বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হুমায়ূননামা

হুমায়ূননামা

বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের নাম হুুমায়ূন আহমেদ। তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে প্রকাশ হয়েছিল ১৯৭২ সালে। উপন্যাসের ক্যানভাসে মধ্যবিত্ত জীবন রচনার পাশাপাশি অসাধারণ সব সায়েন্স ফিকশন, ছোট গল্প, কবিতা, গান, নাটক লিখেছেন তিনি। তিন শতাধিক বই প্রকাশ পেয়েছে এই কালজয়ী লেখকের...

 

২৫ মে ২০১২। নুহাশ পল্লী। তখন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। সেসময় তার সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনের। জীবনের নানা গল্প তিনি শুনিয়েছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন শিক্ষক, নাট্যকার, নির্মাতা, গীতিকার। ছবিও এঁকেছেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি নিজেকে কী হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন। তিনি বলেছিলেন তার এত পরিচয় ভালো লাগে না। তার ভাষায়-

 

আজ তার জন্মদিন

কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কুতুবপুরে জš§গ্রহণ করেন। তার ডাক নাম কাজল। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। বাবার কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন বিধায় শৈশবে তিনি দেশের নানা স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। শৈশবে তিনি যত জায়গায় গেছেন তার মাঝে সবচেয়ে প্রিয় ছিল দিনাজপুরের জগদ্দল। কারণ তারা যেখানে থাকতেন এর আশপাশে কোনো স্কুল ছিল না। স্কুলের কথা মনে হলেই যার মুখ তেতো হয়ে যেত সেই তারই এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার পর দেখা গেল তিনি সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয়। ১৯৬৫ সালে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়ও তিনি মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। ১৯৭২ সালে রসায়ন বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতকোত্তর পাস করে তিনি একই বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেসর যোসেফ অ্যাডওয়ার্ড গ্লাসের তত্ত্বাবধানে পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের লেখালেখির ভুবনে হুমায়ূন আহমেদের আত্মপ্রকাশ ১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরক’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। তরুণ হুুমায়ূন আহমেদের মাঝে অমিত সম্ভাবনা তখনই টের পেয়েছিলেন প্রখ্যাত লেখক সমালোচক আহমদ শরীফ। এক গদ্যের মাধ্যমে তিনি হুমায়ূন আহমেদকে অভিনন্দিত করেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ তার জাদুকরী লেখনীতে পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। উপন্যাসের ক্যানভাসে মধ্যবিত্ত জীবন রচনার পাশাপাশি অসাধারণ সব সায়েন্স ফিকশন, ছোট গল্প, কবিতা, গান, নাটক লিখেছেন তিনি। তিন শতাধিক বই প্রকাশ পেয়েছে এই কালজয়ী লেখকের। তৈরি করেছেন হিমু ও মিসির আলীর মতো জনপ্রিয় সব চরিত্র। তার লেখা তিন শতাধিক বইয়ের মধ্যে হিমু সংক্রান্ত বই রয়েছে ২৯টি, মিসির আলী সংক্রান্ত বই রয়েছে ২২টি এবং আত্মজীবনীমূলক বই রয়েছে ১৯টি। তার রচিত উল্লে­খযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, এপিটাফ, কে কথা কয়, মেঘ বলেছে যাব যাব, অপেক্ষা ইত্যাদি। তার কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে লেখালেখি, নাটক নির্মাণ এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। তার তৈরি চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্রাবণ মেঘের দিন, আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, আমার আছে জল ইত্যাদি। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তাদের তিন মেয়ে এবং এক ছেলে জম্মগ্রহণ করেন। তিন মেয়ে হলেন বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তাদের দুই ছেলে। প্রথম ছেলের নাম নিষাদ হুমায়ূূন ও দ্বিতীয় ছেলের নাম নিনিত হুমায়ূন। কিংবদন্তি এই লেখক ১৯ জুলাই ২০১২ সালে নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন।

 

‘আমি আসলে আনন্দের জন্য বাঁচি’

‘আমি একজন লেখক। নিজেকে আমি ‘ফিকশন রাইটার’ বলতেই পছন্দ করি। ফিল্মমেকিং অন্যরকম একটা বিষয়। নিজেকে কখনই ফিল্মমেকার বলি না। ছোটবেলা থেকে ছবি দেখার ব্যাপারে খুব আগ্রহ ছিল। লেখালেখি, ছবি দেখা পুরোটাই পেয়েছি বাবার কাছ থেকে। কোনো বাবা এমন রসিক আর সংস্কৃতিমনা হতে পারেনÑ তা আমার বাবাকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হতো। তো যা বলছিলাম, ছোটবেলা থেকেই ছবি দেখতাম। বড় হওয়ার পর মনে হতো এত সুন্দর ছবি দেখি অথচ আমাদের এখানে ভালো ছবি বানানো হচ্ছে না। আরেকটা আক্ষেপ ছিল। তা হলো- আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবির অভাব। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও পতাকার জন্য বাবাকে হারিয়েছি। তাই একটা দায়বোধ ছিল। ভাবতাম এত বড় একটা মুক্তিযুদ্ধ হলো অথচ তা নিয়ে উল্লে­খযোগ্য কোনো ছবি নেই। এই আফসোস থেকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটা ছবি বানালাম ‘আগুনের পরশমণি’। এই ছবিটি নির্মাণ করতে সব খরচ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তারপর থেকে চালিয়ে যাচ্ছি ছবি বানানো। এর বাইরে যখন যেটা ইচ্ছা করে তা-ই করার চেষ্টা করি। আমি আসলে আনন্দের জন্য বাঁচি।’

 

‘আমার অতৃপ্তি নেই। মেবি  আমি ক্রিয়েটিভ লোক না...’

নিজের ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তার পরও তিনি নিজেকে সাধারণ ভাবতেন। এত লিখেও কখনো ক্লান্ত হননি। নিজের কর্মে আনন্দ খুঁজে পেতেন। পেয়েছেন তৃপ্তিও। তার ভাষায়-

জনপ্রিয়তা বা লেখালেখি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। আমি খুশি যে, আমি লিখতে পারছি। এতেও খুশি যে, কারও কারও কাছে তা ভালো লাগছে। সাধারণ মানুষ হয়তো লেখার চেষ্টা করেনি বা করলেও আমার মতো উপভোগ করতে পারেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি অনেক বড় কিছু আর আরেকজন ‘সাধারণ’। উই অল আর হিউম্যান বিং। আমাদের সবার মধ্যেই চিন্তাশক্তি, ক্রিয়েটিভিটি, আনন্দ-বেদনা অনুভূতি আছে। আমি সেসব মানুষের তুলনায় মোটেও আলাদা নই। কখনো তা দাবিও করি না। আর লেখালেখির কাজটি আমার কাছে কখনই ক্লান্তিকর মনে হয়নি। আমার কাছে এটি খুবই আনন্দময় কাজ। আর সেই আনন্দ থেকেই লিখে যাচ্ছি।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে তৃপ্তির ব্যাপারটা। ওই যে বললাম আমার আনন্দ। আসলে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ যারা কোনো কিছুতেই তৃপ্ত নয়। কিন্তু আমি খুব অল্পতেই তৃপ্ত। অতৃপ্তি ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। আর যখন যে কাজটা করি সেটাতেই আমি সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত হই। আমি যে ছবিটা বানালাম আমার কাছে মনে হয় এটাই আমার সেরা কাজ। সেরা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটা নতুন কাজ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়। আমার অতৃপ্তি নেই। মেবি আমি ক্রিয়েটিভ লোক না। কারণ শুনেছি ক্রিয়েটিভ লোকদের তৃপ্তি থাকতে হয় না, অতৃপ্তি থাকতে হয়।

 

উৎসর্গ পত্র

বই : রূপার পালঙ্ক

একবার একজন লেখক আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। আমাদের তিন কন্যা যে যেখানে ছিল, লেখকের নাম শুনে উঠে চলে এলো। আমার মেজো মেয়ে বলল, এত বড় লেখকের সামনে সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। তার না-কি পা ঝিমঝিম করছে। আমি তখন লেখককে দেখছিলাম না, মুগ্ধ হয়ে আমার তিন কন্যার উচ্ছ্বাস দেখছিলাম।

সেই লেখকের নাম-

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

 

বিস্ময় জাগানো যত চরিত্র...

হুমায়ূন আহমেদের চরিত্র রূপায়ণ সবসময়ই বিস্ময় জাগিয়েছে। তার চরিত্রগুলো পাঠক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে। তেমন কয়েকটি চরিত্রের মধ্যে উল্লে­খযোগ্য হলো, হিমু, মিসির আলী, রূপা, শুভ্র ও বাকের ভাই। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা চরিত্রের একটি হচ্ছে হিমু। খালি পায়ে পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবি পরে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুড়ে বেড়ায় হিমু। উদ্ভট সব কাজই তার মূল কর্মকান্ড। যুক্তির ধারধারেন না। অন্যদিকে রয়েছে মিসির আলী। তিনি মোটা ফ্রেমের ভারী চশমা পরিহিত লোকটি কিছুতেই বিশ্বাস করেন না অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা। যত রহস্যময় ঘটনাই ঘটুক যুক্তি দিয়ে তার সমাধান খুঁজে নেন। এই যুক্তিবাদী মানুষটির নাম ‘মিসির আলী’। হিমুর ঠিক বিপরীত। হিমু যেমন যুক্তি মানে না, মিসির আলী আবার যুক্তির বাইরে হাঁটেন না। হুমায়ূন আহমেদের তৈরি করা চরিত্রগুলোর মধ্যে ‘মিসির আলী’ই তার সবচেয়ে প্রিয়। ‘হিমু’কে যদি অগোছালো আর যুক্তিতর্ক বিরোধী চরিত্রের প্রতীক বলা হয়; মিসির আলী হচ্ছে সম্পূর্ণ তার বিপরীত। মানুষের মন, আচরণ, স্বপ্ন এবং সংকট যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করাই হলো মিসির আলীর একমাত্র কাজ। ‘শুভ্র’ চরিত্রটি তার নামের অর্থের মতোই শুদ্ধতম এক মানবের প্রতিচ্ছবি হয়ে ফুটেছে। হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রগুলোর মধ্যে শুভ্র অন্যতম। নিজেকে পৃথিবীর যাবতীয় জটিলতা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে ভাবতে চান না শুভ্র। নাটকের চরিত্র হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাকের ভাই। বাকের ভাই। কোনো গল্প, উপন্যাস কিংবা নাটকের চরিত্র যে বাস্তবজীবনে এভাবে দৃশ্যমান হয় তা বোধ হয় আগে কেউ দেখেনি। হুমায়ূন আহমেদই সেই বিস্ময়কর ইতিহাস সৃষ্টি করেন ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের মাধ্যমে। হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয় নাটক। এ নাটকে ‘বাকের ভাই’র চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর। হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি সৃষ্টি ‘রূপা’। হিমু’র মতো এক বাউন্ডুলেকে ভালোবাসে এই অসম্ভব রূপবতী মেয়েটি। সবসময় অপেক্ষা করে হিমুর পথের দিকে তাকিয়ে। হিমুর জন্য পরিণতিহীন এক প্রেম নিয়ে রূপা দাঁড়িয়ে থাকে।

