শেষ নেই। কোনোটির বয়স আনুমানিক সাড়ে ১৪ কোটি বছর। এসব আগ্নেয়গিরিকে জয় করার চেষ্টা মানুষের সব সময়ই ছিল, সে চেষ্টা থেমে নেই।

 

অফুরন্ত রহস্য বুকে সমুদ্র

অ্যাটলান্টিস বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রহস্যের একটি। সমুদ্রের গভীরে যেন রয়েছে অচেনা আরেকটি জগৎ। অ্যাটলান্টিসের নিচেই খুঁজে পাওয়া গেছে পর্বতমালার কিছু অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন লাখো বছর আগে, অ্যাটলান্টিস হঠাৎ ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছিল। ফলে পুরো দেশটি পানির নিচে চলে যায়। অ্যাটলান্টিসে মূল্যবান খনিজ পদার্থ এবং স্ফটিক ছিল। বিশেষত ছিল লাল রঙের বহু মূল্যবান সম্পদ। বলা হতো, এটি ছিল স্বর্গের একটি বাগান। এই স্বর্গে ছিল পর্বত, উর্বর সমভূমি, নদী, হ্রদ। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া সেই অ্যাটলান্টিস এখন বিশাল সমুদ্র। গভীর সমুদ্রে পরিবেশ খুব অদ্ভুত। সমুদ্রের তলদেশ অসম্ভব ঠান্ডা। সেখানে পানির চাপও অত্যধিক। যত গভীরে যাওয়া যায়, চাপ ততই বাড়ে। সমুদ্রের গভীর তলদেশে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তাই স্বভাবতই এই তলদেশ অন্ধকার ও রহস্যময়। পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের প্রায় ৭১ শতাংশ হলো সমুদ্র। সমুদ্রের গভীরতা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম। সমুদ্রের গড় গভীরতা হলো চার হাজার মিটার। বিশালত্বের দিক  দিয়ে যদিও সমুদ্র হলো অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশের তুলনায় খুব বড়, তবুও প্রকৃতির এই অংশ যেন তুলনামূলকভাবে কম উম্মোচিত হয়েছে। গভীর সমুদ্রের উৎপাদনক্ষমতা খুবই কম। আলো ছাড়া সালোকসংশ্লে­ষণ সম্ভব হয় না বলে গভীর সমুদ্রে শ্যাওলা বা জলজ উদ্ভিদ বাঁচে না। ২০০ মিটারের তলার অংশের মাছই হলো গভীর সমুদ্রের মাছ। ওই অংশের পানির চাপ বেশি, তাই ওই অংশে বাস করা প্রাণীদের শরীরের ভিতরেও একই রকম চাপ থাকে। অফুরন্ত রহস্য সেখানে; তাই জানার শেষ নেই।

 

অজানা অরণ্য আমাজন

লাখ লাখ মাইলজুড়ে বিস্তৃত আমাজন বনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই রেইনফরেস্ট নিয়ে যতই দিন যাচ্ছে না জানার বিষয়গুলো যেন ততই বেরিয়ে আসছে। এই বনের উদ্ভিদ ও প্রাণীবৈচিত্র্য পৃথিবীর দ্বিতীয় কোথাও নেই তা বিশেষজ্ঞরাই স্বীকার করে নিয়েছেন। আমাজন এতই বিশাল যে, এর বুকের ভিতরের বহু জায়গা দেখাই হয়নি আজও। শুধু ভূখন্ডের কথা চিন্তা করেই এটি বলা যায়, নদীপথের দিকে তাকালে তার পরিমাণ এতই কম হবে যে মনে হবে যেন আমাজনের প্রায় কিছুই আমরা জানি না।

প্রতি বছরই বহু পর্যটক সেখানে যান। তবে আমাজনের রহস্য বের করে নিতে যেসব প্রাণীবিজ্ঞানী ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা সেখানে যান তারা একেবারেই নতুন নতুন সব প্রজাতির সন্ধান নিয়ে আসেন। এমন সব জায়গায় অ্যাডভেঞ্জার করা হয় যেখানে এর আগে কেউ কোনো দিন যাননি। এ জন্যই আমাজনকে বলা যায় চেনা এবং জানার মধ্যে অচেনা ও অজানার সম্ভার। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীবিধৌত অঞ্চলে অবস্থিত বিশাল বনভূমি এই আমাজন ছেয়ে আছে ৭০ লাখ বর্গকিলোমিটার। ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মূলত আর্দ্র জলবায়ু রয়েছে। আমাজন অরণ্য ৬০% রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩% রয়েছে পেরুতে এবং বাকি অংশ রয়েছে কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম এবং ফরাসি গায়ানা। পৃথিবীজুড়ে যে রেইনফরেস্ট তার অর্ধেকটাই এই অরণ্য নিজেই। নানা রকম প্রজাতির বাসস্থান হিসেবে সমাদৃত এই আমাজন। বিশাল আমাজন বনের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জলাশয়সহ বনের ভিতর দিয়ে যাওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী আমাজনে কমপক্ষে ৩ হাজার প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বাস করে। আমাজন বন অজগরজাতীয় বিশাল সাপ অ্যানাকোন্ডাসহ শ্লথ, জাগুয়ার প্রভৃতির জন্য বিখ্যাত। সম্প্রতি বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে প্রথম স্থান পাওয়া আমাজন বন প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে বলে এর পরিবেশগত গুরুত্বও কম নয়। অক্সিজেন জীবজগতের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান। আমাজনের গহিনে এমনসব জায়গাও রয়েছে যেখানে আজ পর্যন্ত মানুষের পা পড়েনি একটি বারের জন্যও। .

 

এখনো অচেনা বহু দ্বীপ

সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা প্রাণের সম্ভার বলা হয় বিভিন্ন দ্বীপকে। এসব দ্বীপে প্রাণের বৈচিত্র্য এতই বেশি যে, প্রাণীবিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই এসব দ্বীপে বিভিন্ন গবেষণা চালাতে এগিয়ে আসছেন। এসব দ্বীপের প্রাণের বেশির ভাগই আমাদের চেনা পৃথিবীর অন্য প্রজাতিদের সঙ্গে বেশ বৈশাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে থাকে। এ কারণেই এদের নিয়ে এত আগ্রহ সবার। এখনো অচেনা বহু দ্বীপের খবর মানুষের কাছে রয়েছে। এসব দ্বীপের খবর পাওয়া যাচ্ছে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে দেখা যায় এদের অস্তিত্ব। এগুলো হঠাৎ জেগে উঠছে আবার হঠাৎ তলিয়ে যাচ্ছে সমুদ্র গহিনে। এমন দ্বীপগুলো নিয়ে তাই রহস্যের অন্ত নেই। এই রহস্য ভেদ করতে হলে আরও বেশি করে অভিযান চালানোর দিকে মন দিয়ে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব দ্বীপের প্রাণিজগতের পাশাপাশি বহু দুর্লভ খনিজ সম্পদের খোঁজ। এসব খনিজের সন্ধানেও তাই এসব দ্বীপের দিকে বিশেষ মনোযোগী প্রত্নতত্ত্ববিদদের। মানুষের পা এসব দ্বীপে পড়েইনি বলে গবেষকরা অচেনা দ্বীপগুলোর বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের দিকে তাকিয়ে আছেন। অদূর ভবিষ্যতে এসব দ্বীপে চালানো অভিযানের অনেক তথ্যই এমন চমকে দিয়েছে যে আরও বেশি করে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। দ্বীপে অ্যাডভেঞ্চাররা প্রতি বছরই ছুটছে অবকাশ কাটাতে।

 

একেবারেই আনকোরা গুহা

মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে গুহা ব্যবহৃত হয়ে আসছে মানব সভ্যতার শুরু থেকে। এ পর্যন্ত যেসব গুহার খোঁজ পাওয়া গেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় গুহাটিতে ৪০তলা বিল্ডিং খুব সহজেই সোজা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। এই গুহার মতো অনেক গুহার পেটের ভিতরেই রয়েছে স্বচ্ছ পানির নদী। ভিয়েতনামের এক প্রত্যন্ত এলাকার একদম শেষ সীমানায়; লাওস সীমান্তের কাছে আছে সান ডং গুহাটি। শুধু ভিয়েতনাম কেভ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। ইংল্যান্ড আর ভিয়েতনামের এক  যৌথ প্রত্নতত্ত্ব দল এই গুহাটি সবার সামনে নিয়ে আসে। এই গুহার মুখটি জঙ্গলে ঢাকা থাকায় সহজে কারও নজরে পড়েনি এত দিন। বছর কয়েক আগে ওই এলাকার এক কৃষক অনেকটা ভাগ্যক্রমেই এই গুহামুখের সন্ধান পান। তিনিই পরবর্তীতে অভিযাত্রী দলটিকে পথ দেখান। অনেক দুর্গম পথ পেরিয়ে অভিযাত্রী দলটি সান ডং গুহায়  পৌঁছানোর পর বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। অভিযাত্রী দলটি সাড়ে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে  যেতে পেরেছিল। এই গুহা আবিষ্কারের পর মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ে। নতুন গুহার খোঁজ পেতে নতুন নতুন অভিযান চলছে। বিভিন্ন জঙ্গলের গভীরেও গুহার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। মানুষখেকো গুহার খোঁজও হইচই ফেলে দিয়েছিল। রহস্য মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে কোনো মানুষও যদি সেই গুহামুখ অতিক্রম করে সামান্য ভিতরে ঢুকত তারাও বেরিয়ে আসত না।  সেই গুহার রহস্য ভেদ করতে গবেষকরা বিভিন্ন অভিযান চালিয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, ওই গুহার নিচ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে আসত। ফলে মানুষ বা প্রাণী গুহার ভিতর শ্বাসকষ্টে মারা যেত। এই প্রাচীন গ্রিক শহরটি বর্তমানে পশ্চিম তুর্কির পাযুক্কালে শহর। সেখানে আছে প্রচুর উষ্ণ প্রস্রবন। তার মধ্যে আছে অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট। অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে এ থেকে উৎপন্ন হয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড। বাষ্প এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড যে কোনো ফাটল দিয়ে ঢুকে যেত গুহার ভিতর। তাই গুহার ভিতরে যাওয়ার পরিণাম ছিল নিশ্চিত

মৃত্যু। এ ছাড়া পানির নিচেও রয়েছে বহু গুহা। রাশিয়ার ওরডা গ্রামের পাশে উরাল পর্বতমালার কাছেই এমন একটি গুহা রয়েছে। এর নাম ওরডা গুহা, এটি পানির নিচে বিশ্বের বৃহত্তম জিপসাম স্ফটিকের গুহা। এসব গুহার খোঁজ থেকে জানা যায়, একেবারেই আনকোরা গুহা রয়েছে অসংখ্য।

 

আরও যত

দূরের পথ মরুভূমি

মরুভূমির কথা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বালুর সমুদ্রের প্রতিচ্ছতি। ধু-ধু প্রান্তর, বিস্তৃত মরুভূমির অতি অল্পই আমাদের চেনা জগতের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু মরুভূমিকে জয় করা সম্ভব হয়নি পুরোপুরি। যেসব মরুভূমিতে পানির যোগানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে কেবল সেখানেই নগর ছড়িয়েছে। পৃথিবীর মোট মরুভূমির পরিমাণ এতই বিশাল যে, মহাসমুদ্রের অজানা জগতের মতোই। মরুভূমি মূলত অত্যন্ত শুষ্ক, বৃষ্টিবিরল ও অধিকাংশ  ক্ষেত্রে বালি দিয়ে আবৃত অঞ্চল। মরুভূমি বসবাসের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়। এ কারণেই যুগে যুগে মানুষের কাছে মরুভূমি ছিল এক দুর্গম এলাকারই নামান্তর। পথ ভুলে মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়ার ফলাফল শুধুই মৃত্যু। মরুভূমির দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি হয়। চীনের উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মঙ্গোলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে গোবি মরুভূমি। গোবি মরুভূমিতে শীতে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, গ্রীষ্মে তা আবার বেড়ে ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে। এ ছাড়া এই উপমহাদেশে থর মরুভূমির কথা বিশেষভাবে উল্লে­খ করা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত একটি বিরাট, শুষ্ক মরু অঞ্চল হিসেবে সমাদৃত থর মরুভূমি। এর আয়তন ২ লাখ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। এটি বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মরুভূমি। সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি। আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত এই মরুভূমির আয়তন প্রায় ৯০ লাখ বর্গ কিলোমিটার। খুব অল্প পরিমাণ পানি পেয়েই কাঁটাজাতীয় উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারে। মরুভূমির কোনো কোনো জায়গায় ঘাস, গুল্ম ও ছোট গাছ জম্মে। এ ছাড়া প্রাণীদের মধ্যে সরীসৃপের বসবাসই বেশি। এদের মধ্যে আছে মরু কচ্ছপ, গিলা মন্সটার, চাকওয়াল্লা, কলোরাডো মরুভূমির টিকটিকি ও বিভিন্ন ধরনের র‌্যাটলস্নেক।

 

দুর্গম গিরিখাত

দুর্গম গিরিখাতগুলোতে মানুষের পদচারণা নেই বললেই চলে। যেসব গিরিখাতে প্রাণের স্পন্দন পাওয়া গেছে সেখানে মানুষের অভিযান চলছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন গিরিখাতে পৌঁছার ব্যবস্থা এতই করুণ যে, গবেষণার কাজ খুব ধীরগতিতে। অজানা জগৎকে জানার জন্য থেমে নেই মানুষ। কিন্তু দুর্গম গিরিখাতগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। পৃথিবীতে এমন কিছু সড়ক রয়েছে যেখানে গেলে যে কোনো ব্যক্তিই বিস্মিত হবেন। প্রতিদিন এসব সড়কে অস্বাভাবিক যে ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তাতে বিস্মিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। গিরিখাতগুলোকে পৌঁছার রাস্তাগুলোও তেমনি। কোথাও কোথাও মরীচিকার কারণে দৃষ্টিভ্রম হয় অভিযাত্রীদের। পরিচিত গিরিখাতগুলোর মধ্যে যেসব তথ্যের মিল পাওয়া যায়, দেখা যাচ্ছে নতুন আবিষ্কৃত গিরিখাতগুলোর বৈচিত্র্য আরও অনেক বেশি। সপ্তাশ্চর্যে পৃথিবীতে গিরিখাতগুলোর এই বৈচিত্র্য সব সময় অভিযাত্রীদের এবং গবেষকদের নজর কাড়ে। এসব গিরিখাতের খোঁজ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিযাত্রী দল এরই মধ্যে বেশ সফলতা অর্জন করেছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর