বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ

তানিয়া তুষ্টি

হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ

মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে বিশ্বের অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব টম ক্রুজ। ‘টম ক্রুজ’ নামটি সামনে আসতেই ভক্তদের চোখে ভেসে ওঠে অ্যাকশন ছবির নানা দৃশ্য। সবার প্রিয় এই নায়ককে বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রেই। কখনো তিনি উড়োজাহাজের চাকা ধরে ঝুলছেন, আবার কখনো উঁচু ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিচ্ছেন। কখনো তো শত্রুপক্ষকে মেরে একাকার করে দিচ্ছেন। এমনকি সিনেমায় টম ক্রুজের দৌড় মানেই ছবি সুপারহিট। তাছাড়া টম ক্রুজ থাকা মানেই চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। আজকের রকমারি আয়োজনে থাকছে হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ সম্পর্কে বিস্তারিত।

 

হতে চেয়েছিলেন ধর্মযাজক  হলেন অভিনেতা

১৯৮৩ সালে ‘অল দ্য রাইট মুভস’ এবং ‘রিস্কি বিজনেস’ ছবির মাধ্যমে টম ক্রুজের বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনের শুরু হয়। এই চলচ্চিত্রকে টম ক্রুজের ক্যারিয়ার-মেকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পেয়ে যান এ তারকা। ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ সময়টিতে ‘মিশন ইমপসিবল’ ছবির সিরিজগুলোতে অভিনয় করেন হলিউডের এই তারকা। অভিনয়ের সুবাদে বিশ্বের কাছে তার পরিচিতি আকাশছোঁয়া। ভুবন ভুলানো অকৃত্রিম হাসির অধিকারী এই ‘টম ক্রুজ’ হরণ করে নেন সারা বিশ্বের সুন্দরীদের হৃদয়। শুধু অভিনেতা নন, প্রযোজক হিসেবেও ভালো মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন টম ক্রুজ। মিশন ইমপসিবল ছবিটি তারই উদাহরণ। ২০০৫ সালে হলিউড সাংবাদিক অ্যাডওয়ার্ড জে এপস্টিন দাবি করেন, খুব কমসংখ্যক প্রযোজক আছেন, যিনি টম ক্রুজের মতো বিলিয়ন-ডলার চুক্তির চলচ্চিত্রে সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারেন। ক্রুজ/ওয়াগনার প্রোডাকশনস ক্রুজ ও তার অংশীদার ওয়াগনারের ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি। অথচ টম ক্রুজ-ই কিনা ছোটবেলায় অভিনেতা নন, চেয়েছিলেন ধর্মযাজক হতে। আজ আমরা পর্দা কাঁপানো যেই টম ক্রুজকে দেখছি, সেই টম ক্রুজের ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল ক্যাথলিক গির্জার যাজক হওয়ার। সেভাবেই তার শিক্ষা-দীক্ষা ও অভ্যাসের সবকিছু এগোচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সেন্ট ফ্রান্সিস সেমিনারিতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন টম ক্রুজ। সেমিনারিতে শিক্ষার্থী হিসেবে ছিলেন প্রায় তিন বছর। হঠাৎই এক দিন টম ক্রুজ ও তার বন্ধুরা কয়েক বোতল অ্যালকোহল পান করেন। পরে সেগুলো তারা লুকিয়ে রাখেন। তাদের পরিকল্পনা ছিল সুযোগ বুঝে এগুলো পান করা যাবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনার কথা আগেই জেনে যায় সেমিনারির কিছু ছেলে। তারা সেগুলো পান করে মাতাল হন। মাতাল অবস্থায় ধরা পড়েন যাজকদের হাতে। যাজকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে সেই ছেলেরা টম ক্রুজদের নাম বলে দেয়। এরপর সেমিনারি স্কুল থেকে তাদের বাবা-মায়ের কাছে চিঠি লেখা হয়। যথা নিয়মে এই চিঠির একটি কপি পৌঁছায় টম ক্রুজের বাবার কাছে। এ অবস্থায় ঝামেলা হওয়ার কথা চিন্তা করেই অভিযুক্তরা নিজ থেকে বের হয়ে চলে আসে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন টম ক্রুজকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেলেও টম আর সেখানে ফিরে যাননি। তার পরই ধর্মযাজক হওয়ার স্বপ্নকে বাদ দিয়ে টম ক্রুজ নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে অন্য কিছু ভেবেছেন। অভিনেতা হওয়ার আগে টম ক্রুজের কুস্তিগিরও হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখানেও তার স্বপ্নভঙ্গ। একসময় হাইস্কুলের কুস্তি দলের সদস্যও হয়েছিলেন। কিন্তু হাঁটুতে আঘাত পাওয়ার কারণে তিনি কুস্তি ছেড়ে অভিনয় শুরু করেন। হেনরি মুনরো মিডল স্কুলে পড়াকালে ক্রুজ নাটকের সঙ্গে জড়িত হন। তার অভিনীত প্রথম নাটকের নাম ‘আইটি’। ১৯৮১ সালে ক্রুজ ‘এন্ডলেস লাভ অ্যান্ড ট্যাপস’ ছবিতে সহকারী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।

 

হাঁটুর আঘাতে রেসলিং ছেড়ে শুরু রেছিলেন অভিনয়

টম ক্রুজ তথা চতুর্থ টমাস ক্রুজ ম্যাপোথার একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯ বছর বয়সে এন্ডলেস লাভ (১৯৮১) চলচ্চিত্র দিয়ে। ট্যাপস (১৯৮১) ও দ্য আউটসাইডার্স (১৯৮৩) চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের পর ক্রুজ তার প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র ‘রিস্কি বিজনেস’-এ।

১৯৬২ সালের ৩ জুলাই জন্ম নেওয়া ক্রুজ পুরোপুরি তারকা হয়ে ওঠেন অ্যাকশন-নাট্যধর্মী টপ গান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর। ক্রুজ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাইরেকিউজে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা মেরি লি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বাবা তৃতীয় থমাস ক্রুজ   ম্যাপোথার মারা যান। তিনি ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। টম ক্রুজের পূর্বপুরুষরা ছিলেন- জার্মান, আইরিশ এবং ইংরেজ  গোত্রের।

দারিদ্র্যের মধ্যে ক্যাথলিক পরিবারে রাগী ও কটুভাষী পিতার কঠোর অনুশাসনে তিনি বড় হন। এর ফলে তিনি বাবাকে অভিহিত করেন একজন বিশৃঙ্খল ব্যবসায়ী হিসেবে। ক্রুজ স্কুলজীবনে অ্যাথলেট হিসেবে বেশ সক্রিয় ছিলেন। প্রতি রাতেই ফোর হকি খেলা তার নেশা ছিল। এ ছাড়াও রেসলিং-এ তিনি ভালো করতেন। কিন্তু হাঁটুর আঘাতে সেটিও ছেড়ে দেন, শুরু করেন অভিনয়।

 

তার সাফল্য দৌড়ে

চলচ্চিত্রের রেটিং দেওয়া প্রতিষ্ঠান রটেন টম্যাটোস ২০১৮ সালের আগস্টে জানিয়েছে, যে চলচ্চিত্রে টম ক্রুজ যত বেশি দৌড়ান, সেই ছবির ব্যবসা তত বেশি হয়। তাদের হিসাবে, সিনেমা হলের পর্দায় ঘণ্টায় গড়ে ১০ মাইল গতিতে দৌড়ান টম ক্রুজ। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১৪ দশমিক ৭ ফুট পেরিয়ে যান। টম ক্রুজের অত্যধিক দৌড়াদৌড়িতে বক্স অফিস ভালোই জমে। এতে যেমন প্রযোজকের পকেট ফুলে-ফেঁপে ওঠে, তেমন সমালোচকরাও দেন স্টার মার্কস।

মেন্টাল ফ্লসের এক খবরে বলা হয়েছে, যেসব চলচ্চিত্রে টম ক্রুজ এক হাজার ফুটের বেশি দৌড়েছেন, ওইসব ছবি বিশ্বজুড়ে গড়ে ৫৩৮ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে থাকে। অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম আছে। ২০১২ সালের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছবি ‘জ্যাক রিচার : নেভার গো ব্যাক’, গত বছরের ‘দ্য মামি’ বা ২০০১ সালের ‘ভ্যানিলা স্কাই’-এ দৌড়-মারধর কম করেননি টম। কিন্তু সেগুলো সমালোচকদের বেশি প্রশংসা পায়নি। বক্স অফিসও পাত্তা দিয়েছে কম। তবে সিনেট অনলাইনের বিশ্লেষণ, টম বেশি দৌড়ালে ছবি হিট হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ বেশি দৌড়ানো মানেই বেশি অ্যাকশন। আর যত অ্যাকশন, তত পয়সা। তাদের খবরে বলা হয়েছে, মিশন ইমপসিবল সিরিজের তৃতীয় কিস্তিতে ৩ হাজার ২১২ ফুট দৌড়েছেন টম ক্রুজ।

এই ছবি আয় করেছে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। একই সিরিজের ‘ঘোস্ট প্রটোকল’-এ ৩ হাজার ৬৬ ফুট দৌড়ানোয় প্রযোজকের পকেটে ঢুকেছে ২০ কোটি ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯২১ ডলার। ‘ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’-এ ভিনগ্রহের প্রাণীদের ভয়ে ১ হাজার ৭৫২ ফুট দৌড়েছেন টম ক্রুজ। তাতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৮৭২ ডলার। এই তিন ছবিতেই সবচেয়ে বেশি দৌড়েছেন টম।                

 

রোমান্টিক টমের প্রেম এসেছে বার বার

যে কোনো ডেটিংয়ে নিজের শতভাগ মনোযোগ দেন তিনি। নিজের রোমান্টিকতার বেশ কিছু প্রমাণও রেখেছেন টম ক্রুজ। তার নাকি পার্কে হাঁটতে ভালো লাগে, ঘুরতেও ভালো লাগে।

 

সিনেমায় অভিনীত টম ক্রুজের চরিত্র যতই দুর্ধর্ষ আর বেপরোয়া হোক না কেন, বাস্তবে তিনি নাকি ভীষণ রোমান্টিক। টম নিজেই দাবি করেন বয়স ৫৭ হলেও চেহারা কিংবা মনে কোথাও তার ছাপ নেই। সাদাসিধে জীবন উপভোগ করতে ভালোবাসেন তিনি। কোনো কিছুকে মাঝপথে ফেলে আসার মতো মানুষ নন টম ক্রুজ। তার ভাষায়, ‘আপনাদের আমার সম্পর্কে ধারণা কম থাকতে পারে। আমি কোনো কিছুই মাঝপথে ফেলে আসি না। হয় শতভাগ নয়তো কিছুই না।’

যে কোনো ডেটিংয়ে নিজের শতভাগ মনোযোগ দেন তিনি। নিজের রোমান্টিকতার বেশকিছু প্রমাণও রেখেছেন টম ক্রুজ। তার নাকি পার্কে হাঁটতে ভালো লাগে, ঘুরতেও ভালো লাগে। এরপরও কি তাকে রোমান্টিক না বলে পারা যায়। তার ব্যক্তিগত জীবনের আরও একটি বিষয় হয়তো রোমান্টিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেবে। আর তা হলো টম ক্রুজের জীবনে প্রেম এসে ধরা দিয়েছে বার বার। সেসব প্রেমও বার বার তাকে ঘর বাঁধা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। রিস্কি বিজনেস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় সহ-তারকা রেবেকা ডি মোর্নের সঙ্গে টমের সম্পর্ক তৈরি হয়। নিউইয়র্কে তারা ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একত্রে বসবাস করেন। তারপর ১৯৮৭ সালের ৯ মে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মিমি রজার্সকে বিয়ে করেন এই অভিনেতা। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।

ডেজ অব থান্ডার চলচ্চিত্রের সেটে ক্রুজের সঙ্গে নিকোল কিডম্যানের প্রথম দেখা হয়। এই দেখার পরিণতি ঘটে ১৯৯০ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিয়ের মাধ্যমে। এ সংসারে ইসাবেলা জেন এবং কনর অ্যান্টনি নামের দুই সন্তান জন্ম নেয়। ২০০১ সালে বিচ্ছেদের পর আবার একা হন টম। কিন্তু খুব বেশি দিন একা থাকতে হয়নি, ভ্যানিলা স্কাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় অভিনেত্রী পেনেলোপি আর ক্রুজ প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তিন বছরের সম্পর্কটি ২০০৪ সালে ভেঙে যায়।

পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ১৮ নভেম্বর তিনি অভিনেত্রী কেটি হোমসকে বিয়ে করেন। ২০১২ সালে হোমস বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। একই বছর তাদের উকিলের মাধ্যমে বিচ্ছেদটি চূড়ান্ত হয়।

 

যে তথ্য অবাক করে

► পড়তে পারতেন না হলিউড কাঁপানো অভিনেতা টম ক্রুজ। ভুগছিলেন ডাইলেক্সিয়া নামের এক কঠিন রোগে। পরবর্তীতে সাইন্টোলজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার মুক্তি মেলে।

► মার্কিন এ অভিনেতা স্কুলে পড়ার সময় মনস্থির করেছিলেন ক্যাথলিক ধর্মযাজক হবেন।

► শুনতে হাস্যকর হলেও ছাত্রজীবনে তাকে মোট ১৫ বার স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে।

► গ্লেনরিজ হাইস্কুলে পড়ার সময় টম ক্রুজ হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন। সে কারণে স্কুলের রেসি­ং টিম এমনকি অন্য খেলাধুলা থেকেও দূরে থাকতে হয়েছিল। এরপর তিনি অভিনয়কে বেছে নেন। আর সেই অভিনয়ে অত্যধিক দৌড়াদৌড়িতে বক্স অফিস মাতিয়ে তোলেন স্কুলজীবনে দৌড় থেকে বিদায় নেওয়া টম ক্রুজ।

► ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর জাপানে ‘টম ক্রুজ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। অন্যান্য হলিউড তারকার চেয়ে টম সবচেয়ে বেশি জাপান ভ্রমণ করায় তার প্রতি সম্মান জানিয়ে এ দিবস পালন করা হয়।

► ১৯৮৬ সালে টম ক্রুজ টপ গান সিনেমায় ফাইটার পাইলটের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সে সময় তার কোনো পাইলট লাইসেন্স ছিল না। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে তিনি পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন।

► টম ক্রুজের স্ত্রীদের পর্যায়ক্রমে বয়সের পার্থক্য ১১ বছর করে। অর্থাৎ মিমি রজার্স, নিকোল কিডম্যান এবং কেটি  হোমসের জন্মসাল যথাক্রমে ১৯৫৬, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৮।

► ২০১২ সালে টম ক্রুজ হলিউডের শীর্ষ আয়ের অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ অভিনেতার ২১টি সিনেমা বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়নের বেশি আয় করেছে।

 

এত অর্জনের পরও অস্কার নেই

রুপালি জগতে অসাধারণ কাজের সেরা স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয় অস্কার পুরস্কার। এ পুরস্কার জিতে নেন বিশ্বের বাঘা বাঘা পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও লেখকরা। সে হিসেবে অনুরাগীরা ভাবতেই পারেন টমের ঝুলিতে অস্কার থাকবে অবশ্যই। আর ভাববেই না কেন, যেখানে একটার পর একটা বাণিজ্যিক সাফল্যের ছবি উপহার দিয়েছেন টম। তার হিট ছবিগুলো হলোÑ রেইন ম্যান (১৯৮৮), এ ফিউ গুড ম্যান (১৯৯২), জেরি ম্যাগুইরো (১৯৯৬), ভ্যানিলা স্কাই (২০০১), মাইনরিটি রিপোর্ট (২০০২), দ্য লাস্ট সামুরাই (২০০৩), কোলাটেরাল (২০০৪), ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ড (২০০৫), ট্রপিক থানডার (২০০৮), জ্যাক রিচার (২০১২)। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনটি গোল্ডেন গ্লে­াব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ১৯৯০, ১৯৯১ ও ১৯৯৭ সালে ‘পিপল ম্যাগাজিন’ ক্রুজকে বিশ্বের ৫০ জন সুন্দরতম মানুষের মধ্যে স্থান দিয়েছে। ১৯৯৫ সালে ‘এমপায়ার’ ম্যাগাজিন ক্রুজকে চলচ্চিত্র ইতিহাসে ১০০ জন যৌন আবেদনময় তারকার মাঝে স্থান দেয়। এমনকি ২০০৬ সালে ‘ফোর্বস’ ও ‘প্রিমিয়ার’ ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করে। ২০১৩ সালের বিশ্বের সেরা ধনী অভিনেতাদের মধ্যে টম ক্রুজ ছিলেন ৫ নম্বরে। অথচ অভিনয়ের সেরা স্বীকৃতিটাই তিনি নিজের করে নিতে পারেননি। অবশ্য তিনবার অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার বদৌলতে এই তারকার ঝুলিতে জমা পড়েছে ২৫০ মিলিয়ন ডলার।

সর্বশেষ খবর