রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
জিল বাইডেন

শিক্ষিকা থেকে ফার্স্ট লেডি

সাইফ ইমন

শিক্ষিকা থেকে ফার্স্ট লেডি

আমেরিকার ৪৬তম ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন জিল বাইডেন। জো বাইডেনের সহধর্মিণী জিল ৫০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু জো বাইডেনের রাজনৈতিক জীবনে সব সময় পাশে ছিলেন জিল বাইডেন। দুই দফায় সেকেন্ড লেডির দায়িত্বে থাকলেও এই প্রথম ফার্স্ট লেডি পদে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন জিল বাইডেন। যদিও শিক্ষকতাকেই তিনি সবসময় এগিয়ে রাখছেন। তিনি সব সময় বলেন, শিক্ষকতা শুধু আমার পেশা নয়, আমি নিজে শিক্ষকতাকে মনেপ্রাণে ধারণ করি...

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন বিজয়ী হয়েছেন। এর ফলে তিনি আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। আগামী জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। যখন বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন তখন তার সঙ্গে ফার্স্ট লেডি হিসেবে থাকবেন জিল বাইডেন। এতদিন পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন জিল বাইডেন। তিনি বাইডেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১৯৭২ সালে বাইডেনের প্রথম স্ত্রী গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হলে জিলকে বিয়ে করেন। জো বাইডেন ও জিল বাইডেন দুজন দুই জগতের মানুষ। বাইডেন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। আর জিলের পেশা শিক্ষকতা। যদিও তিনি সব সময় বলেন, শিক্ষকতা শুধু আমার পেশা নয়, আমি নিজে শিক্ষকতাকে মনেপ্রাণে ধারণ করি। মূলত ইংরেজির একজন অধ্যাপক হিসেবে কলেজে পড়ান তিনি। ফার্স্ট লেডি হওয়ার পরও তিনি নিজের শিক্ষকতা পেশা চালিয়ে যেতে চান। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে সেকেন্ড লেডি হিসেবে প্রায় আট বছর ধরে ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন জিল। পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন শিক্ষকতাও। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী বাইডেনের সূত্রে জিল ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি। কিন্তু ফার্স্ট লেডি বা সেকেন্ড লেডির চেয়েও নিজের শিক্ষক পরিচয়ে বেশি গর্ববোধ করেন জিল। স্ত্রী সম্পর্কে এক সভায় বাইডেন বলেন, ‘আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকের কথা ভাবুন, যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার পাশাপাশি আপনাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই এক ফার্স্ট লেডি হবেন।’ ১৯৫১ সালের জুনে নিউ জার্সিতে জন্ম নেন জিল বাইডেন। পাঁচ বোনের মধ্যে বড় জিলের বেড়ে ওঠা ফিলাডেলফিয়ার উইলো গ্রোভ শহরে। ছেলে হারানোর শোকে কাতর বাইডেন যখন সব ছেড়ে শুধু পরিবারকে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন বাউডেনকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনেন স্ত্রী জিল বাইডেন। কিন্তু বাইডেন বলেন, রাজনীতি নয় পরিবার আগে। রাজনীতির চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য দিতে চেয়েছেন বাইডেন। প্রথমবার সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাইডেনের জীবনে আসে বিপর্যয়। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নেলিয়া ও কন্যা নাওমির মৃত্যু হয়। মারাত্মকভাবে জখম হন তার দুই পুত্রও। পরবর্তীতে ছেলের মৃত্যু-এত বিপর্যয়ের পরও বাইডেনকে রাজনীতিতে সক্রিয় রাখেন জিল বাইডেন। জো বাইডেনের রাজনৈতিক জীবনে পুরোটা সময় ঢাল হয়ে পাশে ছিলেন জিল।

এ নিয়ে তৃতীয় দফা প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে লড়েছেন বাইডেন। প্রতিবারই বাইডেনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের নানা জনসভায় দেখা গেছে তাকে। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালেও জিল ছিলেন নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামীর সূত্রে জিল ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি। ওই আট বছর তিনি প্রচুর জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন শিক্ষকতার পাশাপাশি। কমিউনিটি কলেজের প্রসার, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সহায়তায় নানান কর্মকান্ড এবং স্তন ক্যান্সার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর প্রচারে বেশ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন জিল।  একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষককে ফার্স্ট লেডি হিসেবে পেয়ে আমেরিকার জনগণ নতুন এক আমেরিকার স্বপ্ন দেখছেন।

 

বক্তব্য দিয়ে আয় সাত লাখ মার্কিন ডলার

জিল বাইডেন শুধু বিভিন্ন সেমিনার আর কনফারেন্সেই বক্তব্য দিয়ে আয় করেন সাত লাখ মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে জিল বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি থাকাকালে মিশেল ওবামার সঙ্গে অনেক হাই-প্রোফাইল প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। যা তাকে একজন ভালো বক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশে সহায়তা করে। এ ছাড়া শিক্ষকতার কারণে তিনি এমনিতেও সুবক্তা ছিলেন। জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন ছাত্রদের কাছে।  স্বামী বাইডেন লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত। তিনি ক্যান্সারে মারা যাওয়া ছেলে বিউকে নিয়ে একটি বই লেখেন। এতে জিল বাউডেন সাহায্য করেন জো বাইডেনকে। বইটি ২০১৭ সালের বেস্টসেলারের তালিকায় ছিল। পরবর্তীতে জো বাউডেন এবং জিল বাইডেন মিলে আরও দুটি বইয়ের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। যদিও এগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি।

পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেন বাইডেন কেন্দ্রের অধ্যাপক হিসেবে তার আয় ছিল ৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৯ সালে প্রকাশিত আর্থিক নথি অনুসারে, বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল বাইডেনের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। একই বছর ফোর্বস জানায়, ডেলওয়ারে বাইডেনের দুটি বাড়ির মূল্য প্রায় চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  এই দম্পতির নগদ এবং বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

 

ভাঙছেন ২০০ বছরের ইতিহাস

জিল বাইডেন ভাঙছেন ২০০ বছরের ইতিহাস।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে সেকেন্ড লেডি হিসেবে আট বছর ধরে তৎকালীন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন শিক্ষকতাও। শিক্ষকতা নিয়ে থাকলেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই স্বামীর প্রচারণাতেও সময় দিয়েছেন। স্বামীর প্রার্থিতা নিশ্চিত হওয়ার পর গত আগস্টেই নিজ কলেজের ক্লাসরুম থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কনভেনশনে বক্তব্য দেন জিল বাইডেন। নিজের কাজের পাশাপাশি সেকেন্ড লেডির দায়িত্বও পালন করেছেন পুরোপুরি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ফার্স্ট লেডি হতে যাওয়া এই নারী দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন সমাজসেবামূলক নানা কাজের সঙ্গে। ফার্স্ট লেডি হওয়ার পরেও জীবনযাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন আনবেন না বলে আগেভাগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন জিল। ডেমোক্র্যাটদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব সামলানোর পরও কোনো ফার্স্ট লেডি অন্য কাজ করবেন, যা আমেরিকার ২০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পদাধিকারবলে আমেরিকার ফার্স্ট লেডি হোয়াইট হাউসের হোস্ট। নিজস্ব অফিসের পাশাপাশি তার অধীনে থাকেন চিফ অব স্টাফ, প্রেস  সেক্রেটারি, সোশ্যাল সেক্রেটারি ইত্যাদি।

 

সাবেক স্বামী বিতর্ক

জিল বাইডেনের সাবেক স্বামী বিল স্টিভেনসন। ছিলেন কলেজ ফুটবলার। জো বাইডেনের আগে ১৯৭০ সালে জিলের বিয়ে হয়েছিল তার সঙ্গে। কিন্তু সম্পর্ক বেশি দিন টিকেনি। ১৯৭৪ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সম্প্রতি স্টিভেনসন দাবি করেছেন, জো বাইডেন নাকি তার বউকে চুরি করে নিয়ে গেছেন। জিলকে বিয়ে করার কারণে জো বাইডেনকে ভোট দেবেন না বলে ঘোষণাও দিয়েছিলেন সাবেক স্বামী বিল স্টিভেনসন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক লেখায় জিল বাইডেনের প্রথম স্বামী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাইডেনকে ভ- বলেও অভিহিত করেছেন। জো বাইডেন বলেছিলেন হঠাৎ করেই তার এক ভাইয়ের মাধ্যমে জিলের সঙ্গে তার দেখা হয়। স্টিভেনসনের দাবি, বাইডেনের এ বক্তব্য অসত্য। তিনি জো এবং জিলকে ১৯৭২ সালে পরিচয় করে দিয়েছেন।  বিবাহ বিচ্ছেদের এক বছর আগেই জোয়ের সঙ্গে একটি সম্পর্ক ছিল জিলের।

 

শিক্ষকতাই ধ্যান-জ্ঞান

শিক্ষকতায় কয়েক দশক ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক জিল একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী। একজন ভালো শিক্ষক সমাজ গড়ার কারিগর বলে বিশ্বাস করেন জিল বাইডেন। তিনি বলেন, আমার পরিচয় শুধু একজন শিক্ষক নয়, আমি নিজে শিক্ষকতাকে মনেপ্রাণে ধারণ করি। ৬৯ বছর বয়সী জিল কয়েক দশক শিক্ষকতা করেছেন। দুই বিষয়ে স্নাতকোত্তর জিল ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি ডেলাওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তার স্বামী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন জিল নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজি  বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

 

জিল জ্যাকবস থেকে যেভাবে জিল বাইডেন

জিল জ্যাকবস থেকে জিল বাইডেন হয়ে যাওয়ার ইতিহাসটা বেশ মজার। জো বাইডেনের সঙ্গে ফার্স্ট লেডি জিল জ্যাকবসের পরিচয় হয় ১৯৭৫ সালে। এর তিন বছর আগে ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া হান্টার ও মেয়ে নাওমি বাইডেন মারা যান। তখন বাইডেন ছিলেন ডেলাওয়ারের সিনেটর আর জিল ছিলেন কলেজ শিক্ষক। বাইডেনের এক ভাই জিলের সঙ্গে বাইডেনের পরিচয় করিয়ে দেন। জিলের প্রথম স্বামী ছিলেন কলেজ পর্যায়ের ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসন। জিলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বাইডেন জিলের প্রেমে পড়ে যান। তারা একসঙ্গে প্রায়ই সিনেমা দেখতে যেতেন। এভাবেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। জিল বাইডেন ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগকে বলেন, আমি যখন কলেজের শিক্ষিকা, জো ততদিনে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর। তিনি আমার চেয়ে ৯ বছরের বড়। প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল আমাদের সম্পর্ক কখনই হবে না, কয়েক লাখ বছরেও না। কারণ আমি জিন্স, টি-শার্ট পরা অনেকের সঙ্গে ডেটিং করেছি; কিন্তু তিনি যখন দরজা দিয়ে এলেন তার পরনে ছিল স্পোর্ট কোট ও লোফারস। আমরা থিয়েটারে গিয়ে ‘এ ম্যান অ্যান্ড এ উইমেন’ চলচ্চিত্র দেখি। এরপর আমরা সত্যিকার অর্থে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে যাই। ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগকে নিজেদের প্রথম ডেটিংয়ের কথা বলতে গিয়ে এভাবেই নিজেদের প্রেমের শুরুর কথা জানিয়েছিলেন জিল। কিছু দিন প্রেম করার পর জিলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বাইডেন। একে একে পাঁচবার প্রস্তাব দেওয়ার পর জিল ভেবেচিন্তে বাইডেনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭৫ সালে পরিচয়ের পর ১৯৭৭ সালে নিউইয়র্কে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিল ও বাইডেন। তখন থেকে জিল জ্যাকবস হয়ে যান জিল বাইডেন। তাদের বিয়ের ৪৩ বছর চলছে। জিল বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জো বাইডেনের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেননি। তাদের সন্তানরা আবারও মাকে হারাবে না।

বিয়ের পর বাইডেনের ছেলেদের নিজের সন্তানের মতো করেই দেখেছেন জিল বাইডেন। পরে তাদের সংসারে মেয়ে অ্যাশলের জন্ম হয় ১৯৮১ সালে।

বাইডেন এবার প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা ঘোষণার পর ডেলাওয়ার ব্র্যান্ডিউইন কলেজে এক অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বাইডেনের পক্ষে বক্তব্য দেন জিল। বাইডেনও নিজের বক্তব্যের সময় স্ত্রীর প্রশংসা করেন এবং বলেন-এমন একজন মানুষ যিনি আপনাদেরকে ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তিনি যদি ফার্স্ট লেডি হন তবে মন্দ হয় না। স্ত্রী জিল বাইডেন ওই কলেজ সভায় ছেলে বো বাইডেনের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে বলেছিলেন, তিনি আমাদের সবাইকে আঁকড়ে রাখেন।  নির্বাচিত হলে তিনি মার্কিন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবেন।

 

সর্বশেষ খবর