বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নোবেল জয়ী ২০১৯

তানভীর আহমেদ

নোবেল জয়ী ২০১৯

পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বেশাসায় এক মুসলমান বাবা ও খ্রিস্টান মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছেন আবি। বিদু্যুৎ ও পানির স্বল্পতা ছিল তাদের বাড়িতে। ঘুমাতে হয়েছে ফ্লোরে। গরিব কৃষকের সন্তান ছিলেন তিনি। কিশোর বয়সে সামরিক বাহিনীর একজন রেডিও অপারেটর হিসেবে যোগ দেন আবি আহমেদ...

 

শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে শান্তিতে নোবেল পেলেন আবি আহমেদ

শান্তি

শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে এ বছর নোবেল জিতেছেনে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।  ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ইথিওপিয়ার সংকট একেবারে নতুন কিছু নয়। সীমান্তে দুই দেশের হানাহানি, অশান্তি পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল। ৭০ হাজার মানুষ  প্রাণ হারিয়েছেন এই সংকটের জেরে। সংকট কাটাতে ২০০০ সালে দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি হলে তা শুধু কাগজে-কলমেই ছিল। শান্তিতে ছিল না সীমান্তে সাধারণ মানুষ। ২০১৮ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আবি আহমেদ। তারপর থেকেই সংস্কার শুরু করেন দলে ও রাষ্ট্রে। এ নিয়ে দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও সাধারণ মানুষ তার ওপরই আস্থা রেখেছিল। সে প্রতিদান তিনি দিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ রুখে দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন আবি। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বেশাসায় এক মুসলমান বাবা ও খ্রিস্টান মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছেন আবি। বিদু্যুৎ ও পানির স্বল্পতা ছিল তাদের বাড়িতে। ঘুমাতে হয়েছে  ফ্লোরে। গরিব কৃষকের সন্তান ছিলেন তিনি। কিশোর বয়সে তিনি সামরিক বাহিনীর একজন রেডিও অপারেটর হিসেবে যোগ দেন।

ক্যারিয়ার গড়েন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে। রাজনীতিতে আসার পর জনমানুষের নেতা হয়ে ওঠেন খুব অল্প সময়েই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংকট মিটিয়ে নিতে বারবার বৈঠক করেছেন। নোবেল কমিটি তাকে ইথিওপিয়ার এক অবিশ্বাস্য নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ৪৩ বছর বয়সী এই আফ্রিকান নেতা নিজ সমাজ ব্যবস্থাকে একটা বড় পরিবর্তনের দিকে নিয়ে গেছেন। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেন। তার পূর্বসূরি যাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করেছিলেন, সেই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের তিনি দেশে স্বাগত জানিয়েছেন। সত্যিকার অর্থেই বন্ধুকে শত্রু বানিয়ে শান্তি পুরস্কার ছিনিয়ে নেন তিনি।

 

অর্থনীতিতে বাঙালি দম্পতির চমক

অর্থনীতি

২০১৯ সালের অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী কারা হচ্ছেন এ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল বিশ্লেষকদের মধ্যে। অবশেষে সবাইকে  চমকে দিয়ে বাঙালি দম্পতিসহ মোট তিনজন জায়গা করে নিয়েছেন নোবেল জয়ের ইতিহাসে। তারা হলেন, ভারতীয় নাগরিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরাসি নাগরিক এস্তার দুফলো এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচনে গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যৌথভাবে তাদের তিনজনকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হয়। একাডেমি বলছে, মাত্র দুই দশকে তাদের নতুন নিরীক্ষাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকসে রূপ নিয়েছে, যা এখন গবেষণার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া দ্বিতীয় বাঙালি হলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৬১ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি শেষ করেন অভিজিৎ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) অধ্যাপনা করছেন। অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া দ্বিতীয় নারী হচ্ছেন এস্তার দুফলো। তিনি অপর নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় স্ত্রী। বর্তমানে এমআইটিতেই অধ্যাপনা করছেন। অভিজিৎ-দুফলো দম্পতির সঙ্গে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া আরেকজন হলেন মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার। তিনি ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি শেষ করেন এই অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে হার্ভার্ডেই অধ্যাপনা করছেন এই খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ।

 

যার নামে নোবেল পদক

আলফ্রেড নোবেল ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত রসায়নবিদ, প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক। ১৮৯৪ সালে তিনি একটি লোহা ও ইস্পাত কারখানা ক্রয় করেন, যা পরবর্তী সময়ে একটি অন্যতম অস্ত্র তৈরির কারখানায় পরিণত করেন। তার ৩৫৫টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে জীবদ্দশায় তিনি প্রচুর ধনসম্পদের মালিক হন যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ডিনামাইট। নোবেল তার জীবদ্দশায় অনেক উইল লিখে গিয়েছিলেন। নোবেল তার সর্বশেষ উইলে উল্লেখ করেন, তার সব সম্পদ পুরস্কার আকারে দেওয়া হবে যারা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন। নোবেল তার মোট সম্পদের (৩১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা) ৯৪ শতাংশ এ পাঁচটি পুরস্কারের জন্য উইল করেন। ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ওই বছর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

 

সাহিত্যে ইতিহাস গড়লেন তোকারচুক হ্যান্ডকেকে নিয়ে বিতর্কের ঝড়

সাহিত্য

যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ২০১৮ সালের নোবেল পুরস্কার থমকে গিয়েছিল। সেই কালিমা মুছে সাহিত্যে ২০১৮ ও ২০১৯- দুই বছরের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অস্ট্রিয়ার লেখক পিটার হ্যান্ডকে। ২০১৮ সালের সাহিত্যে নোবেলজয়ী হন পোলান্ডের সাহিত্যিক ওলগা তোকারচুক।

৫৭ বছর বয়সি লেখিকা তোকারচুক প্রথম কবিতা লিখে পাঠকের মন কেড়েছিলেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সিটিজ অফ মিররস।’ অবশ্য তার লেখনী বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয় ১৯৯৩ সালে। তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য জার্নি অব দ্য বুক পিপল’ প্রকাশ হয় এ বছর। ২০১৮ সালে বুকারও পেয়েছিলেন  তোকারচুক। সুইডিশ নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণায় বলেন, তোকারচুক এমন একজন আখ্যানকার যিনি কল্পনা দিয়েই দেশকালের সীমা ভেঙেছেন।

২০১৯ সালের নোবেলজয়ী লেখক পিটার হ্যান্ডকের সাহিত্যিক হয়ে ওঠার গল্পটা বেশ চমকপ্রদ। মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন আভা গার্দ আন্দোলনে। চলচ্চিত্রকার হয়ে ওঠেন পুরোদস্তুর। ১৯৭৮ সালে তার নির্দেশনায় তৈরি ছবি ‘দ্য  লেফট হ্যান্ডেড ওম্যান’ সে বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়। অবশ্য তাকে নিয়ে রয়েছে প্রবল সমালোচনা। যুগোস্ল­াভিয়া যুদ্ধের সমালোচনা করে তার লেখা বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হয়েছে। সাহিত্যে এক বছরে দুজন জয়ীর নাম  ঘোষণার ঘটনা গত ৭৫ বছরে ঘটেনি। ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী পিটার হান্ডকে প্রসঙ্গে অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়, ‘মানুষের অভিজ্ঞতার পরিধি এবং সুনির্দিষ্ট  চেহারা অসামান্য ভাষাগত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলতে পারায় তাকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হলো।’

 

 

 

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে ভবিষ্যৎ দেখালেন তিন বিজ্ঞানী

রসায়ন

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে গবেষণায় রসায়নে পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন, জন বি গুডনাফ, এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম এবং আকিরা ইয়ুশিনো। জন বি গুডেনাফ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, এম স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক এবং আকিরা ইয়ুশিনো আসাই কাসেই করপোরেশন অ্যান্ড মিজো ইউনিভারসিটিতে কর্মরত। জুরির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী তাদের উদ্ভাবনের দ্বারা ওয়্যারলেস ও জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন সমাজ গড়ে তোলার সঠিক শর্ত নির্মাণ করেছেন। হালকা, রিচার্জেবল ও শক্তিশালী ব্যাটারি সৌর ও বায়ুশক্তিও জমা করতে পারে। এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন সমাজ নির্মাণ সম্ভব হয়। গত শতাব্দীর সাতের দশকে তেলের সংকটের সময় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উদ্ভাবিত হয়। সেই উদ্ভাবনের পিছনে ছিল স্ট্যানলি হুইটিংহ্যামের অবদান। জন বি গুডনাফ ১৯৮০ সালে দেখান কোবাল্ট অক্সাইড লিথিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ৪ ভোল্ট উৎপাদন করতে পারে। এরপর আকিরা ইয়ুশিনো প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাটারি তৈরি করেন ১৯৮৫ সালে।

 

মহাবিশ্বের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা তাদের

পদার্থ

মহাবিশ্ব কীভাবে বিকশিত হয়েছে ও পৃথিবীর অবস্থান কী- এ নিয়ে গবেষণাকাজের জন্য এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নোবেল কমিটি বলছে, বাস্তবিক মহাজগতের তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য জেমস পেবলস এবং সৌর-ধরনের নক্ষত্রের প্রদক্ষিণকারী এক্সোপ্ল­্যানেট আবিষ্কারের জন্য মিচেল মেয়র ও দিদিয়ের কুয়েলজকে যৌথভাবে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহ আছে, যেটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে অন্যান্য গ্রহের মতোই- যার নাম এক্সোপ্ল­্যানেট। এটি আবিষ্কারের জন্য নোবেলের অর্ধেক অংশ যৌথভাবে পেয়েছেন মিচেল মেয়র এবং দিদিয়ের কুয়েলজ। এ ছাড়া ভৌত মহাজাগতিক তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য পুরস্কারের দুই ভাগের এক ভাগ পেয়েছেন জেমস পেবলস।

এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার কারণে এখন আরও অসংখ্য এক্সোপ্ল­্যানেটের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জেমস পেবলস কানাডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এবং অন্য দুজন সুইস নাগরিক। ১৯৯৫ সালের অক্টোবরের এক রাতে দুই বিজ্ঞানী  দেখতে পান, সূর্য থেকে প্রায় ৫০ আলোকবর্ষ দূরে একটি তারাকে ঘিরে পাক খাচ্ছে গ্যাসের বলের মতো বস্তু। আয়তনে বৃহস্পতি গ্রহের মতো। পদার্থবিজ্ঞানের ‘ডপলার এফেক্ট’-এ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বা আলোর রং বদল থেকে বোঝা যায় এর উৎস কাছে আসছে বা দূরে যাচ্ছে। সেই ডপলার এফেক্টকে কাজে লাগিয়ে মিচেল মেয়র ও দিদিয়ের কুয়েলজ দেখেন, গ্যাসপি-টি একটি তারাকে পরিক্রমণ করছে। সৌরজগতের বাইরে সেই প্রথম গ্রহের সন্ধান মিলল। নাম রাখা হলো ‘ফিফটি ওয়ান প্যাগেসাস বি’। নোবেল জুরিদের মতে, এটা ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী ঘটনা। মহাবিশ্ব এবং পৃথিবীর বিবর্তনের বোঝাপড়ায় এ গবেষণা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

 

চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত দেখালেন তারা

চিকিৎসা

উইলিয়াম কাইলিন জুনিয়র, গ্রেগ সেমেনজা এবং স্যার পিটার র‌্যাটক্লিফকে সম্মিলিতভাবে এ বছরের চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল বিজয়ী ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট। এই তিন বিজ্ঞানী শরীরের ভারসাম্যের একটি অনিবার্য প্রক্রিয়ার রহস্য ভেদ করেছেন। যার মাধ্যমে রক্তশূন্যতা, ক্যান্সার ও আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় নতুন কৌশলের দ্বার উন্মোচন হবে। কীভাবে প্রাণিকোষ অক্সিজেনের পর্যাপ্তি বোঝে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়, এই বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করেন। নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন উইলিয়াম কাইলিন জুনিয়র, স্যার পিটার র‌্যাটক্লিফ ও গ্রেগ সেমেনজা। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল জয়ীর দুইজন যুক্তরাষ্ট্রের আর একজন ব্রিটিশ নাগরিক। এরা তিনজন হলেন- হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যাপক উইলিয়াম কাইলিন জুনিয়র। তিনি ডানা ফার্বার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটেরও গবেষক। ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে এমন জেনেটিক সিনড্রোম নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন কাইলিন। ভিএইচএল নামের একটি জিন থেকে কীভাবে হাইপেল লিনডাউস নামের  রোগের উৎপত্তি এবং এর সঙ্গে অক্সিজেনের মাত্রার কী সম্পর্ক তিনি গবেষণা করে তা বের করেছেন

নোবেল বিজয়ী আরেক মার্কিন নাগরিক গ্রেগ  সেমেনজা। তিনি জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক। অপর্যাপ্ত অক্সিজেনের সঙ্গে কীভাবে ক্যান্সারের কোষগুলো খাপ খাইয়ে  নেয় তিনি তা আবিষ্কার করেছেন। চিকিৎসায়

তৃতীয় নোবেল জয়ী পিটার র‌্যাটক্লিফের পুরো নাম স্যার পিটার জন র‌্যাটক্লিফ। তিনি ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ডিরেক্টর, আছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদে। হাইপোক্সিয়া নামের একটি রোগে শরীরের কোষগুলো কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি।

এই তিন বিজ্ঞানী শরীরের গবেষণায় রক্তশূন্যতা, ক্যান্সার ও আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় নতুন কৌশলের দ্বার উন্মোচন করেছেন। কীভাবে প্রাণিকোষ অক্সিজেনের পর্যাপ্তি বোঝে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় তা জানা গেছে এ গবেষণায়...

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর