মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায়ই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনায় সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ২৩০টি। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হালনাগাদ হলেও বাকিরা এখনো নবায়ন করেননি। আর সনদবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিকের কোনো হিসাব নেই। স্থানীয় সূত্র মতে, সনদবিহীন এবং মানহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের সংখ্যা চার শতাধিক। এর মধ্যে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহেই রয়েছে দেড় শতাধিক।

জানা যায়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন শত শত বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল। পরিবেশ অধিদফতরেরও সনদও নেই। ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শহরের মাত্র আটটি হাসপাতাল-ক্লিনিকের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আর বৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা মাত্র ১৭টি।

সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম মসিউল আলম জানান, ময়মনসিংহে ১৭৫টি তালিকাভুক্ত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক রয়েছে। তবে হালনাগাদ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। 

একই অবস্থা শেরপুর জেলায়ও। সিভিল সার্জন ডা. আনুওয়ারুল রউফ জানান, তার জেলায় ২২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ৮১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।

জামালপুরে সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৮টি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পাঁচটি। এর বাইরে শুধু জেলা শহরেই রয়েছে অর্ধশতাধিক অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক।

নেত্রকোনায় সরকারি হিসাবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ১০টি। তবে পিছিয়ে নেই অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোও। এই জেলায়ও অর্ধশতাধিক অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যে গুলোর অনুমোদন নেই।

সর্বশেষ খবর