সোমবার, ৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মহামারী থেকে যেভাবে মিলেছিল মুক্তি

সাইফ ইমন

মহামারী থেকে যেভাবে মিলেছিল মুক্তি

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম চালু

ব্ল্যাক ডেথ

প্রশাসনিকভাবে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম চালু হয়েছিল ১৪০০ শতকে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর মহামারী ব্ল্যাক ডেথের সময়। ব্ল্যাক ডেথের মতো আলোচিত মহামারী আর নেই। কৃষ্ণ সাগরের (ব্ল্যাক সি) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বিধায় একে ব্ল্যাক ডেথ বলা হয়। সে সময় ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য হতো এ কৃষ্ণ সাগর দিয়েই। আর এখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের জাহাজগুলোতে চড়ে বসত অসংখ্য ইঁদুর, যেগুলো কিনা রোগের প্রধান জীবাণুবাহী। এই মহামারীর কবলে পড়ে ১৪০০ শতাব্দীতে বিশ্বের জনসংখ্যা ৪৫০ মিলিয়ন থেকে ৩৫০-৩৭৫ মিলিয়নে নেমে আসে। ১৭০০ শতক পর্যন্ত প্লেগ পরবর্তী সময়েও এই সংখ্যা আর পুনরুদ্ধার হয়নি।

এমনকি ’১৯ শতকেও এটি ইউরোপের কিছু কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছিল। এই মহামারী ইউরোপের ইতিহাসে ব্যাপক ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। ইউরোপে বেশ কয়েকটি সূত্রপাত হয়েছিল বলে মনে হয়। ১৩৪৭-৫১ খ্রিস্টাব্দ সময়কালই ছিল ব্ল্যাক ডেথের সবচেয়ে বিধ্বংসী সময়। এ সময় ইউরোপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিল। সে সময় মহামারী থেকে বাঁচতে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রচলন শুরু হয়েছিল। যার ফলে মহামারীর প্রকোপ কমতে শুরু করে এবং এক সময় স্বাভাবিক হয়ে আসে সবকিছু। এদিকে ব্ল্যাক ডেথের কারণ হিসেবে অনেকে ধারণা করেছিলেন, পাপের শাস্তি হিসেবে মানুষকে এ রোগ দিয়েছেন ঈশ্বর। ব্ল্যাক ডেথ ইউরোপের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিল। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালির মতো দেশগুলো ভুগছিল ভয়াবহ শ্রমিক সংকটে।

 

রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছিল

জাস্টিনিয়ান প্লেগ

৫৪১ সালে জাস্টিনিয়ান প্লেগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। যার শুরুটা হয়েছিল মিসর থেকে। এরপর পুরো ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। সম্রাট জাস্টিনিয়ানের নামানুসারে ওই সময় এই মহামারীর নাম হয়েছিল। এই রোগ ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই প্লেগের মূল বাহক ছিল ইঁদুর। ইতিহাসবিদদের মতে ভয়ঙ্কর এই মহামারীতে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অনেকের মতে বিশ্বের তৎকালীন মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর দেপল ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক থমাস মকাইটিস বলেন, সেসময় অসুস্থ লোকদের এড়িয়ে যাওয়া শুরু করে সুস্থরা। যতটুকু জানা যায়, একপর্যায়ে এই রোগের প্রকোপ কমে আসে। যারা বেঁচে ছিল, তাদের মধ্যে ওই রোগের প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছিল।

 

টিকা আবিষ্কৃত

গুটিবসন্ত

গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স ভ্যারিওলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতো এবং এটি অত্যন্ত মারাত্মক এক ব্যাধি ছিল। মানবদেহে প্রথমে এক ধরনের গুটি বের হয় যা পরবর্তী সময়ে তিল বা দাগ, কুড়ি, ফোস্কা, পুঁজবটিকা এবং খোসা বা আবরণ ইত্যাদি পর্যায়ের মাধ্যমে দেহে লক্ষণ প্রকাশ করে। গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৭৯৬ সালে। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে ভারতে। ১৯৭০ সালে লক্ষাধিক মানুষ রাতারাতি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী কয়েক বছরে ভারত সরকার এবং জাতিসংঘের সহায়তায় গঠিত একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালেই ভারতকে গুটিবসন্ত মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হয়। গুটি বসন্তের প্রথম টিকা আবিষ্কার হয়েছিল ১৮ শতকের শেষভাগে ১৭৯৬ সালে। এডওয়ার্ড জেনার এ টিকা আবিষ্কার করেন। এটিই ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম সফল টিকা। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে!

 

মৃতদের লাশ জোর করে গণকবরে দাফন

দ্য গ্রেট প্লেগ অব লন্ডন

গ্রেট প্লেগ অব লন্ডন হিসেবে স্বীকৃত ১৩৩৪ সালের প্লেগ আসলে ছড়ায় চীন থেকে। এরপর ইতালির ফ্লোরেন্স শহরেই ছয় মাসে প্লেগে মারা যায় ৯০ হাজার মানুষ। পরবর্তী কয়েক বছরে এশিয়া-ইউরোপে মারা গিয়েছে পাঁচ কোটি মানুষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইঁদুরের খাদ্য ও প্রস্রাব থেকে এই ভয়াবহ রোগটি হয়েছে। এই রোগটি সম্ভবত এশিয়ায় উৎপত্তি এবং পরে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একপর্যায়ে রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সব অসুস্থ লোকের বাড়িতে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। মৃতদের লাশ জোর করে গণকবরে দাফন করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এসব পদক্ষেপেই একসময় এই ভয়ঙ্কর প্লেগ পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে দূর হয়েছিল।

 

পানীয় জলের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা

 

কলেরা

রাশিয়ায় ১৮১৭ সালে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সেখানে তখন প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পরবর্তীতে স্পেন, আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, জাপান, ইতালি, জার্মানি, ভারত ও আমেরিকাতেও কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারী আকারে। পরে আরও বিভিন্ন সময়ে কলেরার পাদুর্ভাব প্রত্যক্ষ করেছিল পৃথিবীর মানুষ। জন স্নো নামের এক চিকিৎসক প্রথম কলেরা রোগের সঙ্গে দূষিত পানির যোগসূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। যেসব এলাকায় কলেরায় মৃত্যুর হার বেশি সেসব এলাকায় পানি দূষিত ছিল। পানি দূষণ রোধ করার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিকের মতো কলেরার সংক্রমণ নানা অঞ্চলে কমে আসতে থাকে। এ ঘটনার পরই বিশ্বের নগরগুলোর স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার তালিকায় সর্বাগ্রে স্থান পেতে থাকে। সেই সঙ্গে পানীয় জলের বিশুদ্ধতা রক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। আর জন স্নোকে এখন আধুনিক রোগতত্ত্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। বর্তমানে কলেরা প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের কারণে প্রায় ৩৭ শতাংশ কলেরা রোগী সেরে উঠেছে। এমনকি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে অনেক রোগী।

 

মাস্ক পরিধান শুরু হয়

দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে এটা লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেওয়া হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’।  এটি ‘দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক’ নামেও পরিচিত। গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২৪,০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। এরপর বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটিত নানা মহামারী ঘটার প্রমাণ রয়েছে। মাত্র এক বছরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক কেড়ে নেয় কোটির বেশি মানুষের প্রাণ! সে সময় দেশে দেশে সরকার সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানের জন্য আইন পাস করে, দীর্ঘদিনের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।

 

ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হয়

দ্য থার্ড প্লেগ প্যানডেমিক

আধুনিক যুগে প্লেগ ছড়ায় ১৮৬০ সালে। চীনের ইউয়ান নামক একটি ছোট্ট গ্রামে পৃথিবীর ইতিহাসে আবার এই প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার মাধ্যমে। এতে চীন, ভারত ও হংকংয়ে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। পরবর্তীতে এই প্লেগ ছড়িয়ে যায় ভারত, আফ্রিকা, ইকুয়েডর, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও। প্রায় দুই দশক স্থায়ী এ মহামারীতে প্রাণ হারায় ১ কোটির অধিক মানুষ।  ১৮৯০ এর দশকে প্লেগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন হওয়ার ফলে এই রোগের প্রকোপ কমে আসে। বিশ শতকের সবচেয়ে বড় প্লেগ মহামারী দেখা দেয় ১৯১০ সালে। চীনের মাঞ্চুরিয়ায় দুই বছরে মারা যায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ভ্যাকসিন ততদিনে উদ্ভাবন হওয়ায় রোগটি আর বেশিদূর ছড়াতে পারেনি।

 

টিকা আবিষ্কার

পোলিও

পোলিওমাইলিটিজ এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। সচরাচর এটি পোলিও নামেই সর্বাধিক পরিচিত। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি এ ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হন। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ও তার অঙ্গ অবশ বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ১৯১৬ সালে পোলিও রোগ প্রথম মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর নিউইয়র্কে ৯ হাজার মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ৬ হাজার মানুষই মৃত্যুবরণ করে! নিউইয়র্ক শহর থেকে ক্রমে পোলিওর প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর বিশ্বে কত শত মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার কোনো সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যেতে থাকে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে ১৯৫০ সালে জোনাস সাল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতেপোলিওর টিকা শিশুর জন্মের পরপরই দিয়ে দেওয়ার নিয়ম চালু হয়। ফলে পৃথিবীতে এখন পোলিওর প্রকোপ নেই বললেই চলে।

 

নিজ থেকেই চলে গিয়েছিল

এপিডেমিক অব এথেন্স

ইতিহাসবিদ থুসিডাইডস এই মহামারী নিজ চোখেই দেখেছেন। এই এপিডেমিক অব এথেন্স গ্রামের পর গ্রাম জনমানবহীন করে দিয়েছিল। এ ব্যাপারে থুসিডাইডসের একটি মন্তব্য হলো- এ মহামারী এতটা ভয়ঙ্কর যে ইতিহাসের আর কোনো মহামারী কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেও এর তুলনা করা চলে না! খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০ অব্দে স্পার্টানদের সঙ্গে গ্রিকদের যুদ্ধ চলার সময় এই মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল। স্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার গ্রিক সৈন্য মারা যায় কয়েক দিনের ব্যবধানে। তবে ইতিহাসবিদদের মতে এটি ছিল প্লেগের সংক্রমণ। তবে এ প্লেগের ধরন নিয়ে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে। অন্যদিকে এথেন্সের প্লেগ মহামারী নিয়ে খুব বেশি তথ্য যে জানা গেছে- এমনও নয়। এ মহামারীতে ঠিক কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল তাই সঠিকভাবে বলা যায় না। ধারণা করা হয় যে এথেন্সের প্রাচীন এই মহামারী নিজ থেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিল।

 

প্রতিকার থেকে প্রতিরোধে গুরুত্ব

সার্স

সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এক জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে। তবে এটি বাদুড়ের দেহেও পাওয়া গেছে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দুবার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আট হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ফলে নড়েচড়ে বসে বিশ্ব। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরকম আরেকটি ভাইরাস হচ্ছে মার্স। এটি সার্সের একই গোত্রীয় একটি ভাইরাস। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বায়ুবাহিত এ রোগের জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫ শতাংশ মারা গেছেন। এই রোগের নাম দেওয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। করোনাভাইরাস গোত্রীয় বলে ভাইরাসটির নাম মার্স করোনাভাইরাস। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন দেশে। চিকিৎসাবিজ্ঞান দ্রুত কাজ শুরু করলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারেনি। মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী সার্স নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মার্স নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও আজকে যে করোনা তা কিন্তু এরই একটি রূপ। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে করোনাতে দিন দিন মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।

সর্বশেষ খবর