শিরোনাম
সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার মেডিসিন ভ্যাকসিনে যত অগ্রগতি

সাইফ ইমন

করোনার মেডিসিন ভ্যাকসিনে যত অগ্রগতি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানব জাতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। একাধারে দেশগুলোতে লাশের মিছিল বেড়ে চলেছে। বিশ্বের সবকিছু হঠাৎ করেই থমকে গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা বিশ্ব একযোগে কাজ করছে। এর ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা দিন-রাত খেটে চলেছেন। মহামারী করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন আগামী সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ তৈরি হতে পারে বলে সুখবর দিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট। বিশ্বজুড়ে নানা দেশে বিজ্ঞানীদের ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতি নিয়ে আজকের রকমারি...

 

কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কাজে লাগিয়ে গবেষণা শুরু

কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কারও অজানা নয়। প্রশিক্ষিত ‘স্নিফার ডগ’ যা পারে, তা মানুষের কল্পনার অতীত। গন্ধ শুঁকে অনেক অসাধ্যসাধনের নজির রেখেছে কুকুর। সেই শক্তির ওপর আস্থা রেখেই করোনা টেস্টে কুকুর নিয়ে গবেষণা শুরু হচ্ছে ব্রিটেনে। ঘ্রাণশক্তি দিয়ে কুকুরের দ্বারা করোনা আক্রান্তদের আসলেই শনাক্ত করা যাবে কিনা, ব্রিটিশ গবেষকদের দেখার বিষয় সেটাই। সূত্রের খবর, ছয়টি বিশেষজ্ঞ সারমেয়কে এ জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। লন্ডনের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের গন্ধের নমুনা সংগ্রহ করে, তা শুঁকতে দেওয়া হবে বিশেষজ্ঞ সারমেয়দের। পার্থক্য যাতে ধরতে পারে, এ জন্য সংক্রামিত নয়, এমন মানুষের গায়ের গন্ধও শুঁকবে তারা। এরপরেই শুরু হবে আসল পরীক্ষা। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই যাতে সংক্রামিতদের দ্রুত খুঁজে বের করা যায়, তার জন্য এই মেডিকেল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সারমেয়কুল সফল হলে, তা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন তারা। ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, একটি বিশেষজ্ঞ সারমেয় এক ঘণ্টায় ২৫০ জনকে পরীক্ষা করতে পারবে। কিট দিয়ে করোনা  টেস্ট করে, তার রিপোর্ট হাতে পেতে এখনো একদিন সময় লেগে যায়।  সেখানে বিশেষজ্ঞ সারমেয় দিয়ে এক ঘণ্টায় ২৫০ মানুষের টেস্ট সম্ভব হলে, তা যে কতটা ইতিবাচক হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

সেপ্টেম্বরে আসছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন

মহামারী করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন আগামী সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ তৈরি হতে পারে বলে সুখবর দিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট। গত শনিবার যুক্তরাজ্যের দ্য টাইমস পত্রিকাকে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে এ আশার কথা শোনান তিনি। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে জোর প্রচেষ্টা চলছে। বৈশ্বিক এ প্রচেষ্টায় অক্সফোর্ডের সারাহর দলও যুক্ত। সারাহ বলেছেন, কভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় তার গবেষণা দলের বানানো ভ্যাকসিন যে কাজ করবে, সে ব্যাপারে তিনি ৮০ ভাগ আত্মবিশ্বাসী। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা মানুষের ওপর তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালাবেন বলেও জানান তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, ভ্যাকসিনটি দ্রুত তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে তার দল। তিনি সপ্তাহের সাত দিনই কাজ করছেন। সারাহ আরও বলেন, সবকিছু ঠিকমতো এগোলে সেপ্টেম্বর নাগাদ ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। এ ভ্যাকসিন কভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় কাজ করবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩৫টি কোম্পানি ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান মানুষের ওপর প্রয়োগ শুরু করেছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষামূলক প্রয়োগের খুব কাছাকাছি চলে আসার কথা বলেছে।

 

চীন পঞ্চম ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত

উপমন্ত্রী জেং ইয়িক্সিন শুক্রবার বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে ২৫৭৫ জন মানুষের ওপর এ পাঁচটি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে শেষ হবে বলে আশা করছি। সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনগুলোকে আরও একটি ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

চীন করোনা ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের পাঁচটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের মানব শরীরে দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন আগামী মাসে মানব শরীরে ট্রায়ালের অনুমতি পাবে। বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতায় এ খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপমন্ত্রী জেং ইয়িক্সিন শুক্রবার বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে ২৫৭৫ জন মানুষের ওপর এ পাঁচটি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে শেষ হবে বলে আশা করছি। সাধারণ ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হওয়ার আগে সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনগুলোকে আরও একটি ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে  যেতে হবে। দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি জানিয়ে ইয়িক্সিন বলেন, আরও কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনকে জুন মাসে মানব শরীরে পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে। এদিকে চীনে সংক্রমণ কমে যাওয়ায় তিয়ানজিন-ভিত্তিক ক্যানসিনো বায়োলজিকস ইনকরপোরেশন এবং বেইজিং-ভিত্তিক সিনোভাক বায়োটেক লিমিটেডের মতো কয়েকটি চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অন্যান্য দেশে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল পরিচালনার বিকল্প অনুসন্ধান করছে।

 

এভিগান যেন আশার আলো

ইসরায়েলের মিগাল গ্যালিলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট গবেষণা প্রতিষ্ঠান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মুরগির সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। এদিকে  করোনাভাইরাসের আক্রমণে ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহৃত জাপানের ওষুধ এভিগান যেন আশার আলো হয়ে এসেছে বিশ্ববাসীর সামনে। ফ্লু জাতীয় রোগের এই ওষুধ যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করেও দারুণ ফল মিলেছে! জাপানের এই এভিগান ট্যাবলেটের প্যাটেন্ট নিয়ে অন্যান্য দেশেও এই অষুধ তৈরি করছে। এদিকে জাপানে গবেষণায় করোনাভাইরাসের নতুন উপসর্গ চিহ্নিত করা হয়েছে। নিজের আচরণ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে করোনাভাইরাস। সাধারণত কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা ও শাসকষ্টের মাধ্যমেই শুরু হয় এই রোগের উপসর্গ। আর উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়। সাধারণ এসব লক্ষণের পাশাপাশি নিত্যনতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তন করায় উপসর্গেও পরিবর্তন ঘটছে। ফলে দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। তবে শিগগিরই আশার আলো দেখা যাবে বলে প্রত্যাশা সবার।

 

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডেসিভির সতর্কতা

ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে শতাধিক সম্ভাব্য টিকা তৈরির কাজ চলছে। অথচ এতদিন এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৭টি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে গবেষণাধীন সম্ভাব্য  টিকার মধ্যে ৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে।

ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে শতাধিক সম্ভাব্য টিকা তৈরির কাজ চলছে। অথচ এতদিন এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৭টি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের ওয়েবসাইটে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে গবেষণাধীন সম্ভাব্য শতাধিক টিকার মধ্যে ৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। এদিকে রেমডেসিভির নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন যে রেমডেসিভিরকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে একমাত্র ওষুধ হিসেবে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, বিষয়টা আসলে সে রকম নয়। গবেষণার বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেখা গেছে যেসব রোগীর ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে তারা ১১ দিনে সুস্থ হয়েছে এবং যাদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি তারা ১৫ দিনে সুস্থ হয়েছে। পার্থক্যটা শুধু এখানেই। অন্যদিকে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন’ নামে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকর হচ্ছে। আর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ বর্তমানে ভারত। এদিকে গবেষকরা সর্বশেষ তথ্যে জানাচ্ছেন, এ ওষুধের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এমনকি এটি হৃদরোগের ক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

 

তামাক পাতার প্রোটিনে তৈরি ভ্যাকসিন

মানবদেহে প্রয়োগের অপেক্ষায় তামাক পাতার প্রোটিনে তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন। তামাক পাতার প্রোটিন দিয়ে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছিল। অবশেষে তা তৈরি করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। মানবদেহে প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলেই তারা ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের পরীক্ষা অর্থাৎ তা মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করবে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে যে, নতুন এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়ার জন্য তারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে। এ ছাড়া ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারি সংস্থার সঙ্গেও আলোচনা করছে তারা। গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্রক্লাইনের সঙ্গে করোনার একটি ভ্যাকসিনের যৌথ গবেষণা শুরু করে সানোফি। তবে এই ভ্যাকসিনটি এখনো ট্রায়ালই হয়নি। গবেষণার পর্যায়ে থাকা এই ভ্যাকসিন তৈরির পর পরীক্ষায় ইতিবাচক সাড়া মিললে বাজারে আসতে অপেক্ষা করতে হবে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত।

 

বাংলাদেশেও চলছে ভ্যাকসিন গবেষণা

তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের জিনগত রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। দেশে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে এই প্রথম তিনটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে অসাধ্য সাধন করেছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিসিএসআইআরের ডিআরআইসিএম, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং বেসরকারি ডিএনএ সল্যুশন লি.। যুগান্তকারী এ আবিষ্কারের ফলে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এর আগে শিশু হাসপাতাল থেকে করোনার জিনগত রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করা হয়। এদিকে দেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম তার একজন সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাসের গবেষণায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় পেয়েছেন নতুন আশার আলো। ডা. আলম সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাওয়া আর চার দিনে করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন। উল্লেখ্য, এ দুটি ওষুধ সাধারণত উকুন ও খোস পাঁচড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

সর্বশেষ খবর