শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
ব্রিটেন সাময়িকী প্রসপেক্টাসের চোখে

বিশ্বসেরা চিন্তাবিদ ২০২০

সাইফ ইমন

বিশ্বসেরা চিন্তাবিদ ২০২০

মানুষ সৃষ্টির সেরা। আর এই সেরা হওয়ার পেছনে রয়েছে যুগে যুগে কিছু মানুষের মেধা ও মনন। যাদের অবদানের পূর্ণাঙ্গ রূপ আমাদের এই আধুনিক সভ্যতা। এমন চিন্তাশীল শীর্ষস্থানীয় মানুষগুলোর ভূমিকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানবসভ্যতার সোপান। প্রতিবছরই বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ বছর জুলাই মাসে ৫০ বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের সাময়িকী প্রসপেক্টাস। এ তালিকার কিছু মানুষকে নিয়ে আজকের রকমারি...

 

মেরিনা তাবাসসুম

স্থপতি

গোটা বিশ্বে বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের জয়জয়কার চলছেই। যাদের হাত ধরে আমাদের দেশের সম্মান পৌঁছে অনন্য মাত্রায়। এবার এরই ধারাবাহিকতায় যোগ হলো নতুন একটি নাম মেরিনা তাবাসসুম। বিশ্বসেরা ৫০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্টস ১৪ জুলাই এ তালিকা প্রকাশ করে। বাংলাদেশি মেরিনা তাবাসসুম প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে ভবন নির্মাণ এবং পরিবেশের দ্বারা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করে নকশা তৈরি করায় দারুণ অবদান রেখেছেন। তার নকশা করা স্থানীয় উপকরণের হালকা ওজনের বাড়িগুলো স্টিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে সক্ষম এবং পানির মাত্রা বেড়ে গেলে সেগুলো সরানো যায়। বিষয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। টেরাকোটা ইট দিয়ে নির্মিত রাজধানীর বায়তুর রউফ মসজিদের নকশা করেন মেরিনা। মসজিদটির নকশা করে স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কারও পেয়েছেন এ স্থপতি। তিনি প্রথম বাংলাদেশি যিনি আগা খান পুরস্কারে ভূষিত হন।

 

তোমা পিকেতি

সমাজবিজ্ঞানী

ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী তোমা পিকেতি। তিনি একজন সফল অর্থনীতিবিদও। তার রচিত গ্রন্থ ল্য কাপিতাল ও ভাঁতে-উ্যনিয়েম সিয়েকল প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত পিকেতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অব টেকনোলজি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি নিজের দেশ ফ্রান্সে ফিরে যান। সেখানে সঁত্র নাসিওনাল দ্য লা র‌্যশের্শ সিয়ঁতিফিক (জাতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র) রিসার্চ ফেলো হিসেবে যোগদান করেন। ২০০০ সালে তিনি অধ্যাপনা শুরু করেন। পিকেতির অন্যতম গ্রন্থ হচ্ছে ক্যাপিটাল ইন দ্য টোয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি।

বইটি প্রায় সাত শতাধিক পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে। ২০১৪ সালে পিকেতির ল্য কাপিতাল বইটি ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হওয়ার পরেই মোটামুটি অপরিচিত পিকেতি দ্রুত আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। বইটি আন্তর্জাতিক বেস্টসেলারে পরিণত হয়। তার গ্রন্থের কারণে উদারপন্থি ও রক্ষণশীল অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। তিনি বইতে বলেন, ‘পুঁজিবাদের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় অসংগতি বিদ্যমান যার ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। 

 

হিলারি ম্যানটেল

উপন্যাসিক

সাহিত্যিক হিলারি মারি ম্যানটেল। সেলসম্যান হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা হিলারি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখিকা, প্রাবন্ধিক এবং সাহিত্য সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তার সাহিত্যকর্মগুলো ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক উপন্যাস পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় তার লেখা বিখ্যাত বই উল্ফ হল। বইটি সর্বমহলে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। এর জন্য ম্যান বুকার পুরস্কারও লাভ করেন হিলারি ম্যানটেল। বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকায় এর আগেও ছিলেন তিনি। এবারও তিনি রয়েছেন তালিকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করার পরে ম্যানটেল গেরিয়্যাটিক হাসপাতালে সমাজকর্ম বিভাগে কাজ করেন। এরপর তিনি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিক্রয় সহকারী হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি ফরাসি বিপ্লব নিয়ে একটি উপন্যাস লেখা শুরু করেন, যা পরবর্তীতে এ প্লেস অব গ্রেটার সেফটি নামে প্রকাশিত হয়। ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিনি বেশ কিছু পত্রিকা ম্যাগাজিনে সমালোচক হিসেবেও কাজ করছেন। সমাজের নানা বিষয় উঠে আসে তার লেখায়। 

 

সারাহ গিলবার্ট

বিজ্ঞানী

বয়স ষাটের কাছাকাছি। কিন্তু এখনো দৃঢ়চেতা একজন। তিনি বিজ্ঞানী সারাহ গিলবার্ট। জোর দিয়েই বলেছিলেন, ‘সুখবর’ দেবেনই। এখন তার জয়ের হাসিটুকু দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে গোটা বিশ্ব। কারণ মহামারীর অবসানের হাতিয়ার ভ্যাকসিনের খোঁজে পৃথিবী যখন তোলপাড়, তখন সর্বপ্রথম ‘সুখবর’ দেন এই সারাহ গিলবার্টই। তিনি বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আনবেন। লন্ডনের জেনার ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এ গবেষণার পুরোভাগে রয়েছেন সারাহ। এর আগেও ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ একাধিক ভাইরাল প্যাথোজেনের প্রতিষেধক তৈরির কাজ করেছেন তিনি। ইবোলার ভ্যাকসিন তৈরিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে এবারও তার সাফল্যের আশায় পুরো বিশ্ব। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি কাজ করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে ভ্যাকসিনোলজিস্ট হওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। অনেকটা অবধারিতভাবেই তিনি রয়েছেন বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকায়।

 

গ্রিটা গারউইগ

চলচ্চিত্র নির্মাতা

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী গ্রিটা গারউইগ। পুরো নাম গ্রেটা সেলেস্ট গারউইগ। বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকায় রয়েছেন তিনি। তার জন্ম ৪ আগস্ট ১৯৮৩ সালে। তিনি একজন মার্কিন অভিনেত্রী, লেখক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল এই গুণী মানুষটি। তিনি শুরুতে স্বল্প বাজেটের কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করে পরিচিতি লাভ করেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তিনি জো সোয়ানবার্গের কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন এবং কয়েকটি তিনি সহ-রচনা ও সহ-পরিচালনা করেন।

২০১৭ সালে লেডি বার্ড চলচ্চিত্র দিয়ে গারউইগের একক পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয়। ছবিটি সমাদৃত হয় এবং ৭৫তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে সেরা সংগীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। লেডি বার্ড ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। অর্জন করেন একাডেমি অ্যাওয়ার্ডও। গারউইগ অস্কারের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে মনোনীত পঞ্চম নারী।

 

এস্তের ডুফলো

অর্থনীতিবিদ

নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসেবে অর্থনীতিতে গত বছর নোবেল পেয়েছেন ফরাসি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এস্তের ডুফলো। তিনি এবং তার স্বামী একই সঙ্গে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। পুরস্কার ঘোষণার পর তিনি বলেছেন, দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের শব্দের তীব্রতা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে এ পুরস্কার। এ বছর তিনি রয়েছেন বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকায়। এস্তের ডুফলোর বয়স এখন ৪৭। তিনি একজন ফরাসি অর্থনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন অর্থনীতিতে অধ্যাপক। বৈশ্বিক দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় ভারতীয়-বংশোদ্ভূত মার্কিন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও নোবেল জয়ী পঞ্চম দম্পতি হিসেবে অভিজিৎ-এস্তের একসঙ্গে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তালিকায় থাকা ফরাসি অর্থনীতিবিদ তোমা পিকেতির উপদেশে অর্থনীতিতে মনোযোগ দিয়েছিলেন এস্তের ডুফলো।

 

জাসিন্ডা আরডার্ন

প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ড

পুরো নাম জাসিন্ডা কেট লরেল আরডার্ন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেকে তিনি এখন পরিণত হয়েছেন বিশ্বকে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দূত হিসেবে। মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর যে মানুষটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন তিনি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। আজ গোটা বিশ্বে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দূত হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন জাসিন্ডা অরডার্ন। অথচ দিন কয়েক আগেই বিশ্বের খুব বেশি মানুষ তার নামটি পর্যন্ত জানত না। আর বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি এখন সবখানেই সমাদৃত। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮০ সালের ২৬ জুলাই। জাসিন্ডা ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডের ৪০তম এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ছাড়াও তিনি ২০১৭ সালের ১ আগস্ট থেকে নিউজিল্যান্ড লেবার পার্টির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন। ২০০১ সালে ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে আরডার্ন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের দফতরে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নীতিনির্ধারণী উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন।

 

ডেভিড অ্যাটনবোরা

পরিবেশবিদ

স্যার ডেভিড ফ্রেডরিক অ্যাটনবোরা টেলিভিশনে পরিচিত মুখ। তিনি প্রখ্যাত ব্রিটিশ সম্প্রচারক, লেখক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। টেলিভিশনে নতুন ধারার প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের মাধ্যমে প্রকৃতি, জীবজগৎ, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও বিজ্ঞানের নানা বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন অনবদ্য দক্ষতায়। তার সবচেয়ে প্রশংসনীয় দিকটি হচ্ছে তিনি নানা জটিল বিষয় খুব সহজ করে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন। এর জন্য তিনি গোটা বিশ্বেই বিখ্যাত। বিশেষ করে বিবিসি ন্যাচারাল হিস্টোরি ইউনিটের তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত ৯টি ন্যাচারাল হিস্টোরি ডকুমেন্টারি সিরিজ, যা ‘লাইফ কালেকশন’ নামেও জনপ্রিয়, তিনি হলেন সেই সিরিজের লেখক এবং উপস্থাপক। সিরিজটি ভূপৃষ্ঠের উদ্ভিদ ও প্রাণীদের নিয়ে ব্যাপক জরিপভিত্তিক আলোচনার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ। এটি বিশ্বে ব্যাপকভাবে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। সংগ্রহে রাখার মতো একটি সিরিজ। ডেভিড অ্যাটনবোরার প্রধান আগ্রহের বিষয় প্রাকৃতিক ইতিহাস। তিনি বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা স্যার রিচার্ড অ্যাটনবোরার ছোট ভাই। তাকে গ্রেট ব্রিটেনের একজন জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়, যদিও তিনি এ সম্বোধনটি পছন্দ করেন না।

 

কে কে সাইলাজা

কেরালা স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভারতের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব হলেন কে কে সাইলাজা। তিনি সাইলাজা টিচার হিসেবে বেশি পরিচিত। এখন তিনি ভারতের গন্ডি পেরিয়ে অন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক প্রশংসিত। করোনা মোকাবিলায় ভারতের কেরালা এখন বিশ্বে মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আর কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন কে কে সাইলাজা। জানুয়ারির শুরুতে কেরালায় তিন ছাত্রের করোনাভাইরাস সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। ওই তিন ছাত্রই চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই চীন থেকে আগত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আগেই সাইলাজার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় সাফল্য অর্জন করেছে কেরালা রাজ্য। এর আগে নিপা এবং জিকা ভাইরাসকেও সফলভাবে আটকাতে পেরেছিল কেরালা সরকার। প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা, সংক্রামিত এবং তার যোগাযোগের ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা, দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইন এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থান ইত্যাদি পদক্ষেপ সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করেছে রাজ্যটি। যার পেছনে রয়েছে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে সাইলাজা।

সর্বশেষ খবর