বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ

সাইফ ইমন

ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ

ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রচুর চিরস্মরণীয় বিপ্লবী নেতা রয়েছেন। এসব অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন নারীরাও। তেমনই অত্যন্ত বীর এবং সাহসী একজন রানি লক্ষ্মীবাঈ। ইংরেজদের উদ্দেশে লক্ষ্মী বলেছিলেন, ‘আমি দিব না! আমি আমার ঝাঁসি ছেড়ে দিব না! কেউ আমার ঝাঁসি কেড়ে নিতে পারবে না; যার সাহস আছে সে চেষ্টা করতে পারে!’ ঝাঁসির দুঃসাহসী রানি এ আহ্বানের মাধ্যমেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন। ইংরেজদের বিতাড়িত করে ঝাঁসির রানি শুরু করেছিলেন তার রাজ্য শাসন...

 

 

স্বামীর মৃত্যুর পর হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র

স্বামীর মৃত্যুর পর রাজপাট সামলেছেন। প্রজাদের মঙ্গলের চেষ্টা করে গেছেন আমৃত্যু। আরও অনেকের মতো আত্মহননের পথে এগোননি। জহরব্রত পালন করেননি। ভীরু মনে দুবেলা মরার অপেক্ষা করেননি। বরং ঝাঁসিকে স্বাধীন রাখতে হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র...

নারীদের নমনীয় শারীরিক গঠন ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিকাংশ সময়ই তাদেরকে দুর্বল প্রতিপন্ন করা হয়। অথচ তলোয়ার চালানো বা তীর-ধনুকে লক্ষ্যভেদ করার কথা কল্পনা করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ইতিহাসের বইয়ে দেখা কোনো বীরের ছবি। তারপরও যুগে যুগে এমন কিছু সাহসী নারীর আবির্ভাব ঘটেছে যারা সম্মুখ সমরে পরাজিত করেছেন বহু বীরকে। যাদের নেতৃত্ব তাক লাগিয়ে দিয়েছিল প্রাচীন বিশ্বকে। কালের স্রোতে তারা নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অহংকারী পুরুষেরা অনেক সময় তাদেরকে হেয় করেছেন আর পরিণতিতে অবধারিতভাবেই পতন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। তেমনি এইসব অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মধ্যে, অত্যন্ত বীর এবং সাহসী, রাণি লক্ষ্মীবাঈ অন্যতম। স্বামীর মৃত্যুর পর রাজপাট সামলেছেন। প্রজাদের মঙ্গলের চেষ্টা করে গেছেন আমৃত্যু। আরও অনেকের মতো আত্মহননের পথে এগোননি। জহরব্রত পালন করেননি। ভীরু মনে দুবেলা মরার অপেক্ষা করেননি। বরং ঝাঁসিকে স্বাধীন রাখতে হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র। গড়ে তুলেছেন প্রমীলা বাহিনী। যুদ্ধ ক্ষেত্রে সেনাপতির ভূমিকা নিয়েছিলেন। এবং লড়তে লড়তে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গোয়ালিয়রের এক প্রান্তে পৌঁছে নদীর কিনারে এক সাধুকে অনুরোধ করেছেন তার জন্য চিতা সাজাতে। লক্ষ্মীবাঈ চাননি ইংরেজরা তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করুক। করতেও পারেনি। মাত্র দেড়শ বছর আগের ঘটনা। ১৮২৮ সালের ১৯ নভেম্বর জন্ম হয়েছিল এই নারীর। মৃত্যু ১৮৫৮ সালের ১৮ জুন। দুর্গ রক্ষার যুদ্ধে নিহত মুসলমান ও হিন্দু যোদ্ধাদের যে অশ্বত্থগাছের তলায় কবর ও দাহ করা হয়েছিল। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মেলায় দুই ধর্মের মানুষ সেখানে জড়ো হন শ্রদ্ধা জানাতে। আজ পর্যন্ত কোনো তিক্ততা দেখা যায়নি। দুর্গে প্রতিদিন সন্ধের আলো ও ধ্বনির মূর্ছনায় জীবন্ত হয়ে ওঠে দেড়শ বছর আগের ঝাঁসির ইতিহাস ও রানির জীবন-আলেখ্য।

 

ব্রিটিশদের সঙ্গে যুদ্ধ

১৮৫৩ সালে লক্ষ্মীবাঈয়ের স্বামী রাজা গঙ্গাধর মারা গেলেন। লর্ড ডালহৌসির নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ‘ডক্ট্রিন অভ ল্যাপস’ এর মতে রাজার দত্তক ছেলে দামোদর রাওকে উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানাল।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো রাজ্যের রাজা তার নিজের রক্তের কাউকে উত্তরাধিকারী হিসেবে রেখে না গেলে সেই রাজ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবে বিভিন্ন রাজ্যের রাজাদের বিদ্রোহকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার পেছনে এই নিয়মের ভূমিকা ছিল। লক্ষ্মীবাঈ-এর বিরুদ্ধে আপিল করলেন, ফল হলো না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তার দত্তক পুত্রকে উত্তরাধিকারী হিসেবে মেনে নেয়নি। কোম্পানি জানিয়েছিল, ঝাঁসির সিংহাসনে প্রকৃত উত্তরাধিকারী নেই। ঝাঁসিকে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে নেওয়া হবে। এর উত্তরে রানি জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ঝাঁসি কখনোই দিতে রাজি নন। ১৮৫৪ সালে ঝাঁসির রানির নামে বার্ষিক ৬০,০০০ ভারতীয় রুপি ভাতা হিসেবে মঞ্জুর করা হয় এবং ঝাঁসির কেল্লা পরিত্যাগ করার জন্য হুকুম জারি করা হয়। ১৮৫৮ সালে রানি লক্ষ্মীবাঈ তার সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ব্রিটিশরা যেহেতু প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ছিল, তাই রানি তার দুর্গটি রক্ষা করতে পারেননি। ব্রিটিশ বাহিনী তার শহরে প্রবেশ করে প্রাসাদের দিকে রওনা হয়। এক রাতে দুর্গের দেয়াল থেকে সন্তানসহ লাফ দিয়ে লক্ষ্মীবাঈ প্রাণরক্ষা করেন। আনন্দ রাওকে সঙ্গে নিয়ে রানি তার বাহিনীসহ কাল্পীতে যান। সেখানে তিনি অন্যান্য বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন। পরবর্তীতে গোয়ালিয়র কেল্লা দখল করেন রানি লক্ষ্মীবাঈ এবং তাঁতিয়া তোপির সম্মিলিত বাহিনী। রানি পুনরায় ব্রিটিশ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। তবে, তারা আবার ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে হেরে যান। ১৮৫৮ সালে ফুলবাগ এলাকার কাছাকাছি রাজকীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে শহীদ হন রানি।

 

মণিকর্ণিকা থেকে লক্ষ্মীবাঈ

লক্ষ্মীবাঈ হয়ে ওঠার আগে তিনি ছিলেন মণিকর্ণিকা। তার জন্মতারিখ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। একদল ঐতিহাসিক মনে করেন, তার জন্ম ১৯ নভেম্বর, ১৮৩৫ সালে। ফলে মৃত্যুকালে তার বয়স দাঁড়ায় ২২ বছর। আবার আরেক দলের দাবি করেছেন তিনি জন্মেছিলেন আরও কয়েক বছর আগে যা ১৮২৭-২৮ সালের দিকে। ১৮৩২ সালে তার পরিবার বিথুরে চলে যায়। বিথুর যাওয়ার সময়েই তার বয়স ছিল ৪ বছর। জন্মের পর মাকে হারিয়েছিলেন তিনি। বিথুরের পেশোয়ার দরবারে খেলাধুলা করেই বড় হয়েছেন। লক্ষ্মীবাঈ সকাল ৫টার সময় উঠে সুগন্ধি আতর দিয়ে স্নান করতেন। সাধারণত ধবধবে সাদা চান্দেরী শাড়ি পরে নিয়মিত প্রার্থনায় বসতেন। স্বামীর মৃত্যুর পরও মাথায় চুল রাখার অপরাধে জল ঢেলে প্রায়শ্চিত্ত করতেন। তুলসী পূজা করতেন তুলসীবেদিতে। তারপর দরবারের গায়করা যেখানে গান করতেন সেখানে করতেন পার্থিব পূজা। পুরাণিরা পুরাণ পাঠ করা শুরু করতেন। তারপর সিরদাররা ও আশ্রিতরা এলে তিনি তাদের অভিবাদন জানাতেন। পেশোয়া তার চঞ্চল স্বভাবের জন্য তার নাম দিয়েছিলেন ‘ছাবেলি’। সমবয়সী অন্য মেয়েদের তুলনায় লক্ষ্মীবাঈ ছিলেন স্বাধীনচেতা ও দৃঢ়।

 

গড়ে তুলেছিলেন নারী বাহিনী

কম বয়সে বিয়ে হলেও লক্ষ্মীবাঈ খেলাধুলার প্রতি তার আগ্রহ ত্যাগ করেননি। তিনি মেয়েদের নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। তাদের ঘোড়া চালানো, তরোয়াল চালানোসহ যুদ্ধের সমস্ত রকম দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। মন্দিরে যাওয়ার সময়, তিনি ঘোড়ায় চড়ে যেতেন। মাঝে মাঝে তিনি নারীর পোশাকও পরতেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি আর কখনো নাথ অথবা সেরকম কোনো অলংকার পরেননি। তার হাতে থাকত হীরার বালা, গলায় মুক্তার ছোট মালা এবং কনিষ্ঠ আঙ্গুলে একটি হীরার আংটি। তার চুলগুলো পিছনে বাঁধা থাকত। সাদা অন্তর্বাসের সঙ্গে তিনি একটি সাদা শাড়ি পরতেন। এভাবেই তিনি কখনো পুরুষবেশে, কখনো নারীবেশে দরবারে উপস্থিত হতেন। দরবারে সমবেত ব্যক্তিরা কখনই তার সাক্ষাৎ পেত না। কেননা তার বসার কক্ষটি ছিল আলাদা এবং এটি দিয়ে শুধু দরবারের সভাকক্ষেই প্রবেশ করা যেত। স্বর্ণালঙ্কিত দরজাগুলো সুতি ছিট কাপড়ের সোনালি পর্দায় ঢাকা থাকত। সেই রুমে তিনি নরম বালিশে ঠেস দিয়ে কোমল গদিতে বসতেন। দরজার বাইরে সবসময় দুজন ভৃত্য রুপার গদা নিয়ে উপস্থিত থাকত। রুমটির বিপরীতে লক্ষ্মণ রাও দিওয়ানজী গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। তার পাশে বসতেন দরবারের রেজিস্ট্রার। ১৮৭৮ সালে কর্নেল ম্যালসন লিখিত ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য ইন্ডিয়ান মুটিনি’ পুস্তকে লক্ষ্মীবাঈ নিয়ে তিনি লিখেন, “... তার জনগণ সর্বদাই তাকে স্মরণ করবে। তিনি নিষ্ঠুরতাকে বিদ্রোহের পর্যায়ে উন্নীত করার মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি জীবিত আছেন এবং স্বীয় মাতৃভূমির জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।’’

 

মনু ছিল ডাক নাম

লক্ষ্মীবাঈয়ের পিতার নাম মরুপান্ত তাম্বে এবং মাতা ভাগীরথী বাঈ। ছোটবেলায় নাম ছিল মণিকর্ণিকা তাম্বে। কিন্তু তাঁকে সবাই ভালোবেসে ডাকত ‘মনু’ বলে। ছোটবেলাতেই লেখাপড়ার পাশাপাশি মারাঠা মার্শাল আর্ট, অশ্বারোহণ, তলোয়ার চালানো আর তীরন্দাজির দীক্ষা নিচ্ছিলেন তিনি। তার যখন মাত্র চার বছর বয়স, তখন তার মা মারা যান। তারপর তিনি বিথুরে চলে আসেন, সেখানে তার পিতা দ্বিতীয় পেশোয়া বাজিরাওয়ের অধীনে কাজ করতেন। পেশোয়া মনু-কে বেশ পছন্দ করতেন এবং তিনি তাঁর ছেলে নানা সাহেবের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করতেন মনুর সঙ্গেও সেরকমই আচরণ করতেন। মনু তার বয়সী বাচ্চাদের থেকে বেশ আলাদা ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্বাধীন এবং ঘোড়া চালানো, মার্শাল আর্ট, তরোয়াল চালানো, বিভিন্ন খেলাধুলা এবং অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। ক্ষণজন্মা নারীর ক্ষণিকের জীবন! সাহস ও বীরত্ব তো বটেই, রানি লক্ষ্মীবাঈ অনন্য তার অত্যাধুনিক মন ও ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতার জন্য। হিন্দু ও মুসলমানে কোনো বিভেদ করেননি।

 

ভারতের জাতীয় বীরাঙ্গনা

রানি লক্ষ্মীবাঈ ভারতবর্ষের ‘‘জাতীয় বীরাঙ্গনা’’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান। তাকে ভারতীয় রমণীদের সাহসের প্রতীক ও প্রতিকল্প হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম নারী দলের নামকরণ করা হয় রানি লক্ষ্মীবাঈকে স্মরণ করে। সাম্প্রতিককালে,  লক্ষ্মীবাঈকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ডানপিটে রমণীদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা তাদের স্বামীদের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা পেয়েছিলেন। টাইম ম্যাগাজিনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ঝাঁসির রানির অবস্থান ছিল ৮ম। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। আরও অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত, অঙ্কিতা লখান্দে, ডেনি ডেনজোংপা, অতুল কুলকার্ণি, সুরেশ ওবেরয়। হিন্দি, তেলেগু, তামিল ভাষায় ‘মণিকর্ণিকা : দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ নামের চলচ্চিত্রটির পরিচালক রাধা কৃষ্ণ জগরলামুন্ডি। ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে শহীদ হন রানি। পরবর্তীতে ব্রিটিশ সেনাদল গোয়ালিয়র দখল করে। ১৮৫৮ সালের ১৭ জুন তার মরদেহ ভস্ম হয়ে গিয়েছে সত্য। তবু তিনি অমর। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কখনোই মাথা নত করেননি। যুদ্ধ করে, নিজের শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করে তবেই শহীদ হয়েছেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় আজীবনের জন্য স্থান করে নিয়েছেন এই রানি। যার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের পক্ষে জেনারেল হিউজ রোজ তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, “রানি তার সহজাত সৌন্দর্য, চতুরতা এবং অসাধারণ অধ্যবসায়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। এ ছাড়াও, তিনি বিদ্রোহী সব নেতা-নেত্রীর তুলনায় সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিলেন।” 

এদিকে কথিত আছে, রানিকে গোয়ালিয়রের এক  তেঁতুল গাছের নিচে সমাহিত করা হয়। আবার এরকম গল্পও প্রচলিত আছে যে ভীষণরকম আহত রানি ভয় পাচ্ছিলেন, তার মৃতদেহের অসম্মান করবে ইংরেজ সেনারা। তিনি এক সন্ন্যাসীকে অনুরোধ করেন, মৃত্যুর পর তার দেহ পুড়িয়ে ফেলতে। আমৃত্যু লড়াই করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন এই নারী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর