শিরোনাম
রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলতে শুরু করেছে পর্যটনবিশ্ব

সাইফ ইমন

খুলতে শুরু করেছে পর্যটনবিশ্ব

মৃত্যুপুরী থেকে আবারও জমে উঠছে পর্যটননগরী

ইতালির পর্যটননগরী বলা হয় রোমকে। আর এই শহরের বিখ্যাত হলো দ্য কলোসিয়াম। প্রাচীন রোমে অবস্থিত দ্য কলোসিয়াম হলো একটি অ্যাম্ফিথিয়েটার। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ইতালির এই পর্যটননগরী। চিরচেনা রূপে ফিরছে করোনায় বিপর্যস্ত শহরটি। লকডাউন শেষে নাগরিকদের ওপর থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। ইইউর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির বড় আয় পর্যটন থেকে। এদিকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ইতালির অন্যতম শহর ভেনিসের খালগুলোয় ঐতিহ্যবাহী জলযান গন্ডোলা পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত। ইতালির জনগণ চাইছে যেন দ্রুত পর্যটকরা ফিরে আসেন। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো চালু হয়েছে ইতিমধ্যে। এর আগে গত ৩ জুন সীমান্ত খুলে দেয় ইতালি। প্রথম ধাপেই দেশটি পর্যটকদের আহ্বান জানায়, ইতালিতে আসুন, যেখানে ইচ্ছা বেড়ান।  এখন ইতালির নাগরিকরাও ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে অবাধে ভ্রমণ করতে পারছেন।

 

মালদ্বীপে চালু হয়েছে রিসোর্ট বাড়ছে বিদেশি পর্যটক

দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ। ছোট ছোট দ্বীপে গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর, বিলাসবহুল রিসোর্ট। পর্যটকদের প্রিয় এ দেশটি জুলাইয়ে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তবে সব চালুর আগে দুই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যটকরা দেশে প্রবেশ করলেই তাকে দুই সপ্তাহের জন্য আলাদা একটি রিসোর্টে আইসোলেশনে যেতে হবে। মালদ্বীপ এমনিতেই বেশ ব্যয়বহুল। তাই এ পরিকল্পনা ছাড়াও দেশটিতে ভ্রমণের এক সপ্তাহ আগে পর্যটককে একটি পজিটিভ অ্যান্টিবডি টেস্ট  অথবা নেগেটিভ অ্যান্টিজেন টেস্ট করে আসতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে আরও ১০০ ডলার। বিমানবন্দরেই আরেক দফা করোনা পরীক্ষা করা হবে পর্যটকদের। এরই মধ্যে মালদ্বীপে একাধিক রিসোর্ট চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে খুলতে যাচ্ছে বেসরকারি বিমান এবং সুপার ইয়টগুলো। 

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখানে। মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এখানে। বাড়ছে বিদেশি পর্যটক।  তাই নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে চাইলে মালদ্বীপ তার সব আয়োজন নিয়ে অপেক্ষা করে আছে আপনারই জন্য। 

 

 

পর্যটক আসছে থাইল্যান্ডের ফুকেটে

এই অক্টোবর মাস থেকেই পর্যটক ও বিদেশিদের জন্য সীমান্ত খুলতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। এক ঘোষণায় এ তথ্য জানায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি। পর্যটননির্ভর অর্থনীতিটি চলতি বছরে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে। গত বছর যেখানে চার কোটি পর্যটক এসেছিল এবার তার ভগ্নাংশ মাত্র এসেছে। নভেল করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক লকডাউন এবং দেশগুলোর সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পুরো থমকে দাঁড়িয়েছে ভ্রমণ, পর্যটন ও আকাশসেবা খাত।

মহামারীতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্যটকদের কাছে নিরাপদ অবকাশ গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে থাইল্যান্ড। কভিড-১৯ এ দেশটিতে মাত্র ৫৯ জন মারা গেছেন। তবে যে দেশগুলোর নাগরিকদের নভেল করোনাভাইরাস ঝুঁকি কম, কেবল তাদেরই থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং যারা আসবেন তাদের ১৪ দিন হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের (টিএটি) মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, প্রথম ধাপে ১৫০ জন চীনা পর্যটক ফুকেট আসছে। আগামী সপ্তাহে রিসোর্ট দ্বীপটিতে তাদের ফ্লাইট পৌঁছবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। পরবর্তীতে আরও দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে।  একটিতে চীনা পর্যটক ও অন্যটিতে ইউরোপীয় পর্যটক থাকবে।

 

শিল্পপ্রেমীদের পদচারণে আবারও মুখর ল্যুভর মিউজিয়াম

গত ৬ জুলাই শিল্পপ্রেমীদের জন্য আবারও খুলেছে ল্যুভর জাদুঘরের দরজা। এর আগে ১৫ জুন থেকেই অনলাইনে বুকিং শুরু হয় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য। খুলেছে ল্যুভর মিউজিয়ামের সামনের মেরি-গো-রাউন্ড ও তুলেরি গার্ডেনসও। সেখানেও দেখা যাচ্ছে প্রচুর পর্যটক। তবে প্যারিসের আরেক বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ ‘আর্ক ডি ত্রিওম্ফ’ খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। ইউরোপ ভ্রমণ মানেই ফ্রান্স। আর দেশটির শহর প্যারিস নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ সারা বছরই তুঙ্গে থাকে। যদিও করোনা মহামারীর কারণে দেশটিতে পর্যটন বন্ধ থাকে তিন মাসের বেশি সময়। তবে জুন থেকে দেশটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা বিশ্ববিখ্যাত দর্শনীয় স্থান প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম আবারও জমে উঠেছে। তবে শর্ত হলো- মিউজিয়াম দর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের মুখে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণের জন্য রাখা হয়েছে একমুখী চলাচল ব্যবস্থা। ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করা যাবে না। দর্শনার্থীদের জিনিসপত্র রাখার ঘরটি এখন ব্যবহার করা যাবে না। মিউজিয়াম চত্বরে পাওয়া যাবে না কোনো ধরনের খাবার।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জগদ্বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসাকে দেখতে দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দাগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছবি তুলতে দাগের ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। গত বছর ল্যুভর পরিদর্শনে গিয়েছিল ৯৬ লাখ মানুষ।  এ বছর সংখ্যা অনেক কমে গেলেও এখানে জনসমাগম বাড়ছে প্রতিদিনই।

 

চার মাসের লকডাউন শেষে উন্মুক্ত দুবাই টাওয়ার

প্রায় চার মাসের লকডাউন শেষে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য পর্যটন খাত উন্মুক্ত করে দুবাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খোলে বিলাসবহুল হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। খুলেছে বুর্জ খলিফাও। একে অনেকে বলে থাকেন দুবাই টাওয়ার। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন এটি। এখানে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক আসেন। মহামারী কাটিয়ে শিগগিরই দেশের পর্যটন খাত আবারও লাভজনক অবস্থানে ফিরে যাবে প্রত্যাশা দুবাই সরকারের। দুবাইয়ের পাল্ম জুমেইরাহ দ্বীপের আটলান্টা রিসোর্টে কর্মীরা ব্যস্ত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে। কারণ লকডাউন শেষে আবার শুরু হয়েছে দেশটিতে পর্যটক সমাগম।

এই দ্বীপটিও রয়েছে পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্রবিন্দুতে। ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিক ছাড়া প্রত্যাশিত পর্যটক আশা করছেন না পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এখানে দেশের বাইরে থেকে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। যাত্রী সমাগমে মুখর দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। চলছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তবে দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের পালন করতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ।  ইতিমধ্যেই খুলতে শুরু করেছে অন্য সব পর্যটন স্থান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পার্কগুলো।  পর্যটন ব্যবস্থা আগের অবস্থায় ফেরা নিয়ে আশাবাদী দুবাই।

 

দর্শনার্থী সংখ্যা সীমিত করে খুলেছে আইফেল টাওয়ার

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিখ্যাত স্থাপনা আইফেল টাওয়ার গত ২৫ জুন পর্যটকদের জন্য খুলেছে। এতে বেড়াতে আসা ১১ বছরের বেশি বয়সীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইফেল টাওয়ারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নির্দেশিকা রয়েছে। জানা গেছে, লিফটের পরিবর্তে আপাতত সিঁড়ি ব্যবহার করা যাবে। শীর্ষ ফ্লোর আপাতত বন্ধ থাকবে। কারণ টাওয়ারের দোতলা থেকে শীর্ষ ফ্লোরে ওঠার লিফটে ছোট জায়গা, তাই দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। দর্শনার্থীদের ওঠানামার সময় সিঁড়িতে সাক্ষাৎ হবে না।

পূর্বদিকের সিঁড়ি দিয়ে তারা উঠবেন আর নামার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে পশ্চিম পাশের সিঁড়ি। একই সময়ে প্রতি ফ্লোরে দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফ্লোরে জনসাধারণের চলাচলের জায়গা প্রতিদিন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সুবিধার্থে চিহ্ন যুক্ত করেছে টাওয়ার পরিচালনা কমিটি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১৩ মার্চ থেকে তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল আইফেল টাওয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো এতটা সময় বন্ধ ছিল না এটি। ১০ টন মেটাল ব্যবহার করে আইফেল টাওয়ারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৮৮৯ সালে। প্রতি বছর ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ এখানে বেড়াতে আসে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হওয়া পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে এটি অন্যতম। এদিকে ফ্রান্স সরকার গত মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে অবরুদ্ধ অবস্থা (লকডাউন) শিথিল করছে। ফলে প্যারিসের হোটেল, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ ফের খুলেছে। প্যারিসের বিভিন্ন জাদুঘর ও পর্যটকদের আকর্ষণ পর্যায়ক্রমে আবারও চালু হয়েছে। এক্ষেত্রে সবাই মেনে চলছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।  গত ৬ জুন প্যালেস অব ভারসাইয়ের জাদুঘর ও বাগান পুনরায় খুলেছে। 

 

প্রস্তুত ভারতের রানী দার্জিলিং শহর

পাহাড়ের রানী ভারতের দার্জিলিং শহর। লকডাউন শেষে সেখানে খুলতে শুরু করে পর্যটকদের জন্য হোটেলের দরজা। এখনই পর্যটক প্রবেশের নির্দেশনা না থাকলেও পর্যটন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশিসহ ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকে মুখর থাকে দার্জিলিং। লকডাউনে অন্য সব দেশের পর্যটন এলাকার মতো দার্জিলিংও ঘুরে যায়। তবে তুলনামূলকভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে ছিল খুব কম। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দার্জিলিংকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। যদিও ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তাই দার্জিলিংও রয়েছে সতর্কতায়। দার্জিলিংয়ে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ হোটেল রয়েছে। তার সঙ্গে  প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে ১০ হাজার কর্মীর জীবন-জীবিকা।  শহরটি পর্যটনের ওপরই নির্ভরশীল।

 

সুইডেনের ওল্যান্ড দ্বীপে ভেঙেছে নীরবতা

সবার প্রত্যাশা অনুযায়ী করোনামুক্ত সুইডেনে নীরবতা ভেঙে আবার প্রাণ ফিরে আসতে শুরু করেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ অবরুদ্ধ ছিল লকডাউনে। কিন্তু হালের বিপরীতে হেঁটেছিল সুখের দেশ সুইডেন...

প্রতিবছর ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো সুইডেনেও প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়ে থাকে। তবে করোনার কারণে কিছুটা ভিন্নচিত্র পর্যটন এলাকাগুলোতে দেখা গেলেও আবারও জনমানুষে ভরে উঠেছে। সবার প্রত্যাশা অনুযায়ী করোনামুক্ত সুইডেনে নীরবতা ভেঙে আবার প্রাণ ফিরে আসতে শুরু করেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। যদিও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ অবরুদ্ধ ছিল লকডাউনে। কিন্তু হালের বিপরীতে হেঁটেছিল বিশ্বের অন্যতম সুখের দেশ সুইডেন। করোনাভাইরাসের সময়ও সুইডেনে অধিকাংশ নাগরিকই অনেকটা স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারছেন। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোও ছিল পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। সুইডেনের ওল্যান্ড দ্বীপে পর্যটকদের ভিড় লেগেই ছিল। সেখানে গ্রীষ্মকালীন আবাসগুলোও ছিল পরিপূর্ণ। করোনায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা কম হলেও এখন আবার জমে উঠেছে সেখানকার পর্যটন। সার বছর এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তখন ওল্যান্ড দ্বীপের অপূর্ব প্রকৃতির স্বাদ পাওয়া কঠিন হয়। তাই স্থানীয়রা এখানে ভিড় করেন করোনাকালীন সময়েও।  তবে এখন আবারও আগের চিরচেনা রূপে ফিরে গেছে ১৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলের ওল্যান্ড দ্বীপ।

সর্বশেষ খবর