বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইন্দিরার চৌকস কূটনীতি ছিল মুক্তিযুদ্ধের রক্ষাকবচ

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

ইন্দিরার চৌকস কূটনীতি ছিল মুক্তিযুদ্ধের রক্ষাকবচ

১৯ নভেম্বর দিনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া দেশ স্বাধীন হতো না এটা যেমন ধ্রুব সত্য, তেমনি ধ্রুব সত্য হচ্ছে এই যেÑ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ইন্দিরার সহযোগিতাও ছিল অপরিহার্য। ১৯৭১-এ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মানুষ, সেনাবাহিনী এবং সর্বোপরি সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর অবদানের কথা সবারই জানা। সেদিন ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে, আশ্রয় দিয়ে, খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এবং সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে আমাদের মুক্তি ত্বরান্বিত করেছিলেন, সে কথায় কারোরই সন্দেহ নেই। সেদিন ভারত নিজের নিরাপত্তা এবং আর্থিক অবস্থা বিপজ্জনক অবস্থায় ঠেলে দিয়ে আমাদের এক কোটির বেশি লোককে আশ্রয় না দিলে তারাও যে শহীদের সংখ্যা বাড়াতেন তাও এমনকি বর্তমান প্রজন্মের মানুষও জানেন। কিন্তু ভারতের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর অসাধারণ কূটনৈতিক বিচক্ষণতার কারণে সেদিন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া রাষ্ট্রগুলো মুক্তিযুদ্ধকে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টায় বিফল হয়েছিল, তা আমার মনে হয় ১৯৭৫-পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। না জানার কারণও আছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়া-মোশতাক বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। জিয়া-পরবর্তী সরকারগুলোও পাকিস্তানিকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে মোট ২৫ বছর বৈধ-অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিল। দেশে তখন শক্ত ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী-আইএসআই। পাকিস্তানি প্রভুদের নির্দেশে পাকিস্তানপ্রেমী সরকারগুলো ২৫ বছর আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কাউকে জানতে দেয়নি, বরং ভারত-বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে মানুষের মনকে বিষাক্ত করে তুলেছিল।

ইন্দিরার কূটনৈতিক বিচক্ষণতার কথা বলতে গেলে যে কথাটি প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় সেটি ছিল ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি। জাতিসংঘে পাকিস্তানি দূত আগা শাহি সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, এ চুক্তির কারণে ভারত সরাসরি যুদ্ধে নামতে অনুপ্রেরণা পাবে।

মূলত দুটি কারণেই ইন্দিরা গান্ধী ওই চুক্তি করা অপরিহার্য বলে মনে করে সোভিয়েত ইউনিয়নকে প্রভাবিত করেছিলেন। এর একটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে চীনের দৃশ্যমান এবং উচ্চকণ্ঠে উচ্চারিত ভীতি প্রদর্শন। চীন সে সময় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিল যে, সে দেশ পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষার জন্য সবকিছুই করবে। চীন শুধু এ কথা উচ্চারণ করেই ক্ষান্ত হয়নি। চীন ভারত সীমান্তে কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছিল। শ্রীমতী গান্ধী তখন যথার্থই আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, চীনকে ঠেকানোর জন্য সোভিয়েত সাহায্যের বিকল্প নেই। সেই চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল এই যে, যদি ভারত অথবা সোভিয়েত ইউনিয়ন কোনো তৃতীয় পক্ষ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ৭১-এর ৯ আগস্ট। চুক্তিটি চীনকে বহুলাংশে হতভম্ব করে তুলেছিল। চীন এ ধরনের চুক্তি কল্পনায় আনতে পারেনি। এ চুক্তির পর ভারতে সোভিয়েত সামরিক সাহায্য বহুগুণ বেড়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে যখন মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন চীন ভারত সীমান্তে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করছে দেখে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৪০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছিল চীন সীমান্তে, যার কারণে চীন ভারত আক্রমণ করে মুক্তিযুদ্ধ স্তব্ধ করতে সাহস পায়নি। এদিকে ইয়াহিয়া-ভুট্টো আশায় ছিল চীনা সৈন্যরা আসবে। ১১ ডিসেম্বর ইয়াহিয়া নিয়াজিকে বলেছিলেন, বিদেশিরা সামরিক এবং কূটনৈতিক সহায়তা নিয়ে আসছে, তাই ৩৬ ঘণ্টা যুদ্ধ ঠেকিয়ে রাখতে হবে। ১২ তারিখ জেনারেল গুল হাসান নিয়াজিকে বলেছিলেন, হলুদরা (চীনারা) উত্তর থেকে এবং সাদারা (আমেরিকা) দক্ষিণ থেকে (বঙ্গোপসাগর) আসবে। (সূত্র : জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন)।

তারা এ ধারণা থেকেই জেনারেল নিয়াজিকে ডিসেম্বরের চূড়ান্ত দিনগুলোতে এই বলে আশ্বস্ত করছিল যে, উত্তর থেকে হলুদরা (চীনরা) এবং দক্ষিণ থেকে (বঙ্গোপসাগর হয়ে) সাদারা (আমেরিকা) আসবে। বোকা নিয়াজিও এ আশায় বসে বসে যখন দেখল চীন আসছে না, তখন বঙ্গভবনে প্রকাশ্যেই কেঁদে ফেলেছিল বলে লিখেছেন পাকিস্তানি জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন তার বই ‘ট্র্যাজেডি অব এরার’-এ এবং জেনারেল রাও ফরমান আলী। তখন চীন ভারতকে পরাজিত করতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি কী হতো তা সহজেই আঁচ করা যায়।

সোভিয়েতের সঙ্গে চুক্তি করার আরেক কারণ ছিল আমেরিকাকে ঠেকানো। প্রথম থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, রাজনীতিবিদ এমনকি কূটনীতিকগণ গভীরভাবে বাঙালি গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও নিক্সন সরকার ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। এর মধ্যে পিং পং কূটনীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আর চীন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দুই পরাশক্তি একত্র হওয়ায়, আমাদের আন্তর্জাতিক বিরোধী শক্তিদের ব্যাপারে অধিকতর সতর্কতার প্রয়োজন দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হেনরি কিসিঞ্জার শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েই ক্ষান্ত হননি, তারা বিশেষ করে শ্রীমতী গান্ধীর ওপরও প্রচ- মাত্রায় ক্ষিপ্ত ছিলেন এবং প্রকাশ্যেই তার নিন্দা করতে থাকেন। পাকিস্তানকে মৌখিক এবং সামরিক সাহায্য প্রদান করতে থাকেন এবং আরও প্রত্যক্ষ সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। নিক্সন ইন্দিরাকে ব্যক্তিগত শত্রুতার পর্যায়ে নিয়ে আসেন। তখন এই মর্মে শঙ্কা জাগতে থাকে যে, যুদ্ধ আরও জোরালো অবস্থানে গেলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ আদায় করার চেষ্টা করবে। শ্রীমতী গান্ধীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, উত্তর দিকের হলুদ রঙের চীন এবং দক্ষিণ দিক থেকে সম্ভাব্য সাদা আমেরিকানদের ঠেকাতে সোভিয়েত সাহায্য তাকে নিতেই হবে, নচেৎ বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধ টিকিয়ে রাখা যাবে না। তীক্ষè ধীশক্তিসম্পন্ন ইন্দিরার সেই ভবিষ্যৎ দৃষ্টি আক্ষরিকভাবেই সত্যে পরিণত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাবাহিনীসহ যখন মুক্তিযুদ্ধে জয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই মার্কিন নৌবহর বঙ্গোপসাগর অভিমুখে রওনা দেয় চট্টগ্রাম আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মোতাবেক সোভিয়েত নৌবহর ও মার্কিন বহরকে অনুসরণ করতে থাকে যেমনটি করেছিল ১৯৬২ সালের কিউবার সংকটের সময়। এটা দেখে মার্কিন নৌবহর পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে সামরিক ফ্রন্টে ব্যর্থ হলেও কূটনৈতিক ফ্রন্টে জাল ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ডিসেম্বর মাসে সে দেশটি নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার প্রস্তাব উত্থাপন করে বা করায় মুক্তিযোদ্ধাদের এবং ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধ থামানোর এবং বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠানোর দাবি তোলে। নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য খোদ ভুট্টো চলে যান নিউইয়র্কে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ।

৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ বুশ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব তোলেন। একই সময় চীন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে ডাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং বাংলাদেশ থেকে সব সৈন্য সরানোর দাবি জানায় এবং পাকিস্তানের দাবিকে সঠিক বলে উল্লেখ করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্কিন প্রস্তাব ভেটো দিয়ে নস্যাৎ করে দেয়।

১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক দাবি করে, যুদ্ধবিরতি এবং ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যতবার সে ধরনের প্রস্তাব তোলে ততবারই সোভিয়েত ইউনিয়ন তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মার্কিন বা মার্কিন সমর্থিত প্রস্তাব নস্যাৎ করে দেয়। ১৩ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন আবার যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করে তা নস্যাৎ করে। ১৫ ডিসেম্বর পুনরায় ভুট্টো নিরাপত্তা পরিষদে পরাজয়ের গ্লানি সইতে না পেরে উন্মাদের মতো আচরণ করে প্রস্তাবের খসড়া প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে বিড়বিড় করে এই বলে সভাকক্ষ ত্যাগ করে যে, তারা হাজার বছর যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। ভুট্টোর সেই হাস্যকর আচরণ সেদিন অনেকেরই হাসির খোরাক জুগিয়েছিল।

বাংলাদেশকে স্বীকৃতির এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে যাওয়ার আগে ইন্দিরা ইউরোপ-আমেরিকা ভ্রমণ করে তাদের মনোভাব জেনে নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের পক্ষে থাকতে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। যেখানে চীন-আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক হস্তক্ষেপে প্রস্তুত ছিল, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধে নামা বহু সাহসের ব্যাপার ছিল বৈকি।

৭১-এর ৬ ডিসেম্বর বিবিসি ইন্দিরা গান্ধীকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। ২০১১-এর জুলাই লন্ডনের ডেইলি মিরর পত্রিকা ইন্দিরাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছিল তাকে নিরস্ত্র করার ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রেরও ছিল না।

নিরাপত্তা পরিষদই জাতিসংঘের একমাত্র অঙ্গ যার পুলিশি এবং প্রয়োগ ক্ষমতা আছে। সে অর্থে সেদিন যদি মার্কিন প্রস্তাব গৃহীত হতো তাহলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ গভীর সাগরের অতলে ডুবে যেত। সেই অর্থে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করে সত্যিকার অর্থে ইন্দিরা গান্ধী, যাকে কবিগুরু প্রিয়দর্শিনী নাম দিয়েছিলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে চীন-আমেরিকার হিংস্র থাবা থেকে রক্ষা করেছিলেন। সে কথা নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই আমার এ লেখনী।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইন্দিরার ছিল অবিভক্ত শ্রদ্ধাবোধ। পাকিস্তান কারাগার থেকে তাকে মুক্ত করার জন্যও ইন্দিরা সফলতার সঙ্গে বিশ্বনেতাদের হস্তক্ষেপ আদায় করেছিলেন। তিনি ১৯৭১-এর ১০ আগস্ট বিশ্বের সব সরকারপ্রধানের কাছে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। ইন্দিরার প্রতি তাই আমাদের ঋণের শেষ নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে আমরা কী করতে পেরেছি? বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইন্দিরা মঞ্চ গড়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানপ্রেমী জিয়া তা গুঁড়িয়ে দেয়। মাননীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রীকে সাধুবাদ যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর মঞ্চের পাশেই ইন্দিরা মঞ্চ গড়বেন।

সম্প্রতি আমাদের এক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বিডিনিউজ.কম২৪ এ লিখেছেন ইন্দিরা সোভিয়েত গোয়েন্দাদের অনুরোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যায় চীন যুক্ত ছিল কিনা তা তদন্ত করতে। জেনারেল সাহেবের এই লেখনী থেকে ধারণা নেওয়া যায় বঙ্গবন্ধু হত্যায় চীনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ইন্দিরার মনে গভীর সন্দেহ ছিল। তাঁর এ সন্দেহের যৌক্তিক কারণও ছিল, কেননা চীন বঙ্গবন্ধু হত্যার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যায় উল্লাস প্রকাশ করেছিল এবং জিয়াউর রহমানকে ধন্যবাদ দিয়েছিল।

                অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

সর্বশেষ খবর