বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাযুদ্ধে প্রযুক্তির ব্যবহার

সাইফ ইমন

করোনাযুদ্ধে প্রযুক্তির ব্যবহার

রিমোট ডায়াগনস্টিক সার্ভিসে সাফল্য

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসছে করোনাযুদ্ধে। চীনে করোনা সংক্রমণের পর মাল্টি-ন্যাশনাল টেলি-কমিউনিকেশন্স কোম্পানি জেডটিই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে আসে। তারা শুরু করে রিমোট ডায়াগনস্টিক সার্ভিস। এতে করে কম সময়ে কম জনবল নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেই জনস্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা যাচ্ছে। সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েস্ট চায়না হসপিটাল এবং চেংডু পাবলিক হেলথ ক্লিনিক্যাল মেডিকেল সেন্টারে তারা নিয়ে এসেছে ফাইভ-জি ডায়াগনসিস ও ট্রিটমেন্ট সার্ভিস। চীনে এই সার্ভিস চালু করে সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনা গেছে বেশ ভালোভাবেই। অন্য দেশেও এই সার্ভিস অলরেডি শুরু হয়েছে। টেলি-যোগাযোগের মাধ্যমে এখন মানুষরা ঘরে বসেই ডাক্তারি সেবা নিতে পারছে। জনসমাগম এড়াতে এবং মানুষে মানুষে সংস্পর্শ এড়াতে প্রথাগত অফলাইন কন্সালটেন্সির পরিবর্তে অনলাইন কন্সালটেন্সি সার্ভিস চালু করেছে টেনসেন্ট, আলি হেলথ এবং পিং অ্যান গুড ডক্টর। ফলে অনেকাংশে রোধ করা যাচ্ছে ভাইরাসটির বিস্তার। চীনের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এই কভিড-১৯ ঠেকাতে বিগ ডাটার সর্বোত্তম ব্যবহার করছে।

এর সাহায্যে পাবলিক এরিয়াগুলোতে তারা মানুষের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। যেসব মানুষের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের সহজেই শনাক্ত করতে দূরে থেকেই মানবদেহের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স অ্যালগরিদমের সাহায্যে দ্রুততম সময়ে কারও দেহে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর তিনি আসলেই করোনাভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছেন কি না সেটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।

 

র‌্যাপিড ডট ব্লট প্রযুক্তি

বাংলাদেশি ডক্টর বিজন কুমার শীল ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস মোকাবিলায় সিঙ্গাপুরের এক ল্যাবে তিনি ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই ফর্মুলা পরবর্তীতে চীন সরকার কিনে নিয়ে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সমর্থ হয়। এ গবেষণায় বিজন কুমারের সঙ্গে ছিলেন ডক্টর নিহাদ আদনান, ডক্টর মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ডক্টর ফিরোজ আহমেদ। ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুরের এক গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারী নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবিলা করে। এই ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ উৎপাদনে রিএজেন্ট লাগে। কেমিক্যাল রিএজেন্টগুলো সহজলভ্য নয়। এগুলো পাওয়া যায় সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যে।

 

গবেষণায় সুপার কম্পিউটার

আইবিএমের তৈরি ‘ব্রেন অব এ আই’ যুক্ত সুপার কম্পিউটার সামিট করোনাভাইরাস গবেষণায় সাহায্য করছে। এ সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে এমন এক ধরনের রাসায়নিক শনাক্ত করা গেছে, যা করোনাভাইরাস ছড়ানো রোধ করতে পারে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন গবেষকরা। গবেষকরা বলছেন, কোন যৌগ কার্যকরভাবে ধারক কোষের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে, হাজার হাজার সিমুলেশন বিশ্লেষণ করেছে সুপার কম্পিউটার। এর মধ্যে ৭৭ ধরনের যৌগ শনাক্ত করা হয়েছে। এতে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির পথে আরও একধাপ এগোনো যাবে। বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যেই ২০১৪ সালে এটি তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (ওআরএনএল) তৈরি সুপার কম্পিউটারটি আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার টাইটানের চেয়ে আট গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। সামিটের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ২০০ পেটাফ্লপস বা প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব করার ক্ষমতা।

 

বাড়ছে রোবট ও অ্যাপের ব্যবহার

রোবটিক্স কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসছে করোনা প্রতিরোধে। যেমন ইন্টেলিজেন্ট রবোট ফার্ম ক্লাউড মাইন্ডস নিয়ে এসেছে বেশ কিছু স্মার্ট রবোট। যারা কি না এই কভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতেই কাজ করছে। এই রবোটগুলো আইসোলেশন ওয়ার্ডে সার্ভিস, ডেলিভারি সার্ভিস, হাসপাতাল পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্তকরণ এবং দূর থেকে মানবদেহের তাপমাত্রা নির্ণয়ে সাহায্য করছে। বিশ্বের অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জীবাণুমুক্তকরণ ও আগত মানুষের তাপমাত্রা পরিমাপে ব্যবহার করছে এমন রোবট। ওদিকে ই-কমার্স জায়ান্ট জেডি, কুরিয়ার ফার্ম শুনফেং এক্সপ্রেস এবং অন্যান্য তাজা খাবার সরবরাহকারী অ্যাপগুলোও নিজেদের দেশের এই দুরবস্থায় এগিয়ে এসেছে। মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য জিনিস যেন দ্রুততম সময়ে পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করে যাচ্ছে তারা। মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও অন্য জিনিসগুলো যেন দ্রুততম সময়ে পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করছে তারা।

 

ভাইরাস মারছে মাইক্রোওয়েভ স্টেবিলাইজার ‘অতুল্য’

করোনাভাইরাস মারতে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজির তৈরি যন্ত্র। ক্রমাগত তাপ ছড়াচ্ছে যন্ত্রটি। আর সেই তাপেই ক্রমে নষ্ট হচ্ছে করোনাভাইরাসের আরএনএ। এভাবে এবার করোনা বিনাশে নেমেছে ‘অতুল্য’। এ নামেই তাকে ডাকতে শুরু করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। ওজন তিন কিলোগ্রামের মধ্যে। যে কোনো বস্তুর গায়ে যদি করোনাভাইরাসের চিহ্নটুকুও থাকে, তবে ‘অতুল্য’ তা লোপ করতে সক্ষম। আসলে এই অতুল্য নামের যন্ত্রটি একটি ‘মাইক্রোওয়েভ স্টেবিলাইজার’। এই যন্ত্র দিয়েই ধ্বংস করা হচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানীরা। এবার সাধারণ মানুষ যাতে কম দামে ‘অতুল্য’কে ব্যবহার করতে পারেন সেই উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। ‘অতুল্য’ তৈরির পুরো কৃতিত্ব ভারতের ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজির। কিছু দিন আগেই ডিআরডিও করোনাভাইরাস নষ্ট করার জন্য একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিল। ওই যন্ত্রটি থেকে অতিবেগুনি রশ্মি বের হয়। ওই রশ্মিই কিছুক্ষণের মধ্যে কাবু করে ফেলে করোনাভাইরাসকে।

 

চীনে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন

চীনা সংস্থা সিনোভাক দাবি করেছে, করোনার ভ্যাকসিন তারা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এটি যদি সত্যিই কাজ করে তাহলে তা মানবজাতির জন্য একটি সুখবর। এখন ছাড়পত্রের অপেক্ষায় তারা। ছাড়পত্র পেয়ে গেলেই গণহারে ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। সিনোভাকের আরও দাবি, তাদের গবেষণাগারে প্রস্তুত ভ্যাকসিনই করোনা ঠেকাতে কার্যকর হবে। সিনোভাকের দাবি, বানরের শরীরে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে এই ভ্যাকসিনের।

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় বলা হয়েছে, মার্চ মাসের শুরুতে রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে নতুন উদ্ভাবিত পিকোভ্যাক ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন চীনা গবেষকরা। এর তিন সপ্তাহ পরে বানরগুলোকে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যেসব বানরের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা করোনায় সংক্রমিত হয়নি। আর যেসব বানরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তাদের ফুসফুসে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

 

করোনাভাইরাস লাইক পার্টিকেল

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কানাডার বিজ্ঞানীরাও কাজ করে যাচ্ছেন। কানাডায় অবস্থিত একটি বায়োটেক কোম্পানি মেডিকাগো যা মিতসুবিশি তানাবি ফার্মা কোম্পানির সাবসিডিয়ারি। প্রতিষ্ঠানটি এখন দাবি করেছে তারা করোনাভাইরাসের একটি ভাইরাস লাইক পার্টিকেল তৈরি করেছে। এদের সংক্ষেপে বলে ভিএলপি। এই ভিএলপি অনেক প্রোটিন দ্বারা তৈরি এবং এদের আকার এবং গঠন মূল ভাইরাসের মতোই; কিন্তু এদের মধ্যে ভাইরাসের জেনেটিক বস্তু নেই। এই ভ্যাকসিনগুলো সফল হলে এটা নিরাপদ কি না সেটা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু ধাপ পেরুতে হবে। আর এর জন্য আরও কিছু সময় লাগবে। তারপর অনুমতি মিললে সারা বিশ্বে বড় আকারে বিতরণ করা হবে।

 

রেমডেসিভির যেভাবে কার্যকর

যে কোনো অ্যান্টি ভাইরালের কাজই হচ্ছে শরীরে বাসা বাঁধা ভাইরাসকে ধ্বংস করা এবং তার বংশবৃদ্ধি আটকে দেওয়া। এ ক্ষেত্রেও একই রকমভাবে করোনা আক্রান্তের শরীরে ওই মারণ ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি রুখে সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকাংশে সক্ষম রেমডেসিভির। কোনো ভাইরাস মানবদেহের কোষে প্রবেশ করে তার ভিতর বংশবৃদ্ধি চালিয়ে সেই কোষটিকে ধ্বংস করে। তারপর সে আক্রমণ চালায় পাশের কোষে। এভাবেই একের পর এক কোষ ধ্বংস করে সে। আর মারণ ভাইরাস নিয়ে যায় মৃত্যুর পথে। কিন্তু অ্যান্টি ভাইরালের কাজ হলো, আক্রান্ত কোষে ঢুকে আগেই ওই ভাইরাসকে ধ্বংস করা। তার বংশবৃদ্ধি আটকে দেওয়া। ফলে ভাইরাসটি আর অন্য কোষকে আক্রমণ করতে পারবে না। এতে সংক্রমণ রুখে দেওয়ার পাশাপাশি ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয়ে যায়। আসলে করোনার ঘরে ঢুকে তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে এই অ্যান্টি ভাইরাল। রেমডেসিভির প্রয়োগ নিয়ে আমেরিকার সিদ্ধান্তের পর বিশ্বের অনেকেই এখন আশাবাদী হচ্ছেন। এখান থেকেই বিশ্বমানবতার নতুন পথচলা শুরু হবে। আরও অনেক ওষুধ আসবে অচিরেই। এটা নিঃসন্দেহে একটা বড় মাইলস্টোন।

 

শরীরে এন্টিবডি তৈরির গবেষণা

মডার্না থেরাপিউটিক্স নামে একটি ইউএসভিত্তিক কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে একটা নতুন ভ্যাকসিনের ব্যাপারে। এরা যেটা করছে, তা হলো এরা ভাইরাসের একটি জেনেটিক বস্তু, যাকে আমরা বলি মেসেঞ্জার আরএনএ, সেটা তৈরি করেছে। এই ভাইরাসের আরএনএটি শরীরে প্রবেশ করালে এটা কোষে ভাইরাসের উপরিভাগে উপস্থিত স্পাইক প্রোটিনের একটি অংশ তৈরি করবে। আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেকোনো ধরনের বাইরের বস্তু আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে তা বুঝতে পারে এবং এটাকে মারার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করে।

এই প্রোটিনটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা পদ্ধতি এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। শরীরের এই মজুদ অ্যান্টিবডি পরবর্তী সময়ে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সক্রিয় হবে। এ কোম্পানি সিয়াটলে বেশ কিছু সুস্থ ভলান্টিয়ার জোগাড় করেছে এটা প্রয়োগ করার জন্য। এই গবেষণা সফলতার মুখ দেখলে তা হবে করোনার বিরুদ্ধে বড় অর্জন।

 

প্লাজমা থেরাপিতে দ্রুত সুস্থতা

প্লাজমা থেরাপিতে সাফল্য পেয়েছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। এই থেরাপির মাধ্যমে দিল্লিতে সেরে উঠেছেন কভিড-১৯ আক্রান্ত এক ব্যক্তি। লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী সুস্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন। এই পদ্ধতি হলোÑকভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন যে সব মানুষ, তাদের শরীরে এই রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাদের রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে অন্য কভিড-১৯ আক্রান্তকে দেওয়া হয়েছে, সেই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এই পদ্ধতিকেই প্লাজমা থেরাপি বলা হয়। দিল্লিতে সুস্থ হয়ে ওঠা এক হাজার ১০০ জনের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই প্লাজমা দিতে রাজি হয়েছেন। করোনা রোগীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, প্লাজমা থেরাপিতে এখনো ভালো ফলই পাচ্ছি। সুস্থ হয়ে ওঠা এক হাজার ১০০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই প্লাজমা দিতে প্রস্তুত। এই থেরাপির সাফল্যে এ মুহূর্তে দেশের বেশকটি হাসপাতালকে প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ তার মধ্যে অন্যতম। প্লাজমা থেরাপি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা ইতিবাচক এবং উৎসাহব্যঞ্জক ইঙ্গিত। এখনো প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।

সর্বশেষ খবর