শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাযুদ্ধে অভিনব যা কিছু

সাইফ ইমন

করোনাযুদ্ধে অভিনব যা কিছু

মাস্ক না পরলেই রাস্তা ঝাড়ু দিতে হয় মাদাগাস্কারে

আইন করা হয়েছে মাস্ক না পরলে রাস্তা ঝাড়ু দিতে হবে মাদাগাস্কারে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনেক দেশ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও তা সবাই মানছে না। তাই বাধ্য করাতে বিভিন্ন দেশ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। এই যেমন মাদাগাস্কার সরকারের নির্দেশ, ঘরের বাইরে কেউ মাস্ক না পরলে তাকে নোংরা রাস্তা ঝাড়ু দিতে হবে। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নাগরিকদের এ শাস্তি দিতে  দেখা গেছে মাদাগাস্কার পুলিশ বাহিনীকে। রাজধানী আন্তানানারিভোর পাশাপাশি ফিয়ানারান্তসোয়া ও তোয়ামাসিনা শহরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন প্রেসিডেন্ট রাজোএলিনা। এই ঘোষণার পরপরই কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়, মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কমিউনিটির সেবা করতে হবে। এর পর ফলও মিলেছে তৎক্ষণাৎ। অ্যান্টি করোনাভাইরাস অপারেশন্সের প্রধান জেনারেল এলাক অলিভিয়ের বলেছেন, ‘রাস্তায় বের হওয়া ৭০ শতাংশ লোক এই নিয়ম মানছে, কারণ রাস্তা ঝাড়ু  দেওয়ার শাস্তি নিয়ে তারা আতঙ্কিত।

এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের উপপ্রধান ক্রিস্টিয়ান রাকোতোবে। আন্তনানারিভোর কমিশনার হেক্টর রাজাফিন্দাজাকা বলেছেন, ২৫ জনকে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের দিয়ে রাজধানীর নোংরা রাস্তা পরিষ্কার করানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, অস্বস্তি নিয়ে রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন দোষীরা। এ পর্যন্ত ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রে ১২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মৃত্যুর হার শূন্য।

 

দুধ দিলেন অন্য মায়েরা

করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মা দুধ খাওয়াতে পারছেন না নিজের সন্তানকে। কিন্তু শিশুরা মায়ের বুকের দুধ থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সে জন্য ১৫ লিটার বুকের দুধ দিলেন অন্য মায়েরা। হংকংয়ে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ক্যাথেরিন কোসাসিথ করোনা আক্রান্ত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। চার মাস ও ২১ মাস বয়সী দুই সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীকে থাকতে হয় কোয়ারেন্টাইনে। বিপত্তি ঘটে এর পরই। কারণ, চার মাস বয়সী সন্তান ফর্মুলা দুধ খেতে পারে না। খেলে অ্যালার্জি হয়। একদিকে করোনা আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেতে পারছে না। রাজ্যের দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে ক্যাথেরিন যোগাযোগ করেন হংকং ব্রেস্টফিডিং সামাজিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জেমা ম্যাক-ফারলানের সঙ্গে। তিনি বুকের দুধ দানকারী মায়েদের উদ্দেশ্যে অনলাইনে এসএমএস কল দেন। এক ঘণ্টার মধ্যে অনেক মা বুকের দুধ দান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আগ্রহীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে একদিনের মধ্যে তারা ১৫ লিটার বুকের দুধ সংগ্রহ করে। এরপর সেটাকে প্রক্রিয়াজাত ও ফ্রোজেন করে দিয়ে আসেন চার মাস বয়সী শিশুকে। এই ১৫ লিটার দুধ দিয়ে অনায়াসে ১৪ দিন কেটে যাবে শিশুটির।

 

মানুষের পাশে রোবট

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রোবট ব্যবহার করছে সৌদি সরকার। জেদ্দায় কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল কমপ্লেক্সে ব্যবহৃত রোবটটি সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষা করতে এবং রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম। রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসক ও নার্সদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি কমানোই লক্ষ্য। স্টেথিস্কোপ, অটোস্কোপ, ক্যামেরা ও ত্বক পরীক্ষার বিশেষ ক্যামেরার মতো মেডিকেল ডিভাইসসহ ইত্যাদি সংযুক্ত করা হয়েছে রোবটটিতে। এর ক্যামেরাগুলোর রেজ্যুলেশন অনেক বেশি। এ ছাড়া করোনা আক্রান্তদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে চিকিৎসক ও নার্সদের কাজ করার মতো যন্ত্রপাতি এতে যুক্ত করা হয়েছে। রোবটটি করোনা আক্রান্তদের গুরুতর লক্ষণ শনাক্ত করতে পারবে, রেডিওগ্রাফিক ইমেজ বের করতে পারবে এবং স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে রোগীর ফাইল দেখতে পারবে। তিনি জানান, রোবটটির মাধ্যমে কেবল কাজের গতি দ্রুতই হচ্ছে না বরং হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে সেরা চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাচ্ছে। রোবটটিকে সেবা দেওয়ার পর জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থাও আছে।

 

আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি

পুরো বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তখন করোনাযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে অনেকে অনেক কিছুই করছে। এবার ভারতে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে করোনাযোদ্ধাদের স্যালুট জানাতে শুরু করল দেশটির সেনা। দেশের প্রায় সব বড় শহরে হাসপাতালগুলোর ওপর পুষ্পবৃষ্টি শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানগুলো। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর যুদ্ধজাহাজগুলো আলোয় সাজিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাবে নৌসেনাও। জানা গেছে, করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, অধিকারকর্মী, সেনা জওয়ান এবং সাংবাদিকদের অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এই পুষ্পবৃষ্টি-সহ অন্যান্য কর্মসূচি শুক্রবার ঘোষণা করেছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত ও ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর প্রধানরা। দিল্লির পুলিশ মেমোরিয়ালে তিন বাহিনীর প্রধান দেশ জুড়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতের প্রায় সব শহরের আকাশে চক্কর কাটছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। সুখোই-২০ এমসেআই, মিগ-২৯ ও জাগুয়ার যুদ্ধবিমানগুলো রাজধানীতে রাজপথে কুচকাওয়াজ করতে দেখা গেছে।

 

হাঁটছেন শতবর্ষী দবিরুল

করোনাযুদ্ধে লন্ডনে রোজা রেখে হেঁটে তহবিল সংগ্রহ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি দবিরুল ইসলাম চৌধুরী। করোনাভাইরাস সংকটে দুর্গতদের জন্য তহবিল সংগ্রহে নেমে সাড়া ফেলেছেন তিনি। লন্ডনের উপকণ্ঠে সেন্ট আলবান্স শহরে নিজের বাড়ির বাগানে প্রতিদিন ৮০ মিটার পথ হাঁটছেন তিনি ১০০ বার করে। ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে তার এই কার্যক্রম, পুরো রোজার মাসে তিনি এই হাঁটা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। মাত্র ১০ দিনে দবিরুলের তহবিলে জমা হয়েছে ৭৮ হাজার পাউন্ডের বেশি অর্থ। প্রতি মুহূর্তে তার এই তহবিলে অর্থ জমা পড়ছে। ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারি সিলেটের দিরাই থানার কুলঞ্জ গ্রামে জন্ম নেওয়া দবিরুল ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন ১৯৫৭ সালে। সেখানে অনেকেই তাকে এখন চেনেন কবি দবিরুল হিসেবে। তার সংগৃহীত অর্থ যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ প্রায় ৫০টি দেশের করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যয় করা হবে।

 

১০১ বছরে করোনা জয়

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেখানেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১০১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ইতালিয়ান নাগরিক। খবরটি সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে গেছে। বৃদ্ধের বাড়ি ইতালির রিমিনিতে। মিস্টার পি নামের ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। রিমিনির ভাইস মেয়র গ্লোরিয়া লিসি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ওই ব্যক্তি। তার শরীরে কভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া গেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিসি আরও বলেন, ১০০ বছরের বৃদ্ধের সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই এখন গোটা দেশে আশার আলো দেখছি। লিসির কথায়, রোজ ঘুম থেকে উঠি খারাপ খবর শুনে। এই ভাইরাসের কবলে প্রাণ হারাচ্ছেন মূলত বয়স্ক মানুষজনই। এরই মাঝে ১০০ বছরেরও কোনো এক ব্যক্তি সুস্থ হলেন। এ যেন সত্যিই খুশির খবর।

 

বিস্ময় বালকের ভবিষ্যদ্বাণী

ভাগ্যে অবিশ্বাসী মানুষও ভবিষ্যৎ জানতে চান। এর আগে আমরা দেখেছি অক্টোপাস আগাম বলে দিচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলার ফল। বর্তমানে করোনাযুদ্ধের মাঝে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও। ভিডিওটি প্রকাশিত হয় গত বছর আগস্টে। এতে অভিজ্ঞ আনন্দ নামে এক কিশোর করোনাভাইরাসের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আনন্দর ভাষ্যমতে, নভেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল এ সময় বেশ বড় সংকটে পড়বে বিশ্ববাসী। ভিডিও বার্তায় আনন্দ আরও জানিয়েছেন, ৩১ মের মধ্যে এর প্রকোপ কমতে শুরু করবে। আনন্দের এই ভিডিও গত আগস্টে প্রকাশিত হলেও সেসময় কেউ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু গত ডিসেম্বরের পর থেকে পরিস্থিতি একটু একটু করে যখন বদলে যেতে শুরু করে তখন আলোচনায় উঠে আসে আনন্দ। কারণ এখন সবাই দেখছে আগেই এই বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে রেখেছেন আনন্দ।

 

মহামারীর খবর জানে না

বর্তমানে করোনাসৃষ্ট মহামারীতে পুরো বিশ্ব প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট সর্বত্র সবার মুখে এই একটাই নাম। কিন্তু যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি এখনো জানেনই না এই মহামারীর খবর। তাদের কানে পৌঁছেনি এত বড় দুর্যোগের কথা! ওই দম্পতির নাম রায়ান অসবোর্ন ও ইলোনা ম্যানহিগিতি। বসবাস যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টারে। দুজনেরই শখ ভ্রমণ করা। সাগরে ভেসে বিশ্বভ্রমণ করার জন্য গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তারা স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে ইয়টে করে সমুদ্র যাত্রায় বের হন। উদ্দেশ্য আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানো। যাত্রা শুরুর সময় তারা শুধু জানতেন চীনের উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ২৫ দিনের যাত্রা শেষে তারা যখন ক্যারিবিয়ান উপকূলে একটি ছোট দ্বীপে নামার চেষ্টা করেন তখন জানতে পারেন এই মহামারী প্রসঙ্গে। করোনা মহামারীর খবর শুনে তারা হতবাক! তাদের ধারণাই ছিল না, করোনা এভাবে এত দ্রুত চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে মহামারী সৃষ্টি করতে পারে।

 

হার্বাল কভিড অর্গানিকস

আফ্রিকায় করোনার হার্বাল ওষুধ ‘কভিড অর্গানিকস’ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। সম্প্রতি মহাদেশটিতে বাজারজাত শুরু হয়েছে মাদাগাস্কারে তৈরি হার্বাল ওষুধ ‘কভিড অর্গানিকস’। দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি রাজোয়েলিনা এটির বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি জানান এই হার্বাল ওষুধ করোনার চিকিৎসায় কার্যকর। এটি করোনা রুখে দিতে পারে। করোনা চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। মালাগাসি ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লায়েড রিচার্সের সঙ্গে যৌথভাবে ওষুধটি তৈরি করেছেন ডাক্তার জেরোমি মুনিয়াগি। নামকরণ করেছেন ‘কভিড অর্গানিকস’। এটি মূলত ম্যালেরিয়ার বিপক্ষে কার্যকর ভেষজ উদ্ভিদ ‘আর্তেমিসিয়া’ দিয়ে তৈরি। উদ্ভিদটি আফ্রিকার অধিকাংশ দেশে চাষ হয়। এরপর থেকে আফ্রিকাজুড়ে রীতিমতো ভাইরাল এ ওষুধ। মাদাগাস্কার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই ওষুধের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েলি এমখিজে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমরা মাদাগাস্কার সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি কভিড অর্গানিকসের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার। আমাদের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় সহায়তা করবে। এই হার্বাল ওষুধটির বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আমরা যুক্ত হচ্ছি।’

 

মসজিদ এখন হাসপাতাল

পুরো পৃথিবী এখন আক্রান্ত করোনা মহামারীতে। করোনাযুদ্ধে সবাই যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এই মহামারী রুখে দিতে হবে। পুরো বিশ্বেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। এবার একটি মসজিদকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তর করা হযেছে। আর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এখন পুরোপুরি প্রস্তুত মসজিদটি। পুনের আজম ক্যাম্পাসের ক্যাম্পের ভিতরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি মসজিদের দোতলায় বিশাল হলঘরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ৮০ জন সেখানে থাকতে পারবেন। এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র কসমোপলিটন অ্যান্ড এডুকেশনাল সোসাইটির চেয়ারম্যান পি এ ইনামদার বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে কভিড-১৯ রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের ট্রাস্টি প্রয়োজনে রোগীদের খাবারের ব্যবস্থা করবে। আরও জায়গার প্রয়োজন হলে সে ব্যবস্থাও করা হবে।

সর্বশেষ খবর