শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পর্যটনের দুয়ার খুলছে দেশে দেশে

তানভীর আহমেদ

পর্যটনের দুয়ার খুলছে দেশে দেশে

মানুষকে ঘরবন্দী করেছে করোনা ভাইরাস। লকডাউন, কারফিউ দিয়ে মানুষ ঘরে থেকে লড়াই করছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সঙ্গে। দেশে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা। কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গণপরিবহন, সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পর্যটনপ্রিয় জায়গাগুলোতে ছুটছে মানুষ। জুনের ১৫ তারিখ থেকে বহু দেশেই পর্যটনের দুয়ার খুলে যাচ্ছে। যেসব দেশের আয়ের বড় উৎস পর্যটন তারাও বসে নেই। ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই দেশে দেশে পর্যটনের দুয়ার খুলছে-

 

চীনে সব হোটেল খুলেছে ম্যারিয়ট ভিড় পর্যটনকেন্দ্রে

করোনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া চীন পর্যটকদের ভিড় সামলাতেই ব্যস্ত। এরই মধ্যে চীনে সব হোটেল খুলে দিয়েছে বিখ্যাত হোটেল চেইন ম্যারিয়ট। হোটেল খুলে দেওয়ার পরই ব্যবসা জমজমাট হতে শুরু করেছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হোটেল চেইন ম্যারিয়ট জাানিয়েছে, ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসায় গতি ফিরে আসছে। চীনে ম্যারিয়টের হোটেল রয়েছে মোট ৩৫০টি। বর্তমানে এগুলোয় অতিথি রয়েছেন সক্ষমতার প্রায় ৪০ শতাংশ। ১ জুন তাদের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায় পর্যটকরা হোটেলে ভিড় করতে শুরু করেছে। চীনে যে এখন শুধু অবকাশ যাপনজনিত ভ্রমণই বেড়েছে তা নয়, একই সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়িক ভ্রমণও। অতিথি প্রতিদিনই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রেও তাদের হোটেলগুলোর চাহিদা বাড়ছে। ম্যারিয়ট ছাড়াও হিলটন চীনে নিজেদের ২৫৫টি হোটেল খুলে দিয়েছে। চীনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘর ছেড়ে বাইরে ঘুরতে বের হচ্ছে দেশটির মানুষ। দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। চীনের আনহুই প্রদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হুয়াংশান পর্বত উদ্যানে পর্যটকদের ভিড়ে নাকাল। হাজার হাজার মানুষ মাস্ক পরে হুয়াংশান উদ্যানে বেড়াতে আসছেন। সাংহাইয়ের বন্ড ওয়াটারফ্রন্টেও ক্রেতা ও পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়েছে। শহরের রেস্তোরাঁতেও শুরু হয়েছে মানুষের পদচারণা। শুধু সাংহাই কিংবা আনহুই প্রদেশেই নয়, চীনের রাজধানী  বেইজিংও আগের রূপে ফিরে আসছে। করোনা ভয় কাটিয়ে রাজধানী পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে মানুষের ভিড়, উচ্ছ্বাস, আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। প্রায় তিন মাস পর খুলে দেওয়া হয়েছে দেশটির শপিংমল, পর্যটন কেন্দ্র ও শিল্প-কারখানা। গত মাসে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দৈনিক গড় উপস্থিতি ১ কোটি ছাড়িয়েছে।  সড়কে বাড়ছে গণপরিবহন। এ সুযোগে মুক্ত বাতাসের সন্ধানে ছুটছেন দীর্ঘ দিনের ঘরবন্দী মানুষেরা। গ্রামাঞ্চল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে স্থানীয়দের ভিড়, পর্যটনকেন্দ্রগুলোর প্রবেশমুখে রাখা হয়েছে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটকদের সুবিধার্থে নানা স্থানে তুলে ধরা হয়েছে স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের বর্ণনা। আঞ্চলিক  শিল্প ও ঐতিহ্য তুলে ধরে স্থানীয়দের ভ্রমণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পর্যটকদের পদচারণা বাড়ায় খুচরা পণ্য বিক্রির দোকান ও শপিংমলগুলো এখন জমজমাট। ক্রেতা আকর্ষণে নানা ধরনের অফারও দেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা পর্যটকদের কাছে পণ্য বিক্রি বাড়াতে নানা উপায়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

 

পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিল ইতালি

৩ জুন সীমান্ত খুলে দিয়েছে ইতালি। প্রথম ধাপেই দেশটি পটর্যটকদের জন্য বলল, ইতালিতে আসুন, যেখানেই ইচ্ছা বেড়ান। সীমান্ত খুলে দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় তিন মাস পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হয়েছে ইতালির। এখন ইতালির নাগরিকেরা ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে অবাধে ভ্রমণ করতে পারছেন। একই সঙ্গে আঞ্চলিক শহরগুলোর মধ্যে নাগরিকদের যাতায়াতে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ইতালির পর্যটন শিল্প খুলে যাওয়ায় বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে পর্যটকরা ইতালিতে প্রবেশ  করতে পারবেন। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই পর্যটনশিল্পকে চাঙ্গা করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এখানে। তাই ইউরোপের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আছে ইতালি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশটির সর্বত্র ভ্রমণ করতে হবে। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের পর্যটকদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগবে না। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন, ইতালি জাতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কার্যক্রম বা ট্রাভেল করতে পারবে ইতালির সর্বত্র। সেইসঙ্গে বিশ্বের সব দেশের পর্যটকদের জন্য ইতালি খোলা আছে। তবে ইউরোপ মহাদেশের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা ইতালিতে এলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। চিরচেনা রূপে ফিরছে করোনায় বিপর্যস্ত দেশটি। লকডাউন শেষে নাগরিকদের ওপর থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। ইইউর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির বড় আয় পর্যটন থেকে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ায় ভেনিসের খালগুলোয় ঐতিহ্যবাহী জলযান গন্ডোলা পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত। ভেরোনার বিখ্যাত ব্যালকনিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ ভূমিকা নিতে পারবে, গ্ল্যাডিয়েটর ভক্তরা রোমের কলোসিয়ামে গিয়ে সেলফি তুলতে পারবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার সামনে দাঁড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গায় পর্যটন খাত চালু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ইতালি। দেশটি চাইছে যেন দ্রতই পর্যটকরা ফিরে আসে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এখন তিনটি প্রধান শহরে চালু হবে, মিলান, রোম ও ন্যাপলসে। খুলে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ বিমানবন্দর।

 

পর্যটকদের দিকে তাকিয়ে সুইজারল্যান্ড

ছবির মতো সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ড ১৫ জুন থেকে পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিচ্ছে। শুরুতেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (আইসল্যান্ড, লিচেনস্টেইন ও নরওয়ে) এবং যুক্তরাজ্য থেকে পর্যটকরা সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে। ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হওয়ায় সুইস সরকার গত সপ্তাহে ঘোষণা করে, তারা প্রবেশের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করবে এবং সীমানা আবার খুলে দেবে।

ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড করোনায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে। দেশটিতে লকডাউন শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটির করোনা সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়ে মহামারী থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে সুইজারল্যান্ড। তিন ধাপের লকডাউন ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ রোগীকে তারা সারিয়ে তুলেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও পেয়েছে অর্থনৈতিক সুরক্ষা। কাজ না থাকলেও বেতন চলে যাচ্ছে সবার অ্যাকাউন্টে। লকডাউন শিথিল করার পরই হেয়ারড্রেসিং সেলুন, ম্যাসাজ এবং কসমেটিক্স  দোকানগুলো খুলেছে। এখন পর্যটকদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথাই বিশ্ববাসীকে জানাল।

 

ভারতের দার্জিলিংয়ে খুলেছে হোটেলের দরজা

পাহাড়ের রানী ভারতের দার্জিলিং শহর। লকডাউন শেষে সেখানে গত মঙ্গলবার খুলতে শুরু করে পর্যটকদের জন্য হোটেলের দরজা। এখনই পর্যটক প্রবেশের নির্দেশনা না থাকলেও পর্যটন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশিসহ, ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকে মুখর থাকে দার্জিলিং।

লকডাউনের অন্যসব দেশের পর্যটন এলাকার মতো দার্জিলিংও ঘুমিয়ে যায়। তবে তুলনামূলকভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে ছিল খুব কম। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দার্জিলিংকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। যদিও ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তাই দার্জিলিংও রয়েছে সতর্কতায়। দার্জিলিংয়ে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ হোটেল রয়েছে। তার সঙ্গে  প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার কর্মীর জীবন ও জীবিকা। শহরটি পর্যটনের ওপরই নির্ভরশীল। লকডাউনে প্রায় আড়াই মাস পর্যটকদের আসা-যাওয়া বন্ধ। লোকসান ঠেকাতে পয়লা জুলাই থেকে পাহাড়ের সব হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। করোনা পরিস্থিতি সেখানে স্বাভাবিক হতে থাকায় গত মঙ্গলবার থেকে ধাপে ধাপে  হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত। ভর মৌশুমে ফাঁকা পাহাড় এমন দৃশ্য বেশ মলিন। বাতাসিয়া লুপ, বোট্যানিকাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা পাহাড়ের শহরে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকশূন্য।  এখন পর্যটকদের পথ চেয়ে সেজে উঠছে  হোটেলগুলো। পর্যটকদের নিয়েই বেঁচে থাকে দার্জিলিং। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে পাহাড় আবার আনন্দে হেসে উঠবে তারই অপেক্ষা।

 

জুলাইয়ে মালদ্বীপ, অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার বালি

দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ। ছোট ছোট দ্বীপে গড়ে উঠেছে  বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর, বিলাসবহুল রিসোর্ট। পর্যটকদের প্রিয় এ দেশটি জুলাইয়ে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিতে যাচ্ছে। তবে সব চালুর আগে দুই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যটকরা দেশে প্রবেশ করলেই তাকে দুই সপ্তাহের জন্য আলাদা একটি রিসোর্টে আইসোলেশনে যেতে হবে। মালদ্বীপ এমনিতেই বেশ ব্যয়বহুল। তাই এ পরিকল্পনা ছাড়াও দেশটিতে ভ্রমণের এক সপ্তাহ আগে পর্যটককে একটি পজিটিভ অ্যান্টিবডি টেস্ট  অথবা নেগেটিভ অ্যান্টিজেন টেস্ট করে আসতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে আরও ১০০ ডলার। বিমানবন্দরেই আরেক দফা করোন পরীক্ষা করা হবে পর্যটকদের। এরই মধ্যে মালদ্বীপে একাধিক রিসোর্ট চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে খুলতে যাচ্ছে  বেসরকারি বিমান এবং সুপার ইয়টগুলো। মালদ্বীপের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনপ্রিয় শহর বালি খুলে যাচ্ছে অক্টোবরে। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় দেশটি আরও আগে পর্যটকদের জন্য সব খুলে দিতে পারে।

 

আবার পর্যটকে মুখর হবে প্যারিস

ইউরোপ ভ্রমণ মানেই প্যারিস। ফ্রান্স নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ সারা বছরই তুঙ্গে। ১৫ জুন থেকে দেশটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন জোনের বাইরের সব দেশ থেকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বিধিনিষেধ রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক বা যুক্তরাজ্য থেকে আগতদের বাদে অন্যান্য দেশ থেকে প্রবেশকারী যাত্রীরা কমপক্ষে ২৪ জুলাই পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পর্যটকদের জন্য প্যারিসের দর্শনীয় স্থানগুলো, যেসব বর্তমানে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত সেগুলোও দ্রুত খুলে দেওয়া হবে। দেশটির সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘর ‘ল্যুভর মিউজিয়াম’ আগামী ৬ জুলাই খুলবে। প্যারিসে এখন ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ি ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সৈকতগুলো আবারও চালু হতে শুরু করেছে। ফ্রান্সে ইতিমধ্যে খুলেছে দোকান, কারখানা ও কিছু স্কুল। দেশটির ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখন সরকারের অনুমতি ছাড়াই বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন। প্যারিসে যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। ভিড় বাড়ছে রাজধানীর মেট্রোলাইনে। করোনা ভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে আট সপ্তাহ লকডাউনে ছিল ফ্রান্স।

 

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে আসবেন পর্যটকরা

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ-খ্যাত ফিনল্যান্ড ছড়িয়ে পড়ার আগেই করোনাকে আটকে ফেলে। যে কারণে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে দেশটি। পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে দেশটি। ইউরোপের দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেলেও করোনায় তেমন ক্ষতি হয়নি ফিনল্যান্ডের। সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। আর এ জন্য সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন দেশটির বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। ফিনল্যান্ডের মতোই করোনার লড়াইয়ে সফল সুইডেন। পুরো বিশ্বে অনন্য নজির গড়ে সুইডেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লকডাউনের পথে হাঁটেনি দেশটি। তবুও করোনায় কাবু নয় তারা। স্টকহোমের পার্কে ও স্কয়ারে দেখা যাচ্ছে গোটা পরিবার বসে আইসক্রিম খাচ্ছে। ফুটপাতের কিনারায় বসে আছে তরুণ যুগলরা। করোনার উপসর্গ না থাকলে আগামী ১৩ জুন থেকে সুইডেন ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

 

 

সর্বশেষ খবর