হুমায়ূনের কথা

জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে। সবাই তোমাকে কষ্ট  দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেওয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে...

 

নুহাশ পল্লী

গাজীপুরে প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর নুহাশ পল্লী গড়ে তুলেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। শাল-গজারি বনের ভিতর ছায়া নিবিড় নুহাশ পল্লীতেই তিনি কাটিয়েছেন জীবনের অনেকটা সময়। তার শেষ আশ্রয়ও এখানে। নুহাশ পল্লীতে তিনি নিজ হাতে লাগিয়েছেন অসংখ্য ফলদ, বনজ গাছ। রয়েছে ঔষধি গাছের বাগান। আড়াইশ প্রজাতির নানা গাছের এই বাগানে তিনি ছুটে যেতেন। পাখির কলকাকলি ও গাছের পাতায় সুর মূর্ছনায় ভাসতেন তিনি। নুহাশ পল্লীকে পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র ছাড়াও শুটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করেছেন তিনি। শান বাঁধানো ঘাট রয়েছে একাধিক দীঘিতে। রয়েছে দীঘির দিক মুখ করা বাংলো ‘ভূত বিলাস’। বৃষ্টি ও জোছনা দেখার জন্য উন্মুক্ত বারান্দায় বসতেন হুমায়ূন আহমেদ। নুহাশ পল্লীতে কখনো আসতেন পরিবার সঙ্গে নিয়ে। কখনো বন্ধু-স্বজন আর ভক্তদের নিয়ে আড্ডায় মজতেন।

 

বানিয়েছেন দর্শক নন্দিত নাটক

টিভি নাটকে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ছিল হুমায়ূন আহমেদের। এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, আজ রবিবার, নক্ষত্রের রাত নাটকগুলো অসম্ভব দর্শকনন্দিত হয়। বিটিভিতে প্রচারিত নাটকগুলো দেখার জন্য মানুষের আগ্রহ ছিল অকল্পনীয়। নাটক নির্মাণে হুমায়ূনের সাফল্য আঁচ করা যায় কোথাও কেউ নেই নাটক থেকে। ধারাবাহিক নাটক ছাড়াও একক নাটকেও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে নিমফুল, সবুজ সাথী, অচিন রাগিনী, অনুসন্ধান, অন্তরার বাবা, অপরাহ্ণ, অতঃপর শুভ বিবাহ, আইনস্টাইন এবং আজ জরীর বিয়ে, আমরা তিনজন,            আংটি, ইবলিশ, একদিন হঠাৎ, একটি অলৌকিক ভ্রমণ কাহিনী, এই বর্ষায়, একা একা, একি কা-, ওপেনটি বায়োস্কোপ, কনে দেখা, কুহক, কাকারু, খোয়াব নগরসহ আরও অনেক নাটক।

 

তার জনপ্রিয় যত গান

বাংলা সাহিত্যের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের সব সৃষ্টিকর্মের মতো তার রচিত গানগুলোও শ্রোতাদের আবেগাপ্লুত করে। সেগুলোর বেশিরভাগই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে-

* একটা ছিল সোনার কন্যা

* বরষার প্রথম দিনে

* যদি মন কাঁদে

* ও আমার উড়াল পঙ্খীরে

* আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা

* মাথায় পরেছি সাদা ক্যাপ

* লিলুয়া বাতাস

* বাজে বংশী

* আমার আছে জল

* চাঁদনী পসরে কে আমারে স্মরণ করে

* চল না বৃষ্টিতে ভিজি

* নদীর নাম ময়ূরাক্ষী

* আমার মনে বেজায় কষ্ট,

* আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা ভাঙা বেড়ার ফাঁকে

* ঘর খুলিয়া বাহির হইয়া জোছনা ধরতে যাই

* আইজ আমরার কুসুম রানীর বিবাহ হইবে

* বাজে বংশী রাজহংসী নাচে দুলিয়া দুলিয়া

 

অন্যরকম জাদুকর

হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর