বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিমানবন্দরগুলো

সাইফ ইমন

প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বিমানবন্দরগুলো

দূর-দূরান্ত থেকে একের পর এক উড়োজাহাজ পাখির মতো পা গুটিয়ে নামছে। শত শত যাত্রী নামা-ওঠা করিয়ে পাখা মেলে আবার উড়াল দিচ্ছে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। বিমানবন্দরগুলোর চিরচেনা এই দৃশ্য হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছিল বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে। কিন্তু ক্রমেই আবারও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বিশ্ব। দেশে দেশে বিমান পরিবহন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে...  

 

ইউরোপ অঞ্চল

৭৫% যাত্রী কমেছিল হিথ্রো বিমানবন্দরে

যুক্তরাজ্যের বড় বিমানবন্দরগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল মহামারী পরিস্থিতিতে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোর একটি হলো হিথ্রো বিমানবন্দর। বছরে ৮০ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের পর বিমান ভ্রমণের চাহিদা হ্রাস পায়। করোনার বিস্তার রোধে যুক্তরাজ্য সরকার যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা এখন তুলে নিয়েছে। ফলে এয়ারলাইনসগুলো তাদের সব ফ্লাইট আবারও শুরু করেছে। আঞ্চলিক বিমান সংস্থার প্রধান জোহান বলেন, করোনার প্রভাবে যুক্তরাজ্যের বিমানের টিকিট বুকিং ৭৫% কমে গিয়েছিল যা আবারও চাঙ্গা হচ্ছে ধীরে ধীরে।

সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মানা হচ্ছে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর দেশটির জনগণ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি। জার্মানি করোনা প্রতিরোধে বন্ধ করেছিল তাদের সব বিমানবন্দর। যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিক তাদের জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে জার্মান সরকার সরে এসেছে। মূলত পর্যটক বা ব্যবসার কাজে স্বল্প সময়ের ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে করোনা টেস্ট নেগেটিভ হলে। ট্রানজিট যাত্রীদেরও বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। শর্ত একটাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে হবে।

 

স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক রোম বিমানবন্দরে

করোনাভাইরাস মহামারীতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালি। দেশটিতে পরিস্থিতি খুবই নাজুক ছিল। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে করোনায়। ১২ মার্চ থেকে একটি বড় লকডাউন শুরু করে দেশটির সরকার যা আবার বাড়ানো হয়। রোম বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল একটা পর্যায়ে। ইতালি সরকার কভিড-১৯ কমিয়ে আনতে রোমের দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শহরের প্রধান বিমানবন্দর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি-ফিমাইসিনো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যারোপার্টি দ্য রোমা। যদিও বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল খোলা রেখেছিল প্রয়োজনীয় বিমান পরিষেবার জন্য। পরে ১৪ মার্চ থেকে রোমের সিয়াম্পিনো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বর্তমানে পুরো বিশ্বের পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও চালু হয়েছে বিমানবন্দরগুলো। তবে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কভিড-১৯ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই কেবল যাতায়াত করা যাবে।

 

আগের চেহারায় ফিরেছে প্যারিস এয়ারপোর্ট

প্রাণঘাতী কভিড-১৯ ভাইরাসের প্রভাবে থমকে গিয়েছিল ফ্রান্সের স্বাভাবিক জীবনযাপন। ১৪ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রান্সের বৃহত্তম দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আংশিক এলাকা যাত্রীসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এয়ারলাইনসগুলো তাদের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণার কারণে এয়ারপোর্ট অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়ে। কিন্তু আবারও মানুষের ভিড়ে জমে উঠেছে বিমানবন্দর। তবে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যাত্রীদের পরীক্ষায় ভাইরাস আক্রান্তদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পর্যটনের দেশ ফ্রান্সের প্রায় প্রতিটি শহর সারা বছর মুখরিত থাকে পর্যটকদের ভিড়ে। এখন আবারও আগের সেই চিরচেনা দৃশ্য ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে সেখানে। বিমানবন্দর চালু হওয়ায় পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন অনেক স্বাভাবিক।

 

এশিয়া অঞ্চল

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাবতীয় সুরক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারস্পরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কিনা, লাগেজ স্যানিটাইজড হচ্ছে কিনা সবই খুঁটিয়ে দেখেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা...

দুবাই বিমানবন্দরে নিষিদ্ধ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস

জয়পুর-দুবাই উড়ানে এক যাত্রী কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ার জেরে ভারতীয় উড়ান সংস্থার ওপরে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর জয়পুর-দুবাই উড়ানে এক যাত্রী কভিড পজিটিভ ধরা পড়ার জেরে ভারতীয় উড়ান সংস্থার ওপরে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। নোটিসে বলা হয়েছে, করতার সিং রাম সহায় নামে ওই যাত্রী বিমানের ৪সি আসনে বসেছিলেন। তার সুবাদে বিমানের অন্যান্য যাত্রী ও বিমানকর্মীদের স্বাস্থ্যজনিত ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়েছে বলেও জানিয়েছে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

সচল হচ্ছে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

এটি বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর। করোনা মহামারী আকার ধারণ করায় এটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। তাই যাত্রী পরিবহন সেবা সচল রাখতে পরিচালক সংস্থা এয়ারপোড্রট অথরিটি হংকং কভিড-১৯ প্রতিরোধে গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ। বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের টারমাকের ওপর নামার পরপরই নিয়ে যাওয়া হয় পৃথক স্থানে। সেখানে করা হয় যাত্রীদের একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা। প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে তাপমাত্রা যাচাই এবং কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পাশাপাশি সব যাত্রীকে পালন করতে হচ্ছে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন। প্রতিদিন দুবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রীদের।

 

নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দরে

করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় চাঙ্গি এয়ারপোর্ট গ্রুপও এই বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের জন্য গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। বিশেষত সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং স্পেন থেকে আসা যাত্রীদের সিঙ্গাপুরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিমানবন্দরে। করোনা আতঙ্কে যাত্রী হারাতে শুরু করলেও আবারও সচল রয়েছে বিমানবন্দরটি।

 

বিপর্যয়ের মুখে ব্যাংকক বিমানবন্দর

পর্যটনশিল্প দেশটির জাতীয় আয়ের উৎস। এখানে বেশির ভাগ ভ্রমণকারী আসেন পাশের রাষ্ট্র চীন থেকে। পরিসংখ্যান মতে, গত বছর পর্যটকদের মধ্যে ১ কোটিরও বেশি ছিল চীনা নাগরিক।

সম্প্রতি কভিড-১৯ এর কারণে চীন সরকার উহান শহরকে দেশটির অন্যান্য শহর থেকে আলাদা করার পর থাই অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ে। জনসমাগম কমতে শুরু করে শপিং মল, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয়। বিমানবন্দরেও যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ব্যাংককের বিমানবন্দর। কিন্তু এই বিপর্যয় কাটাতে আবারও সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর ফেরার চেষ্টা করেছে আগের চিরচেনা রূপে। তবে এখনো সব দেশে পরিবহন সেবা শুরু করেনি কর্তৃপক্ষ।

যাত্রী পরিবহন সেবা শুরু ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনার প্রভাব ভারতে পড়ায় সরকার লকডাউন করে দিয়েছিল দেশটির সবকটি রাজ্য। করোনাভাইরাসের কারণে নিষেধাজ্ঞা ও যাত্রী সংকটে ভারতে বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানিও ফ্লাইট বাতিল ও স্থগিত করে। এই তালিকায় আছে ভারতের প্রধান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরটিও। তবে যাত্রী পরিবহন সেবা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। উপসর্গ থাকলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

 

অভ্যন্তরীণ সেবা চালু কাতার এয়ারওয়েজে

বহির্বিশ্বের মতো প্রাণঘাতী করোনার প্রভাব পড়ে ধনী রাষ্ট্র কাতারেও। কাতার সরকার গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সব ধরনের কার্গো এবং বিদেশি ফ্লাইট ব্যতীত অভ্যন্তরীণ বিমানগুলো নিষিদ্ধ করেছিল। যার কারণে বন্ধ ছিল একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। তবে আবারও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট শুরু করেছে তারা। তবে সরকার কখনই কাতারের নাগরিকদের দেশে প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। মহামারীর কারণে আটকা পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বিমান সংস্থা পুরো ফ্লাইট শিডিউল পরিচালনা করছে। তবে বিদেশ থেকে সদ্য আগত কাতারের নাগরিকদের পাঁচতারকা হোটেলে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। 

 

আমেরিকা অঞ্চল

আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেয়ার পড়ে গেছে

জানুয়ারি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সান ফ্রান্সিসকো, নিউইয়র্ক, জন এফ কেনেডি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের বিমানবন্দরগুলোয় আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে। তবে এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয় না। করোনার আঘাতে বর্তমানেও দেশটির অবস্থা ভয়াবহ। সময় যত গড়াচ্ছে, করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে এখানকার ১৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করছে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। এসব বিমানবন্দরে উন্নতমানের থার্মাল স্ক্রিনিং ব্যবহার করে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাদের শনাক্ত করা হচ্ছে তাদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। আর সব বিমানযাত্রীকে সরকারের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপের বিমান চলাচলের ট্র্যাককারী এনওয়াইএসই আরকা এয়ারলাইনস ইনডেক্স থেকে জানা যায়, করোনার পরিস্থিতিতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেয়ার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ পড়ে গেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ডেলটার শেয়ার ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে। 

কানাডা বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে

মার্চের শুরু থেকেই কানাডা ঘোষণা করেছে যে, কানাডার নাগরিক বা বিমানের ক্রু, কূটনীতিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা নয় এমন কেউই কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না। বিশেষত সীমান্তের পাশাপাশি দেশটির সরকার বহির্বিশ্বের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা কানাডিয়ানদের পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত কানাডার বাইরে সব অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেয়। দেশটির সরকার অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়। কিন্তু বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগের কঠোর অবস্থা থেকে অনেকটা সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল স্থায়ী বাসিন্দা বা যাত্রী কভিড-১৯ নিশ্চিত করা সাপেক্ষে স্থল, রেল ও সমুদ্রপথে কানাডায় প্রবেশ করতে পারবে। সেই সঙ্গে এখন যাত্রীরা বিমানবন্দরগুলোও ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। তবে বহিরাগত নাগরিক হলে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

বাইরের নাগরিক আসতে পারছেন ব্রাজিলের বিমানবন্দরে

করোনা আতঙ্কে ব্রাজিল সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ব্রাজিলের নাগরিক এবং আশপাশের দেশের নাগরিক বাদে কোনো বিদেশি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে ঘোষণা দেয় সরকার। যদিও এখন সে ঘোষণা থেকে সরে এসেছে তারা। যদিও কখনই দেশটি তাদের কোনো বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেনি। বিশ্ব মহামারীর প্রথম ফেজেও সাও পাওলো বিমানবন্দরে যাত্রীরা করোনা আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন। প্রেসিডেন্ট ট্র্যাকসিয়ো ফ্রেইটাস বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিমানবন্দর বন্ধ হবে না।

সর্বশেষ খবর