বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজপরিবার ছেড়েছেন তারা

রাজপরিবার ত্যাগ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এসে সাধারণ জীবনে জড়িয়েছেন অনেকেই। এ রকম অনেক ঘটনার ওপর নির্মিত হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র। কিন্তু বাস্তবের ঘটনাগুলো কখনো কখনো হার মানিয়েছে মানুষের কল্পনাকেও। তেমনি কিছু রাজপরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজকের রকমারি-

সাইফ ইমন

রাজপরিবার ছেড়েছেন তারা

হ্যারি-মেগান দম্পতি

প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারে তৈরি হয়েছে সংকট। প্রিন্স হ্যারির এই সিদ্ধান্তকে অনেকে তুলনা করছেন অষ্টম এডওয়ার্ডের রাজসিংহাসন ত্যাগের সঙ্গে। গণমাধ্যমে চলছে তীব্র শোরগোল।

 

প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে কানাডায় চলে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ব্রিটিশ রাজপরিবার এক অভূতপূর্ব সংকটে পড়েছে। যে রকম আচমকা এই ঘোষণা এসেছে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলের কাছ থেকে, তা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে সবাইকে। এ নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এখন চলছে তীব্র শোরগোল। প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল ইতিমধ্যে কানাডায় চলে গেছেন। গত ৮ ডিসেম্বর হ্যারি এবং মেগান ঘোষণা করেন যে তারা রাজপরিবারের সামনের কাতারের দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চান। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আমেরিকায় তাদের সময় ভাগাভাগি করে থাকতে চান। একই সঙ্গে তারা আর্থিকভাবেও স্বাধীন হতে চান, যাতে রাজকোষের অর্থের ওপর তাদের নির্ভর করতে না হয়। তারা এই ঘোষণা দিয়েছিলেন রানী বা রাজপরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে আগাম আলোচনা ছাড়াই।

এ জন্যই এ ঘটনা এত তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। সোমবার ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টিতে সান্দ্রিংহাম প্রাসাদে রাজপরিবার থেকে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের সরে যাওয়া নিয়ে সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে পুরো রাজ পরিবার। সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে বৈঠকে রানী জানালেন, ওদের ইচ্ছের প্রতি তার পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে। কিন্তু রানী উল্লেখ করেন, ওরা ‘রয়্যাল’ থেকে গেলেই বেশি ভালো হতো। রানীর বক্তব্য, হ্যারি ও মেগান এবার কানাডা ও ব্রিটেনে মিলেমিশে সময় ভাগ করে থাকবেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও কিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৯৩ বছর বয়সী রানী।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। তবে হ্যারি দম্পতি আর্থিকভাবেও স্বাধীন হতে চান। যাতে রাজকোষের অর্থের ওপর তাদের নির্ভর করতে না হয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো বলছে রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য হিসেবে তাদের যেসব ভূমিকা পালন করার কথা তাও তারা খুব বেশি উপভোগ করছিলেন না। বলেই মনে হচ্ছিল।

বিবিসির রাজপরিবার বিষয়ক সংবাদদাতা জনি ডায়মন্ড বলছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারা দুজনেই বেশ সহজভাবেই মিশতে পারেন। কিন্তু সাংবাদিকদের ক্যামেরা প্রিন্স হ্যারি মোটেই পছন্দ করতেন না। এর পাশাপাশি রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিকতা তার কাছে খুব একঘেয়ে লাগত। মেগানও চাননি রাজপরিবারের এ রকম আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে নিজের কণ্ঠস্বর হারাতে। অন্যদিকে যখন তিনি কোনো বিষয়ে তার মত সোজা প্রকাশ করেছেন, তার জন্য তাকে বিরূপ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেকে বলছেন এসবকিছুই হয়তো তাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

রানীর সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা আগে হ্যারি এবং তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম জানান, তাদের মধ্যে কোনো রকম দ্বন্দ্ব নেই। ব্রিটেনের একটি পত্রিকায় দাবি করা হয়েছিল, মেগান আর হ্যারি নাকি বলেছেন, উইলিয়াম তাদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেছেন। এই প্রতিবেদনের ভাষা ব্যবহার নিয়ে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন দুই ভাই। পত্রিকাটি লিখেছে, হ্যারির স্ত্রী মেগান নাকি বলেছেন, ব্রিটেনের রাজপরিবারে ২০ মাস থাকার পর এবার সরে যেতে চান তিনি। সব কিছুর দায় তিনি চাপিয়েছেন হ্যারির বড় ভাই উইলিয়ামের ওপর। বড়দিনের মৌসুমেই নাকি মেগান বলেছিলেন, ‘এভাবে আমি আর পারছি না!’ তবে পরিস্থিতি যা হোক তারা আর রাজপরিবারের হয়ে থাকছেন না। এটা নিশ্চিত।

ব্রিটেনের ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি বন্ধুদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘এতো দিন নিজে হাতে ভাইকে আগলে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়। আমরা দুজন দুটি ভিন্ন ভিন্ন সত্তা। গোটা ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই মুহূর্তে ওদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আশাকরি, এমন একটা সময় আসবে, যখন আমরা সবাই ফের এক ছাতার নিচে জড়ো হব। আমি চাই, প্রত্যেকে একজোট হয়ে কাজ করুক।’ এ মন্তব্য নিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজপরিবারের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

 

রাজকন্যা মাকো

জাপানের সম্রাট আকিহিতোর বড় নাতনি মাকো সাধারণ একজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজকীয় মর্যাদা হারাচ্ছেন এ খবর প্রকাশের পর তা আলোড়ন তোলে বিশ্বজুড়ে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাপানের রাজকন্যা মাকো ও তার হবু বর কেই কোমুরো বিয়ে করতে যাচ্ছেন এ বছর। এর আগে তাদের বিয়ের ঘোষণা আলোচিত হয় পুরো বিশ্বে। প্রেমের কারণে রাজপরিবার ত্যাগ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের কর্মী কেই কোমুরোর সঙ্গে দীর্ঘ প্রণয়ের পর বিয়ের ঘোষণা দেন রাজকন্যা মাকো। রাজপরিবারের নিয়ম অনুসারে রাজপরিবার ছাড়া অন্যত্র বিয়ে করলে মাকো হারাবেন তার রাজকীয় উপাধি। রাজপরিবার  ছেড়ে চলে যেতে হবে তাকে। স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে হবে রাজপরিবার থেকে দূরে কোনো স্থানে। তবে রাজকন্যা এককালীন কিছু অর্থ পাবেন, যা নিজেদের ভরণপোষণের কাজে লাগাতে পারবেন। একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করতে হবে তার। সাধারণ নাগরিকদের মতো ভোট দিতে হবে এবং কর পরিশোধ করতে হবে। যে কোনো জায়গায় যাওয়া থেকে শুরুর করে টুকিটাকি সব কেনাকাটাসহ নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে। আর এই দম্পতির সন্তানরা রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। কিন্তু প্রেমের জন্য সব ছাড়তেই রাজি রাজকন্যা মাকো। তবে জাপানের রাজপরিবারে এটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও প্রেমের কারণে রাজপরিবার ত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।  এর আগে ২০০৫ সালে রাজকন্যা সায়াকো  বিয়ে করে রাজপরিবার ছেড়েছিলেন। এদিকে বর্তমান রাজকন্যাকে বিয়ে করার মতো রাজপরিবারে কোনো পুরুষ সদস্যও নেই।

 

জাপানের রাজকুমারী আয়াকোর বিসর্জন

জাপানের রাজপরিবারের বিধান অনুযায়ী, রাজপরিবারের কোনো সদস্য সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করলে তাকে রাজপরিবারের উত্তরাধিকার ত্যাগ করতে হয়। ২০১৮ সালে ২৯ অক্টোবর জাহাজের এক কর্মচারীকে বিয়ে করতে রাজপরিবার ত্যাগ করেন জাপানের রাজকন্যা আয়াকো। গত দুই বছরে দুজন রাজকন্যা এমন ঘোষণা দিলেন যারা সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করছেন। সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ জুন জাপানের সম্রাট আকিহিতোর ভাতিজি এবং প্রয়াত প্রিন্স তাকামোদের তৃতীয় কন্যা আয়াকো ঘোষণা দেন যে জাহাজ কোম্পানি এনওয়াইকে লাইনের কর্মচারী ৩২ বছর বয়সী কেই মোরিয়াকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি। এর দুই বছর আগে তাদের পরিচয় হয়। তারপর প্রেম চলে তাদের মধ্যে। বেশিদিন প্রেম না করে জলদি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। একই বছর ১২ আগস্ট তাদের দুজনের মধ্যে আংটি বদল হয়। পরে ২৯ অক্টোবর টোকিওর একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আয়াকোর মা প্রিন্সেস তাকামোদের মাধ্যমেই পরিচয় হয় এই প্রেমিক যুগলের। একটি সমাজ কল্যাণ সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে মোরিয়ার মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় প্রিন্সেস তাকামোদের। এরপর তাদের পরিবারের সঙ্গে রাজপরিবারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাজপরিবারের বিধান অনুযায়ী মোরিয়াকে বিয়ে করার পরপরই রাজপরিবার ছাড়তে হয় আয়াকোকে। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রায় ১০ লাখ ডলার প্রদান করা হবে তাদের।

 

প্রেমে পড়ে সিংহাসন ত্যাগ 

...এরপরই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর মস্কোতে এই প্রেম সফল পরিণতি লাভ করে বিয়ের মধ্য দিয়ে। সিংহাসন ত্যাগ করেন সুলতান।

 

প্রেমে পড়ে সিংহাসন ত্যাগ করেন মালয়েশিয়ার রাজা পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদ। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর মস্কোতে রুশ সুন্দরী ওকসানা ভোয়েভোদিনাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। আর এ ঘটনা জনসম্মুখে আসার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজসিংহাসনও ত্যাগ করেছেন ইতিমধ্যে। বিয়ের বছরদেড়েক আগে ওকসানার সঙ্গে ইউরোপে রাজার পরিচয় হয়। প্রথম দেখায়ই ভালোবেসে ফেলেন রাজা পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদ। মিস মস্কো-২০১৫ হওয়ার পর বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে ওকসানাকে। ইউরোপে এলিট ঘড়ির মডেলিংয়ের সময় রাজা পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়। এরপরই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর মস্কোতে এই প্রেম সফল পরিণতি লাভ করে বিয়ের মধ্য দিয়ে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো অ্যালকোহলের আয়োজন। রাজা পরেছিলেন মালয়েশিয়ার জাতীয় পোশাক আর ওকসানা পরেন সাদা গাউন। ওকসানা ভোয়েভোদিনা একজন রুশ মডেল। তিনি রিহানা অক্সানা নামেও পরিচিত। ১৯৯৩ সালে তিনি মস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ডাক্তার এন্ড্রে গর্বাতেনকো একজন অর্থোপেডিক সার্জন এবং মা একজন সাবেক মডেল। মস্কোতেই বেড়ে ওঠা এই সুন্দরী প্লিকানভ রাশিয়ান ইকোনমিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন। গোটা বিশ্বেই তিনি এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন মালয়েশিয়ার রাজা পঞ্চম সুলতান মুহাম্মদকে বিয়ে করার মধ্য দিয়ে।

 

রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড

এ সম্পর্কের ব্যাপারটি তখন ব্রিটেনের আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল আগের চেয়েও দ্রুতগতিতে। ওয়ালিস সঙ্গে আর্নেস্টের সম্পর্কে চূড়ান্ত টানাপড়েন শুরু হয়...

 

রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড প্রেমের জন্য সিংহাসন ছেড়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন। ১৯৩১ সালের ১০ জানুয়ারি এক পার্টিতে প্রিন্স অব ওয়েলস এডওয়ার্ডের সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত এবং পুনর্বিবাহিত আমেরিকান নারী ওয়ালিস সিম্পসনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে। এর পর তাদের এই সাক্ষাৎ চলতে থাকে। ১৯৩১ এর মে, ১৯৩২-এর জানুয়ারিতে তাদের দেখা হয়। সে বছরই জানুয়ারিতে একটি দুর্গে এডওয়ার্ড ও সিম্পসন একত্রে পুরো একটি সপ্তাহ কাটান। ১৯৩৪ সালের আগস্টে সিম্পসনের স্বামীকে ছাড়াই এডওয়ার্ড তাকে নিয়ে ছুটি কাটাতে স্পেন ও পর্তুগালের উপকূলে ক্রুজে ভ্রমণ করেন। সে বছরই এডওয়ার্ড সিম্পসনকে বাকিংহাম প্যালেসে নিয়ে আসেন এবং তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এর পর থেকেই এ দুজনকে ঘিরে ব্রিটিশদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুজব ডালপালা মেলতে থাকে। ১৯৩৬ সালে এডওয়ার্ড সিংহাসনে আরোহণ করেন। আর ধীরে ধীরে ওয়ালিস সিম্পসনের সঙ্গে তার স্বামী আর্নেস্ট সিম্পসনের সম্পর্কে চূড়ান্ত টানাপড়েন শুরু হয় এবং ওয়ালিস সিম্পসন স্বামীর কাছে ডিভোর্স চাইলেন। ১৯৩৬ সালের নভেম্বরে কিং এডওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী স্ট্যানলিকে জানালেন, তিনি সিম্পসনকে বিয়ে করতে চান। প্রধানমন্ত্রী রাজাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন ব্রিটিশ নাগরিকরা কোনোভাবেই তালাকপ্রাপ্ত আমেরিকান নারীকে তাদের রানী হিসেবে মেনে নেবে না। এডওয়ার্ড বিয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। ফলে ১৯৩৬ সালের ১০ ডিসেম্বর এডওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসন ছেড়ে দেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৩৭ সালের মে মাসে অষ্টম এডওয়ার্ড ও ওয়ালিস সিম্পসন বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর