রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বিশ্ব চিকিৎসকদের পরামর্শ করোনা নিয়ে

সাইফ ইমন

বিশ্ব চিকিৎসকদের পরামর্শ করোনা নিয়ে

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে হানা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত পৌনে তিন লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯১ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নাম। আবার অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কঠিন সময় পার করছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের ডাক্তাররা করোনা নিয়ে দিচ্ছেন তাদের মতামত ও পরামর্শ। যেগুলো মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের খ্যাতনামা কিছু ডাক্তারের মতামত ও পরামর্শ থাকছে আজকের রকমারিতে...

 

যেসব উপসর্গে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই

ডা. দেবী শেঠি

যদি কারও ফ্লু বা সর্দি থাকে, তাহলে প্রথমে নিজেকে আইসোলেট রেখে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এখন পুরো বিশ্ব। নানাভাবে এ ভাইরাসটি শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অজান্তেই আক্রান্ত হচ্ছেন যে কেউ। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস নিয়ে জরুরি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলমান আতঙ্কের মাঝে ভাইরাল হয়েছে ভারতীয় এ চিকিৎসকের একটি অডিও ক্লিপ। এতে অত্যধিক করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবী শেঠি বলেছেন, এ বার্তাটি শুধু ভারতের জন্য। এখানে সমস্যাটা অন্যরকমের। আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। পরীক্ষা-কিট রয়েছে দেড় লাখেরও কম। তিনি বলেন, যদি কারও ফ্লু বা সর্দি থাকে, তাহলে প্রথমে নিজেকে আইসোলেট রেখে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ অবস্থা সম্পর্কে তিনি উল্লেখ করেছেন- ১. প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। ২. তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে, সঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা দেখা দেবে। ৩. পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথাব্যথা। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ৪. ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথা-যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে যাবে। এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৫. অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনা আশঙ্কার প্রয়োজন নেই। করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দেবী শেঠি বলেন, এমন সময় আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরও খারাপ হয়, করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিন। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভারতের কাছে এ মুহূর্তে ১ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষা-কিট রয়েছে। সর্বোচ্চ দেড় কোটি মানুষের পরীক্ষা করা সম্ভব। তাই জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনই প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এতে আরও বড় সমস্যা হবে। শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় এ চিকিৎসক বলেন, আমার পরামর্শ হলো- জ্বর হলেই করোনার পরীক্ষা নয়। আগে অপেক্ষা করে উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করুন। খারাপ হলে নিজেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।

 

কুশলবিনিময়ের ক্ষেত্রে করমর্দন, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে টিস্যু ব্যবহার করবেন এবং সে টিস্যু পুড়িয়ে ফেলতে হবে, যাতে সেখান থেকে ভাইরাস না ছড়ায়। কেউ যদি রুমাল ব্যবহার করেন, তাহলে সে রুমাল ও হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন। ভালোভাবে হাত না ধুলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াবে। তাই সব সময় সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুয়ে নেবেন অথবা চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়। হাতের কাছে কিছু না থাকলে কনুইয়ের ভাঁজে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। ২. অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করবেন না। ৩. বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর অন্য কিছু ধরবেন। কারণ এ হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে সেখানেই ভাইরাস থেকে যেতে পারে। টেবিল, চেয়ার, দরজার হাতল, কি-বোর্ডে ভাইরাস থেকে যেতে পারে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। ৪. খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া দরকার। ডিম পোচ করে না খেয়ে ভালোভাবে ভাজি করে খাওয়া উচিত। ফলমূল ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে, কোনো সবজি দিয়ে সালাদ করার আগে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ৫. অনেকের গৃহপালিত পশুপাখি থাকে। কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা রোগাক্রান্ত মনে হলে সেটিকে সরিয়ে নিতে হবে। সেই প্রাণীকে কেউ স্পর্শ করলে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ৬. কুশলবিনিময়ের ক্ষেত্রে করমর্দন, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। ৭. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। যথাসম্ভব ঘরে বা বাড়িতে থাকুন, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো। করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। ভয়ের পরিবর্তে মানুষ যদি অধিকতর সচেতন থাকে, তাহলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা কঠিন কিছু নয়। এ ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমণের সুযোগ যদি না পায়, তাহলে তা ছড়াবে না। আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা গেলে ব্যবস্থাপনা কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। নতুন এ করোনাভাইরাসের জন্য এখনো কোনো টিকা বা চিকিৎসা উদ্ভাবন না হলেও আনুষঙ্গিক অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।

 

ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হলেও গলা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকে

ডা. জানতজি তালজার্দ

ডা. জানতজি তালজার্দ কাজ করছেন তাইবার্গ হাসপাতালের ইনফেকশন ডিজিজ বিভাগে। তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কেপটাউন অনলাইনে। সেখানে তিনি বলেন, এটা ঠিক স্বল্পমেয়াদি কোয়ারেন্টাইন মহামারী প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত উপায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি আইসোলেশন অর্থনৈতিক ধ্বস সৃষ্টি করবে। যদিও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে কোনো বাস্তবিক সমাধান এনে দিতে পারবে না। মহামারীর প্রকৃত প্রতিষেধক পৃথকীকরণ ব্যবস্থা নয় বরং পারস্পরিক সহযোগিতাই পারে এটি দূর করতে। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগের আগেও কোটি কোটি মানুষ মহামারীতে মৃত্যুবরণ করেছে। মাত্র এক দশকের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই পূর্ব এশিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে মহামারী  প্লেগের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি থেকে ২০ কোটি মানুষ মারা যায়, যা সমগ্র ইউরাশিয়ার জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি ছিল। করোনাভাইরাস আর সাধারণ ফ্লু বা সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গগুলোর মধ্যে বেশকিছু মিল রয়েছে। কভিড-১৯ এর প্রধান উপসর্গ জ্বর, কাশি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হলে গলাব্যথার মতো উপসর্গও থাকে। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে, যা ফ্লুতে দেখা যায় না।

 

শিশুদের নিয়মিত অভয় দিন

ডা. রিচার্ড মার্টিনিলো

পিসিআর টেস্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত করতে পারে। নির্মম হলেও সত্য, শুধু মাস্ক ব্যবহার ঠেকাতে পারে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা রোগীর নাক আর গলা থেকে সুয়াব সংগ্রহ করেন বা জলীয় পদার্থ নেন। নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। তরল পদার্থ থেকে ভাইরাসের জেনেটিক বস্তু নিষ্কাশিত করা হয় এবং শ্লেষ্মা ও কোষবর্জ্য থেকে বিশুদ্ধকরণ করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি, কোয়ারেন্টাইন বা যেকোনো কারণে যদি আলাদা করতেই হয়; তবে টেলিফোন বা অন্য মাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করুন এবং শিশুদের নিয়মিত অভয় দিন। আবার করোনা আক্রান্ত রোগীর নিউমোনিয়াও হতে পারে। তবে সবাইকে এ সময়টাতে সাবধান থাকতে হবে সব পর্যায়ে।

 

 

পেশাজীবীদের এক্ষেত্রে ভূমিকা অনেক

ডা. জাকির হোসেইন

নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করছেন ডা. জাকির হোসাইন। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি পেশাজীবীদের বাংলাদেশে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত তা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, রোগীর সংখ্যা বা মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে এ রোগের ভয়াবহতা বোঝা যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা কিন্তু ভালো নয়। আমরা পর্যাপ্ত টেস্টিং করতে পারছি না। তবে প্যানিক হওয়া যাবে না। মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। পেশাজীবীদের এ ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা আছে। আমি মনে করি, ম্যাসিভ আকারে গ্লাভস, হ্যান্ড সেনিটাইজার ছড়িয়ে দেওয়া উচিত সব জায়গায়। প্রতিটি হাসপাতালে এটি ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। যদি মনে করেন ১০টি কেইস এসেছে আর আসবে না। এটি হবে না। চোখ বন্ধ করে ভালো আছেন এটি বলা যাবে না। সেই সঙ্গে সেন্ট্রাল মনিটরিং ইউনিট টালু করা উচিত।

 

 

আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে

ডা. ফ্রাঙ্ক গার্নার

হাঁচি-কাশি দিলে যে টিস্যু ব্যবহার করবেন তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। ভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে। তাই সব সময় সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুয়ে নেবেন অথবা চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন, কথাগুলো বলেছেন ডা. ফ্রাঙ্ক গার্নার। তিনি ওয়াশিংটনের কম্প্রিহিনসিভ হেলথ কেয়ারের মেডিকেল অফিসার। সুপরিচিত এ ডাক্তার গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, অনেকের পশুপাখি থাকে। কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে সেটিকে সরিয়ে ফেলুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এখন সবাইকে। ঘরে বা বাড়িতে থাকতে হবে সবার। তাহলেই আমরা এ প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারব। আতঙ্কিত না হয়ে সবার উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। নতুন এ করোনাভাইরাসের জন্য এখনো কার্যকরি টিকা বা চিকিৎসা উদ্ভাবন না হলেও আনুষঙ্গিক অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। তাই আমি বারবার বলছি, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে বোঝাতে হবে।

 

 

নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য পেলে বদলেও যেতে পারে কোনো পরামর্শ

ডা. মারিজিও সিক্কোনি

ইতালিয়ান ডাক্তার মারিজিও সিক্কোনি। সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডারে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। ইতালির অবস্থা ভয়াবহ। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় সব দেশকে পেছনে ফেলেছে ইতালি। তিন দিন আগে মৃত্যুর হিসাবে চীনকেও ছাড়িয়ে যায় ইউরোপের এ দেশটি। শুক্রবার রেকর্ড ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩২ জনে। ডা. মারিজিও বলেন, নভেল করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কভিড-১৯ বেশ দ্রুত গতিতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই এটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বৈশ্বিক মহামারী একটি পরিবর্তনশীল ব্যাপার, তাই করোনাভাইরাসের ব্যাপারে নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া গেলে এসব পরামর্শের কোনো কোনোটি বদলেও যেতে পারে।

 

 

মানসিকভাবে শক্ত থাকা অনেক বেশি জরুরি

ডা. ওজেড

এনবিসি টেলিভিশনে ডা. ওজেট হোস্টিং করেন অনেক দিন ধরেই। তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে বলেন, অনেক শহরই আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এখন মানসিকভাবে শক্ত থাকা অনেক বেশি জরুরি। প্রায় আবদ্ধ শহরে বিচ্ছিন্নতার জন্য অসহায় লাগতে পারে। তাই এ সময় বন্ধু এবং স্বজনদের সঙ্গে ফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে পারস্পরিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। করোনায় সংক্রান্তর কোনো সাহায্য প্রয়োজন হলে তার একটি আগাম পরিকল্পনা তৈরি করে রাখুন। মাস্ক ব্যবহার বাড়াতে হবে। ভাইরাসটি ভারী হওয়ায় এটি বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না, তাই এটি মাটি, মেঝে বা অন্য কোনো বস্তুর ওপর পড়ে এবং দীর্ঘ সময় জীবিত থাকতে পারে। সেখান থেকে স্পর্শের মাধ্যমে অন্য কারোর করোনা সংক্রমণ হতে পারে।

 

 

সর্বশেষ খবর