শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নির্বাচন ছাড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যারা

সাইফ ইমন

নির্বাচন ছাড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট যারা

কেউ ছিলেন সফল কেউ বা ব্যর্থ। কিন্তু ভাগ্যের দিক দিয়ে যে সবাই ভাগ্যবান ছিলেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বলা হচ্ছে আমেরিকার ইতিহাসে কিছু ভাগ্যবান প্রেসিডেন্টের কথা; যারা কোনো ধরনের নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতার শীর্ষ আসন পেয়েছিলেন। যে কোনো দেশেই ক্ষমতার শীর্ষে থাকা ব্যক্তি মারা গেলে বা পদত্যাগ করলে একটি শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এমন কিছু হলে আমেরিকার সংবিধান

সরাসরি ভাইস প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েও ক্ষমতা গ্রহণ করেন এমন নয়জন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নিয়ে আজকের রকমারি...

 

 

জন টেইলর [দশম প্রেসিডেন্ট]

তিনি ১৮৪১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। হেনরি উইলিয়াম হ্যারিসনের সঙ্গে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন...

জন টেইলর ১৭৯০ সালের ২৯ মার্চ ভার্জিনিয়ার চার্লস সিটি কাউন্টিতে এক অভিজাত ও রাজনীতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরবর্তী রানিং মেট হেনরি উইলিয়াম হ্যারিসনও একই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন টেইলর ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৮৪১ থেকে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি ১৮৪১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। হেনরি উইলিয়াম হ্যারিসনের সঙ্গে ১৮৪০ হুইগ টিকিট পাওয়ার মাধ্যমে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র এক মাস পরে ১৮৪১ সালের এপ্রিল মাসে হ্যারিসনের মৃত্যুর পর তিনি রাষ্ট্রপতিত্ব গ্রহণ করেন। জন টেইলর চার বছর শাসন করলেও কখনই জনপ্রিয়তা পাননি। উল্টো তার রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কিছু কাজ করায় বহিষ্কৃত হন তার দল হুইগ পার্টি থেকে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও অনেকে তাকে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ কিংবা ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ডাকত। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম অনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শাসনকাল শেষ হয় ১৮৪৫ সালে।

 

 

মিলার্ড ফিলমোর [ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট]

মিলার্ড ফিলমোরের শাসনামলেই উত্তরের রাজ্যগুলো ও দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে দাস প্রথা নিয়ে বিরোধ প্রকট হয়ে উঠতে থাকে...

মিলার্ড ফিলমোর ১৮০০ সালের জানুয়ারির ৭ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি। ১৮৫০ সালে জ্যাকারি টেইলর মারা গেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলমোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। টেইলরের পুরো মন্ত্রিসভা তার মৃত্যুর পর পদত্যাগ করলে ফিলমোরকে নতুন করে প্রশাসনিক দায়িত্ব বণ্টন করতে হয়। সেসময় তিনি ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর স্টিফেন ডগলাসের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ শুরু করেন। তার শাসনামলেই উত্তরের রাজ্যগুলো ও দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে দাস প্রথা নিয়ে বিরোধ প্রকট হয়ে উঠতে থাকে। এ সময় বিতর্কিত ‘কম্প্রোমাইজ অব ১৮৫০’ স্বাক্ষরিত হয়। এ বিল অনুসারে ক্যালিফোর্নিয়া দাসবিহীন রাজ্য হিসেবে যুক্ত হয়। অন্যদিকে ডিস্ট্র্রিক্ট অব কলম্বিয়াতে নিষিদ্ধ হয় দাস কেনাবেচা করা। কিন্তু ফিলমোর পালিয়ে যাওয়া দাসদের আবারও দাস হিসেবে ধরে আনার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহারও বাড়িয়ে দেন। এ রকম বিভিন্ন কারণে তিনি তার দলের কাছেই জনপ্রিয়তা হারান।  পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পর্যন্ত পাননি।

 

অ্যান্ড্রু জনসন [১৭তম প্রেসিডেন্ট]

অ্যান্ড্রুর যখন তিন বছর বয়স তখন তার পিতা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মা পলি জনসন তার পরিবারের ভরণপোষণে ধোপার কাজ করতেন...

অ্যান্ড্রু জনসন ১৮০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর উত্তর ক্যারোলিনার রালেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। অ্যান্ড্রু জনসন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৮৬৫ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আব্রাহাম লিংকন আততায়ীর হাতে  নিহত হওয়ার সময় তিনি উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিলের কথা।  সেদিন রাতে ওয়াশিংটন ডিসির ফোর্ডস থিয়েটারে ‘আওয়ার আমেরিকান কাজিন’ নাটকটি দেখতে স্ত্রী মেরি টোড লিঙ্কন এবং দুজন অতিথিকে নিয়ে গিয়েছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন। নাটকটি চলাকালেই রাত সোয়া ১০টা নাগাদ ০.৪৪ ক্যালিবারের ডেরিঞ্জার পিস্তল দিয়ে লিঙ্কনের মাথার পেছন দিকে গুলি করে বসেন অভিনেতা ও কনফেডারেট সমর্থক জন উইল্কিস বুথ। আমেরিকান গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অ্যান্ড্রু জনসন উপ-রাষ্ট্রপতির পদ অধিকার করেছিলেন। অ্যান্ড্রুর বয়স যখন তিন বছর তখন তার পিতা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তার মা পলি জনসন তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য ধোপার কাজ করতেন।  সে সময়ে এই পেশাকে হেয় করে দেখা হতো।

 

চেস্টার এ আর্থার [২১তম প্রেসিডেন্ট]

১৮৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস এ গারফিল্ড ক্ষমতা গ্রহণের সাড়ে ছয় মাসের মাথায় আততায়ীর হাতে খুন হন। তখন তিনি রাষ্ট্রপতি হন...

চেস্টার এ আর্থার (অক্টোবর ৫, ১৮২৯- নভেম্বর ১৮, ১৮৮৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২১তম রাষ্ট্রপতি। ১৮৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস এ গারফিল্ড ক্ষমতা গ্রহণের সাড়ে ছয় মাসের মাথায় আততায়ীর হাতে খুন হন। তখন ২১তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন চেস্টার অ্যালান আর্থার।  জেমস আব্রাহাম গারফিল্ড ছিলেন আমেরিকার বিশতম প্রেসিডেন্ট। ১৮৮১ সালের ৪ মার্চ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসীন হয়েছিলেন গারফিল্ড। কিন্তু এ সৌভাগ্য তার কপালে বেশি দিন লেখা ছিল না। দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসেরও কম সময়ের মাথায় জুলাই মাসের ২ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টায় চার্লস জুলিয়াস গুইটাও এর গুলিতে মারাত্মক আহত হন তিনি। অবশেষে সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এ আঘাত থেকে সৃষ্ট ইনফেকশনে ভুগেই মারা যান জেমস এ গারফিল্ড। গারফিল্ডকে গুলি করার পরপরই গুইটাওকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চেস্টার এ আর্থার ক্ষমতা গ্রহণ করেই গারফিল্ড হত্যাকান্ডের বিচার শুরু করেন।  প্রায় আড়াই মাস ধরে চলা বিচার শেষে গুইটাওকে ১৮৮২ সালের ৩০ জুন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

 

থিওডোর রুজভেল্ট [২৬তম প্রেসিডেন্ট]

১৮৮২ সালে রুজভেল্ট নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্যপদ গ্রহণ করে রিপাবলিকান পার্টির খাতায় নাম লিখে তার রাজনৈতি জীবনের শুরু...

আমেরিকার প্রথম আধুনিক প্রেসিডেন্ট বলে অভিহিত করা হয় থিওডোর রুজভেল্টকে। মাত্র ৪২ বছর বয়সে আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নেন তিনি। ২৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের জন্ম ২৭ অক্টোবর, ১৮৫৮ সালে নিউইয়র্কে। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ডেনমার্কের অধিবাসী। হার্ভার্ড কলেজে রুজভেল্টের পড়াশোনা শুরু হয় ১৮৭৬ সালে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার চার মাস পর ১৮৮০ সালে বিয়ে করেন অ্যালিস হ্যাথওয়েকে। ১৮৮২ সালে রুজভেল্ট নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্যপদ গ্রহণ করে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটান। পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির খাতায় নাম লেখান। ১৮৯৮ সালে নিউইয়র্কের গভর্নর পদে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯০০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯০১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাকেনলি নিহত হলে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। ১৯০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জয়ী হন জনপ্রিয় রুজভেল্ট।  রুশ-জাপান যুদ্ধাবসানে ভূমিকা রাখার জন্য ১৯০৬ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।

 

কেলভিন কুলিজ [৩০তম প্রেসিডেন্ট]

কুলিজ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তার বাবার কাছে। সে বছর কংগ্রেসে দেওয়া তার বক্তৃতা রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার হয়েছিল...

