রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
Bloomberg Billonaires Index এর চোখে

করোনার প্রভাবে ওলটপালট শীর্ষ ধনীর তালিকা

করোনার প্রভাবে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এবার বেশ বড় পরিবর্তন এসেছে। ২৫০ জনের বেশি বিলিওনিয়ার এই তালিকা থেকে বেরিয়ে গেছেন। নতুন যারা ঢুকেছেন তাঁদের বেশির ভাগই আবার অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় পতন হওয়ার পর আবারও উঠে আসেন ওয়ারেন বাফেট। আর চমক ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির এই তালিকায় ৯ বছর পর উঠে আসা...

সাইফ ইমন

করোনার প্রভাবে ওলটপালট শীর্ষ ধনীর তালিকা

জেফ বেজোস [১৮৩ বিলিয়ন ডলার]

অ্যামাজন ডটকমের ১৭% শেয়ার এখন তাঁর নামে। অ্যামাজন বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান যেটি সবচেয়ে দ্রুত ১০০ বিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড গড়েছে।

অ্যামাজন সাম্রাজ্যের অধিপতি জেফ বেজোস। ২০১০ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের ৪৩তম শীর্ষ ধনী। বর্তমানে তিনি ১৮৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক। বছরের শুরু থেকেই রয়েছেন বিশ্বের  শীর্ষ ধনীর এক নম্বর তালিকায়। গত ১০ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৪ ডলার। তিনি অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা। করোনার প্রভাবে মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটা করছে। অনলাইনের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস অ্যামাজন ডটকমের ১৭% শেয়ার এখন জেফ বেজোসের নামে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাঁর সম্পদের পরিমাণ। অ্যামাজনই বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান যেটি সবচেয়ে দ্রুত ১০০ বিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। ১৯৯৪ সালে অনলাইনে বই বিক্রির সাধারণ আইডিয়া নিয়ে জেফ বেজোস যাত্রা শুরু করেছিলেন। অনলাইনে কেনাকাটার সেই ধারণা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়ে অ্যামাজন ডটকম রীতিমতো গোটা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছে। এ বছর শুধু করোনাকালে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৭০ বিলিয়ন ডলার।

 

ইলন মাস্ক [১৩৬ বিলিয়ন ডলার]

করোনাকালে তরতর করে বেড়েছে ইলন মাস্কের সম্পদ। খ্যাতি যেমন ছড়িয়েছে, তাঁর আয়ও বেড়েছে বহু গুণ। তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।

টেসলা মোটরসের সিইও ইলন মাস্ক। ইলন তাঁর যোগত্যার প্রমাণ রেখেছেন পে-পাল সিস্টেমের সাফল্যে। অনলাইন প্ল্যাটফরমে লেনদেনের কথা উঠলে পে-পালের ওপরই নির্ভর করেন অনেকে। তাঁর সফলতার গ্রাফ ওপরের দিকে উঠেছে পে-পালের সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গেই। পে-সিস্টেমের উন্নয়নে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক।

টেসলা মোটরস তাঁকে সানন্দেই কোম্পানির সিইওর জায়গায় বসিয়েছে। করোনাকালে তরতর করে বেড়েছে ইলন মাস্কের সম্পদ। এখন তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে এখন ১৩৬ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য সম্পদ বৃদ্ধি মানেই ইলন মাস্কের হাতে চট করে নগদ অর্থ আসেনি। পে-পালের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রতিষ্ঠানের মোট বাজারমূল্য বেড়েছে, বেড়েছে শেয়ার দর। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির বড় একটি অংশের মালিকানা ইলন মাস্কের তাই তাঁর মোট সম্পদও বেড়েছে বহু গুণ। বিশেষ করে এই করোনাকালে সবাইকে চমকে তিনি চলে এসেছেন শীর্ষ ধনীর তালিকায়।

 

বিল গেটস [১২৯ বিলিয়ন ডলার]

পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এনে বদলে দিলেন পুরো কম্পিউটার জগৎ।

করোনার শুরুতে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিলেন বিল গেটস। তবে এখন তিনি উঠে এসেছেন তালিকার তিন নম্বরে। আর এই সময়ে তিনি আয় করেছেন ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।    যার মোট সম্পদ ১২৯ বিলিয়ন ডলার। বাবা-মা চেয়েছিলেন বিল গেটস আইনজীবী হবেন। কিন্তু তিনি সারা দিন পড়ে থাকতেন কম্পিউটার নিয়ে। স্কুলেই প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি তাঁর। নিজে নিজেই লিখে ফেলেন গেমিং প্রোগ্রামিং। স্কুল থেকে বহিষ্কার হন নীতিবিরুদ্ধ অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য। বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এনে বদলে দিলেন পুরো কম্পিউটার জগৎ। মাইক্রোসফট হয়ে উঠল বিশ্বের শীর্ষ টেক কোম্পানির একটি। এক সময় টানা প্রায় দেড় দশক বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে ছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। গত বছর তিনি ১০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক ছিলেন। ২০১০ সালে যা ছিল ৫৩ বিলিয়ন ডলার। বিগত দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮২ বিলিয়ন ডলার। বিল গেটস দানশীল হিসেবে খুবই বিখ্যাত।

 

মার্ক জুকারবার্গ [১০৫ বিলিয়ন ডলার]

তাঁর মোট সম্পত্তির অর্থমূল্য ১০৫ বিলিয়ন ডলার। ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার পৃথিবীতে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারী অন্তত ২ বিলিয়ন। গোটা বিশ্ব ফেসবুকে আক্রান্ত। ফেসবুকের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছেই।

ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের বর্তমানে সম্পদ মূল্য ১০৫ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৬৮ বিলিয়ন ডলার। করোনার শুরুতে তাঁর সম্পদ ছিল ৫৪ বিলিয়ন ডলার আর এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ বিলিয়ন ডলারে। এর কারণ ঘরবন্দী মানুষ আরও বেশি করে ফেসবুকে সময় কাটিয়েছে। ফলে তাঁর আয়ও বেড়েছে ফেসবুকে। ২০০৪ সালে ফেসবুকের যখন যাত্রা তখন মার্ক জুকারবার্গের বয়স ১৯। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। কিন্তু ফেসবুক তাঁকে বানিয়ে দিয়েছে বিলিওনিয়ার। অল্প বয়সী সিইওদের তালিকায়ও তিনি এক বিস্ময়। ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার পৃথিবীতে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারী অন্তত দুই বিলিয়ন। গোটা বিশ্ব ফেসবুকে আক্রান্ত। সামাজিকভাবে ও ব্যবসায়িকভাবেও ফেসবুকের গুরুত্ব বাড়ছে। প্রতি বছর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ নতুন একটা চ্যালেঞ্জের কথা জানান।

 

বার্নার্ড আর্নল্ট [১০৫ বিলিয়ন ডলার]

২০১০ সালে তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ছিল ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এক দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৯০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। মোট সম্পত্তির অর্থমূল্য ১০৫ বিলিয়ন ডলার। যা সত্যিই বিস্ময়কর।

ফ্রান্সভিত্তিক বিলাসপণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান ও সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট। গত বছর প্রথমবারের মতো সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোয় সেরা ধনীদের তালিকার তিনে উঠে আসেন ৭০ বছর বয়সী আর্নল্ট। বর্তমানে ১০৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক।  করেনাকালের শুরুতে আর্নল্টের ছিল ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ছিল ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এক দশকে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৯০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। মোট সম্পত্তির অর্থমূল্য ১০৫ বিলিয়ন ডলার। প্যারিসভিত্তিক এলভিএমএইচ কোম্পানির অর্ধেকের বেশি শেয়ার তাঁর হাতে। পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউস ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের ৯৭ শতাংশ মালিকানাও তাঁর। ১৯৮৪ সালে একটি টেক্সটাইল গ্রুপের মালিক হয়ে অভিজাত পণ্যের বাজারে পা রাখেন এ ব্যবসায়ী। চার বছর পর এলভিএমএইচের নিয়ন্ত্রণ নেন আর্নল্ট।

 

ওয়ারেন বাফেট [৮৮.৪ বিলিয়ন ডলার]

তিনি জীবনে প্রথম শেয়ার কিনেছিলেন মাত্র ১১ বছর বয়সে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ছোটবেলায় তিনি প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে পেপার বিলি করতেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। তিনি  বছরের শুরুতে ছিলেন তালিকার তিন নম্বরে। পরবর্তীতে তিনি নেমে আসেন সাত নম্বরে। এখন রয়েছেন ছয় নম্বরে। করোনাকালে এই ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার। গত ১০ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন। বর্তমানে নিট সম্পদ মূল্য ৮৮.৪ বিলিয়ন ডলার। তাঁকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী বিবেচনা করা হয়। তিনি মাল্টি-বিলিয়ন ডলার কনগ্লোমারেট ‘বার্কশায়ার হ্যাথাও’-এর মালিক এবং চেয়ারম্যান। তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ ভাগ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। তিনি জীবনে প্রথম শেয়ার কিনেছিলেন মাত্র ১১ বছর বয়সে। ছোটবেলায় প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে পেপার বিলি করতেন। সাফল্যের জন্য টাকার সঙ্গে হিসাবি হওয়াটাকে বাঞ্ছনীয় মনে করেন শীর্ষ এই ধনী। আর তাই হয়তো নতুনদের জন্য সফলতার অন্যতম মূলমন্ত্র হিসেবে ‘ক্রেডিট কার্ড থেকে দূরে থাকা’র পরামর্শ দেন তিনি।

 

লরি পেইজ [৮২.৭ বিলিয়ন ডলার]

২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি। তখন তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ইউএস ৪৭ বিলিয়ন। আর এখন তিনি রয়েছেন সপ্তম স্থানে।

লরি পেইজ একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি পেইজ-র‌্যাঙ্কের উদ্ভাবক, যা গুগলের সার্চ র‌্যাঙ্কিং এলগরিদম হিসেবে বেশি পরিচিত। করোনাকালে তিনি উঠে আসেন শীর্ষ ধনীর তালিকায়। ২০০৪ সালে মার্কনি পুরস্কার পান। তিনি সের্গেই ব্রিনের সঙ্গে গুগল প্রতিষ্ঠিত করেন। পেইজ হলেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী। গুগলের সিইও হিসেবে ২০০১ সালের আগস্ট মাসে পদত্যাগ করার পর এরিক এমারসনের পক্ষে তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে আবার একই পদে আসীন হন। তিনি ২০১৫ সালের জুলাই মাসে অ্যালফাবেটের সিইও হওয়ার জন্য আবারও পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যার অধীনে গুগলের সম্পদগুলো পুনর্সজ্জিত করা হবে। অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি। তখন তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ইউএস ৪৭ বিলিয়ন। ২০১০ সালে লরি পেইজ ছিলেন ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক, যা বেড়ে ২০২০ সালে হয়েছে ৮২.৭ বিলিয়ন।

 

সের্গেই ব্রিন [৮০.১ বিলিয়ন ডলার]

২০১০ সালে ইন্টারনেট কোম্পানি অ্যালফাবেট ও গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের সম্পদের নিট মূল্য ছিল ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

সের্গেই ব্রিন ১৯৭৩ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোতে একটি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাইকেল ব্রিন ও মাতার নাম ইউজেনিয়া ব্রিন। মাইকেল ব্রিন ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক ও ইউজেনিয়া ব্রিন নাসার গোডার্ড খেয়াযান নিক্ষেপণ কেন্দ্রের গবেষক। ব্রিন ছয় বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হন। ২০১০ সালে ইন্টারনেট কোম্পানি অ্যালফাবেট ও গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের সম্পদের নিট মূল্য ছিল ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন, যা বেড়ে ২০১৯ সালে হয় ৫৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন। সেটা এই করোনাকালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০.১ বিলিয়ন ডলারে। এখন তিনিও রয়েছেন তালিকার চমক হিসেবে। ঢুকে পড়েছেন শীর্ষ দশের তালিকায়। ব্রিন ১৯৯৩ সালে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শ্রেণিতে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ভর্তি হলেও কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে বিরতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানে মনোযোগ দিয়েছিলেন।

 

স্টিভ বলমার [৭৭ বিলিয়ন ডলার]

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, মোবাইল যন্ত্র উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অ্যাপল ও গুগল যেভাবে এগিয়ে গেছে সেভাবে এগোয়নি মাইক্রোসফট। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে  মাইক্রোসফট ছেড়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এই সিইও।

মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও স্টিভ বলমারের বর্তমান সম্পদ মূল্য ৭৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে ছিল ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।  ২০১১-তে চারদিকে মোবাইল যন্ত্রের বাজারের যখন রমরমা অবস্থা সে সময় মাইক্রোসফটের এ ব্যাপারে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকার জন্য বিনিয়োগকারীদের সমালোচনার মুখে পড়েন স্টিভ বলমার। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, মোবাইল যন্ত্র উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অ্যাপল ও গুগল যেভাবে এগিয়ে গেছে, সেভাবে এগোয়নি মাইক্রোসফট। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মাইক্রোসফট ছেড়ে দেন। এই করোনাকালে যেখানে প্রচুর বিলিওনিয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সেখানে শীর্ষ দশে চলে আসা সত্যিই ব্যবসায়িক সাফল্যের কথাই প্রমাণ করে। এখন স্টিভ বলমারও রয়েছেন তালিকার চমক হিসেবে। রয়েছেন ৯ নম্বর অবস্থানে। তাঁর পরেই রয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। তিনিও উঠে এসেছেন তালিকার চমক হিসেবে।

 

মুকেশ আম্বানি [৭৪ বিলিয়ন ডলার]

তিনি টেলিকম খাতে বিশ্বের নামকরাদের একজন। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ও ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি।

মহামারীর মধ্যেও বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ার তালিকায় আছেন মুকেশ আম্বানি। তিনি টেলিকম খাতে বিশ্বের নামকরাদের একজন। ৯ বছর পর আবারও বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ও ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। বিলিওনিয়ার ইনডেক্সের সর্বশেষ তালিকায় দেখা যাচ্ছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬৩ বছর বয়সী এই চেয়ারম্যানের মোট সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ফলে একমাত্র এশীয় হিসেবে তিনি ঢুকে পড়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায়। শীর্ষ দশে মুকেশ আম্বানির অবস্থান এখন ১০ নম্বরে। রিলায়েন্সের ৪২ শতাংশ মালিকানা মুকেশ আম্বানির। কোম্পানির ডিজিটাল ইউনিট জিও প্ল্যাটফরম লিমিটেডে আচমকা বিনিয়োগ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। মহামারী করোনাভাইরাসের আঘাত সত্ত্বেও মুকেশ আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্সের শেয়ার মূল্য গত মার্চে দ্বিগুণ বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর