শিরোনাম
রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নামেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘শাহ আমানত’ শুধু সংকট আর সংকট

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

নামেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘শাহ আমানত’ শুধু সংকট আর সংকট

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেই আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। বোর্ডিং ব্রিজ, বিমান পার্কিং স্পেস, লাগেজ বেল্ট থেকে ইমিগ্রেশন সব জায়গায় সংকট। বিমানবন্দরের একমাত্র রানওয়ের আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে অনেক আগে। এমন অবস্থানে এ বিমানবন্দর নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই সাধারণ যাত্রীদের।

এ ব্যাপারে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সরোয়ার ই জাহান বলেন, ‘গত এক বছরে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে গ্রিন চ্যালেন এবং তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বোর্ডিং রুমে যাত্রীদের জন্য ছোট পরিসরে একটি লাইব্রেরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে কার্গো এপ্রোন। রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প।’  বিশ্বের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে এ বিমানবন্দরের তুলনা করে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী হাকিম আলী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কয়েকটি লাগেজ বেল্ট থাকলেও শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাত্র একটি বেল্ট রয়েছে। একসঙ্গে দুটো ফ্লাইট এলে তো যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় লাগেজের জন্য।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দরের বর্তমান রানওয়েটি নির্মাণ করা হয় প্রায় দুই দশক আগে।

তিন হাজার মিটার লম্বা রানওয়ের বিটুমিনাস কংক্রিটের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে এভাবে বিমান ওঠানামা করছে এই বিমানবন্দরে। তবে বাণিজ্যিক রাজধানীর এ বিমানবন্দর আধুনিকায়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত জুলাইয়ের শেষের দিকে একটি প্রস্তাবনাও পাস করেছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রায় ৪৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতার মধ্যেই যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ বিমানবন্দরের।

সর্বশেষ খবর