সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

জেল খেটেছেন যত তারকা

আবদুল কাদের

জেল খেটেছেন যত তারকা

এদের প্রত্যেকেই রঙিন দুনিয়ার তারকা। অভিনয়, গান আর নানা দক্ষতায় ভক্তদের মনে জায়গা দখল করে নেন প্রত্যেকেই। কিন্তু বাস্তব জীবনে তারা কেমন! আসলে সবাই ধোয়া তুলসী পাতা নন। অনেকে খ্যাতির শিখরে থেকেও কাটান এলোমেলো জীবন। নানা অপরাধে জড়িয়ে নাম লেখান অপরাধীর খাতায়। অপরাধ করে জেল খাটা রঙিন দুনিয়ার মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এমন সব সেলিব্রেটির কথা মনে করতেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে পর্দা কাঁপানো অসংখ্য তারকার প্রতিচ্ছবি। অনেক সেলিব্রেটি তারকার বাবা বা মা বা দুজনই ছিলেন জেল খাটা আসামি। আবার অনেকেই আছেন যারা আদর্শ পরিবারে বেড়ে উঠেও খ্যাতির আদিখ্যেতায় অপরাধ জগতে পা বাড়ান। জড়িয়ে পড়েন দুর্নীতি, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদকাসক্ত আর অবৈধ অস্ত্র মামলায়। হলিউডের ফ্যান্টাসি জগতে এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে। এমনই এক হলিউড তারকা আমান্ডা বেনিস। বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং মাদক গ্রহণের অভিযোগে দিয়েছেন অর্থদ- এবং ভোগ করেছেন কারাবাস। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি কানাডিয়ান পপস্টার জাস্টিন বিবারও। ভক্তদের গায়ে থুতু ফেলা, প্রতিবেশীর বাড়িতে ডিম ছোড়া, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, যুদ্ধাপরাধীদের সম্মান জানানো ছাড়াও অনেক বিতর্কিত অবস্থা তৈরি করেন। আশির দশকের দুনিয়া কাঁপানো সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলি। মাত্র ৪২ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন ‘দ্য কিং অব রক অ্যান্ড রোল’ খ্যাত মার্কিন গায়ক, সংগীত পরিচালক ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলি। তার অকালমৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ধারণা করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয় এই তারকা সংগীতশিল্পী। মার্কিন কমেডিয়ান অভিনেতা টিম অ্যালেনের কথাই ধরুন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে জেলে কাটাতে হয়। অপরাধ তিনি কোকেন পাচারের সময় ধরা পড়েন। তার দুই বছরের জেল হয়। জ্যাকি চ্যানের ছেলে জেসি চ্যান। মাদক রাখার দায়ে কুংফু তারকা জ্যাকি চ্যানের ছেলেকে ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে চীনের একটি আদালত। ‘হাঙ্গার গেমস’-এর ফায়ার গার্ল কাটনিসের প্রশিক্ষকের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন উডি হ্যারিসন। তার বাবা চার্লসের জীবনটা সিনেমার কাহিনির মতো। তিনি ছিলেন পেশাদার খুনি। ১৫ বছরের জেল হয় তার। বলিউডপাড়ায়ও অপরাধী সেলিব্রেটিদের সংখ্যা কম নয়। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ল্যাকমে’র ফ্যাশন শো-তে নিজের স্ত্রী টুইঙ্কল খান্নাকে দিয়ে প্যান্টের জিপ খোলানোর জন্য বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। পাবলিক শো-তে এমন আচরণের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল টুইঙ্কলকে। পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৯ সালে গ্রেফতার করা হয় ‘গ্যাংস্টার’ অভিনেতা শাইনিকে। দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটাতে হয় তাকে। মাদক পাচারের অভিযোগ ওঠে ফারদিন খানের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে লাখো টাকার কোকেনসহ ফারদিনকে গ্রেফতার করে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) গোয়েন্দারা। ২০০৬ সালে বেলাগাম গতিতে ড্রাইভিং ও দুই পথচারীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জন আব্রাহামের বিরুদ্ধে। ৬ বছর মামলা চলার পর শেষে ১৫ দিনের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল মেয়েদের ঘুম হারাম করা জনকে।

 

সালমান খান

বলিউড সুপারস্টার। বিশ্বজুড়ে তার অগণিত ভক্ত। শুধু চলচ্চিত্র বা বিনোদনের খবরেই নয়, বহুবার ‘বাজে’ কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। কারাগারেও যেতে হয়েছে। বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমানের বিরুদ্ধে তিন দফায় বিরল প্রজাতির পাঁচটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। যার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে একটি শুটিং ইউনিট থেকে। সেই মামলায় প্রথমবার ছিলেন যোধপুর  কেন্দ্রীয় কারাগারে। আদালত সালমানকে পাঁচ বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অবশ্য দুই রাত কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে যান। আর শেষমেশ এই মামলা থেকে অব্যাহতি পান ২০১৭ সালে। ২০০২ সালের আরেকটি ঘটনায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক পথচারীকে হত্যার অভিযোগে ১৮ দিনের কারাবাস করেন। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঁচ বছরের কারাদন্ড হয় বলিউড নায়ক সালমান খানের। তখন ভক্তদের মাঝে দারুণ উৎকণ্ঠা দেখা যায়। এমনকি পরিচালকদেরও মাথায় হাত পড়ে নায়কের এমন পরিণতিতে। ২০১৫ সালের এই রায়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান তিনি। তবে মামলাটি এখনো বিচারাধীন। এমনকি, সাবেক প্রেমিকা বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া ও পাকিস্তানি প্রেমিকাকে হেনস্তার কারণে থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

 

টি আই

জনপ্রিয় র‌্যাপার টি আই। সুপারস্টার এবং হলিউড সেরা অভিনেতা। টি আই তার ছদ্মনাম। তার আসল নাম ক্লিফোর্ড হ্যারিস। ১৯৯৮ সালে কোকেন বহন, ২০০১ সালে অন্যের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া এবং ২০০৪ এবং ২০০৭ সালে অবৈধ অস্ত্র কেনার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, মাদক গ্রহণ করার জন্যও দুবার জেলও খাটেন এই র‌্যাপার। ২০১০ সালে প্যারোল লঙ্ঘনের দায়ে তিনি ১১ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হন। এই সাজা থেকে মুক্তির জন্য তাকে ১০০০ ঘণ্টা কাউন্সেলিং করতে হয়েছিল। এরপর ২০১১ সালে মাদক গ্রহণ এবং সরবরাহের জন্য ১১ মাসের কারাদন্ড হয়েছিল। এসব অপরাধের বাইরেও টি আই-এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মদ্যপান এবং মাতাল হয়ে বাড়ি ভাঙার অভিযোগেও গ্রেফতার হন।

 

ড্যানি ত্রেজা

হলিউড যেমন বড় ইন্ডাস্ট্রি। তেমনি অপরাধের মাত্রাও বেশি। ড্যানি ত্রেজাকে চিনতে পারছেন? হলিউড ইন্ডাস্ট্রির সেরা অভিনেতা। কিন্তু এই অভিনেতা অল্প বয়সেই জড়িয়ে পড়েন অপরাধ জগতে। ছেলেবেলায় নির্মাণকর্র্মীর কাজ করতেন। সে সুবাদে শিশু মাদকাশক্ত ও অপরাধ জগতে পা বাড়ান ত্রেজা। ১৯৬০ সালে মাদক পাচার ও অস্ত্র ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হন। আদালত তাকে ১১ বছরের কারাদন্ড দেয়। এখানেই শেষ নয়, নানা অপরাধের কারণে ত্রেজা অনেকবার জেল খেটেছেন। তাকে ক্যালিফোর্নিয়া কারাগারের বাসিন্দাই বলা চলে। জেলে থাকাকালীন বক্সিং প্রাক্টিস করতেন ত্রেজা। কারাজীবনে তিনি লাইওয়েট ও ওয়েল্টারওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়নও হন। মুক্তি পাওয়ার পর ত্রেজা বক্সিং প্রশিক্ষণ ও হলিউডে অভিনয় করা শুরু করেন।

 

সঞ্জয় দত্ত

অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। দাপুটে একজন অভিনেতা। আলোচনা আর বিতর্কে কেটেছে সারাজীবন। শুধু সিনেমায় নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তার অধিকাংশ সময় প্রকাশ পেয়েছে অন্ধকার জগতের ডন হিসেবে। শেষবারের মতো ২০১৬ সালে ৪২ মাস জেল খেটে তিনি মুক্তি পান। এর আগে ২০০৭ সালে বেআইনি অস্ত্র রাখায় কারাভোগ করতে হয় তাকে। বলিউড এই ডনের কারাভোগের ইতিহাস শুরু আরও আগে। ১৯৯৩ সালে অস্ত্র মামলা, ১৯৯৪ সালে একই মামলায় জামিনে থেকেও গ্রেফতার ও ২০০৬ সালে অস্ত্র মামলায় তাকে জেলে যেতে হয়। আদালত তাকে ৬ বছরের সাজা দেয়। কিন্তু সাড়ে তিন বছর সাজা ভোগ করার পর মুক্তি পান। তবে মজার ব্যাপার হলো, দুপুরে সঞ্জয় কারাগারে রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে কাজ করেন।

 

মার্থা স্টিওয়ার্ট

মার্থা স্টিওয়ার্ট, লেখক ও প্রকাশক। লাইফস্টাইল গুরু বলে পরিচিত মার্থা স্টিওয়ার্ট। বিশ্ববাসী তাকে চেনেন শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। অদ্ভুত আর হাসিখুশিতে কাটানো মানুষটিও ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। বিখ্যাত প্যারাডাইস কেলেঙ্কারিতে উঠে আসে এই বিনিয়োগকারীর নাম। কারণও ছিল বিস্তর। যেমন-  সায়েন্টিয়ায় বিনিয়োগ করেছিলেন স্টিওয়ার্ট। কিন্তু নিজের লেনদেনে ভীষণ গরমিল ছিল। ফলস্বরূপ মার্থা স্টিওয়ার্টকে জেলে যেতে হয়েছিল। এ ছাড়াও ঐতিহাসিক বারমুডা বিনিয়োগের বিষয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান স্টিওয়ার্ট। এমনকি ইমক্লোন স্টক ট্রেডিংয়ের মামলায় জড়িয়ে পড়েন। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারও হন। প্রায় ৫ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। তবে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন স্টিওয়ার্ট। এজেন্সির কাজে বাধা দেওয়ায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন। কারাগারে থাকাকালীন তিনি মেঝে ও দেয়াল পরিষ্কার করেছিলেন।

 

লিন্ডসে লোহান

কারাগার এবং লিন্ডসে লোহান যেন সমার্থক শব্দ! নানা অপরাধ আর স্ক্যান্ডালের সঙ্গে জড়িত জনপ্রিয় অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান। অল্প বয়স থেকেই চৌদ্দশিকের এপার-ওপার করতে করতেই কেটে গেল কতগুলো দিন। ২০০৭ সালে মাতাল হয়ে গাড়ি চালানোর দায়ে গত শুক্রবার এ শাস্তি দেওয়া হয় তাকে। লোহানের আইনজীবী অবশ্য আশায় দিন গুনছেন, ৭৫ হাজার ডলার গুনে দিলে নাকি জামিনও মিলতে পারে তার মক্কেলের। জেল-জরিমানা যা-ই হোক, লোহান তো আর বদলান না! মাদকাসক্তের জন্য ২০১০ সালে ৯০ দিনের জেল-জরিমানার আদেশ দেয় আদালত। পরবর্তীতে তা কমিয়ে ১৪ দিন ধার্য করা হয়। জেল থেকে মুক্তির পরই আদালত লোহানকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পুনর্বাসনের নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া জিনিসপত্র চুরির রেকর্ডও রয়েছে তার। নিজে কতবার জেলে গেছেন তার হিসাব নিজেই নাকি ভুলে যান! এমন বক্তব্যে তিনি অনেক বিতর্কের মুখে পড়েন।

 

প্যারিস হিলটন

জনপ্রিয় মডেল এবং অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত প্যারিস হিলটন। একের পর এক কেলেঙ্কারির কারণে হলিউডপাড়ায় বেশ সমালোচিত হন। অভিনেত্রীকে কারাজীবন ভোগ করতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। ২০০৭ সালে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অপরাধে ৪৫ দিন লস অ্যাঞ্জেলসে জেল খাটেন তিনি। জেল খাটার মাত্র ২৩ দিন পর আবারো এক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। যদিও সেবার জেলে যেতে হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলেও হুলস্থূল কান্ড ঘটিয়েছেন এই অভিনেত্রী। মাদক রাখার অভিযোগে পুলিশ তাকে আটকে রাখে। যদিও পরে সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পান। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে মিথ্যাচার ও মাদক সেবনে গণমাধ্যমে বেশ বিতর্কিতও হয়েছিলেন। একবার তো ঋণখেলাপির অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিলও করে দেয়।

 

মণিকা বেদী

দুই দশক ধরে বলিউডের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী মণিকা বেদী। অপরাধ জগতে তার অবাধ বিচরণের অভিযোগ ওঠে। কথিত আছে, মুম্বাইয়ের ডন আবু সালেমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। অভিযোগ রয়েছে গ্যাংস্টার আবু সেলিমের সঙ্গে অপরাধ জগতে প্রবেশ এবং নানা রকম অপকর্মে জড়িত থাকার। ২০০২ সালে অবৈধভাবে পর্তুগালে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় পর্তুগিজ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এমনকি ২০০৬ সালে জাল পাসপোর্টের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় গায়ক গুলশান কুমার হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার প্রমাণও পায় পুলিশ। উক্ত হত্যাকান্ডের অভিযোগে ৮ বছর জেল খাটতে হয়েছিল তাকে।

 

হিউ গ্র্যান্ট

হলিউড কাঁপানো অভিনেতা হিউ গ্র্যান্ট। গোল্ডেন গ্লোব অর্জন করা সুপারস্টার। যিনি শুধু একজন অভিনেতাই নন, একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতাও। নামযশের আড়ালে কুরুচীপূর্ণ আচরণ লুকিয়ে, তা সবাইকে অবাক করে। ১৯৯৫ সালে গ্র্যান্ট স্ত্রী হ্যারিকে দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত হন। অভিযোগ অনুসারে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। ঘটনা জনসম্মুখে আসার পর গ্র্যান্ট গণমাধ্যমের সামনে দুঃখ প্রকাশ করেন ও দোষ স্বীকার করেন। আশ্বস্ত করেন পরবর্তী দাম্পত্যজীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০০ সালের দিকে গ্র্যান্ট-হ্যারির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

 

উইনানো রাইডার

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী উইনানো রাইডার। হিটস, দ্য ক্রুসিবল এবং বেটলিউসিসের মতো চলচ্চিত্রে কাজ করে উঠে আসে সেরাদের তালিকায়। তবে চুরির মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে হারান জনপ্রিয়তা। ২০০১ সালে সাক ফিফথ অ্যাভিনিউতে পোশাক চুরি করার অপরাধে গ্রেফতার হন। দোকানে সন্দেহভাজন চলাফেরা করায় নিরাপত্তা কর্মীদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তার ব্যাগ তল্লাশি করে কয়েকটি পোশাক পান। পোশাকগুলো একজন মহিলা ক্রেতার কাছ থেকে চুরি করে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। যদিও আদালতে রাইডার জানান, নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে প্রহার করেন। সে সময় আদালত তাকে ৩৬ মাসের করাদন্ড দিয়েছিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর