রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব পর্যটন

তানভীর আহমেদ ও সাইফ ইমন

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব পর্যটন

শুরু হয়েছে ইতালির পর্যটন

গত ৩ জুন সীমান্ত খুলে দিয়েছে ইতালি। প্রথম ধাপেই দেশটি পর্যটকদের আহ্বান জানায়, ইতালিতে আসুন, যেখানে ইচ্ছা বেড়ান। সীমান্ত খুলে দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় তিন মাস পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হয়েছে ইতালির। এখন ইতালির নাগরিকরা ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে অবাধে ভ্রমণ করতে পারছেন। একই সঙ্গে আঞ্চলিক শহরগুলোর মধ্যে নাগরিকদের যাতায়াতে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ইতালির পর্যটন শিল্প খুলে যাওয়ায় বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে পর্যটকরা ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ এখানে। তাই ইউরোপের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আছে ইতালি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশটির সর্বত্র ভ্রমণ করতে হবে। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশের পর্যটকদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগবে না। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন, ইতালি জাতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কার্যক্রম বা ট্রাভেল করতে পারবে ইতালির সর্বত্র। সেই সঙ্গে বিশ্বের সব দেশের পর্যটকদের জন্য ইতালি খোলা আছে। তবে ইউরোপ মহাদেশের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা ইতালিতে এলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। চিরচেনা রূপে ফিরছে করোনায় বিপর্যস্ত দেশটি। লকডাউন শেষে নাগরিকদের ওপর থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। ইইউর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির বড় আয় পর্যটন থেকে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ায় ভেনিসের খালগুলোয় ঐতিহ্যবাহী জলযান গন্ডোলা পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত। দেশটি চাইছে যেন দ্রুত পর্যটকরা ফিরে আসে।  আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো চালু হয়েছে ইতিমধ্যে।

 

পর্যটক বাড়ছে স্বপ্নের দেশ সুইজারল্যান্ডে

ছবির মতো সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ড ১৫ জুন থেকে পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (আইসল্যান্ড, লিচেনস্টেইন ও নরওয়ে) এবং যুক্তরাজ্য থেকে পর্যটকরা সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে।

ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড করোনায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে। দেশটিতে লকডাউন শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশটি করোনার সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়ে মহামারী থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে সুইজারল্যান্ড। তিন ধাপের লকডাউন ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ রোগীকে তারা সারিয়ে তুলেছেন।  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও পেয়েছেন অর্থনৈতিক সুরক্ষা।

 

প্যারিসে খুলেছে বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম

ইউরোপ ভ্রমণ মানেই প্যারিস। ফ্রান্স নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ সারা বছরই তুঙ্গে। ১৫ জুন থেকে দেশটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা বিশ্ববিখ্যাত দর্শনীয় স্থান প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম দীর্ঘ চার মাস পর খুলে দিয়েছে ফরাসি সরকার। তবে শর্ত হলো, মিউজিয়াম দর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের মুখে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।

দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণের জন্য রাখা হয়েছে একমুখী চলাচল ব্যবস্থা। ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করা যাবে না। দর্শনার্থীদের জিনিসপত্র রাখার ঘরটি এখন ব্যবহার করা যাবে না। মিউজিয়াম চত্বরে পাওয়া যাবে না কোনো ধরনের খাবার। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জগদ্বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা দেখতে দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দাগ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।  ছবি তুলতে দাগের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। গত বছর ল্যুভর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ৯৬ লাখ মানুষ।

 

হালের বিপরীতে থেকে হেঁটেছে  স্টকহোম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ অবরুদ্ধ ছিল লকডাউনে। কিন্তু হালের বিপরীতে হেঁটেছিল বিশ্বের অন্যতম সুখের দেশ সুইডেন। করোনাভাইরাসের সময়ও সুইডেনে অধিকাংশ নাগরিকই অনেকটা স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারছেন। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোও ছিল পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। সুইডেনের এই কৌশল অবলম্বন করার পেছনে দেশটির নাগরিকদের সমর্থন ছিল। দেশটির বিজ্ঞানীরা এই কৌশলের প্রবর্তক এবং সরকার এটিকে সমর্থন করেছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির রাজধানী স্টকহোমে জনগণের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সবাই প্রায় স্বাভাবিক দিন পার করছে এখানে। সুইডেনের বিভিন্ন পানশালার ভিড় আর আইসক্রিমের দোকানের সামনে মানুষের দীর্ঘলাইনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত।  লকডাউন ছাড়া জনগণ স্বেচ্ছায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলছে।

 

ভারতের রানী দার্জিলিং প্রস্তুত পর্যটকদের জন্য

পাহাড়ের রানী ভারতের দার্জিলিং শহর। লকডাউন শেষে সেখানে খুলতে শুরু করে পর্যটকদের জন্য হোটেলের দরজা। এখনই পর্যটক প্রবেশের নির্দেশনা না থাকলেও পর্যটন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

বাংলাদেশিসহ, ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকে মুখর থাকে দার্জিলিং। লকডাউনে অন্য সব দেশের পর্যটন এলাকার মতো দার্জিলিংও ঘুরে যায়। তবে তুলনামূলকভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে ছিল খুব কম। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দার্জিলিংকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। যদিও ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তাই দার্জিলিংও রয়েছে সতর্কতায়।  দার্জিলিংয়ে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ হোটেল রয়েছে। তার সঙ্গে  প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে ১০ হাজার কর্মীর জীবন-জীবিকা। শহরটি পর্যটনের ওপরই নির্ভরশীল।

 

মালদ্বীপে খুলেছে বিলাসবহুল রিসোর্ট

দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ। ছোট ছোট দ্বীপে গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর, বিলাসবহুল রিসোর্ট। পর্যটকদের প্রিয় এ দেশটি জুলাইয়ে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তবে সব চালুর আগে দুই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যটকরা দেশে প্রবেশ করলেই তাকে দুই সপ্তাহের জন্য আলাদা একটি রিসোর্টে আইসোলেশনে যেতে হবে।

মালদ্বীপ এমনিতেই বেশ ব্যয়বহুল। তাই এ পরিকল্পনা ছাড়াও দেশটিতে ভ্রমণের এক সপ্তাহ আগে পর্যটককে একটি পজিটিভ অ্যান্টিবডি টেস্ট  অথবা নেগেটিভ অ্যান্টিজেন টেস্ট করে আসতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে আরও ১০০ ডলার। বিমানবন্দরেই আরেক দফা করোনা পরীক্ষা করা হবে পর্যটকদের। এরই মধ্যে মালদ্বীপে একাধিক রিসোর্ট চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে খুলতে যাচ্ছে বেসরকারি বিমান এবং সুপার ইয়টগুলো।  করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখানে।

 

ফ্লোরিডায় সমুদ্রপাড়ে মানুষের ঢল

আমেরিকায় মৃত্যুর মিছিল যখন বেড়ে চলেছে তখনো ফ্লোরিডার মানুষ বের হয়েছে। সাঁতার কেটেছে, সার্ফিং করেছে। হাঁটছে কিংবা দৌড়াচ্ছে।

বড়শিতে মাছ ধরছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের জ্যাকসনভিল সৈকতের এই চিত্র করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর আগের নয়। বরং তরতাজা।

কভিড-১৯ রোগের সঙ্গে পৃথিবীব্যাপী লড়াইয়ের মাঝপথে গত ১৭ এপ্রিল বিকালে জ্যাকসনভিল সৈকত প্রথম খুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ বেড়া নামানোর পরপরই মানুষ ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এই বেলাভূমিতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার কিছু দিন স্থগিত ছিল।  জ্যাকসনভিল ওয়েবসাইটে জানা যায়, চিত্তবিনোদনের জন্য সমুদ্রতীরে পায়চারি ও দৌড়ানো, বেড়ানো, সাইকেল চালানো এবং সাঁতারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

শীর্ষ পর্যটন নগরী দুবাইতে ভিড় বাড়ছে

প্রায় চার মাসের লকডাউন শেষে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য পর্যটন খাত উন্মুক্ত করে দুবাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খোলে বিলাসবহুল হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। মহামারী কাটিয়ে শিগগিরই দেশের পর্যটন খাত আবারও লাভজনক অবস্থানে ফিরে যাবে প্রত্যাশা দুবাই সরকারের। দুবাইয়ের পাল্ম জুমেইরাহ দ্বীপের আটলান্টা রিসোর্টে কর্মীরা ব্যস্ত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে। কারণ লকডাউন শেষে আবার শুরু হয়েছে দেশটিতে পর্যটক সমাগম। ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিক ছাড়া প্রত্যাশিত পর্যটক আশা করছেন না পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এখানে দেশের বাইরে থেকে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। যাত্রী সমাগমে মুখর দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। চলছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তবে দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের পালন করতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ। ইতিমধ্যেই খুলতে শুরু করেছে অন্য সব পর্যটন স্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পার্কগুলো। পর্যটন ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফেরা নিয়ে আশাবাদী দুবাই।

 

পর্যটন খুললেও কড়া নজর রাখছে জার্মানি

রেস্তরাঁ, বার সবকিছুই খুলতে শুরু করেছে আগের মতো। করোনা পরিস্থিতির মধ্যবর্তী সময়ে বলা হয়েছিল, কেবল খোলা আকাশের নিচেই খাবার দিতে পারবে রেস্তরাঁগুলো। ঘরের ভিতর কাউকে বসতে দেওয়া যাবে না। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রও। তবে একই সঙ্গে প্রশাসনের তরফ থেকে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত জার্মানি। দেশের চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল দেশবাসীকে এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছেন। জার্মানির বিভিন্ন পর্যটনস্থল নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিল প্রশাসন। কারণ দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা সেখানে এলে নতুন করে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। একবার করোনা ছড়াতে শুরু করলে তাতে রাশ টানা মুশকিল।  ফলে পর্যটকদের সীমান্ত এবং পর্যটনস্থল খুলে দিলেও পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে জার্মান প্রশাসন।

 

করোনার পর পর্যটন ব্যবসায় গতি ফিরছে চীনে

করোনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া চীন পর্যটকদের ভিড় সামলাতেই ব্যস্ত। এরই মধ্যে চীনে সব হোটেল খুলে দিয়েছে বিখ্যাত হোটেল চেইন ম্যারিয়ট। হোটেল খুলে দেওয়ার পরই ব্যবসা জমজমাট হতে শুরু করেছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হোটেল চেইন ম্যারিয়ট জানিয়েছে, ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসায় গতি ফিরে আসছে। চীনে ম্যারিয়টের হোটেল রয়েছে মোট ৩৫০টি। বর্তমানে এগুলোয় অতিথি রয়েছেন সক্ষমতার প্রায় ৪০ শতাংশ। ১ জুন তাদের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, পর্যটকরা হোটেলে ভিড় করতে শুরু করেছেন। চীনে যে এখন শুধু অবকাশ যাপনজনিত ভ্রমণই বেড়েছে তা নয়, একই সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়িক ভ্রমণও। অতিথি প্রতিদিনই বাড়ছে। ম্যারিয়ট ছাড়াও হিলটন চীনে নিজেদের ২৫৫টি হোটেল খুলে দিয়েছে। চীনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘর ছেড়ে বাইরে ঘুরতে বের হচ্ছে দেশটির মানুষ।  দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। চীনের আনহুই প্রদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হুয়াংশান পর্বত উদ্যান পর্যটকদের ভিড়ে নাকাল।

 

 

সর্বশেষ খবর