ওয়ারেন হার্ডিংয়ের মৃত্যুর পর ১৯২৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কেলভিন কুলিজ।  কেলভিন কুলিজ যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি অস্বাভাবিক চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন। যদিও তিনি তার এই স্বভাবের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। কুলিজ ছিলেন রিপাবলিকান। মজার ব্যাপার হলো, কুলিজ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তার বাবার কাছে। সে বছর ডিসেম্বরে কংগ্রেসে দেওয়া তার বক্তৃতা রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার হয়েছিল। সেটি ছিল প্রথম কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্টের বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার।

তিনি রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। আরও একটি বিশেষ দিক হচ্ছে কিউবা সফরকারী যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট ছিলেন কেলভিন কুলিজ। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম এই প্রেসিডেন্ট ১৯২৯ সালে যখন কিউবায় যান, রীতিমতো একজন রকস্টারের সমান সংবর্ধনা পেয়েছিলেন। তার প্রতিনিধি দলের জন্য ছিল ঢালাও হাভানা ড্রাইয়ের ব্যবস্থা। এর পরই দেশ দুটির মধ্যে নেমে আসে লৌহযবনিকা। সমাজতান্ত্রিক কিউবা পরবর্তীতে  গলার কাঁটা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের।

 

হ্যারি এস ট্রুম্যান [৩৩তম প্রেসিডেন্ট]

তিনি ঘোষণা করেন, দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি অবলম্বন করে আসছে তা হলো বিচ্ছিন্নতার নীতি বা

মনরো নীতি...

হ্যারি এস ট্রুুম্যান ১৮৮৪ সালের মে মাসের ৮ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের মৃত্যুর পর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একজন ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুবার দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তবে এর ব্যতিক্রম ঘটিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। যুক্তরাষ্ট্রের তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি তিনবার এ দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৫ সালে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের মৃত্যুর পর ৩৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন হ্যারি এস ট্রুম্যান। তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য মার্শাল ল বাস্তবায়িত করেন এবং ট্রুম্যান মতবাদ ও ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত করেন। যে নীতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশ টেনে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৭ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের তুমুল জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুুম্যান কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। সেদিন তিনি ঘোষণা করেন, দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি অবলম্বন করে আসছে তা হলো বিচ্ছিন্নতার নীতি বা মনরো নীতি।  এখন সময় এসেছে এই নীতি ছুড়ে ফেলে দেওয়ার।

 

লিন্ডন বি জনসন [৩৬তম প্রেসিডেন্ট]

কেনেডি হত্যার পর লিন্ডন জনসন রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে সর্বকনিষ্ঠতম  নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন...

লিন্ডন বি জনসন ১৯০৮ সালের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন এফ কেনেডি হত্যার পর লিন্ডন বেনস জনসন রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে সর্বকনিষ্ঠতম গণতান্ত্রিক সর্বহারা নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেনেডিকে যখন গুলি করা হয় তখন কেনেডির ঠিক দুটি গাড়ির পেছনে ছিলেন জনসন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে তিনি কেনেডির কাজগুলোকেই মূলত এগিয়ে নেন। সেই সঙ্গে যুক্ত করেন নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা। তিনি সিনেটে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। অফিসে তার সময়, প্রধান নাগরিক অধিকার আইন পাস করা হয়। তার সময়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলেছে। বিভিন্ন কারণে তার সময়কাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার সময়ে নাগরিক অধিকার আইন পাস হয়। ২৪তম সংশোধনী পোল ট্যাক্স বহিষ্কারের অনুমোদনও হয়েছিল।  তার শাসনকালেই ড. মার্টিন লুথার কিং ও জেআর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 

 

জেরাল্ড ফোর্ড [৩৮তম প্রেসিডেন্ট]

ভাগ্য খুলে যায় জেরাল্ড ফোর্ডের। ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারিতে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পদত্যাগের পর তিনিই গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব...

ভাগ্য যেন জেরাল্ড ফোর্ডকে টেনে এনেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে। আর তাতে হোয়াইট হাউসের ৩৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জেরাল্ড আর ফোর্ড। আমেরিকার ইতিহাসে তিনি একজন ভাগ্যবান প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। প্রথমবার কোনো প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়াই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন। সে সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট স্পিরো ইগ্নেউ পদত্যাগ করেছিলেন। ভাগ্য খুলে যায় জেরাল্ড ফোর্ডের। ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারিতে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পদত্যাগের পর তিনিই গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। মূলত আমেরিকার ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী নির্বাচন ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন জেরাল্ড আর ফোর্ড। জেরাল্ড আর ফোর্ড ১৯৭৪ সালে ৩৮তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় ঘোষণা করেছিলেন, আমি অসাধারণ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ করেছি।

আগে যে আটজন প্রেসিডেন্টের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে চারজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হননি।  বাকি চারজন পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর