মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

এক করোনায় কত কাণ্ড

আবদুল কাদের

এক করোনায় কত কাণ্ড

কভিড-১৯। বিশ্বজুড়ে ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনার আতঙ্ক। এমনিতেই চিকিৎসা নেই বলে আতঙ্ক চেপে ধরেছে সবাইকে। তার ওপর সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে করোনাভাইরাস নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা। কীসে দমবে করোনাভাইরাস, তাই নিয়ে নানা রকম চর্চা চলছেই। কী কী ভুল ধারণা ভেঙে না ফেললে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কোনো লাভ হবে না বা মোকাবিলাই করা যাবে না, জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেখে নিন সে সব।

চিকিৎসা ও ডাক্তারদের বিভ্রান্তি

একেবারে নতুন ধরনের সংক্রামক ব্যাধি হওয়ার কারণে করোনার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। উন্নত দেশের আধুনিক হাসপাতাল ও দক্ষ চিকিৎসকরা পর্যন্ত এ রোগের চিকিৎসা করতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব কটি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতি, শনাক্তকরণ কিট, পরীক্ষা সবকিছু নিয়েই দ্বিধাবিভক্ত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। যদিও অধিকাংশ দেশই করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে চীনের পদ্ধতি অবলম্বন করছেন, এর পরও ডাক্তারদের মধ্যে রয়েছে সংশয়। অন্যদিকে করোনা আটকানোর দাওয়াই এসে গিয়েছে বলে অনেকেই স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন! কিন্তু বিষয়টা মোটেই তা নয়। চীনসহ কয়েকটি দেশ কভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষজনকে হাইড্রো অক্সি-কোর-কুইন জাতীয় ওষুধ গ্রহণে সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যা কমাতে কিছু ওষুধ ব্যবহার করেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার্স কোভ-২ করোনাভাইরাসের ওষুধ নিয়ে শেষ কথা বলার সময় আসতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। দেশে দেশে চলছে এ নিয়ে গবেষণা। বিজ্ঞানীনের দাবি, করোনার ভ্যাকসিন ও নিশ্চিত চিকিৎসা আবিষ্কার হতে কম করে হলেও এক বছর সময় লাগবে। আপাতত মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমেই চলছে করোনা চিকিৎসা।

উচ্চ তাপমাত্রায় ছড়ায় না

দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে তাপমাত্রা ও করোনা সম্পর্কিত নানা তথ্য। ‘উচ্চ তাপমাত্রায় ঝুঁকি কম’- প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে এমন ধারণা করেন অনেক গবেষক। অনেক গবেষকের দাবি, উচ্চ তাপমাত্রায় প্রভাব পড়ে করোনাভাইরাসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি বলেছেন, সামনের গ্রীষ্মের গরমে করোনাভাইরাস থাকবে না। তবে এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ বলেছে, অযথা এমন আশা করার যুক্তি নেই।

অন্যদিকে হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুলের একটি গবেষণা বলছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনেই ঠান্ডা ও গরম দুই রকম পরিবেশেই ভাইরাস ছড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের বিষয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ দাবি করে, তাপমাত্রার পরিবর্তনে করোনাভাইরাসের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। করোনাভাইরাস শুধু কম তাপমাত্রায় ছড়ায় এই দাবিও নাকোচ করে সংস্থাটি। তাদের ভাষ্য মতে, করোনাভাইরাস বাতাসে নয় বরং মানুষের সংস্পর্শে ছড়ায়। সুতরাং এর সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। এমন পরিস্থিতিতে আপাতত সতর্কতা ছাড়া উপায় দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’।

ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি

বর্তমানে চারদিকে ভুয়া খবর বা ফেক নিউজের ছড়াছড়ি। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক সারা বিশ্বে পেয়েছে নতুন মাত্রা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এ ধরনের ভুয়া খবর ভাইরাসের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে। কোনো রকম ভুয়া খবরে কান না দিয়ে সরকারের নির্দেশনাবলি পালন করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি (ফেব্রুয়ারি মাসে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এমন উদ্বেগের কথা জানান চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার সবচেয়ে বেশি চীনের উহান শহরে, এটা সত্যি। কিন্তু চীনের অন্যান্য শহরেও এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম। কিন্তু পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো এই রোগকে ‘মেড ইন চায়না’ বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারীর এমন পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে শুধু চিকিৎসকরাই নন, উদ্বেগে সরকারও। প্রায় প্রতিদিন সরকারের তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর নিয়ে মন্তব্য করে এ ধরনের প্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। অন্যদিকে ভুয়া খবরে মানুষ যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়বে তেমনি ভুল চিকিৎসার দিকে ধাবিত হয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

গুজবে থানকুনিপাতা খাওয়া

‘করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে থানকুনিপাতায়’ সম্প্রতি বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর উপজেলায় এমন গুজব উঠেছে। এমন গুজব খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাত ২টা থেকে ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত পাতা খাওয়ার হিড়িক চলে। কোথাও কোথাও তো থানকুনিপাতা খেতে মাইকযোগে আহ্বানও জানানো হয়! কে বা কারা এই আদেশ দিয়েছে, জানতে চাইলে অনেকে বলেন, এক পীর স্বপ্নে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য সবাইকে থানকুনিপাতা খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গুজবের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শওকত আলী বলেছেন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে থানকুনি পাতার অনেক গুণাগুণ আছে। কিন্তু তিনটি পাতা খেলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এর কোনো ভিত্তি নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে গুজবের পর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহেল আহমেদ জর্জ নামের একজন লিখেছেনÑ ‘করোনাভাইরাসের দিন শেষ, থানকুনিপাতার বাংলাদেশ, গ-মূর্খ বাঙালি...’। মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম নামের অপর একজন লিখেছেন, ‘ভাইরাস-করোনা : সবেমাত্র গুজব শুরু। ধর্মগুরুরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে বৈ, শুধু থানকুনিপাতা নয়, মানুষের বিষ্টা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। গুজব থেকে সাবধান’।

গোমূত্র খাওয়ার হিড়িক

গোমূত্র পানে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো-কোটিবার শেয়ার হয়েছে। আর বেশ কিছুদিন আগে গোমূত্র ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম ভাইরাল টপিক। সেখানে দেখা যায়, কভিড-১৯ প্রতিরোধে গোমূত্র উত্তম পাথেয় বলে বিশ্বাস করেন ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ। তারা মনে করেন গরুর মূত্র ও গোবরে রয়েছে এমন ঔষধি শক্তি বা গুণ, যা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে গরুর মূত্র পানের পার্টির আয়োজনও করেন অনেক ভারতীয়। প্রথমে গরুর মূত্র ধারণ করে তা চায়ের মতো করে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। পরম ভক্তি সহকারে পরম তৃপ্তির সঙ্গে তা পান করেছেন কেউ কেউ। আবার কাউকে দেখা গেছে হাত দিয়ে নাক আটকে পান করছেন গরুর মূত্র। গরুর মূত্র পানের ওই অনুষ্ঠানের খবর সচিত্র প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এমন অবাস্তর খবরে কান দিয়ে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন আবার কেউ কেউ। গোমূত্র পান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘করোনাভাইরাসের চিকিৎসা এ মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই, তবু বানোয়াট চিকিৎসার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাচ্ছে’। এমন গুজব আর ভুয়া খবরে বিভ্রান্ত হয়ে গোমূত্র পান করেছেন শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের অসংখ্য মানুষ।

খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি

বর্তমানে দুটি মহামারী একসঙ্গে চলছে- এক করোনাভাইরাস, অন্যটি গুজব। বিশেষত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মের তোয়াক্কা না করে গুজবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। বেশ কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েÑ আদা-রসুন-লবঙ্গের মতো মসলা ভাইরাসটির প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। যেমনÑ বেশি রসুন খেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন জীবাণুনাশক ঠিকই। কিন্তু রসুন কভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা কমায়, এমন প্রমাণ এখনো মেলেনি। কোথাও বলা হচ্ছেÑ আদা-পানি খেলে করোনাভাইরাস ভালো হয়। এ নিয়ে অনেকে বিভিন্ন ওষুধের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছেন। যেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। চিকিৎসকরা বলেন, আদা শরীরের পক্ষে ভালো। এতে ভিটামিন সি আছে। পানি খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কিন্তু আদা-পানি পানে কডিভ-১৯ থেকে মুক্তি মিলবে, এমন কথার পেছনে কোনো যুক্তি নেই। এরই মধ্যে রটেছে, মুরগির মাংস থেকে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ বা পশুর দেহের মাধ্যমেই বিপজ্জনক আকার ধারণ করে করোনাভাইরাস। কোনো খাবারের মধ্যে এই ভাইরাস থাকতে পারে না। সবজি, মাংস বা ডিম ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে আর ভাইরাস থাকার আশঙ্কা নেই।

প্রচলিত ধারণা বনাম বাস্তবতা

প্রচলিত

পোষা প্রাণী করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে।

বাস্তবতা

এখন পর্যন্ত এমন প্রমাণ নেই যে, বাসার পোষা প্রাণী থেকে নতুন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে পোষা প্রাণী স্পর্শ করার পর সাবান দিয়ে ভালো মতো হাত ধুয়ে ফেলা উচিত।

 

প্রচলিত

চীন থেকে ডাকে আসা প্যাকেট/পার্সেল বিপজ্জনক।

বাস্তবতা

চিঠি, প্যাকেট, পার্সেল দীর্ঘদিন ট্রানজিটে থাকে। ফলে সেখান থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

 

প্রচলিত

নিউমোনিয়া রোগের প্রতিষেধক নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বাস্তবতা

নিউমোনিয়া ভ্যাক্সিন স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটিরিয়া থেকে প্রতিরোধ করে। কোনো ভাইরাসঘটিত রোগ থেকে নয়। নভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক এখনো তৈরিই হয়নি। তবে এই ভাইরাসের সংক্রমণের পর স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার সেকেন্ডারি সংক্রমণ ঠেকাবে নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক।

 

প্রচলিত

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হবে।

বাস্তবতা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ বার বার নিশ্চিত করে বলেছে, কোনো অ্যান্টিবায়োটিকই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী নয়। অ্যান্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার চিকিৎসা করে। আর নভেল করোনা হচ্ছে ভাইরাস। ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বা চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হবে না।

 

প্রচলিত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুধু মাস্ক ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।

বাস্তবতা

সুরক্ষা নিয়ম না মেনে বা ভালো মানের মাস্ক না পরে কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থেকে এই ধারণা করা ঠিক নয়। অযথা মাস্ক কেনার জন্য তড়িঘড়ি না করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। হাত বার বার ভালো করে ধুয়ে নিন। হাঁচি, কাশি, খাওয়া-দাওয়ার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

প্রচলিত

প্রতিবেশী কেউ হাঁচি-কাশি দিলেই ব্যাপারটা চিন্তার।

বাস্তবতা

না, এই মৌসুমে হাঁচি-কাশি স্বাভাবিক। তবে সেই জীবাণু কভিড-১৯ হবে, এমন নিশ্চয়তা যেমন নেই তেমনি আবার সেই জীবাণুকে অবহেলা করাও কোনোভাবেই ঠিক হবে না।

 

প্রচলিত

যানবাহন কিংবা দরজার হাতল বা আসবাব থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

বাস্তবতা

হ্যাঁ, এমনটা হতেই পারে। তাই সংক্রমিত ব্যক্তির হাত থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসের জীবাণু যানবাহন, দরজার হাতল কিংবা আসবাবে বেশ কয়েক ঘণ্টা জীবিত থাকে।

 

প্রচলিত

স্যানিটাইজার না থাকলে হ্যান্ড ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাস্তবতা

এই ধারণা একেবারেই ভুল বলে দাবি ‘হু’-র। হ্যান্ড ড্রায়ার করোনাভাইরাস মারতে সক্ষম নয়। ৬০-৭০% অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত ধোয়াই ভাইরাস ধ্বংসের একমাত্র উপায়।

 

প্রচলিত

গরম পানিতে গোসল করলে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।

বাস্তবতা

আমাদের শরীরের গড় তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফরেনহাইট। ঠা-া বা গরম কোনো পানিতে গোসল করলেই তা বদলায় না।

 

প্রচলিত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু নিশ্চিত।

বাস্তবতা

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় ২.০৯ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন।

 

প্রচলিত

যৌন সম্পর্কেও কভিড-১৯ ছড়ায়

বাস্তবতা

সাধারণভাবে যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। তবে চুম্বনে বিলক্ষণ এই সংক্রমণ ছড়ায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর