বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফিরে দেখা ২০২০

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

ফিরে দেখা ২০২০

করোনায় ঘরবন্দী জীবন

চীনের উহানে  প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ ও অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের পরপরই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। বিভিন্ন মহল্লা ও অঞ্চলে মানুষের চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়। প্রথম দিকে রাজধানী ঢাকায় দ্রুত করোনার সংক্রমণ দেখা যায়। পরবর্তীতে সেটি ছড়িয়ে যায় দেশব্যাপী। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় গণজমায়েত, পাবলিক পরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস। সীমিত করা হয় সাধারণের চলাচল ও কেনাকাটা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পথে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করেন। অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া চলাচল সীমিত করার কারণে ঘরবন্দী অন্যরকম এই জীবনে প্রবেশ করে দেশের মানুষ। পুরো পৃথিবী লকডাউনে থমকে গিয়েছিল। জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাংলাদেশকেও সে পথে হাঁটতে হয়। লকডাউনে বন্দীদশায় মানুষ ঘরে বসেই বিভিন্ন জরুরি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে। অফিসকর্মীরা অনলাইনে মিটিং ও শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যান। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে করোনা আক্রান্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসা সেবা প্রদান ও মৃতদেহ সৎকারে অগ্রণী ভূমিকা ছিল সরকারের। করোনার কারণে বারবার সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তবে করোনার কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগণকে পড়তে হয় অর্থকষ্টে। বিশ্বজুড়েই আর্থিক মন্দার প্রভাব দেশেও পড়তে শুরু করে। করোনার প্রথম ঢেউ সামলে উঠে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মযজ্ঞ শুরু হয় দেশে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খুলে দেওয়া হয় জরুরি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনার সঙ্গে লড়াই এখনো চলছে। করোনার ভ্যাকসিন দ্রুত দেশে আনার প্রচেষ্টার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকার আহ্বান করা হয়েছে। ঘরবন্দী জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার সম্মিলিত চেষ্টা চলছে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী।

 

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব

পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত গেছে সেতুর অবকাঠামো। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বে এটি এক অনন্য সংযোজন।  ১০ ডিসেম্বর বহুল কাক্সিক্ষত এ সেতুর সবশেষ স্টিলের কাঠামো (স্প্যান) বসানো হয়। ৪১তম স্প্যান বসানোর পর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর পুরোটাই এখন দৃশ্যমান। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমানতা শুরু হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। বাকি ৪০টি স্প্যান বসাতে তিন বছর দুই মাস লাগল। সড়ক ও রেলের স্লাব বসানো সম্পন্ন হলে সেতু দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলতে পারবে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপন হওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং বর্ষায় অত্যধিক স্রোত পদ্মা সেতুর কাজে কিছুটা গতি কমিয়ে দিয়েছিল। পুরো কাজ শেষ হলে যানবাহন চলাচলের পথটি হবে ২২ মিটার চওড়া এবং তা চার লেনের। মাঝখানে থাকবে বিভাজক। স্প্যানের ভিতর দিয়ে চলবে ট্রেন। ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাজনৈতিক পট ও সরকার পরিবর্তনের কারণে থেমে যায় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ। চারদলীয় জোট সরকারের সময় এ সেতু নির্মাণে তেমন কোনো কাজ হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠনের পর আবারও পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা দেন পদ্মা সেতু নির্মাণ হবে নিজেদের টাকায়। তার কথা সত্যি হলো। পদ্মা সেতুর জন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগর চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। পদ্মা সেতু অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করবে। সহজ হবে মানুষের চলাচলও। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুর মূল নির্মাণকাজ করছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। পাশাপাশি দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য যৌথভাবে আবদুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার হাইওয়ে কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট কাজ করেছে।

 

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ

গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদের ভিতরে গ্যাস জমা হয়ে ছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) মসজিদটিতে নামাজের সময় দরজা-জানালা লাগিয়ে সব এসি চালু করে দেওয়া হয়। এ সময়ই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে মসজিদের অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে কাটআউট যুক্ত করার সময় বৈদ্যুতিক সুইচে স্ফুলিঙ্গ (স্পার্ক) হয়। স্ফুলিঙ্গ পেয়ে বিকট শব্দে গ্যাস বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। রাতে এশার ফরজ নামাজের পর অনেকে সুন্নত নামাজ পড়ছিলেন, তখনই বিকট শব্দে ওই মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভিতরে থাকা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৪ জন পুড়ে মারা যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর পর সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের নিচতলার এসিগুলো যেন পুড়ে, গলে গেছে। সবগুলো জানালার কাচ উড়ে গেছে।

 

বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন

গত ২ সেপ্টেম্বর।  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার পর বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছিল। শুধু বিবস্ত্রই নয়, নির্যাতনের সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেছিল দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। সেই সময় নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ওই নারী নির্যাতনকারীদের ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করেও নিস্তার পাননি। ঘটনাটি জানাজানি হলে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় দুই মামলায় পুলিশ, র‌্যাব ও পিবিআই এ পর্যন্ত ১১ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। চার আসামি আবদুর রহিম, মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহাগ ও নুর হোসেন ওরফে রাসেল পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

জাতিসংঘে বাংলাদেশ

তিন সংস্থার নির্বাহী বোর্ড সদস্য ৫৪ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ECOSOC) আটটি অঙ্গসংস্থার নির্বাচন ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ জাতিসংঘের সদর দফতরে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৫৪ ভোটের মধ্যে ৫৩ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (UNOPS) নির্বাহী বোর্ডের ২০২১-২৩ মেয়াদের সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বর UNDP, UNFPA ও UNOPS ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। ১ জানুয়ারি ২০২১ নবনির্বাচিত এ নির্বাহী বোর্ড করা শুরু করবে।

 

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি

ঢাকার পোস্তগোলা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে  লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।  ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়া ময়ূর-২ লঞ্চটিকে জব্দ করে পুলিশ।

ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে আনুমানিক ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ‘মর্নিং বার্ড’ নামে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ছেড়ে আসে। এরপর সদরঘাটে পৌঁছানোর কয়েক মুহূর্ত আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ নামে একটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় এ দুঘর্টনা ঘটে। ঘটনাস্থলের কাছের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ‘মর্নিং বার্ড নামে আকারে ছোট লঞ্চটিকে পিছন থেকে বড় সাদা একটি লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে সামনে ঠেলে নিচ্ছে।

 

 পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি

পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এ বছরও ক্রেতাদের ভুগিয়েছে। বছরের বেশির ভাগ সময়ই পিঁয়াজের ঝাঁজে কেঁদেছে ক্রেতারা। ভারতে বৃষ্টিতে মজুদ থাকা পিঁয়াজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। সেই আঁচ এসে পড়ে বাংলাদেশেও।  সিন্ডিকেটের কারণেও পিঁয়াজের দাম খুব একটা কমেনি। সরবরাহ প্রচুর থাকলেও মোকামে ঘাটতির কথা বলে এই চক্র দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই মৌসুমেও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পেঁয়াজের দাম নামেনি। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর অভিযোগ ছিল। পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া আমদানি বাড়ানো ও টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পিঁয়াজ ট্রাকে করে বিক্রি করা হয়। বছরজুড়েই পিঁয়াজের দাম বাড়া ও কমার এ খবর ছিল আলোচিত।

 

ভাসানচরে গেল রোহিঙ্গারা

২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক জাহাজে করে ১ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাসানচরে। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী সংলগ্ন দ্বীপ ভাসানচরে নেওয়া হয়। প্রথম দলকে পাঠানোর ২৪ দিন পর দ্বিতীয় দলকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন পুরনো মিলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন বসবাস করছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে। প্রাথমিকভাবে সেখান থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয় সরকার। ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে- শিশুদের খেলার মাঠ, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র, দ্বীপে কর্মরত দেশি-বিদেশি সংস্থার লোকজনের জন্য থাকার আলাদা ভবনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।

 

লালমনিরহাটে পুড়িয়ে হত্যা

লালমনিরহাট উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন শরিফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ছাই করার মতো ঘটনাও ঘটেছে এই বছরের ২৯ অক্টোবর। এ ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় ১১৪ এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত শত শত মানুষকে আসামি করা হয়। সর্বশেষ পুলিশ ৩৩ জনকে গ্রেফতারের খবর জানা যায়।

 

গোল্ডেন মনির

গোল্ডেন মনির নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এরপর রাজধানীর মৌচাকে ক্রোকারিজের একটি দোকানে কাজ শুরু করে পরবর্তী সময়ে তা নিজ ব্যবসায় রূপ দেন। একপর্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তারপর রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে দাবি করে র‌্যাব। ঢাকা শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, বাড্ডা, উত্তরা, নিকুঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে তার ২০০টির বেশি প্লট আছে বলেও র‌্যাব জানায়। এভাবে গোল্ডেন মনির এক হাজার ৫০ কোটি টাকার মালিক বনে যান।

 

উচ্চ আদালতের আলোচিত আদেশ ও রায়

জি কে শামীম : ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ ও ৬ তারিখে জি কে শামীম হাই কোর্টের দুই বেঞ্চ থেকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জামিন পান। মাসখানেক পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপর ৮ মার্চ সংশ্লিষ্ট হাই কোর্ট বেঞ্চ দুই মামলায় তার জামিন প্রত্যাহার করেন।

জাহালম : ‘ভুল’ আসামি জেলে- এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাই কোর্ট। এ ছাড়া রুলও জারি করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাই কোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন।

রাতের আদেশ : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার শিশুকে জামিন না দিয়ে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই শিশুদের পুলিশভ্যানে তোলার সময় তাদের কান্নায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ৮ অক্টোবর রাতে হাই কোর্ট তাদের জামিন নিষ্পত্তি করতে আদেশ দিয়ে ওই চার শিশুকে রাতের মধ্যেই এসি মাইক্রোবাসে করে তাদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালত তাদের জামিন দেওয়ার পর রাতের মধ্যে তাদের যশোর থেকে মাইক্রোবাসে করে বরিশালে রওনা দেন কর্মকর্তারা। পরদিন সকালে শিশুদের অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

 

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের বিচার

রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আসামি মজনু ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামলে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে ধর্ষণের শিকার হন ওই ঢাবি শিক্ষার্থী। পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় মজনু।

 

নারী ইউএনওর ওপর হামলা

কুড়িগ্রামের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম। র‌্যাবের দাবি, বাড়িতে চুরি করতে এসে হামলা করা হয় ইউএনও ও তার বাবার ওপর। একদল দুর্বৃত্ত গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় ইউএনওর চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা তার বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও জখম করে। পরে কোয়ার্টারের অন্য বাসিন্দারা তাদের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকায় এনে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।

 

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রথম রায়

৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলার রায় হয়। রায়ে তিনজন পুলিশকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫ আসামির মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। অপর দুইজনকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলার রায় হলো। মামলা দায়েরের ছয় বছর পর নিম্ন আদালতে বিচার শেষ হয়ে রায় এলো।

 

 বারবার রেল দুর্ঘটনা

বছরজুড়েই শিরোনাম হয়েছে রেল দুর্ঘটনা। রেল ক্রসিংয়ে গাড়ি ওঠে যাওয়া,  রেললাইন থেকে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়া, সংঘর্ষ-দুর্ঘটনায় রেল যোগাযোগ বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। যশোরের শার্শা উপজেলায় রেললাইনে উঠে যাওয়া ইজিবাইক দুমড়েমুচড়ে টেনে নিয়ে যায় ট্রেন। ঝিনাইদহে দুটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত হয়। সিলেটগামী ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্টেশন মাস্টারের ভুলে একই লাইনে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটে। নাটোরে পাওয়ার ট্রলিকে ধাক্কা দিয়ে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। চবির শাটলের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফেনীতে বাস-ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মালবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। যশোরে ট্রেনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনসহ চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জয়পুরহাটে বাস-ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে দাঁড়ায় ১২।

 

সিনহা হত্যাকাণ্ডে কারাগারে ওসি প্রদীপ

গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। বাংলাদেশে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। হত্যার আগে ‘গোপন বৈঠকে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার তাকে হত্যার মূল পরিকল্পনা করে’ বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানায় র‌্যাব। অভিযোগপত্রে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা এখন কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া ক্যাম্পের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কয়েক জন পুলিশ সদস্য, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের তিন সদস্য, স্থানীয় তিন বাসিন্দা, এবং বাকি একজন পলাতক। তিনি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমারের দেহরক্ষী সাগর দেব। কারাগারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ। সেই ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা করে। পাঁচ আগস্ট এই ঘটনায় নয়জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন মেজর (অব.) সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার। এই মামলা ও পুলিশের মামলা দুটির তদন্তভার র‌্যাবকে দেওয়া হয়। এর পরের দিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

 

যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন

ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় অর্জন আসে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে। যেই অর্জনটা দেশের ক্রিকেটের জন্য প্রথমবার তারা বয়ে নিয়ে আসে। আকবর আলীর হাত ধরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। প্রথমবার কোনো সংস্করণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারায় জুনিয়র টাইগাররা। প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টে শিরোপা জেতে আকবর আলীর দল, তাও আবার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে। শুধু এই বছর নয়, দেশের ক্রিকেটেরই সেরা প্রাপ্তি টাইগার যুবাদের বিশ্বজয়।

 

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড বিধান কার্যকর হিসেবে জারি হয়েছে। ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের পর আইনের সংশোধনীটি অনুমোদন করে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যু শাস্তি ইত্যাদি প্রসঙ্গে ৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এত দিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদন্ড।

তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা আহত হলে, সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড। সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লাখ টাকা করে অর্থ দন্ডের বিধানও রয়েছে। সেই আইনেই পরিবর্তন এনে ধর্ষণ প্রমাণিত হলেই মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদন্ডের বিধানও থাকছে। প্রথমে ২০০০ সালে জারি করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩৪টি ধারার মধ্যে ১২টি ধারাতেই বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার বিধান ছিল। তবে পরবর্তীতে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ ও মানব পাচার সংক্রান্ত দুটি আইনের অংশ আলাদা হয়ে যাওয়ার পর এই আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে এই আইনের সাতটি ধারায় মৃত্যুদন্ডের বিষয়টি বহাল থাকে। নতুন অধ্যাদেশে ৯ (১) ধারাটি সংশোধন করে যাবজ্জীবন অথবা মৃত্যুদন্ডের বিধান আনা হয়েছে।

 

রিজেন্ট কেলেঙ্কারি

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই গত মার্চে রিজেন্ট হাসপাতালকে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেছিল সরকার। যদিও তাদের হাসপাতাল চালানোর অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। সেখানে নমুনা পরীক্ষা না করে করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর র‌্যাব খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল ও প্যাড নকল করে সেসব রিপোর্ট তৈরি করা হলেও সেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র এসব নমুনা পরীক্ষা করেনি, রিপোর্টও দেয়নি। এ ঘটনায় বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। একই ধরনের অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ও জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

যাদের হারিয়েছি

আবুল হাসনাত : ১৭ জুলাই ১৯৪৫-১ নভেম্বর ২০২০। কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাত জন্মগ্রহণ করেন পুরান ঢাকায়।

আনিসুজ্জামান : (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭-১৪ মে, ২০২০)। দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক, ভাষাসংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী।

রাহাত খান : ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০-২৮ আগস্ট ২০২০। কথাশিল্পী ও সাংবাদিক।

বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর : ৯ জানুয়ারি ১৯৩৬-২৩ মার্চ ২০২০। শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক। 

ড. আশরাফ সিদ্দিকী : ১ মার্চ ১৯২৭-১৯ মার্চ ২০২০। লোকসাহিত্যিক।

রশীদ হায়দার : (১৫ জুলাই ১৯৪১-১৩ অক্টোবর ২০২০)। প্রখ্যাত লেখক, কথাশিল্পী।

আল্লামা আহমদ শফী : ১৯২০-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০। ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির।

জামিলুর রেজা চৌধুরী : ১৫ নভেম্বর ১৯৪২-২৮ এপ্রিল ২০২০।

শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী।

মেজর (অব.) শওকত আলী : মৃত্যু ৪ জুলাই ২০২০। মুক্তিযুদ্ধে সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশির : ১৭ আগস্ট ১৯৩২-১৫ আগস্ট ২০২০। চিত্রশিল্পী ও ভাষাসৈনিক।

মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত

(১ জানুয়ারি ১৯২৭-২৫ আগস্ট ২০২০) সেক্টর কমান্ডার।

লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী

(১ জানুয়ারি ১৯৩৬-৫ সেপ্টেম্বর ২০২০) সেক্টর কমান্ডার।

কর্নেল (অব.) শওকত আলী

২৭ জানুয়ারি ১৯৩৭-১৬ নভেম্বর ২০২০। জন্মগ্রহণ  করেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাধীন লোনসিং বাহারে দীঘিরপার গ্রামে।

ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী

১৪ জানুয়ারি ১৯৪১-৩১ আগস্ট ২০২০ মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক।

আলম তালুকদার : ১ জানুয়ারি ১৯৫৬-৮ জুলাই ২০২০

কামাল লোহানী : (২৬ জুন ১৯৩৪-২০ জুন ২০২০) সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক।

মোহাম্মদ নাসিম : ২ এপ্রিল ১৯৪৮-১৩ জুন ২০২০) সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।

শাজাহান সিরাজ : (১ মার্চ ১৯৪৩-১৪ জুলাই ২০২০) মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠককারী।

এমাজউদ্দীন আহমদ : (১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩-১৭ জুলাই ২০২০)।

শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

আজাদ রহমান : ১ জানুয়ারি ১৯৪৪-১৬ মে ২০২০, সুরকার, গীতিকবি ও সংগীত পরিচালক।

অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম : ১৭  ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯-২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর